রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

কী ঘটবে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে

আজ সোমবার ৪ এপ্রিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচন। পাঁচ বছর আগে ২০১১ সালে দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্টকে ক্ষমতা থেকে সরানো অতি সহজ ছিল না। কিন্তু কাজটি করতে পেরেছিলেন মমতা ব্যানার্জি। তার দল যখন বিধানসভা নির্বাচনে বিজয়ী হয়, তখন তিনি কেন্দ্রের রেলমন্ত্রী। প্রথমে তিনি বিধানসভার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। পরে ছয় মাস পর বিধানসভার একটি উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তাকে বিধানসভায় আসতে হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের ওই বিজয় (২৯৪ আসনে ১৮৫টি, শরিক কংগ্রেসের ৪১, বামফ্রন্ট ৬৩) সেদিন এক নতুন যুগের সূচনা করেছিল পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে। ১৯৭৭ সালের পর থেকেই ওই রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল সিপিআই (এম) নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট। ২০১১ সাল থেকেই শুরু হয়েছিল ‘মমতা যুগের’। আজ আবার সুযোগ এলো ভোটের রাজনীতিতে মমতাকে পরখ করার। আদৌ কি সেখানে পরিবর্তন আসবে? কিংবা গেল পাঁচ বছর মমতার সাফল্যই বা কী?

এখানে অবশ্য আরও একটা কথা বলা দরকার। তা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার নির্বাচনের পাশাপাশি আসামের বিধানসভার নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৪ এপ্রিল বিধানসভার ৬৫ আসনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলে এ দুই রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচন নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই কেন্দ্রীয় সরকারের নেতাদের। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ দুই রাজ্যে জনসভায় বক্তৃতা করেছেন। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহও এসেছিলেন এ অঞ্চলে। যদিও জনমত জরিপ বলছে, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসকে সরানো হবে কঠিন কাজ। তবে পরিবর্তন আসতে পারে আসামে। এবিপি আনন্দ ও নিয়েলসেনের একটি যৌথ জনমত জরিপ সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। তাতে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস পেতে পারে ৪৫ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে বামফ্রন্ট-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ৪৪ শতাংশ ভোট। বিজেপি ৫ শতাংশ এবং অন্যরা ৬ শতাংশ ভোট পেতে পারে। ২৯৪ আসনের মধ্যে তৃণমূল পেতে পারে ১৭৮টি। আর বামফ্রন্ট-কংগ্রেস পেতে পারে ১১০টি আসন।

পাঠক স্মরণ করুন, ২০১১ সালের বিধানসভার নির্বাচনে জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে ঐক্য হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। আর এবার ঘটল উল্টোটি, অর্থাৎ কংগ্রেস এবার জোট গড়েছে বামফ্রন্টের সঙ্গে। জরিপে বিজেপির ঝুলিতে মাত্র একটি আসন যেতে পারে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। আসামের ক্ষেত্রে জরিপ বলছে ১২৬ আসনের আসাম বিধানসভায় কংগ্রেস মাত্র ৩৬টি আসন পেতে পারে। অন্যদিকে বিজেপি-অসম গণপরিষদ আর বিপিএফ জোট পেতে পারে ৭৮ আসন। এর বাইরে মাওলানা বদরুদ্দিন আজমলের নেতৃত্বাধীন এআইইউডিএফ পেতে পারে ১০ আসন। আসামে ক্ষমতায় আছে তরুণ গগৈর নেতৃত্বে কংগ্রেস। তবে জনমত জরিপ যে সবসময়ই সত্য প্রমাণিত হয়, তা নয়।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ দুটি রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচনের গুরুত্ব অনেক বেশি, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের। কারণ তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টি পরিপূর্ণভাবে মমতা ব্যানার্জির ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের সময় মমতা ব্যানার্জিও সঙ্গে এসেছিলেন। বলেছিলেন, তিস্তা চুক্তির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আমরা জানতাম এটি খোদ পশ্চিমবঙ্গে একটি ইস্যু। নির্বাচনে বিজেপি এটা মমতার বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে। তাই অত্যন্ত কৌশলী মমতা তিস্তার পানি বণ্টনের ব্যাপারে বিধানসভার নির্বাচনের আগে কোনো ‘কমিটমেন্টে’ যেতে রাজি হননি। তাই এ নির্বাচনটি আমাদের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকায় এসে তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়ে গিয়েছিলেন ‘অপেক্ষা করার’ জন্য। এখন দেখা যাক নির্বাচনের পর এ অপেক্ষার পালা শেষ হয় কি-না।

তবে বলা যেতে পারে, সর্বভারতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে এ নির্বাচনের গুরুত্ব আছে। প্রথমত, এ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ঐক্য করেছে বামফ্রন্টের সঙ্গে। অথচ গেল বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের নির্বাচনী মিত্র ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। স্মরণ করা যেতে পারে, মমতা ব্যানার্জি একসময় যুব কংগ্রেসের নেতা ছিলেন। যুব কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে গিয়ে এককভাবে তিনি পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়ে গেছেন। কংগ্রেস বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে তেমন জনমত তৈরি করতে পারেনি। কংগ্রেসের ব্যর্থতাই মমতাকে পশ্চিমবঙ্গে সামনে নিয়ে এসেছিল। এবার কংগ্রেস ফিরে গেছে বাম শিবিরে। শুধু তাই নয়, বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের মধ্যে যে নির্বাচনী ঐক্য হয়েছে, সেখানে মুলায়াম সিংয়ের সমাজবাদী পার্টি, লালুপ্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল, সংযুক্ত জনতা দলকে দুটি করে আসন দেয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বিহারের পর পশ্চিমবঙ্গেও মহাজোট গঠনের উদ্যোগ নেয়া হল। বিহারে বিজেপি উৎখাতে সেখানে মহাজোট গঠিত হয়েছিল। সংযুক্ত জনতা দল নেতা নীতিশ কুমারকে সেদিন সমর্থন দিয়েছিল সবাই- রাষ্ট্রীয় জনতা দল (লালুপ্রসাদ), মুলায়াম সিংয়ের সমাজবাদী পার্টি। এমনকি পাটনায় মহাজোট সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে সেদিন উপস্থিত ছিলেন মমতা ব্যানার্জি, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ প্রমুখ। মুলায়াম সিং যাদব ও তার ছেলে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ সিং যাদব ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকলেও তাদের সমর্থন ছিল। বিহারে মহাজোটের অন্যতম শরিক কংগ্রেসের সুপ্রিমোর পুত্র রাহুল গান্ধী, সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরিও উপস্থিত ছিলেন। ফলে কেন্দ্রে মোদিকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য একটি মহাজোটের যাত্রা শুরু হয়েছিল সেখান থেকেই। পশ্চিমবঙ্গে এর কিছুটা হলেও প্রতিফলন ঘটেছে। যদিও এখানে তৃণমূল হয়েছে টার্গেট। এখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে জোট বেঁধেছে অন্যরা।

দ্বিতীয়ত, এ নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপি আবারও অভিবাসী ইস্যুকে সামনে নিয়ে এসেছে। মোদি, অমিত শাহ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে তথাকথিত বাংলাদেশী অভিবাসীদের পশ্চিমবঙ্গ থেকে বের করে দেয়ার হুমকি প্রকাশ পেয়েছে। অনেকে বলার চেষ্টা করেছেন, এসব কথার কথা। কিন্তু এটা তো সত্য- ভারতে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের আগে এই ‘মুসলমান বিদ্বেষ’ লক্ষ্য করা গেছে। পরিসংখ্যান বলছে, পশ্চিমবঙ্গের জনগোষ্ঠীর ২৭ শতাংশ হচ্ছে মুসলমান। এ জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশ আবার উর্দুভাষী। অবশিষ্টরা বাংলাভাষী। উর্দুভাষীরা মমতাকে পছন্দ করেন। আর বাংলাভাষীরা এতদিন সিপিএম ও কংগ্রেসকে সমর্থন করে আসছিলেন। এদের একটা অংশ ইদানীং মমতার দিকে ঝুঁকে পড়েছে। মোদি যখন লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলা ভাষাভাষীদের পশ্চিমবঙ্গ থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন, তখন মমতা এদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। উল্লেখ্য, মমতার পূর্বপুরুষরা একসময় যশোরের বাসিন্দা ছিলেন। ১৯৪৭-পরবর্তী সময়ে মমতার বাবা-দাদারা কলকাতায় চলে যান। মমতার জন্ম কলকাতায়। এখন বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘বাংলাদেশবিরোধী’ কথাবার্তা, সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের ঘোষণা সঙ্গতকারণেই বাংলাদেশে একটি ভুল মেসেজ পৌঁছে দিতে পারে।

বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন, এমনকি তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও বোমাবাজির (খগড়াগড় বোমা বিস্ফোরণ) অভিযোগ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে উত্থাপন করা হলেও বাস্তবতা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে মমতার কোনো বিকল্প নেই। তিনি পশ্চিমবঙ্গে নিজেকে একটি ‘প্রতিবাদী চরিত্র’ হিসেবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। দীর্ঘ ১২ বছর (ক্ষমতায় যাওয়ার আগে) তিনি একাকী লড়াই করে গেছেন বামদের ক্ষমতা থেকে উৎখাতের জন্য। ২০০৬ সালে হুগলির সিঁন্দুরে মোটর কারখানা গড়ার বিরুদ্ধে তিনি কৃষকদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে কৃষি জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। ২০০৭ সালে নন্দীগ্রামে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যখন কৃষি জমিতে কেমিক্যাল কারখানা প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিয়েছিল, তিনি এর প্রতিবাদ করে কৃষকদের সংগঠিত করেছিলেন। নন্দীগ্রামে সেদিন পুলিশ গুলি চালিয়ে ১৪ কৃষককে হত্যা করেছিল। তিনি দীর্ঘ ২৬ দিন সিঁন্দুর আর নন্দীগ্রামের ঘটনার প্রতিবাদে অনশন পর্যন্ত করেছিলেন। ‘আজীবন প্রতিবাদী’ অথচ ‘ঠিক পাশের বাড়ির মেয়েটির’ মতো একটি ইমেজ মমতা ব্যানার্জি গড়ে তুলেছিলেন। সাধারণ সুতির শাড়ি, পায়ে স্যান্ডেল পরা মমতা ব্যানার্জি নিজে একাই একশ’। পশ্চিমবঙ্গে জ্যোতি বসুর বিকল্প তিনি নিজে। পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় কংগ্রেস মমতা ব্যানার্জির কারণে একরকম বিলীন হওয়ার পথে। তবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগও আছে। তিনি নিজে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত না থাকলেও তার দলের নেতাকর্মীদের মাঝে দুর্নীতি আছে। বর্ধমানে জঙ্গিদের আস্তানা গড়ে উঠেছিল, যা দমন তথা নিয়ন্ত্রণ করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন। খোদ ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী লালন করার অভিযোগ এনেছেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এ ধরনের অভিযোগ গ্রহণ করেনি। ফলে গত ৫ বছরে তার কর্মকাণ্ডের সমালোচনা হয়েছে কম। পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রের সঙ্গে একাধিকবার তিনি বিতর্কে জড়িয়ে গেছেন। তিস্তা চুক্তি করার ব্যাপারে তার ওপর ‘চাপও’ আছে। সে চাপ তিনি অস্বীকার করতে চেয়েছিলেন। এখন দেখতে হবে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বিধানসভা নির্বাচনে কী করে।

জনমত সমীক্ষা যদি সত্য হয়, তাহলে ভোটের শতকরা হিসাবে বামফ্রন্ট-কংগ্রেস ‘ঐক্যের’ সঙ্গে তার প্রাপ্ত ভোটের হারের ব্যবধান খুব কম- ৪৫ ও ৪৪ শতাংশ- অর্থাৎ মাত্র ১ শতাংশ। এটা যদি সত্য হয়, তাহলে মমতা আবারও অন্য একরকম ‘চাপের’ মুখে থাকবেন। কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে মহাজোট গঠনের পরিকল্পনা (বিহার মডেল) ‘আঁতুড় ঘরেই’ ভেস্তে যেতে পারে। বিহার মডেল কাজ করলেও ভারতব্যাপী এ মডেল একটি বড় ধাক্কা খেতে পারে। আর এতে করে লাভ হবে নরেন্দ্র মোদি সরকারের। ভারতীয় রাজনীতিতে মমতা ব্যানার্জি ‘মোস্ট আনপ্রেডিকটেবল’ ক্যারেক্টর। তাকে বোঝা খুব কঠিন। বিজেপির সঙ্গে কেন্দ্রে তিনি ছিলেন। আবার বেরিয়েও এসেছিলেন। আবারও যেতে পারেন। গেল বিধানসভার নির্বাচনে সোনিয়া গান্ধী পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী প্রচারণায় তৃণমূল কংগ্রেসের মঞ্চে এসে বক্তৃতাও দিয়েছিলেন। এবার সোনিয়া নেই। সোনিয়া এবার বাম ঘরানায় আশ্রয় নিয়েছেন। যৌথ একক প্রার্থী মনোনয়নে কংগ্রেসের সঙ্গে বামদের কোনো কোনো আসনে সমঝোতা হয়নি, এটা সত্য। এতে সুবিধা নিতে পারে তৃণমূল। মমতা ব্যানার্জি আবারও বিজয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রী থেকে যাচ্ছেন বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা। এখন দেখতে হবে বিরোধী পক্ষের সঙ্গে তার ব্যবধানটা কী দাঁড়ায়। মমতা বিজয়ী হলেও আমাদের আশাবাদী হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ তিনি প্রথমে দেখবেন পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থ। সেক্ষেত্রে তিস্তার পানি বণ্টনের সম্ভাবনা ক্ষীণ। Daily Jugantor 04.04.16

0 comments:

Post a Comment