ভারতীয়
সাংবাদিকদের অনেকের কাছেই তিনি পরিচিত 'মাফলারম্যান' হিসেবে। তিনি হচ্ছেন
অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এখন দিলি্লর মুখ্যমন্ত্রী। মাত্র দুই বছর বয়সের একটি
রাজনৈতিক দল আম আদমি পার্টির তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আম আদমি পার্টি বা
'আপ'-এর এ বিজয় একটি প্রশ্নকে সামনে নিয়ে এসেছে- আর তা হচ্ছে, ভারতীয়
রাজনীতিতে বড় দলগুলোর কর্তৃত্ব ও প্রভাব কমছে এবং সেইসঙ্গে বাড়ছে আঞ্চলিক
দলগুলোর প্রভাব। আপ একটি আঞ্চলিক দল। সর্বভারতব্যাপী একটি চরিত্র এ দলটি
এখনও পায়নি। তবে চেষ্টা করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে কিংবা বিহারে দলটির শাখা
গঠিত হয়েছে। তবে দিলি্লতে এ দলটি সফলতা পেলেও পশ্চিমবঙ্গে কতটুকু সফল হবে,
তার জন্য আমাদের ২০১৬ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কেননা ২০১৬ সালে
সেখানে বিধানসভার নির্বাচন।
ভারতীয় রাজনীতি মূলত এখন নিয়ন্ত্রণ
করে আঞ্চলিক দলগুলো। তবে কেন্দ্রে সরকার গঠন করতে হলে বড় দলগুলো (মূলত
কংগ্রেস ও বিজেপি) আঞ্চলিক দলগুলোর সঙ্গে জোট বাঁধে। আঞ্চলিক রাজনীতিতে
পিডিপি, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টি, জনতা দল, তৃণমূল কংগ্রেস,
ডিএমকে, বিজু জনতা দল, তেলেগু দেশম, রাষ্ট্রীয় লোকদল ও আকালি দল কোথাও
কোথাও বেশ শক্তিশালী। অথচ ৫ বছর আগেও ২০১০ সালে ১৫তম সংসদে এদের আসনসংখ্যা
ছিল ৪ থেকে ২২-এর মধ্যে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলগুলোর মধ্যে শিবসেনা, ডিএমডিকে,
এসডিএমকে, লোকজনশক্তি, আকালি দল আবার বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটভুক্ত।
এদের সবার সমন্বয়ে যদি লোকসভায় (১৬তম লোকসভা) ২৭২ আসনের সমর্থন নিশ্চিত
করা না যেত, তাহলে অন্য ছোট ছাট দলগুলোর দিকে তাকাত বিজেপি। আর কংগ্রেসের
চেষ্টা ছিল তাদের বিরত রাখতে। দুইটি বড় জোট, একদিকে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন
ইউপিএ, অন্যদিকে বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ- এ দুই জোটের বাইরে বামমনারা তৃতীয়
জোটের সৃষ্টি করলেও তা আদৌ কোনো আবেদন রাখতে পারেনি। তৃতীয় জোটের পক্ষে
ক্ষমতার আশপাশে থাকারও কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে ভারতীয় রাজনীতিতে তিন মহিলা
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন। এদের একটি অলিখিত জোটও রয়েছে। যদিও ২০১৪
সালের লোকসভা নির্বাচন এ জোট কোনো কাজ করেনি। এমনকি বিজেপির বিশাল জয়
নরেন্দ্র মোদিকে কেন্দ্রে সরকার গঠন করতে তার এনডিএ জোটভুক্ত আঞ্চলিক
দলগুলোর দিকেও তাকাতে হয়নি।
যারা ভারতীয় রাজনীতির কিছুটা খোঁজখবর
রাখেন, তারা জানেন ওই তিন মহিলা, বিশেষ করে মায়াবতী দলিতদের পুঁজি করে
উত্তর প্রদেশে বিশাল এক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। নিজে দলিত, অর্থাৎ
নিম্নবর্ণের মানুষ হলেও মাস্টার্স ডিগ্রিধারী এবং কোনোদিন সরকারি চাকরির
জন্য আবেদন করেননি। রাজনীতি করে বিশাল এক আঞ্চলিক সাম্রাজ্য তিনি গড়ে
তুলেছেন। মমতা আর সাবেক অভিনেত্রী জয়ললিতাও এ থেকে পার্থক্য নন। এদের মধ্যে
আবার অদ্ভুত এক মিল রয়েছে। এরা কুমারী, অর্থাৎ বিয়ে করেননি। তবে এদের
সবারই বিয়ের বয়স পেরিয়ে গেছে অনেক আগেই। এখানে একটি কথা বলা প্রয়োজন। এ তিন
মহিলা তিনটি রাজ্যের বর্তমান ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এবং সেখানকার সাধারণ
মানুষকে পুঁজি করে রাজনীতি করলেও, তারা নিজ নিজ রাজ্যের বৈষম্য, নারী
সহিংসতা দূর করতে পারেননি। মায়াবতীর উত্তর প্রদেশের কথাই বলা যেতে পারে। এ
রাজ্যের বুন্দেলখ- গ্রামের গুলাব গ্যাংয়ের কথা বাংলাদেশের মানুষ
পত্রপত্রিকা পড়ে জেনেছেন এত দিনে। অন্যায়ের প্রতিবাদে, নারী নির্যাতনের
প্রতিবাদে সাধারণ এক নারী সম্পাত পাল দেবী সংগঠিত করেছিলেন গ্রামের
নারীদের। গোলাপি শাড়ি সবাই পরতেন বিধায় এ বাহিনীর নামকরণ হলো গুলাব গ্যাং।
লাঠি হাতে তাদের মিছিলের ছবি ও তাদের ওপর এক প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল লন্ডনের
গার্ডিয়ানে। সম্প্রতি গুলাব গ্যাংয়ের কাহিনী নিয়ে মুম্বাইয়ে একটি ছবিও
হয়েছে। মাধুরী দীক্ষিত অভিনয় করেছেন সম্পাত পাল দেবীর ভূমিকায়। এটা একটা
বাস্তব কাহিনী। মায়াবতীরা সাধারণ নারীদের বিরুদ্ধে অন্যায়কে পুঁজি করেই
বহুজন সমাজবাদী পার্টিকে সংগঠিত করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। এখন অবশ্য
তিনি আর মুখ্যমন্ত্রী নন। কিন্তু তিনি নিজে দলিত হয়েও দলিতদের নূ্যনতম
অধিকার নিশ্চিত করতে পারেননি। ভারতের গণতন্ত্রের এটাই বড় সমস্যা। পৃথিবীর
সবচেয়ে বড় এ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মানুষে মানুষে বৈষম্য অনেক বেশি। নোবেল
পুরস্কার বিজয়ী অমর্ত্য সেনের ধারণা এখানে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তার নিজ
দেশেই তার তত্ত্ব খাটেনি (যে দেশে গণতন্ত্র রয়েছে, সে দেশে দরিদ্রতা নেই!)।
একটা পরিসংখ্যান দিই, ২০০৪ সালে ভারতে ৪১ কোটি লোক দরিদ্র ছিল, জনসংখ্যার
যেটা ২৭ দশমিক ৫ ভাগ। আর ২০১০ সালে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৭ দশমিক ০২ ভাগ।
যারা জাতিসংঘ কর্তৃক নির্ধারিত প্রতিদিন ১ দশমিক ২৫ ডলার আয় করেন। সেই
হিসাবে দারিদ্র্যের এ সংখ্যা ঠিক করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক তার ২০১৩ সালের
প্রতিবেদনে বলেছে, বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ গরিব মানুষের বাস ভারতে। এ গরিব
মানুষগুলোর একটা বড় অংশ বাস করে উত্তর প্রদেশে। এরাই হচ্ছেন মায়াবতীর
ক্ষমতার উৎস। তিনি সবার কাছেই 'বহেনজি' হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, তার পরিচয় 'দিদি' হিসেবে। তিনি
সবার দিদি। অতি সাধারণ এক জীবনযাপন তার। সাধারণ এক সুতি শাড়ি আর পায়ে
সাধারণ সেন্ডেল পরে তিনি এখন মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে বসেন। সাধারণ মানুষের
জন্য তিনি কাজ করেন। যে কারণে সাধারণ মানুষ বামপন্থী সিপিএমের পরিবর্তে তার
দলকে বেছে নিয়েছিল। সেটা ছিল একটা যুগান্তকারী ঘটনা, যেখানে তিনি বামদের
দুর্গে ধস নামিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, একরকম অস্তিত্ববিহীন করেছেন বামদের।
তৃণমূল কংগ্রেসের কারণে মূল কংগ্রেসের কোনো অস্তিত্বই নেই পশ্চিমবঙ্গে।
সোনিয়া গান্ধী পর্যন্ত এখন সমীহ করে চলেন মমতা ব্যানার্জিকে। মমতা
ব্যানার্জি যে এখনও জনপ্রিয়, তার সর্বশেষ প্রমাণ ১৬ ফেব্রুয়ারির দুইটি
উপনির্বাচনের ফল। দুইটি উপনির্বাচনেই বিজয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। এখানে
কংগ্রেস তৃতীয় অবস্থানেও থাকেনি। এর অর্থ হচ্ছে, মমতার প্রতিদ্বন্দ্বী এখন
মমতা নিজেই। দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে সিপিএম।আর আম্মার
গল্পটা শুরু জয়ললিতাকে দিয়ে। একসময়ের তামিল, তেলেগু আর কান্নাড়া ছবির
নায়িকা জয়ললিতার রাজনীতিতে উত্থান তামিলনাড়ুর জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী
রামচন্দ্রনের হাত ধরে। রামচন্দ্রনও একসময় তামিল ফিল্মের নায়ক ছিলেন।
রামচন্দ্রনই তার 'নায়িকা' জয়ললিতাকে রাজনীতিতে নিয়ে আসেন। অভিযোগ আছে,
জয়ললিতা রামচন্দ্রনের সঙ্গে একটা অবৈধ সম্পর্ক রক্ষা করতেন। কিন্তু
রামচন্দ্রন কোনো দিনই জয়ললিতাকে স্ত্রীর মর্যাদা দেননি। রামচন্দ্রন ছিলেন
'অলইন্ডিয়া আন্না ডেবিদ্রা সুনেত্রা কাজাখাম (আইএডিএমকে)-এর প্রতিষ্ঠা
সভাপতি। তার মৃত্যুর পর এআইএডিএমকে দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়। এক ভাগের নেতৃত্ব
দেন রামচন্দ্রনের স্ত্রী, যিনি পরবর্তী সময়ে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী
হয়েছিলেন। অন্যভাগের নেতৃত্ব দেন জয়ললিতা। জয়ললিতা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী
ছিলেন চার চারবার- ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০০২-২০০৬, ২০১১-১৪ সাল
পর্যন্ত। তিনি এখনও আইএডিএমকের নেত্রী। সবাই তাকে 'আম্মা' বা মা হিসেবেই
সম্বোধন করে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, জয়ললিতা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হলেও
তিনি কিন্তু এ রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেননি। তিনি জন্মেছিলেন মহিসুরে, যা আজ
কর্নাটক রাজ্য হিসেবে পরিচিত। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় থাকা অবস্থাতেই তিনি
উচ্চআদালত কর্তৃক অযোগ্য ঘোষিত হয়েছিলেন। আয়কর আইনে সম্পত্তির তথ্য গোপন
করার অভিযোগে তিনি অভিযুক্ত হয়েছিলেন। তারপরও তিনি তামিলনাডুর অভ্যন্তরীণ
রাজনীতিতে অন্যতম একটি ফ্যাক্টর।এ তিন মহিলার সঙ্গে এখন যুক্ত
হলেন 'মাফলারম্যান' অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এটা একটা ট্রেডমার্ক হয়ে গেছে,
কেজরিওয়ালের ছবি মানেই হচ্ছে গলায় সব সময় মাফলার পেঁচানো একজন মানুষ। এরা
তিনজনই এখন তিনটি রাজ্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন। এর বাইরেও
বিহার, উড়িষ্যা কিংবা জম্মু ও কাশ্মীরে এক ধরনের ব্যক্তি বা
পরিবারকেন্দ্রিক রাজনীতি আমরা লক্ষ্য করি। তবে বিহারে লালু প্রসাদ যাদব,
উড়িষ্যায় বিজু পট্টনায়েকের সঙ্গে তাদের পার্থক্য হচ্ছে মমতা-ব্যার্নাজি
কিংবা কেজরিওয়াল কোনো পারিবারিক রাজনীতি থেকে উঠে আসেননি। নিজেদের
কর্মদক্ষতা আর সুশাসনের সুস্পষ্ট অঙ্গীকার তাদের আজ এ অবস্থায় নিয়ে আসতে
সাহায্য করেছে। মমতা ও অরবিন্দের ক্ষেত্রে পারিবারিক রাজনীতি প্রচলন করারও
সুযোগ কম। মমতা কুমারী, বিয়ে করেননি। আর অরবিন্দ কেজরিওয়ালের স্ত্রী সরকারি
চাকুরে, ছেলে ও মেয়ে দুজনই এখনও কৈশোর অতিক্রম করেনি। ফলে মমতা আর
কেজরিয়ালের উত্থানের পেছনে কাজ করছে তাদের রাজনীতি এবং কমিটমেন্ট।
পশ্চিমবঙ্গে বাম রাজনীতির পতন ঘটানো এত সহজ ছিল না। কিন্তু মমতা এটা
করেছিলেন। এমনকি মূল কংগ্রেসের কোনো চিহ্নও নেই পশ্চিমবঙ্গে। আর
কেজরিওয়ালের উত্থান অতি সাম্প্রতিক। ঝানু ঝানু রাজনীতিবিদকে পেছনে ফেলে
তিনি নিজেকে স্থানীয় রাজনীতিতে অবশ্যম্ভাবী করে তুলেছিলেন।কেজরিওয়ালের
মূল স্পিরিট হচ্ছে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা ও শাসন ব্যবস্থাকে জনগণের
দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়া। এজন্যই তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন- বিদ্যুৎতের বিল
অর্ধেক করা, বিনামূল্যে পানি সরবরাহ করা ইত্যাদি। ভয় হচ্ছে, এটা না আবার
'সস্তা সেস্নাগান' হয়ে যায়! তবে কেজরিওয়ালের একটা ভালো জিনিস লক্ষণীয়। তিনি
নির্বাচনের আগে ও পরে তার বিরোধী পক্ষ, বিশেষ করে কিরণ বেদি সম্পর্কে কোনো
খারাপ মন্তব্য করেননি। ভারতীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এমনটি দেখা যায় না।
পশ্চিমবঙ্গের মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে তার পার্থক্য এখানেই। দিলি্লর
বিধানসভায় কোনো বিরোধী দল থাকবে না। এটাও একটা খারাপ দিক। 'আপ' এর নীতির
কোনো সমালোচনা আমরা শুনতে পাব না। এতে করে দায়বদ্ধতার একটা অভাব অনুভূত
হবে। সেইসঙ্গে কেজরিওয়ালকে একনায়কতন্ত্রী করে তুলতে পারে! তবে এটা স্বীকার
করতেই হবে, ভারতীয় রাজনীতিতে একটি ভিন্ন চরিত্র নিয়ে আবির্ভূত হলেন মাত্র
৪৭ বছরের অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ৫ বছর তার জন্য কম সময় নয়। তিনি কতটুকু সফল
হবেন, তা শুধু আগামী দিনগুলোই বলতে পারবে।তবে এখন যে প্রশ্নটি
অনেকেই করার চেষ্টা করবেন তা হচ্ছে, ভারতীয় রাজনীতিতে 'মাফলারম্যান',
'দিদি' কিংবা 'আম্মা'দের উত্থান রাজনীতিটাকে তারা কতটুকু বদলে দিতে পারবেন?
স্থানীয়ভাবে এরা শক্তিশালী, জনপ্রিয়, সন্দেহ নেই তাতে। কিন্তু সর্বভারতীয়
রাজনীতিতে তাদের ভূমিকা সীমিত। তবে এদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে। কখনও কখনও
এদের সমর্থন ছাড়া কেন্দ্রে সরকার গঠন করাও যাচ্ছে না। ১৬তম লোকসভা নির্বাচন
হয়ে গেল। ১৭তম লোকসভার নির্বাচন হবে ২০১৯ সালে। সময়টা অনেক লম্বা। তখন
দেখতে হবে সর্বভারতব্যাপী বিজেপির একক কর্তৃত্বের ধারায়, এরা কতটুকু
পরিবর্তন আনতে পারেন। কেজরিওয়াল, মমতা আর জয়ললিতার আগামী ৫ বছরের রাজনীতির
দিকে তাই লক্ষ্য থাকবে অনেকের।
Daily ALOKITO BANGLADESH
22.02.15
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment