রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

দুদকের বিতর্কিত ভূমিকা ও পদ্মা সেতুর ভবিষ


দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদক পদ্মা সেতুর পরামর্শকের কাজ পাইয়ে দিতে 'ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্রের' অভিযোগে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এই মামলায় সাবেক মন্ত্রী আবুল হোসেনকে আসামি করা হয়নি। এমনকি আওয়ামী লীগের অতীত মন্ত্রিসভার একজন প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীকেও আসামি করা হয়নি। সাবেক মন্ত্রী আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে সরাসরি ঘুষ নেয়ার অভিযোগ ছিল। আর আবুল হাসান চৌধুরী পরামর্শক নিয়োগের ব্যাপারে একটি কানাডিয়ান কোম্পানির পক্ষে তদবির করেছিলেন। বিশ্বব্যাংকের স্পষ্ট দাবি ছিল সাবেক এই দুই মন্ত্রী, বিশেষ করে আবুল হোসেন যেহেতু অভিযুক্ত, সেহেতু তাকে আসামি করতে হবে। না হলে পদ্মা সেতুর অর্থায়নের ব্যাপারে বাংলাদেশের দাবি তারা বিবেচনা করবে না। এ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের একটি তদন্ত টিম দু'দুবার বাংলাদেশে এলো। দুদকের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করল। এখন দেখা গেল দুদক জাতীয় স্বার্থের চাইতে 'ব্যক্তিকে' প্রাধান্য দিয়েছে বেশি। যে কারণে সুস্পষ্ট অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও আবুল হোসেনকে আসামি না করে আসামি করলেন ৭ জনকে, যাদের মাঝে অন্যতম হচ্ছেন সচিব মোশাররফ হোসেন ভঁূইয়া। মামলা দায়ের করার সঙ্গে সঙ্গে তাকে ওএসডি করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দেশ ত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রধান দুই আসামীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। নেয়া হয়েছে রিমান্ডে। এ ধরনের পদক্ষেপে বিশ্বব্যাংকের মন আদৌ গলবে বলে মনে হয় না। বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে গত ১৮ ডিসেম্বর জানানো হয়েছে দুদকের দায়ের করা মামলার নথি দেখে বিশ্বব্যাংকের তদন্ত টিম যে প্রতিবেদন দেবে, তার ওপরই নির্ভর করছে অর্থায়নের বিষয়টি। স্পষ্টতই পদ্মা সেতুর অর্থায়নের বিষয়টি ঝুলে গেল। দুদকের চূড়ান্ত রিপোর্ট বিশ্বব্যাংকের তদন্ত টিমকে খুশি করবে, এটা আমার মনে হয় না। দুঃখজনকভাবে হলেও সত্য, দুদক তার গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করতে পারল না। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্তাব্যক্তিদের প্রভাব, বা 'নির্দেশ' দুদক এড়াতে পারল না। দুদকের নেতৃত্ব দুদককে একটি আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করল। দুদক যে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান তা দুদকের নেতৃত্ব প্রমাণ করতে ব্যর্থ হলেন। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে দুদক এখন প্রচ- 'ইমেজ' সঙ্কটের মুখে পড়ল। একটি দেশ তার জাতীয় স্বার্থকে সামনে রেখে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে থাকে। জাতীয় স্বার্থের বিষয়টি মাথায় রেখেই বড় বড় পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় এবং তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। পদ্মা সেতু সে রকমই একটি প্রকল্প, যার সঙ্গে জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নটি জড়িত। জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নটি মাথায় রেখেই আওয়ামী লীগ সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ হাতে নিয়েছিল। তাদের নির্বাচনী ওয়াদার অন্যতম ছিল এই পদ্মা সেতু নির্মাণের বিষয়টি। কিন্তু পদ্মা সেতু নির্মাণের বিষয়টি একটি বড় ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে এখন। এডিবি ও জাইকা ঋণচুক্তির মেয়াদ আরো এক মাস বাড়িয়েছিল। এখন এডিবি ও জাইকার প্রতিশ্রুতিতেও অনিশ্চয়তা আসল। বিশ্বব্যাংক যদি ফিরে না আসে, তাহলে বাংলাদেশ হয়ত বিকল্প মালয়েশীয় প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু করবে। এখানেই এসে যায় মূল প্রশ্নটি_ মালয়েশিয়ার প্রস্তাবটি আদৌ জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত কি না। আর চুলচেরা বিশ্লেষণে মালয়েশিয়ার প্রস্তাবটি যদি জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে না পারে, তাহলে প্রস্তাবটি বাতিল করে দেয়াই মঙ্গল। পদ্মা সেতু আমাদের প্রয়োজন, সন্দেহ নেই তাতে। এই সেতুটি দেশের অর্থনৈতিক চিত্রকে পুরোপুরিভাবে বদলে দিতে পারে। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা এই সেতুটি নির্মাণের পর সম্পূর্ণ বদলে যেতে পারে, এটা যেমন সত্য। তেমনি এটাও সত্য, এই সেতুটি জিডিপিতেও অবদান রাখবে। এখন তুলনামূলক বিচারে যে প্রস্তাবটি আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করবে বেশি, আমরা সে প্রস্তাবটিই গ্রহণ করব। তুলনামূলক বিচারে বিশ্বব্যাংকের প্রস্তাবটি ছিল ভালো। কিন্তু পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় এবং এর চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক অর্থায়নের ব্যাপারে কোনো 'পজিটিভ' সাড়া দেবে না। অনেকেই জানেন কানাডার ওন্টারিও প্রদেশে এ সংক্রান্ত একটি মামলা বিচারাধীন। দুই ব্যক্তি যার একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত, তারা সেখানে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাদের বিচার চলছে। ২০১৩ সালের ৮ এপ্রিল পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। অভিযোগ উঠেছে গ্রেপ্তারকৃত ওই দুই ব্যক্তি কানাডার কোম্পানি এসএনসি লাভালিনের পক্ষে 'ঘুষের বিনিময়ে' কাজ পাইয়ে দেয়ার অপতৎপরতায় লিপ্ত ছিলেন। সাবেক মন্ত্রী আবুল হোসেন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং ব্যাংকের অভিযোগে ছিল তার বিরুদ্ধে। এমনিতে ওন্টারিওর আদালতে বিষয়টি ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিত না। এডিবি ও জাইকা ঋণের মেয়াদ বাড়ালেও, তা বিশ্বব্যাংকের সিদ্ধান্ত গ্রহণে আদৌ কোনো প্রভাব ফেলবে না। বলা ভালো, প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৯০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ২৩৭৮০ কোটি টাকার ওপরে)। এখানে বিশ্বব্যাংকের দেয়ার কথা ১২০ কোটি ডলার। সেই সঙ্গে এডিবি ৬১ কোটি ৫০ লাখ ও জাইকা ৪০ কোটি ডলার দেয়ার কথা। ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংক বা আইডিবির দেয়ার কথা ১৪ কোটি ডলার। এখন বিশ্বব্যাংক যদি সিদ্ধান্ত না নেয়, তাহলে এডিবি, জাইকা কিংবা আইডিবি কোনো সিদ্ধান্ত নিলেও তাতে কোনো কাজ হবে না। যে বিষয়টি আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা হচ্ছে বিশ্বব্যাংকের সিদ্ধান্ত পর্যন্ত আমরা কতদিন অপেক্ষা করবো? নাকি বিকল্প সিদ্ধান্ত আমরা নেবো। বিকল্প সিদ্ধান্তের ব্যাপারে দু'টো প্রস্তাব আছে এক. মালয়েশিয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করা, দুই. নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরি করা। তৃতীয় আরেকটি প্রস্তাবও আমরা চিন্তা করতে পারি আর তা হচ্ছে পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে পদ্মা সেতুর নির্মাণ পরিকল্পনা আপাতত পিছিয়ে দেয়া। এই তিনটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। মালয়েশিয়ার প্রস্তাব বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের 'ফাঁদ'। এই 'ফাঁদ' এ বাংলাদেশ যদি একবার পা দেয়, তা অর্থনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ডেকে আনবে। যেখানে একনেকে সর্বোচ্চ ২.৯ বিলিয়ন ও বিশ্বব্যাংক ২.৯ বিলিয়ন ডলার অর্থ প্রাক্কলন করেছিল, সেখানে মালয়েশিয়ার প্রস্তাব ছিল ৫.৭ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ বিশ্বব্যাংকের প্রস্তাবের চাইতে দ্বিগুণ ব্যয় প্রাক্কলন করেছিল মালয়েশিয়া। শুধু তাই নয়, যেখানে বিশ্বব্যাংকের সুদ দশমিক ৭৫ ভাগ, সেখানে মালয়েশিয়াকে সুদ দিতে হবে ৬ শতাংশ। বিশ্বব্যাংককে সরল সুদে টাকা পরিশোধ করতে হবে, আর মালয়েশিয়াকে চক্রবৃদ্ধি হারে এই সুদ পরিশোধ করতে হবে। এখানে আরো যে প্রশ্নটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তা হচ্ছে সেতু নির্মাণের মান ও স্থায়িত্ব নিয়ে বিশ্বব্যাংক তার প্রতিটি প্রকল্পে (পদ্মা সেতুসহ) মান রক্ষা করে ও বিদেশি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে এই মান রক্ষা করা হয়। ফলে সেতুর দীর্ঘস্থায়ীত্বের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। কিন্তু মালয়েশিয়ার ক্ষেত্রে সেতুর মানের ক্ষেত্রে কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে না। বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন করলেও সেতুটির মালিকানা থাকবে বাংলাদেশের কাছে। কিন্তু মালয়েশিয়ার প্রস্তাবে মালিকানা থাকবে মালয়েশিয়ার হাতে। যেখানে তুলনামূলক বিচারে বিশ্বব্যাংক ২০ হাজার কোটি টাকা ফেরত নেবে, সেখানে মালয়েশিয়া ফেরত নেবে ৭০ হাজার কোটি টাকা। কোনো বিবেচনাতেই মালয়েশিয়ার প্রস্তাব বাংলাদেশের জন্য লাভজনক নয়। এমনকি এ থেকে দক্ষিণ বাংলার মানুষ যে আদৌ উপকৃত হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাবে। কেননা সেতু ব্যবহারকারীরা, অর্থাৎ যারা গাড়ি ব্যবহার করে সেতু পারাপার হবেন (যাত্রী ও ব্যবসায়ী), তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে টোল দেবেন। বিশ্বব্যাংকের প্রস্তাবে যে টোল আদায় হবে, তা জমা হবে সরকারের কোষাগারে। অন্যদিকে মালয়েশিয়া টোল আদায় করে নিজ দেশে নিয়ে যাবে। বিনিয়োগকৃত অর্থ দ্রুত তুলে নেয়ার জন্য তারা অতিরিক্ত টোলও আদায় করবে। এতে করে যাত্রীরা ও ব্যবসায়ীরা টোল ব্যবহারে নিরুৎসাহিত হবেন। দক্ষিণ বাংলা থেকে যে সব পণ্য ঢাকায় আসবে, তার দামও বেড়ে যাবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সেতু ও হাইওয়ে নির্মাণে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাদের অভিজ্ঞতা যথেষ্ট, বিশেষ করে কারিগরি সেবা, পরামর্শক সেবা ও মনিটরিং সেবা বিশ্বমানের। এসব প্রকল্পে কোনো অনিয়মের সম্ভাবনা কম। থাকেই না। নিয়মিত তারা মনিটর করে ও সদর দপ্তরে তা মূল্যায়ন করে। কিন্তু বিশ্বের কোথাও মালয়েশিয়া এ ধরনের বড় সেতু করেছে, তার নজির নেই। সুতরাং মালয়েশিয়ার প্রস্তাব কোনো বিবেচনাতেই গ্রহণযোগ্য নয়। সরকার জেদের বশবর্তী হয়ে যদি শেষ পর্যন্ত মালয়েশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করে, তাহলে তাতে করে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষিত হবে না। জনসাধারণের ওপর এই ঋণের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হবে মাত্র। এতে করে দক্ষিণ বাংলার জনগণের উপকারের চাইতে অপকার হবে বেশি। বাংলাদেশ নিজেও করবে- এমন একটি হাস্যস্পদ সংবাদের জন্ম দিয়েছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কথার সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রীরাও জোরেশোরে বলতে শুরু করলেন, স্ব-অর্থায়নে পদ্মা সেতু হবে। এমনকি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এ নিয়ে চাঁদাবাজি শুরু হয়ে গেল। একজন ছাত্র মারাও গেল চাঁদার টাকার ভাগাভাগি নিয়ে। চাঁদার বাক্স নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ছাত্রলীগের ছেলেদের চাঁদাবাজির ছবিও ছাপা হয়েছিল পত্র-পত্রিকায়। আমাদের রাজনীতিবিদরা জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য অনেক কথা বলেন। পদ্মা সেতু নিয়ে এখনো অর্থমন্ত্রী কথা বলে যাচ্ছেন। সর্বশেষ যে কথাটি অর্থমন্ত্রী বললেন, তা হচ্ছে খুব শিগগিরই পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হবে। আমাদের কত বোকা ভাবেন অর্থমন্ত্রী! তবে বলতেই হবে একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ করা, পুনরায় বাংলাদেশের অনুরোধে ফিরে আসা ইত্যাদি বিশ্বব্যাংকের ইতিহাসে একটি ব্যতিক্রমধর্মী ঘটনা। কিন্তু দুদক সাবেক মন্ত্রী আবুল হোসেনকে বাদ দিয়ে যখন মামলা করল, তখন এটা স্পষ্ট হয়ে গেল বিশ্বব্যাংকের 'দাবি' আমরা পূরণ করতে পারিনি। একজন আবুল হোসেনের কাছে পদ্মা সেতু 'হেরে' গেল। আবুল হোসেন ক্ষমতাসীনদের কাছে 'বড়' হলেন, 'বড়' হলো না পদ্মা সেতুর বিষয়টি। দুঃখ লাগে সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার জন্য। তিনি পরিস্থিতির শিকার হলেন। অথচ একজন আমলা কাজ করেন মন্ত্রীর নির্দেশে। সেই নির্দেশে তিনি কাজও করেছিলেন। এখন তিনি ফেঁসে গেলেন। কিন্তু বেঁচে গেলেন সাবেক মন্ত্রী আবুল হোসেন। এই ঘটনা বহির্বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তি আরো নষ্ট করবে। আমরা দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে আবারো প্রমাণিত হলাম।Daily JAI JAI DIN29.12.12

0 comments:

Post a Comment