রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

ওবামার ভারত সফর এ অঞ্চলে কী প্রভাব ফেলবে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দ্বিতীয়বারের মতো ভারত সফর নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এ অঞ্চলের রাজনীতি এবং ভারত-চীন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এর যে একটা প্রভাব পড়বে, এটা স্পষ্ট। প্রথমত, একজন মার্কিন প্রেসিডেন্টের নয়াদিল্লি সফর এবং প্রায় দু’ঘণ্টা উন্মুক্ত স্থানে থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজ উপভোগ করা নিঃসন্দেহে একটি ব্যতিক্রমধর্মী ঘটনা। সাধারণত নিরাপত্তার খাতিরেই কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট এত দীর্ঘ সময় উন্মুক্ত স্থানে থাকেন না। ওবামা থাকলেন। এর পেছনে শুধু যে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি কাজ করছে, তা নয়। বরং যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত একটি স্বার্থ রয়েছে। তবে তুলনামূলক বিচারে এ সফরে ভারতের ‘অর্জন’ বেশি। ২০০৮ সালে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, ওবামার এ সফরের মধ্য দিয়ে তার জট খুলেছে। সমস্যা ছিল ভারতের পক্ষ থেকে। কারণ ২০১০ সালে ভারতে পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন পাস হওয়ার পর গোটা প্রক্রিয়াটা থমকে গিয়েছিল। ওই আইনে বলা হয়েছে, কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় নিতে হবে ইউরেনিয়াম সরবরাহকারী মার্কিন সংস্থাগুলোকে। এখন একটি বীমা কোম্পানি গঠন করা হয়েছে, যারা এ দুর্ঘটনার দায়ভার বহন করবে। ফলে পরমাণু সেক্টরে মার্কিন কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগে আর কোনো বাধা থাকল না। ওবামা ভারতে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কাজের ক্ষেত্র সৃষ্টির জন্য ৪০০ কোটি ডলার তহবিলের ঘোষণা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি ব্যাংক এ অর্থ জোগাবে। এ অর্থের প্রায় অর্ধেক অর্থাৎ ২০০ কোটি ডলার দেয়া হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য। একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ১০ বছরের জন্য এ চুক্তি নবায়ন করা হয়েছে, যেখানে একসঙ্গে গবেষণা ও অস্ত্র তৈরির কথা রয়েছে। এ চুক্তির আওতায় রাসায়নিক বা জৈব প্রতিরক্ষা বর্ম তৈরি, রোল অন রোল অব ইনটেলিজেন্স এবং নজরদারি বিমান তৈরিতে ভারতকে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র। সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর কথাও বলছে দুই পক্ষ। যৌথ বিবৃতিতে পাকিস্তানভিত্তিক ভারতবিরোধী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নামও উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে দুই পক্ষ সাইবার হুমকি মোকাবেলায় তথ্য আদান-প্রদানে সম্মত হয়েছে। দ্বিতীয়ত, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের ‘ভূমিকা’ এবং সেই ভূমিকার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের নীরব সমর্থন ভারত-যুক্তরাষ্ট্র অ্যালায়েন্সকে নতুন করে সামনে নিয়ে এলো। পার্শ্ববর্তী দুটি দেশ চীন ও পাকিস্তানের যে প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে, তাতে স্পষ্ট হয় দেশ দুটি খুব খুশি নয়। চীনের প্রেসিডেন্ট ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে যে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছে, তাতে তিনি স্পষ্ট করেছেন, ‘ওয়াশিংটন চাচ্ছে ভারত ও চীনের মধ্যে যেন একটা সহজাত শত্র“ভাবাপন্ন মনোভাব তৈরি হয়।’ আর পাকিস্তান বলেছে, ‘নিরাপত্তা পরিষদে যোগ্য নয় ভারত।’ উল্লেখ্য, ওবামা ভারতকে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যপদে সমর্থন দেয়ার কথা বলেছেন।এখানে বলা প্রয়োজন, সম্প্রতি শ্রীলংকায় সরকার পরিবর্তন হয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে অতিমাত্রায় চীনের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন এবং শ্রীলংকাকে অতিমাত্রায় চীনের ওপর নির্ভরশীল করে তুলেছিলেন। এ নির্ভরশীলতা একটি নিরাপত্তা সংকট তৈরি করেছিল, যা ভারত খুব ভালো চোখে নেয়নি। এখন শ্রীলংকার নয়া সরকার বলছে, তারা শ্রীলংকা-চীন সম্পর্ক নতুন করে বিবেচনা করবে। এমনকি শ্রীলংকায় চীনের বিনিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নয়া প্রধানমন্ত্রী। ফলে শ্রীলংকায় সরকার পরিবর্তনে ‘ভারতের একটি ভূমিকা’ নিয়ে কথা উঠেছে। চীনবিরোধী কথাবার্তা বলার মধ্য দিয়ে শ্রীলংকা-চীন সম্পর্ক এখন প্রশ্নের মুখে থাকল। অপরদিকে শ্রীলংকা-ভারত সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন উঠল। এটা স্পষ্ট, এ অঞ্চলে, বিশেষ করে শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান কিংবা বাংলাদেশে চীনের একটি ‘ভূমিকা’র ব্যাপারে ভারতের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দারা খুব খুশি ছিলেন না।ভারত চীনের এ ভূমিকাকে আরও সংকুচিত করতে চায়। অনেকের স্মরণ থাকার কথা, গেল বছরের মাঝামাঝি মোদি ক্ষমতাসীন হয়ে প্রথম বিদেশ সফরে ভুটানে গিয়েছিলেন। তখন সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরে জানা গিয়েছিল, চীন ভুটানে দূতাবাস খুলতে চায়- এ ব্যাপারে ভারতের আপত্তি রয়েছে। ভারতের নীতিনির্ধারকরা এটাকে নিরাপত্তা দৃষ্টিকোণের আলোকে দেখেছিলেন। অরুনাচল নিয়ে ভারত ও চীনের মাঝে দ্বন্দ্ব বেশ পুরনো। চীনা প্রেসিডেন্টের ভারত সফর এবং গুজরাটে সরাসরি চীনা প্রেসিডেন্টকে সংবর্ধনা জানানোর পরও চীন অরুনাচল রাজ্যের ওপর থেকে তার ‘দাবি’ প্রত্যাহার করে নিয়েছে, এটা বলা যাবে না। এর অর্থ হচ্ছে, নতুন আঙ্গিকে চীন-ভারত দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে। এমনকি কক্সবাজারের অদূরে সোনাদিয়ায় যে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করার কথা ছিল চীনের, তাও এখন বাতিল করা হয়েছে। এখন এটা নির্মাণ করা হবে পায়রা বন্দরে। এখানেও নিরাপত্তার প্রশ্নটি উঠেছে। ভারত চায় না এ অঞ্চলে চীনের রাজনৈতিক তথা অর্থনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধি পাক। এখানেই ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ এক ও অভিন্ন। যুক্তরাষ্ট্রও চায় না এ অঞ্চলে চীনের প্রভাব বৃদ্ধি পাক। ওবামার ভারত সফরের পেছনে এ উদ্দেশ্যটিও কাজ করেছে মার্কিন নীতিনির্ধারকদের মধ্যে।তাই প্রশ্ন থাকবেই, ওবামার ভারত সফরের মধ্য দিয়ে কে লাভবান হল? ভারত, না যুক্তরাষ্ট্র? ওবামাকে ভারতে নিয়ে আসার ব্যাপারে নরেন্দ্র মোদি কৃতিত্ব দাবি করতেই পারেন। এতে করে তার ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির কিছুটা হলেও অগ্রগতি হবে। এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ‘ভাইব্রান্ট গুজরাট’ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। এর মধ্য দিয়ে মার্কিন বিনিয়োগকারীরা ভারতে আসবেন। এখন বেসামরিক পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় এবং তাতে মার্কিন বিনিয়োগকারীদের জন্য রক্ষাকবচ থাকায় বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়বে। ওবামা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদে ভারতের প্রার্থিতা সমর্থন করে ভারতকে কাছে টানার একটি উদ্যোগ নিলেন বটে; কিন্তু তিনি যদি ভারতকে চীনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেন, তাহলে ভুল করবেন। এবং ভারতও যদি এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রকে সঙ্গে নিয়ে চীনবিরোধী একটি অ্যালায়েন্স গড়ে তোলে, সেটাও এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য কোনো মঙ্গল বয়ে আনবে না। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে উত্তেজনা দিন দিন বাড়ছে। এখানে ‘সীমিত যুদ্ধে’র সম্ভাবনা উজ্জ্বল হচ্ছে। চীনের সঙ্গে প্যাসিফিক অঞ্চলে ফিলিপাইন ও জাপানের দ্বন্দ্ব রয়েছে। এবং এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করছে এ অঞ্চলে। পূর্ব চীন সাগরে জাপান এবং দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামের সঙ্গে চীনের দ্বন্দ্ব ও বিবাদ একাধিকবার সংবাদ শিরোনাম হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এ দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে ফায়দা নিতে চায়। অনেকের স্মরণ থাকার কথা, কিছুদিন আগে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতে এসেছিলেন। সেখানে তিনি অরুনাচল রাজ্য যে ভারতের, সে ব্যাপারে বক্তব্য দিয়েছিলেন। ফুমিও কিসিদার এ বক্তব্যে চীন তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়। চীন অরুনাচল রাজ্যের ওপর তার দাবি পরিত্যাগ করেনি। চীন মনে করে ভারত জাপানকে চীনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে।এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল ও ভারত মহাসাগর আগামী দিনে এক ধরনের প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা প্রত্যক্ষ করবে। এ দুটি অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু ‘সামরিক তৎপরতা’ লক্ষণীয়। দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সমন্বয়ে একটি সামরিক ঐক্য গঠিত হয়েছে। উদ্দেশ্য, চীনের ওপর ‘চাপ’ প্রয়োগ করা। অন্যদিকে ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চীন তার নৌবাহিনীর তৎপরতা বাড়িয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগর থেকে মাল্লাক্কা প্রণালী হয়ে ভারত মহাসাগর অতিক্রম করে অ্যারাবিয়ান গালফ পর্যন্ত যে সমুদ্রপথ, তার নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় চীন। কারণ এটি তার জ্বালানি সরবরাহের পথ। চীনের জ্বালানি চাহিদা প্রচুর। এদিকে ভারতও ভারত মহাসাগরে তার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ভারতের নৌবাহিনীর ‘নিউ ইস্টার্ন ফ্লিটে’ যুক্ত হয়েছে বিমানবাহী জাহাজ। রয়েছে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন। আন্দামান ও নিকোবরে রয়েছে তাদের ঘাঁটি। ফলে চীন ও ভারতের মাঝে এক ধরনের প্রতিযোগিতা রয়েছে। এশিয়া-প্যাসিফিক ও দক্ষিণ এশিয়ার কর্তৃত্ব নিয়ে চীন ও ভারতের অবস্থান এখন অনেকটা পরস্পরবিরোধী। যেখানে চীনা নেতৃত্ব একটি নয়া ‘মেরিটাইম সিল্ক রুটে’র কথা বলছে, সেখানে মোদি সরকার বলছে ‘ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক করিডোরে’র কথা। স্বার্থ মূলত অভিন্ন- এ অঞ্চলে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা। আর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েই এশিয়ার এ দুটি বড় দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব অনিবার্য।একসময় মার্কিন গবেষকরা একটি সম্ভাব্য চীন-ভারত অ্যালায়েন্সের কথা বলেছিলেন। জনাথন হোলসলাগ ‘ফরেন পলিসি’ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে ঈযরহফরধ (অর্থাৎ চীন-ভারত)-এর ধারণা দিয়েছিলেন। নয়া চীনা প্রেসিডেন্টের ভারত সফরের পর ধারণা করা হচ্ছিল, দেশ দুটি আরও কাছাকাছি আসবে। কিন্তু শ্রীলংকার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতের ভূমিকা, ওবামার ভারত সফর এবং চীনা প্রেসিডেন্টের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে এ সম্ভাবনা এখন ক্ষীণ। নতুন আঙ্গিকে ‘ইন্ডিয়া ডকট্রিনের’ ধারণা আবার ফিরে এসেছে। এটি মনরো ডকট্রিনের দক্ষিণ এশীয় সংস্করণ। অর্থাৎ দক্ষিণ এশিয়ায় অন্য কারও কর্তৃত্ব ভারত মেনে নেবে না। একসময় এ এলাকা অর্থাৎ ভারত মহাসাগরীয় এলাকা ঘিরে ‘প্রিমাকভ ডকট্রিনে’র (২০০৭ সালে রচিত; শ্রীলংকা, চীন, ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে ঐক্য) যে ধারণা ছিল, শ্রীলংকায় সিরিসেনার বিজয়ের সঙ্গে সঙ্গে তা এখন আর কাজ করবে না। ফলে বাংলাদেশ তার পূর্বমুখী ধারণাকে আরও শক্তিশালী করতে বিসিআইএম (বাংলাদেশ, চীনের ইউনান রাজ্য, ভারতের ‘সাত বোন’ রাজ্য, মিয়ানমার)-এর প্রতি যে আগ্রহ দেখিয়েছিল, তার গতি এখন শ্লথ হবে। সামরিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার প্রশ্নে ভারত এখন আর বিসিআইএম ধারণাকে ‘প্রমোট’ করবে না। আর বাংলাদেশের একার পক্ষে চীন ও মিয়ানমারকে সঙ্গে নিয়ে বিসিআইএম ধারণাকে এগিয়ে নেয়াও সম্ভব হবে না।তাই বলা যায়, ওবামার সফরের মধ্য দিয়ে ভারত নানাভাবে লাভবান হয়েছে। ‘পাক্কা গুজরাতি’ নরেন্দ্র মোদি জাতিগতভাবেই ব্যবসা বোঝেন। যেখানে ভারতের জনগোষ্ঠীর প্রায় ৩০ ভাগ মানুষ অতি দরিদ্র, অর্ধেক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসম্মত কোনো ল্যাট্রিন নেই, সেখানে প্রধানমন্ত্রী প্রায় ১০ লাখ টাকা দামের স্যুট পরিধান করে ওবামাকে সংবর্ধনা দিয়েছেন। এতে ব্যবসা ও বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত হবে। কিন্তু জ্ঞাতসারে হলেও তিনি ভারতকে চীনবিরোধী একটি অ্যালায়েন্সের দিকে ঠেলে দিলেন। প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সমন্বয়ে যেমন একটি সামরিক অ্যালায়েন্স গড়ে উঠছে, তেমনি যদি আগামীতে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত, শ্রীলংকা, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সমন্বয়ে আরেকটি সামরিক জোট গঠিত হয়, আমি তাতে অবাক হব না। যদিও ওবামার সফরের পরপরই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেইজিং গেছেন। সুষমা স্বরাজ সেখানে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লেভারভের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় মিলিত হবেন। কিন্তু তাতে করে চীনের আস্থা তিনি কতটুকু ফিরে পাবেন, সে প্রশ্ন থাকলই। Daily Jugantor ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫

0 comments:

Post a Comment