বাংলাদেশের সংবিধানে দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় রাজনীতি পুনঃপ্রবর্তিত হওয়ার ২২ বছরের মধ্যে এ সংসদীয় রাজনীতি এখন বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে পড়ল। যদিও এর প্রক্রিয়াটা শুরু হয়েছিল দুই বছর আগে, যখন সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাসংবলিত ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষিত হয়েছিল। সংবিধানে সর্বশেষ মহাজোট সরকারের আমলে পঞ্চদশ সংশোধনী এনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারব্যবস্থায় সর্বশেষ ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী (নির্বাচনকালীন সরকারের জন্য) হিসেবে রেখে দেয়া হয়েছে। সে হিসেবে শেখ হাসিনা আজ প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু একজন দলীয় প্রধানকে অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রেখে একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন যে সম্ভব নয়, তা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আবার প্রমাণিত হলো। এরই মধ্যে আমরা জেনে গেছি ১৫৪ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এমনকি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিলেও, তা আমলে নেয়া হয়নি। তিনিও এখন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি। কাউকে লাঙ্গল প্রতীক বরাদ্দ না করার কথা বললেও এরই মধ্যে তা বরাদ্দ করা হয়েছে। ফলে দশম সংসদ নির্বাচন একদিকে যেমনি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, তেমনি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে সংসদীয় পদ্ধতিও।
আগামী ৫ জানুয়ারি নির্বাচন। ২৪ জানুয়ারির আগেই নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে_ এটা সাংবিধানিক মাধ্যবাধকতা। কিন্তু প্রধান বিরোধী দল বিএনপি তথা ১৮ দল আন্দোলন করে আসছে একটি তত্ত্বাবধায়ক তথা নির্বাচনকালীন সরকারের জন্য। তারা অনেকটা এক জায়গায় এসে তাদের আন্দোলনকে কেন্দ্রীভূত করেছিল_ শেখ হাসিনা যদি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বটি ছেড়ে দেন, তাহলে যে কোনো ফর্মুলায় তারা সমঝোতায় যেতে রাজি। কিন্তু তা হয়নি। তাই আমরা প্রত্যক্ষ করছি একের পর এক হরতাল, অবরোধ। বাড়ছে সহিংসতা। দীর্ঘমেয়াদি অবরোধ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা এখন অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সংবাদপত্রে প্রতিদিন যেসব ছবি আমরা দেখছি, তা কোনো আশার কথা বলে না। রেললাইন বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। শত শত গাছ কেটে অবরোধ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। অথচ পরিবেশ রক্ষার জন্য এ গাছগুলো আমাদের খুব প্রয়োজন ছিল। এরই মধ্যে ঘটে গেল কাদের মোল্লার ফাঁসির ঘটনা। এতে সহিংসতা আরো বেড়েছে। সহিংসতায় জানমালের ক্ষতি হয়। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয় কি? সমস্যাটা রাজনৈতিক। এর সমাধান করতে হবে রাজনীতির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের। অর্থাৎ রাজনীতিবিদদের। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, তারা কোনো সমাধানে আসতে পারছেন না। এমনকি তারানকোর মতো জাতিসংঘের একজন দূত বাংলাদেশে ৬ দিন অবস্থান করেও কোনো সমাধান দিয়ে যেতে পারলেন না। 'সংলাপ' হচ্ছে। তৃতীয় দফা শেষ হয়েছে গত শুক্রবার। এটা তো সময় ক্ষেপণ করার শামিল! নির্বাচনের তফসিল পরিবর্তনেরও আর কোনো সুযোগ নেই। এখন তত্ত্বগতভাবে একটা 'সমঝোতা' হলেও, ৫ তারিখের নির্বাচন পেছানোর সম্ভাবনা ক্ষীণ।
তারানকো 'ছাড়' দেয়ার যে মানসিকতার কথা বলেছিলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য, তা বড্ড প্রয়োজন ছিল। কিন্তু কোনো পক্ষ, বিশেষ করে সরকার পক্ষ এতটুকু ছাড় দিতে নারাজ। এ ক্ষেত্রে বিএনপি প্রথম দিকে কিছুটা নমনীয় হয়েছিল বলেও মনে হয়। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রধান নির্বাহীর ক্ষমতা অর্পণ করে তার নেতৃত্বে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভাবনার দ্বার খুলতে পারত। যদিও এ ক্ষেত্রে সংবিধান একটি বাধা। এর পরও রাষ্ট্রপতির ব্যাপারে যদি কোনো 'সমঝোতায়' আমরা পেঁৗছাতে পারতাম, তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে সংবিধানের আওতায় কীভাবে এটা সম্ভব, সে ব্যাপারে উচ্চ আদালতে রেফারেন্সের জন্য তা পাঠাতে পারতাম। ঐকমত্যটা যেখানে জরুরি ছিল, সেখানে 'ডকট্রিন অব নেসেসিটি'র ধারণাকে মাথায় রেখে উচ্চ আদালত থেকে রেফারেন্স নিতে সব দলের অংশগ্রহণে আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারতাম। তারানকোর সেই 'ছাড়' দেয়ার আহ্বানে সরকারি দলকে আমরা এতটুকুও নমনীয় হতে দেখলাম না। শেষ পর্যন্ত 'বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন' যদি না আসে, তাহলে প্রধান বিরোধী দলকে বাদ দিয়েই নির্বাচন হতে যাচ্ছে। যে প্রক্রিয়ায় জাতীয় পার্টির মন্ত্রীদের 'পদত্যাগপত্র' এখন পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়নি, একই প্রক্রিয়ায় জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগও রাখা হলো না। এ ক্ষেত্রে এরশাদের 'প্রত্যাহারের সেই নির্দেশ' কাগজ-কলমেই থেকে গেল। নির্বাচনে একটি 'বড় পক্ষ' দরকার। সম্ভবত জাতীয় পার্টি হতে যাচ্ছে সেই 'বড় পক্ষ', যারা দশম জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে। নিঃসন্দেহে সংবিধান সরকার এ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে। দেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য দরকার সব দলের অংশগ্রহণ বিশেষ করে প্রধান বিরোধী দলের অংশগ্রহণ। দরকার স্থিতিশীলতা। দরকার পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা স্থাপন। কিন্তু সংবাদপত্রে যখন ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানের অবরোধের ছবিগুলো দেখি, তখন দেশের স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই! যেখানে বিরোধী দলের অংশগ্রহণটা জরুরি সেখানে এদের সবার নামেই মামলা। হয়তো আজ বা আগামীকাল আমরা দেখব আরেবটি 'কমান্ডো স্টাইলে' গ্রেফতারের কাহিনী! এতে কি আস্থার সম্পর্ক তৈরি হবে? এটা সত্য, বিরোধী দল এ অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। কিন্তু আমাকে কি বিশ্বাস করতে হবে এসব নেতা বাসে পেট্রলবোমা হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন! পত্রিকায় দু-এক জন দুষ্কৃতকারীর ছবিও ছাপা হয়েছে, যারা বাসে হামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পুলিশ এদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি কেন? এসব দুষ্কৃতকারীর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। এরা রাজনীতি করে না। এরা সন্ত্রাসী। যারা পেট্রলবোমা মেরে মানুষ মারে, সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে দেয়, অসহায় করে দেয় একটা পরিবারকে, তারা তো জনগণের 'বন্ধু' হতে পারে না। এরা জনগণের শত্রু। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। তবে এটাও সত্য, 'হুকুমের আসামি' হিসেবে যদি বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেয়া হয়, তাহলে তো আস্থার জায়গাটা আর থাকে না। অবরোধের কারণে আমরা এখন 'জিম্মি'। স্থবির হয়ে গেছে জনজীবন। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ আজ আর ঘর থেকে বেরোতে সাহস পাচ্ছে না। এ পরিস্থিতি কোনো ভালো কথা বলে না। এ পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক সেক্টর থেকে পাচ্ছি একের পর এক নেতিবাচক সংবাদ। বৈদেশিক আয়ের বড় উৎস হলো তৈরি পোশাক। এ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে এখন স্থবিরতা এসেছে। কমে গেছে অর্ডার। এর প্রভাব কারখানাগুলোয় পড়তে পারে। বন্ধ হয়ে যেতে পারে অনেক কারখানা। এমনকি বেতন-ভাতা পরিশোধে সমস্যায় পড়তে পারেন গার্মেন্ট মালিকরা। তাদের সাদা পতাকা মিছিল প্রমাণ করে তারা আজ কত অসহায়। কিন্তু অর্থনীতিতে সুবাতাস যে বইবে তার কোনো লক্ষণ দেখছি না। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক সঙ্কট দেশকে পিছিয়ে দেবে। কিন্তু আমাদের রাজনীতিবিদরা এসব নিয়ে ভাবেন না। খবর বের হয়েছে, প্রতিটি ট্যানারিতে ৪ কোটি টাকার চামড়াজাত পণ্য আটকে আছে। রপ্তানি করা যাচ্ছে না। শিল্প খাতে শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করে চরম আতঙ্কে আছেন উদ্যোক্তারা। সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে আছেন তৈরি পোশাকের মালিকরা। হরতাল আর অবরোধের কারণে তাদের মাথায় হাত। তাদের সংস্থা বিজিএমইএ-এর হিসাব মতে হরতাল ও অবরোধের কারণে প্রতিদিনের ক্ষতির পরিমাণ দেড় হাজার কোটি টাকা। সে হিসাবে গত দেড় মাসে ক্ষতি হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। একটা দেশের জন্য এই বিপুল ক্ষতি কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়। এর রেশ আগামীতে কোথায় গিয়ে পেঁৗছাবে, ভাবতেই অাঁতকে উঠতে হয়। আর একটা বিষয় আমরা অনেকেই চিন্তা করছি না যে অবরোধ যদি এভাবে চলতেই থাকে, তাহলে দেশের রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের ঘাটতির সৃষ্টি হবে। অর্থনীতি সচল না হলে ভ্যাট আদায় হবে না। আর ভ্যাট আদায় না হলে রাষ্ট্রের আয় কমে যাবে। এ ক্ষেত্রে এ পরিস্থিতি যদি দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-পাওনা পরিশোধ করায় একটা সমস্যা সৃষ্টি হবে। সরকার বাংলাদেশ ব্যাংককে নোট ছাপিয়ে মুদ্রা সরবরাহ বাড়াতে বলতে পারে। তাতে মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাবে। এরই মধ্যে যেখানে আমাদের প্রবৃদ্ধি গেল বছর ছিল ৬ দশমিক ২ ভাগ, তা কমে এসে ৫ দশমিক ২ ভাগে নেমে আসবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এনবিআর আমাদের জানাচ্ছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা কম আদায় হয়েছে। দৈনিক পত্রিকাগুলো আমাদের জানাচ্ছে (১৭ ডিসেম্বর), বাণিজ্যসংশ্লিষ্ট কয়েকটি দেশের সঙ্গে এখন দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য উদ্বেগজনক পর্যায়ে গিয়ে পেঁৗছেছে। দেশগুলো এখন বাংলাদেশের পরিস্থিতি নতুন করে হিসাব-নিকাশ করতে শুরু করেছে। একটি উদ্বেগজনক সংবাদও দিয়েছেন এক প্রতিবেদক। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কিত বিশ্বের আমদানিকারক দেশগুলো। তাদের এ শঙ্কার কথা জানিয়ে এরই মধ্যে ৩৫টি দেশের বায়ার্স প্রতিষ্ঠান প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে তারা ব্যবসার পরিবেশ না পেলে দেশে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়ার কথা জানিয়েছেন। বেশ কটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। সরকারের নীতিনির্ধারকরা বিষয়টি কতটুকু গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন আমি জানি না, কিন্তু পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হওয়ার একটা আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এ পরিস্থিতি চলতে থাকবে বলে আমার ধারণা। কেননা নির্বাচন বাতিল করার আর কোনো সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। এটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধ্যকতা। ৫ জানুয়ারির আগে আর দুই পক্ষের মধ্যে কোনো সংলাপ হওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। সংলাপ কার্যত এখন ব্যর্থ। আমরা বারবার বলেছি, আমাদের রাজনীতিবিদদের 'মাইন্ড সেটআপ'-এ যদি পরিবর্তন আনা না যায়, তাহলে এ ধরনের 'সংলাপ' হবে লোক দেখানো। ১৯৯৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর স্যার নিনিয়ানের ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর আরেক ডিসেম্বরে তারানকোর উদ্যোগ ব্যর্থ হলো! এ পরিস্থিতিতে আগামীতে আর কেউ আসবেন না আমাদের নিজস্ব সমস্যার সমাধানকল্পে। এখন বিএনপিকে বাদ রেখেই দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ সংসদ কত দিন টিকবে, তা ভিন্ন প্রশ্ন। কিন্তু বাংলাদেশ যে প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রের জন্য আদৌ উপযুক্ত নয়, সে প্রশ্ন উঠবে বিভিন্ন মহলে। পাঠকদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই_ প্রথম সংসদ (১৯৭৩) ৩০ মাস, দ্বিতীয় সংসদ (১৯৭৯) ৩৫ মাস, তৃতীয় সংসদ (১৯৮৬) ১৭ মাস, চতুর্থ সংসদ (১৯৮৮) ৩১ মাস, পঞ্চম সংসদ (১৯৯১) ৫৬ মাস, ষষ্ঠ সংসদ (১৯৯৬) ১৩ দিন, সপ্তম সংসদ (১৯৯৬) ৬০ মাস, অষ্টম সংসদ (২০০১) ৬০ মাস, নবম সংসদ (২০০৮, ধারণা করছি ৬০ মাস) টিকে ছিল। রাজনীতির স্ট্র্যাটেজিস্টরা 'রাজনীতির অঙ্ক' কষতেই পারেন। লাভ-ক্ষতির হিসাবও কষতে পারেন কেউ কেউ। তাতে পরিস্থিতি বদলে যাবে না।
নির্বাচন হবেই। এ ক্ষেত্রে আমরা কেউ স্বীকৃতি দিই আর না দিই। দশম জাতীয় সংসদে আমরা একটা 'বিরোধী দল'ও পাব! কিন্তু এতে সমস্যার সমাধান হবে না। মূল সমস্যা রয়ে যাবেই। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থার সম্পর্ক স্থাপিত না হলে বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র বিকশিত হবে না। তাই গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচনকালীন একটি নিরপেক্ষ সরকার নিয়ে চিন্তাভাবনা করা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে প্রধান বিরোধী দলের মতামত নিয়ে যত দ্রুত একটি নির্বাচনকালীন সরকারের কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা যায়, ততই আমাদের জন্য মঙ্গল।Daily Jai Jai Din23.12.2013
0 comments:
Post a Comment