রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

কর ফাঁকির আসল তথ্য ফাঁস করল জার্মান পত্রিকা


গত ৪ এপ্রিল সারা বিশ্বে ফাঁস হয়েছিল বিশ্বব্যাপী কর ফাঁকি ও অর্থপাচারের চাঞ্চল্যকর তথ্য। International Consortium Of Investigative Journalists (ICIJ) ফাঁস করে দিল হাজার হাজার ডকুমেন্ট, যাতে দেখা যায় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদদের আত্মীয়স্বজনরা কর ফাঁকি ও অর্থপাচার করেছেন। এ জন্য হাজার হাজার ‘অফশোর আইল্যান্ড’ কোম্পানি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু আসল কথাটি ফাঁস করে দিয়েছে একটি জার্মান পত্রিকা ‘সুডডয়েচে সাইটুং’ গত ৪ মে। পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ অনেক দিন থেকেই কর ফাঁকির ব্যাপারে আইনি সহায়তাকারী সংস্থা মোসাক ফনসেকা ব্যবহার করে আসছিল এবং তারাই এই তথ্যটি ফাঁস করে দেয় ICIJ-এর মাধ্যমে। কর ফাঁকির ঘটনা যখন ফাঁস হয়, তখন থেকেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে একটি প্রশ্ন ছিল যেখানে চিন ও রাশিয়ার রাজনীতিবিদদের নাম এসেছে, সেখানে একাধিক মার্কিন রাজনীতিবিদ তথা ব্যবসায়ীর নাম নেই কেন? তাহলে কী তারা কর ফাঁকি দেন না? এখানে বলা ভালো, এই জার্মান পত্রিকাটিতেই কর ফাঁকির তথ্য ফাঁস করা হয়েছিল। পত্রিকাটি এখন জানিয়েছে, ‘জনৈক জন দো’ তাদের সঙ্গে তথ্য ফাঁস হওয়ার এক বছর আগে যোগাযোগ করে। পত্রিকাটি তখন ICIJ’র সঙ্গে যোগাযোগ করে তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের উদ্যোগ নেয় এবং পরে তা প্রকাশ করে। এখন পত্রিকাটিই জানাচ্ছে, ফাঁসের সঙ্গে সিআইএ জড়িত। মজার ব্যাপার, অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা জানাচ্ছে ICIJ’র সঙ্গে জড়িত তথাকথিত সাংবাদিকদের অনেকেই একসময় সিআইএ’র সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ফলে তথ্য ফাঁসের সঙ্গে সিআইএ’র সংশ্লিষ্টতা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে সিআইএ’র উদ্দেশ্য কী, তা এই মুহূর্তে স্পষ্ট নয়। যারা ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’-এ বিশ্বাস করেন, তারা নানা ধরনের ষড়যন্ত্রের কথা বলতে চাইছেন। একটি তথ্যে দেখা গেছে, কর ফাঁকির ঘটনার সঙ্গে এই মুহূর্তে মার্কিন রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিত্ব হিলারি কিনটনও (যিনি অন্যতম প্রেসিডেন্ট প্রার্থী) জড়িয়ে গেছেন। পডেস্টা গ্রুপ (Padesta Group), যারা ওয়াশিংটনে লবিস্ট ফার্ম হিসেবে রেজিস্ট্রিকৃত এবং হিলারি কিনটনের হয়ে কাজ করছেন, এই প্রতিষ্ঠানটি কিনটনের কর ফাঁকির সঙ্গে জড়িত। এটা যদি সত্য হয়, তাহলে তা মার্কিন নির্বাচনী প্রচারণায় প্রভাব ফেলবে। তাহলে কী মার্কিন প্রশাসনের একটা পক্ষ চাচ্ছে না একজন নারী হোয়াইট হাউসে যান! এবং সেই সঙ্গে রিপাবলিকান প্রার্থীর জয়কে নিশ্চিত করার জন্যই এই ষড়যন্ত্র! ইতিহাস হয়তো একদিন বিষয়টি উদঘাটন করবে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, কর ফাঁকির এই ঘটনা বিশ্ব রাজনীতিতে বড় ধরনের আলোড়ন তুলেছে। অনেক প্রশ্ন ইতোমধ্যে উঠেছে! কেন চিন ও রাশিয়ার নেতৃবৃন্দকে ‘দুর্নীতিবাজ’ হিসেবে চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেওয়া হলো? এটা কী ‘সরকার পরিবর্তনের’ ষড়যন্ত্রের একটা অংশ? যারা কর ফাঁকি দেন, যার কিছুটা হলেও বাস্তব ভিত্তি রয়েছে, তারা পানামাকে বেছে নিল কেন? আমি একটু খোঁজখবর নিয়েছি। তাতে দেখেছি পৃথিবীর ৮০টি দেশ ইতোমধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চুক্তিটিকে বলা হচ্ছে Multilateral Competent Authority Agreement। এটি ২০১৪ সালের অক্টোবরে বার্লিনে (জার্মানি) স্বাক্ষরিত হয়েছিল। চুক্তিকে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো ট্যাক্স সংক্রান্ত সব তথ্য বিনিময় করবে, যাতে করে যেসব প্রতিষ্ঠান ট্যাক্স ফাঁকি দেয়, তাদের আইনের আওতায় আনা যায়। পানামা ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি। এর অর্থ হচ্ছে, মোসাক ফনসেকার মতো প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর যেসব তথ্য রয়েছে, তা তারা দিতে বাধ্য নন। এ কারণেই মোসাক ফনসেকার গ্রাহক সংখ্যা অনেক বেশি।
কর ফাঁকি দেওয়া কিংবা অর্থপাচার করার কাহিনি আজকের নয়। আফ্রিকান সেনা শাসকরা অতীতে কোটি কোটি ডলার নিজ দেশ থেকে পাচার করেছেন (পাঠক নাইজেরিয়ান সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান জেনারেল সানি আবাচার সুইজারল্যান্ডে গোপনে রক্ষিত অর্থের কথা স্মরণ করুন)। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গাব্রিয়েল জুকম্যান Hidden Wealth of nation held offshore শীর্ষক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, বিশ্বের মোট সম্পদের ৮ ভাগ (যার পরিমাণ ৭ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলার) এখন এসব দীপপুঞ্জভিত্তিক হাজার হাজার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রয়েছে। আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলো এসব অর্থ আন্তর্জাতিক অর্থ ব্যবস্থায় বিভিন্ন সেক্টরে বিনিয়োগ করে। অধ্যাপক জুকম্যান একটি আতঙ্কের খবর আমাদের জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, পারসীয় অঞ্চলের মোট সম্পদের ৫৭ ভাগ, রাশিয়ার ৫০ ভাগ, আফ্রিকার ৩০ ভাগ ও দক্ষিণ আমেরিকার ২২ ভাগ এসব ‘অফশোর আইল্যান্ডে’ বিভিন্ন কোম্পানির নামে বিনিয়োগ করা হয়েছে। এটা যদি সত্য হয়, তাহলে আমাদের জন্য চিন্তার অনেক খোরাক জোগাবে বৈকি।
পানামা পেপারস বিশ্বে বড় ধরনের বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অভিযুক্ত আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিগামুন্ড গুনলাগসন পদত্যাগ করেছেন। টিআইর চিলি শাখার প্রধান দেলাভেসু পদত্যাগ করেছেন এবং টিআইর ওই শাখা বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের স্ত্রী তাহমিনা দুররানি শরিফ পরিবারের সব সম্পত্তি, যা পানামা পেপারসে উল্লেখ করা হয়েছে, তা পাকিস্তানের জনগণের নামে দান করার দাবি জানিয়েছেন (ট্রিবিউন, ৭ এপ্রিল)। মিসেস দুররানি মনে করেন এর মাধ্যমে শরিফ পরিবারের ‘পাপমোচন’ সম্ভব। নিঃসন্দেহে শরিফ পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে দুররানির এই বক্তব্য নওয়াজ শরিফের অবস্থারকে দুর্বল করবে। ভারতে মোদি সরকার যেসব ভারতীয় ব্যক্তির নাম পানামা পেপারসে রয়েছে তা তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। পানামা বলছে, তারা ট্যাক্সের ব্যাপারে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার আরও উদ্যোগ নিচ্ছে। খোদ ওবামাও এ ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন। সব মিলিয়ে পানামা পেপারস বিশেষ একটি বড় ধরনের আলোড়ন তুলেছে। অর্থপাচার কিংবা ট্যাক্স ফাঁকির ঘটনা ফাঁস করার পেছনে আদৌ কোনো ‘উদ্দেশ্য’ আছে কিনা কিংবা কোনো ‘শক্তি’ এ থেকে ফায়দা উঠাতে চায় কিনা, তা দেখার জন্য আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে এটা বলাই যায়, চিনের রাষ্ট্রপ্রধান শি জেন পিংয়ের শ্যালকের অর্থপাচারের তথ্য যখন ফাঁস হয়, কিংবা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের কন্যা ও জামাইয়ের অসৎ উপায়ে অর্জিত অর্থের তথ্য যখন ফাঁস হয় তখন এই তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় সিনেটর তথা ব্যবসায়ীদের কর ফাঁকির তথ্য যখন ফাঁস হয় না, তখন প্রশ্ন ওঠে বৈকি! বিশ্বের ১৪১৫৩ জন রাজনীতিবিদের অর্থপাচারের কাহিনি উঠে এসেছে পানামা পেপারসে। কিন্তু এতে কোনো বড় মার্কিন রাজনীতিবিদের নাম নেই। একমাত্র হিলারি কিনটনের নাম এসেছে, তাও পরোক্ষভাবে। তবে ক্যামেরন কিংবা আর্জেন্টিনার নাম যে এসেছে এবং যার দালিলিক প্রমাণ আছে, সেটা তারা স্বীকারও করেছেন। ক্যামেরন তার কর সংক্রান্ত ফাইল প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছেন। তাতে প্রমাণ মেলে তিনি পানামার মোসাক ফনসেকার মাধ্যমে কর ফাঁকি দিয়েছেন। তবে একটি বড় ধরনের কর ফাঁকির ঘটনা এবং পরোক্ষভাবে সিরিয়ায় আসাদকে টিকিয়ে রাখার একটি অভিপ্রায়ের কথাও আমরা জানতে পারি পানামা পেপারসের ডকুমেন্টগুলো ঘাঁটাঘাঁটি করে। তাতে দেখা যায়, আসাদের দুই বৈমাত্রিয় ভাই রামি এবং হাফেন মসলউফ যখন সিরিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করেছে, তখনো তারা পানামার মোসাক ফনসেকার মাধ্যমে এবং সিসিলি দীপপুঞ্জ রেজিস্ট্রিকৃত তিনটি কোম্পানির মাধ্যমে তাদের ব্যবসা অব্যাহত রেখেছেন। তারা সিরিয়ার বিমানবাহিনীর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জ্বালানির বিল পরিশোধ করেছেন। আসাদের বিমানবাহিনী সক্রিয় ছিল বিধায় বিদ্রোহী বাহিনীকে তিনি ‘দমন’ করতে পেরেছিলেন। যা কিনা পরোক্ষভাবে আসাদকে ক্ষমতায় থাকতে সাহায্য করছে। উল্লেখিত ওই তিনটি কোম্পানি হচ্ছে maxima middle east trading, Morgan additives manufacturing এবং pangatie international। এখানে আরও বলা যায়, আসাদের ওই দুই ভাইয়ের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার, যা সিরিয়ার অর্থনীতির প্রায় ৬০ ভাগ। তাদের বিশাল বিনিয়োগ রয়েছে জ্বালানি ও টেলিকম খাতে। সিরীয় সংকট শুরু হলে এরা তাদের সম্পদ সিসিলিতে সরিয়ে নেন এবং সেখান থেকে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এখন প্রশ্ন এখানেই- অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করা সত্ত্বেও কীভাবে আসাদ সরকার টিকে থাকে, কারা তাকে অর্থ ও জ্বালানি দিয়ে সাহায্য করেÑ এটা কি যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ জানত না। নিশ্চয়ই জানত। তাহলে? সিআইএ চেয়েছে আসাদ সরকার টিকে থাকুক! তবে মোসাক ফনসেকার ডকুমেন্টে যাদের নাম আছে, তারা কর ফাঁকির ও অর্থপাচারে কিংবা ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ায় কতটুকু জড়িত, সেটা নিয়ে তদন্ত হতে পারে। কিন্তু তথ্য গোপন নিশ্চিত করতে না পারার দায়-দায়িত্ব ফনসেকা এড়াতে পারে না। শুধু তাই নয়, অধ্যাপক ভ্যালেনটিন কাতসোনভ (Valentin Katsonov) ২০১৩ সালের ৪ এপ্রিল লিখেছিলেন (operation offshore leak, ablal research) মোসাক ফনসেকার কাছে এ ধরনের তথ্য আছে। এমনকি এখন জানাও গেছে, জার্মান পত্রিকাটি এক বছর আগেই ওই তথ্যগুলো পেয়েছিল। তাহলে প্রশ্ন এসে যায় আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় যখন বলা হয় যে ফনসেকার কাছে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ নথি আছে, তাহলে সংস্থাটি এসব নথির নিরাপত্তার ব্যাপারে সতর্ক হলো না কেন? পৃথিবীর প্রায় ২০টি দেশে মোসাক ফনসেকার অফিস আছে। ফনসেকা এসব অফিসের মাধ্যমে অর্থপাচারে সহায়তা করেছে। অর্থাৎ এই অর্থ দিয়ে বিশ্বে যে অসমতা এবং গরিব দেশগুলোর মধ্যে যে পার্থক্য, তা আমরা দূর করতে পারতাম। গরিব দেশের লোকগুলো তাদের ক্রয় ক্ষমতা বাড়াতে পারত। আফ্রিকায় এইডস, ইবোলা আর অতি সম্প্রতি লাতিন আমেরিকায় জিকা রোগের যে প্রাদুর্ভাব, তা আমরা নির্মূল করতে পারতাম। এসব সংক্রামক রোগের জন্য যে গবেষণা প্রয়োজন এবং তার জন্য যে বিপুল অর্থের প্রয়োজন হয়, তা আমরা রোধ করতে পারতাম। বিশ্বকে আরও রোগমুক্ত করতে পারতাম। গবেষণায় অর্থ বিনিয়োগ করতে পারতাম। আফ্রিকার দেশগুলোর দরিদ্রতা দূর করতে পারতাম। একটি সমতাময় বিশ্ব আমরা পেতে পারতাম। ক্ষমতাসীনরা, ক্ষমতাধর ব্যবসায়ীরা অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ পাচার করে দিয়েছেন ওইসব ‘অফশোর দীপপুঞ্জে’ প্রতিষ্ঠিত তথাকথিত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে। তারা কর ফাঁকি দিয়েছেন। অর্থ পাচার করেছেন। ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় তাদের আইনের আশ্রয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এসব অর্থ স্ব স্ব দেশে ব্যবহৃত হলে সেসব দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থাটাই বদলে যেত। পানামা পেপারস ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিশ্চয়ই এখন আরও সতর্ক হবে। এ ব্যাপারে বিদ্যমান আইনে সংস্কার প্রয়োজন। ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার। এটি কতটুকু সহজ হবে, আদৌ সহজ হবে কিনা বলতে পারছি না। তবে একটা প্রশ্ন তো রেখেই গেল। অর্থপাচার রোধ এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার ব্যাপারে এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেই উদ্যোগ নিতে হবে। জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক তথা আইএমএফের উদ্যোগ এ ক্ষেত্রে বড়।
Daily Amader Somoy
17.04.16

0 comments:

Post a Comment