রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

মিসর কি ‘ইসলামী রাষ্ট্রে’ পরিণত হচ্ছে


দু’দফা গণভোটে নয়া সংবিধানের পক্ষে ব্যাপক ভোট পড়ায় একদিকে প্রেসিডেন্ট মুরসির হাত যেমন শক্তিশালী হল, অন্যদিকে আগামী দিনের মিসর সম্পর্কে একটি বড় ধরনের অনিশ্চয়তাও সৃষ্টি হল। কোন পথে এখন মিসর? খসড়া সংবিধান অনুমোদিত হওয়ায় নানা প্রশ্ন মিসরকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে। মিসর কি একটি কট্টরপন্থী ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত হবে? নাকি দেশটি তুরস্কের মডেল অনুসরণ করবে? সামরিক কাউন্সিল বা স্ক্যাফের ভূমিকাই বা কী হবে শেষ পর্যন্ত? খসড়া সংবিধান গণভোটে অনুমোদিত হওয়ায় পশ্চিমা বিশ্বে মিসর সম্পর্কে একটি নেতিবাচক ধারণার জš§ হতে পারে। প্রয়াত প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়ে এর সঙ্গে একটি রাজনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করলেও এ ‘সম্পর্ক’ এখন কোন পর্যায়ে উন্নীত হয়, সেটাও দেখার বিষয়।
একটা কথা এখানে বলা প্রয়োজন। ২০১১ সালে ‘আরব বসন্ত’ মিসরে বড় ধরনের পরিবর্তন ডেকে আনলেও মিসরকে নিয়ে যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, তা এখন ধীরে ধীরে মিইয়ে যাচ্ছে। একটি ধর্মনিরপেক্ষ, বহুদলীয়, উদারমনা মিসরের স্বপ্ন শেষ পর্যন্ত স্বপ্নই থেকে যেতে পারে। কারণ এ খসড়া সংবিধানের ব্যাপারে আপত্তি ছিল গণতন্ত্রকামী তথা নারীবাদীদের। আপত্তি ছিল বিচারপতিদেরও, যারা নির্বাচন আয়োজন করতে তাদের আপত্তি জানিয়েছিলেন। উপরন্তু সেনাবাহিনীর কমান্ডও যে রাজি ছিল তাও নয়। একটা পর্যায়ে কায়রোর তাহরির স্কোয়ারে আবার মানুষ সমবেত হতে শুরু করেছিল। তাদের সঙ্গে মুরসির সমর্থকদের বাকবিতণ্ডা ও সংঘর্ষের খবরও পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। এখন গণভোটে খসড়া সংবিধানের পক্ষে ব্যাপক ভোট পড়ায় এ প্রতিবাদের কোন মূল্য থাকল না।
বলার অপেক্ষা রাখে না, যে সংবিধানটি শেষ পর্যন্ত গণভোটে অনুমোদিত হল, তা মিসরীয় সমাজকে বিভক্তিই করবে। খসড়া সংবিধানে বলা আছে, আইনের প্রধান উৎস হবে শরিয়াহ। শরিয়াহ আইন প্রবর্তিত হলে অমুসলিম, বিশেষ করে কপটিক খ্রিস্টানরা বৈষম্যের শিকার হবেন বলে অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে নারীদের অধিকার ক্ষুণœ হবে বলেও নারী সমাজের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে। সংবিধানে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল, যা এখন অনুমোদিত হল। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ফেব্র“য়ারিতে মিসরে গণঅভ্যুত্থান হোসনি মোবারককে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। এরপর থেকেই মিসর সম্পর্কে আগ্রহ বাড়তে থাকে পশ্চিমা সমাজে। গত জুলাইয়ে (২০১২) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুরসির বিজয় পশ্চিমা বিশ্বে নতুন একটি মাত্রা দেয়। এখন ইসলামিক ভাবাপন্ন একটি সংবিধান গণভোটে অনুমোদিত হওয়ায় আগ্রহের মাত্রায় নতুন একটি পালক যোগ হল মাত্র। বলা ভালো, মিসরে সংবিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি সংবিধান পরিষদ গঠন করার জন্য যে নির্বাচন হয়েছিল, তাতে বিজয়ী হয়েছিল কট্টরপন্থীরা। তারা যে সংসদ গঠন করেছিল তাতে বেশ কিছুদিন ধরে সংবিধানের ২৩৪টি ধারা নিয়ে আলোচনা ও বিতর্ক চলে। এক পর্যায়ে ইসলামপন্থীরা তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি চাপিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে উদারপন্থী, ধর্মনিরপেক্ষ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যরা সংসদ বয়কট করেছিল। এরপর কোন রকম সংশোধনী ছাড়াই খসড়া সংবিধানটি সংসদে অনুমোদিত হয়। পরে খসড়া সংবিধানের উপর গণভোট অনুষ্ঠিত হল। কিন্তু বিরোধীদলীয় মোর্চা ন্যাশনাল সালভেশন ফ্রন্ট এই গণভোটের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মোহাম্মদ মুরসি কি মিসরে ইসলামের শরিয়াহভিত্তিক একটি সমাজ বিনির্মাণের উদ্যোগ নেবেন? তার দল ইসলামিক ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক শাখা ‘ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস’ পার্টি। ইসলামিক ব্রাদারহুড একটি ‘ধর্মভিত্তিক’ রাষ্ট্রব্যবস্থার পক্ষে। মুরসি কি এখন এ দিকেই মিসরকে চালিত করবেন? এই মুহূর্তে এটি স্পষ্ট নয়। তবে মুরসি অতটা কট্টরপন্থী নন। তিনি ইসলামপন্থী। তিনি ইসলাম আর গণতন্ত্রকে এক কাতারে দেখতে চান। আর এ কারণে তিনি ‘ইসলামিক গণতন্ত্রে’র কথা বলছেন। সম্ভবত মিসর ‘তুরস্ক মডেল’ অনুসরণ করবে। তুরস্কে ইসলামপন্থীরা জনগণের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতা পরিচালনা করে আসছে। তুরস্কের সেনাবাহিনী ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শের অনুসারী। মিসরের সেনাবাহিনীও অনেকটা তাই।
সেনাবাহিনীর সঙ্গে তুরস্কের ক্ষমতাসীন এরদোগান সরকারের দ্বন্দ্বের কথা সবাই জানেন। সেনাবাহিনী এখন রাজনৈতিক নেতৃত্ব তথা সংসদের কাছে দায়বদ্ধ। যে কারণে সেখানে সামরিক অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা কম। মুরসিও এমনটি চাইবেন মিসরের জন্য। এক্ষেত্রে তিনি কতটুকু সফল হবেন, তা শুধু আগামী দিনগুলোই বলতে পারবে। উপরন্তু ইসরাইলের ব্যাপারে নয়া প্রেসিডেন্টের দৃষ্টিভঙ্গি কী হবে, সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। কেননা, ইসরাইলের আগ্রাসী নীতির কারণে সমগ্র আরব বিশ্বের সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্ক কখনও ভালো হয়নি। ১৯৭৮ সালে মিসরের সঙ্গে ইসরাইলের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হলেও এ সম্পর্ক কখনোই উন্নত হয়নি। এমনকি কট্টরপন্থীদের হাতে মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতকে জীবন পর্যন্ত দিতে হয়েছিল। যদিও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু মুরসিকে শুভেচ্ছা জানাবেন।
কিন্তু তারপরও কথা থেকে যায়। কেননা ব্রাদারহুডের নেতৃত্ব এখনও পরিপূর্ণভাবে ‘ইসরাইল বিরোধিতা’ থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি। তারা যে প্রেসিডেন্টকে প্রভাব খাটাবেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখানেই এসে যায় ‘রিয়েল পলিটিক্সে’র বিষয়টি। মুরসি এই রিয়েল পলিটিক্স কতটুকু অনুসরণ করেন সেটাই দেখার বিষয়। তবে আমি মোহাম্মদ মুরসির সাম্প্রতিক দেয়া বক্তব্যে কিছুটা আশাবাদী। নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি একটি জাতীয় ঐক্য গড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এটি এ মুহূর্তে খুবই জরুরি। কারণ মিসর এখন একটি বিভক্ত সমাজ। একদিকে রয়েছে ইসলামিক কট্টরপন্থীরা, অন্যদিকে ধর্মনিরপেক্ষবাদী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট মোবারক সমর্থকরা। ২০১১ সালে তাহরির স্কোয়ারে ১৭ দিনের ‘বিপ্লব’ নতুন এক ইতিহাসের জš§ দিয়েছিল মিসরে। দীর্ঘ ১৭ দিন দখলে রেখেছিল ‘বিপ্লবীরা’। মূলত তরুণরাই এ বিপ্লবের নায়ক। এরা সবাই যে ইসলামিক আদর্শকে পছন্দ করেন, তা নয়। তারা মোবারকের অপশাসন (১৯৮১ সাল থেকে ক্ষমতায় ছিলেন) থেকে মিসরকে ‘মুক্ত’ করতে চেয়েছিলেন। ওই তরুণরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করে বিপ্লবকে তার লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়েছিলেন। এই তরুণ প্রজšে§র কেউ কেউ মুরসিকে সমর্থন করেছেন, এটা সত্য। কিন্তু মিসর ধর্মভিত্তিক একটি রাষ্ট্র হোক, এটি তারা চাইবেন না। মিসর ‘বিপ্লবে’ নারীরা একটি বড় ভূমিকা রেখেছে। সেনাবাহিনীর হাতে অনেক তরুণী নিগৃহীতও হয়েছিলেন। এরা নিশ্চয়ই চাইবেন না মিসরে নারীদের অধিকার সংকুচিত হোক, বাধ্যতামূলক পর্দা প্রথা আরোপ করা হোক। মিসরের নারীরা যথেষ্ট স্বাধীন। তারা আধুনিকমনস্ক। পূর্ণ পর্দা প্রথা তারা অনুসরণ না করলেও শালীনতা বজায় রেখে চলেন। নয়া নেতৃত্ব নিশ্চয়ই এটি উপলব্ধি করবেন। মিসরের সংখ্যালঘু কপটিক খ্রিস্টানরা কিছুটা আতংকগ্রস্ত। তারা ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন। সম্ভবত এটা উপলব্ধি করেই প্রেসিডেন্ট অঙ্গীকার করেছিলেন নতুন সরকারে ‘কপটিক খ্রিস্টানদের’ প্রতিনিধিত্ব থাকবে এবং নয়া প্রধানমন্ত্রী হবেন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। মুরসি বাস্তববাদী। তিনি সঠিক সিদ্ধান্তটিই নিয়েছেন। তিনি আধুনিকমনস্ক একজন মানুষ। প্রকৌশল বিদ্যায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডক্টরেট ডিগ্রিও নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাও করেছেন। তার রাজনৈতিক জীবন মাত্র ১২ বছরের। দীর্ঘ ৮৪ বছরের একটি সংগঠনের (ইসলামিক ব্রাদারহুড) প্রতিনিধি তিনি। দলে কট্টরপন্থী, ধর্মীয় উগ্র আদর্শে বিশ্বাসী এবং শরিয়াহ আইনভিত্তিক একটি ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার লোক অনেক রয়েছে। এদের ‘চাপও’ থাকবে তার ওপর। এই ‘চাপ’ উপেক্ষা করে ইসলামিক আদর্শ ও গণতন্ত্রকে একত্রিত করে ‘নতুন এক মিসর’ কীভাবে তিনি জš§ দেন, সেটাই দেখার বিষয়। গণভোটের ফলাফলকে বিরোধী দলের প্রত্যাখ্যান প্রেসিডেন্ট মুরসিকে এখন বড় বিপদে ফেলে দিল।
আরব বিশ্বে যে বসন্তের ঢেউ বইছিল, তা এখন দ্বিতীয় ধাপ অতিক্রম করল। তিউনিশিয়ার পর মিসরে একনায়কতান্ত্রিক সরকারের উচ্ছেদ হয়। এরপর জনগণের ভোটে ইসলামপন্থীরা ক্ষমতাসীন হয়। এটা ছিল বিপ্লবের দ্বিতীয় স্তর। তৃতীয় স্তরে কট্টরপন্থীদের অবস্থান শক্তিশালী হল। গণভোটের পর ইসলামপন্থীরা ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করবে। এ মুহূর্তে তাদের পাল্লা ভারি। নয়া সংবিধানের আলোকে দু’মাস পর সেখানে নয়া পার্লামেন্টের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে গণভোটের ফলাফলের প্রতিফলন ঘটলে আমি অবাক হব না। আগামী নির্বাচনেও ইসলামপন্থীরা বিজয়ী হবে। এক্ষেত্রে ন্যাশনাল সালভেশন ফ্রন্ট বড় কিছু আশা করতে পারে না। একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী করবেন, এ প্রতিশ্র“তি মুরসি রাখতে পারবেন বলেও মনে হয় না। তবে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই গেল। সেনাবাহিনী এখন রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল। তবে ভুলে গেলে চলবে না, সেনাবাহিনী একটি সুবিধাভোগী শ্রেণী। ১৯৫২ সালে রাজতন্ত্র উৎখাতের মধ্য দিয়ে মিসরের সেনাবাহিনী সেখানে একটি রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছিল। কর্নেল জামাল আবদুন নাসের ওই ‘বিপ্লবের’ মধ্য দিয়ে শুধু মিসরই নয়, সমগ্র আরব বিশ্বে আরব জাতীয়তাবাদী রাজনীতির জš§ দিয়েছিলেন। সমগ্র আরব বিশ্বে এবং সেই সঙ্গে তৃতীয় বিশ্বে এক অবিসংবাদিত নেতায় তিনি পরিণত হয়েছিলেন। আজ ঠিক ৬০ বছর পর ‘নতুন এক জাতীয়তাবাদী রাজনীতি’ নিয়ে আবিষ্কৃত হলেন মুরসি। খসড়া সংবিধান তাকেও যথেষ্ট ক্ষমতা দিয়েছে, যে কারণে তিনি বিতর্কিত হয়েছেন ‘মিসরের নয়া ফারাও’ হিসেবে। মিসরের সভ্যতা দীর্ঘদিনের। ফারাওদের কাহিনীও মানুষ জানে।
আধুনিক ইতিহাসে মুরসিকে কীভাবে চিহ্নিত করা হবে জানি না। কিন্তু এটা সত্য, মিসর নতুন এক রাজনীতিকে সামনে নিয়ে আসছে, আর তা হচ্ছে ইসলামী গণতন্ত্র। এই গণতন্ত্রে পশ্চিমা সমাজের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির কোন উপাদান খুঁজে পাওয়া যাবে না। ইসলাম, শরিয়াহ আর কোরআনভিত্তিক একটি সমাজ বিনির্মাণে ব্রতী হবেন মুরসি ও তার দল। স্পষ্টতই তা আধুনিকমনস্ক ও পশ্চিমা সমাজের পুুঁজিবাদের উপকরণকে অস্বীকার করবে না। তবে তালেবান স্টাইলে মধ্যযুগীয় ইসলাম তারা বিনির্মাণ করবেন না। জনগণের সমর্থন নিয়েই তারা একটি ইসলামী সমাজ মিসরে নির্মাণ করতে চান। মিসরে মোবারককে উৎখাতের প্রাক্কালে মুসলিম ব্রাদারহুডের গাইডিং কাউন্সিলের সদস্য এচ্ছাম এল এরসিয়ানের একটি প্রবন্ধ নিউইয়র্ক টাইমসে ছাপা হয়েছিল (৯ ফেব্র“য়ারি ২০১১)। ওই প্রবন্ধে এরসিয়ান স্পষ্ট করেই বলেছিলেন, যে গণতন্ত্র ইসলামী মূল্যবোধকে স্বীকার করে না, সেই গণতন্ত্র মিসরবাসী গ্রহণ করে নেবে না। যে গণতন্ত্রে ধর্মের ভূমিকা স্বীকৃত এবং জনগণের অধিকার ও ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা থাকবে, সেই গণতন্ত্রই মিসরে বিকশিত হবে। গণভোটের পর এখন সত্যি সত্যিই মনে হচ্ছে মিসর সেদিকেই যাচ্ছে।
Daily JUGANTOR
27.12.12

0 comments:

Post a Comment