ভারত
মহাসাগরভুক্ত দেশগুলোকে নিয়ে গঠিত 'ইন্ডিয়ান ওসেন রিম' বা আইওআরের একটি
শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ভারতের ওড়িষা রাজ্যের রাজধানী ভুবনেশ্বরে
২০-২২ মার্চ। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। ভারত
মহাসাগরভুক্ত বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, মালয়েশিয়া,
থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া আইওআরের সদস্য। এই সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত
হয়ে গেল এমন একটি সময়ে যখন ভারতের নয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের
পররাষ্ট্রনীতিকে নতুন করে সাজাচ্ছেন। তার পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য
হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা এবং সেই সঙ্গে
এশিয়ায় ভারতকে অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত করা। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ও
পাকিস্তান বাদে তিনি দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় প্রতিটি দেশ সফর করেছেন। তার
পররাষ্ট্র সচিবও 'সার্ক যাত্রার' অংশ হিসেবে সার্কভুক্ত প্রতিটি দেশ সফর
করেছেন। ভুবনেশ্বর শীর্ষ সম্মেলনের আগে নরেন্দ্র মোদি মরিশাস, সিসিলি ও
শ্রীলংকা সফর করেছেন। মরিশাস সফরের সময় মরিশাসের সঙ্গে সেখানে একটি ভারতীয়
ঘাঁটি স্থাপনের ব্যাপারে চুক্তি হয়েছে। এর অর্থ পরিষ্কার ভারত ভারতীয়
মহাসাগরে তার আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এ ব্যাপারে মালদ্বীপ ও শ্রীলংকার
সঙ্গে একটি মৈত্রী জোট গড়ার উদ্যোগ নিয়েছিল ভারত। এবং ওই জোট মরিশাস ও
সিসিলিকে পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকার আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার
পশ্চিম উপকূল থেকে শ্রীলংকা, দক্ষিণ মধ্যাঞ্চলের সিসিলি, মরিশাস, এমনকি
ওমান-মোজাম্মিকও এই প্রক্রিয়ায় একীভূত হয়ে উঠেছে। অর্থনৈতিকভাবে এ অঞ্চলের
যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। ভারত তাই এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক শক্তিকে ব্যবহার করে
অন্যতম শক্তি হিসেবে বিশ্বরাজনীতিতে আবির্ভূত হতে চায়। এ ক্ষেত্রে তার
অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে চীন। চীন যে তার 'মেরিটাইম সিল্করুট'-এর কথা
বলছে, সেই 'সিল্ক রুট'-এর সঙ্গে ভারতের এই অর্থনৈতিক স্বার্থ সাংঘর্ষিক।
চীন ও ভারতের স্বার্থ এক ও অভিন্ন_ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজ নিজ কর্তৃত্ব
প্রতিষ্ঠা করা। ফলে চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক উন্নয়নের যে সম্ভাবনার
সৃষ্টি হয়েছিল, তা এখন রীতিমতো ওসেনের রুখে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, গেল
সেপ্টেম্বরে চীনা প্রেসিডেন্টের ভারত সফর এবং আহমেদাবাদ বিমানবন্দরে স্বয়ং
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কর্তৃক তাকে অভ্যর্থনা জানানো আন্তর্জাতিক
সম্পর্কের ছাত্রদের সেই পঞ্চাশের দশকের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের কথা মনে
করিয়ে দিলেও, অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে অতি সম্প্রতি দুই দেশের সঙ্গে আস্থার
সম্পর্কে কিছুটা ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী মোদি
অরুণাচল সফর করেন। সেখানে তিনি রেলপথ ও বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করেন। এর
প্রতিবাদ জানিয়েছে চীন। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী
মোদির অরুণাচল সফরের সমালোচনা করে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি
প্রকাশ করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া ওই বিবৃতিতে বলা হয়
চীনা সরকার কখনো 'অরুণাচল প্রদেশ'কে স্বীকৃতি দেয়নি। বেইজিংয়ের মতে চীনের
অন্তর্গত তিব্বতের মনিযুল, লোয়ুল ও নিম্নসায়ুল এলাকা নিয়ে 'তথাকথিত
অরুণাচল' প্রদেশ গড়েছে নয়াদিলি্ল। ওই এলাকাগুলো এখনো ভারতের বেআইন দখলদারির
কবলে রয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই অভিমত সঙ্গত কারণেই দুই
দেশের সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলবে। অনেকেই স্মরণ করতে পারেন কিছুদিন আগে
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুজিও কিসিদা ভারতে এসেছিলেন। সেখানে তিনি
অরুণাচল প্রদেশ যে ভারতের, সে ব্যাপারে বক্তব্য দিয়েছিলেন। কিরিনদার ওই
বক্তব্যে চীন ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল। চীন মনে করে ভারত জাপানকে
চীনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। আগামী মে মাসে প্রধানমন্ত্রী মোদি চীন সফরে
যাবেন। সাম্প্রতিক সময়গুলোয় দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রভাব ও কর্তৃত্ব বাড়ছে।
মোদি তার পররাষ্ট্রনীতিতে দক্ষিণ এশিয়ার অগ্রাধিকার তালিকায় রেখেছেন।
দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি প্রথম সফরে ভুটান গিয়েছিলেন। ওই সময় সেখানে
চীনবিরোধী বক্তব্যও তিনি দিয়েছিলেন। চীন এখন পর্যন্ত ভুটানে তার দূতাবাস
খোলার অনুমতি পায়নি শুধু ভারতের আপত্তির কারণে। নয়া পররাষ্ট্রসচিব জয়শংকর
তার দক্ষিণ এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে ভুটান হয়ে ২ মার্চ ঢাকা সফর করেন। এরপর
যান পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে। ইতোমধ্য ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক এ অঞ্চলে
নতুন এক মেরুকরণের জন্ম দিয়েছে। ওবামার ভারত (২৫ জানুয়ারি ২০১৫) সফর এই
নয়া মেরুকরণের জন্ম দিয়েছে। ভারতের 'নয়া পররাষ্ট্রনীতিতে' এই মেরুকরণ
কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলবে।
এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল তথা ভারত মহাসাগর আগামী দিনে প্রত্যক্ষ করবে এক
ধরনের প্রভাব বিস্তার করার প্রতিযোগিতা। এই দুটো অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ে
বেশকিছু সামরিক তৎপরতা লক্ষণীয়। দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও
অস্ট্রেলিয়ার সমন্বয়ে একটি সামরিক ঐক্য গঠিত হয়েছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে চীনের
ওপর 'চাপ' প্রয়োগ করা। অন্যদিকে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীন তার নৌবাহিনীর
তৎপরতা বাড়িয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগর থেকে মালাক্কা প্রণালি হয়ে ভারত মহাসাগর
অতিক্রম করে অ্যারাবিয়ান গালফ পর্যন্ত যে সমুদ্র পক্ষ তার নিয়ন্ত্রণ নিতে
চায় চীন। কারণ এ পথ তার জ্বালানি সরবরাহের পথ। চীনের জ্বালানি চাহিদা
প্রচুর। এদিকে ভারতও ভারত মহাসাগরে তার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
ভারতের নৌবাহিনীর 'নিউ ইস্টার্ন ফ্লাইট'-এ যুক্ত হয়েছে বিমানবাহী জাহাজ।
রয়েছে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন। আন্দামান ও নিকোমরে রয়েছে তাদের
ঘাঁটি। ফলে এক ধরনের প্রতিযোগিতা চীন ও ভারতের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে।
এশিয়া-প্যাসিফিক ও দক্ষিণ এশিয়ার কর্তৃত্ব নিয়ে চীন ও ভারতের অবস্থান এখন
অনেকটা পরস্পর বিরোধী। যেখানে চীনা নেতৃত্ব একটি নয়া 'মেরিটাইম সিল্ক
রুট'-এর কথা বলছে, সেখানে মোদি সরকার বলছে 'ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক
করিডোর'। স্বার্থ মূল এক ও অভিন্ন এ অঞ্চলে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা। আর
কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েই এশিয়ার এই দুটো বড় দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব
অনিবার্য। এটাকেই কাজে লাগাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
এক সময় মার্কিনী গবেষকরা একটি সম্ভাব্য চীন-ভারত অ্যালায়েন্সের কথা
বলেছিলেন। জনালন হোলসলাগ ফরেন পলিসি ম্যাগাজিনে লিখিত একটি প্রবন্ধে
ঈযরহফরধ (অর্থাৎ চীন-ভারত)-এর ধারণা দিয়েছিলেন। নয়া চীনা প্রেসিডেন্টের
ভারত সফরের (২০১৪) পর ধারণা করা হচ্ছিল যে দেশ দুটো আরো কাছাকাছি আসবে।
কিন্তু শ্রীলংকার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতের ভূমিকা, ওবামার ভারত সফর এবং
চীনা প্রেসিডেন্টের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে এই সম্ভাবনা এখন ক্ষীণ।
নতুন আঙ্গিকে 'ইন্ডিয়া ডকট্রিন'-এর ধারণা আবার ফিরে এসেছে। এই 'ইন্ডিয়া
ডকট্রিন' মানরো ডকট্রিনের দক্ষিণ এশীয় সংস্কার। অর্থাৎ দক্ষিণ এশিয়ায় অন্য
কারো কর্তৃত্ব ভারত স্বীকার করে নেবে না। এক সময় এই এলাকা অর্থাৎ ভারত
মহাসাগরীয় এলাকা ঘিরে 'প্রিমাকভ ডকট্রিন' (২০০৭ সালে রচিত। শ্রীলংকা, চীন,
ইরান ও রাশিয়ার মধ্যকার ঐক্য)-এর যে ধারণা ছিল শ্রীলংকায় সিরিসেনা বিজয়ের
সঙ্গে সঙ্গে এই ধারণা এখন আর কাজ করবে না। ফলে বাংলাদেশ তার পূর্বমুখী
ধারণাকে আরো শক্তিশালী করতে বিসিআইএস (বাংলাদেশ চীনের ইউনান রাজ্য, ভারতের
সাতবোন, মিয়ানমার) যে আগ্রহ দেখিয়েছিল, তাতে তখন শ্লথগতি আসতে পারে। সাময়িক
এ অর্থনৈতিক নিরাপত্তার প্রশ্নে ভারত এখন আর বিসিআইএম ধারণাকে 'প্রমোট'
করবে না। আর বাংলাদেশের একার পক্ষে চীন ও মিয়ানমারকে সঙ্গে নিয়ে 'বিসিএম'
ধারণাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াও সম্ভব হবে না।
তবে এটা স্বীকার করতেই হবে ওবামার ভারত সফরের মধ্যদিয়ে ভারত নানাভাবে
লাভবান হয়েছে। 'পাক্কা গুজরাতি' নরেন্দ্র মোদি জাতিগতভাবেই ব্যবসা বোঝেন।
ভারতের জনগোষ্ঠীর প্রায় ৩০ ভাগ মানুষ অতি দরিদ্র, অর্ধেক জনগোষ্ঠীর যেখানে
স্বাস্থ্যসম্মত কোনো পায়খানা নেই আর সেখানকার ৩১ ভাগ জনগোষ্ঠীর দৈনিক আয় ১
দশমিক ২৫ সেন্টের নিচে (যা চীনা জাতিসংঘ কর্তৃক নির্ধারিত প্রতি দরিদ্রের
মানদ-) ভাবতে প্রতি ৩ জনের মধ্যে একজন দরিদ্র।
১২১ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারত। প্রতিদিন ভারতে মারা যায় ৫ হাজার শিশু। আর
কন্যা শিশুর ভ্রূণ হত্যা করার কাহিনী তো অনেক পুরনো। এক সংবাদে বলা হয়েছিল
ভারতে ১ লাখ ৮৩ হাজার কৃষক ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে গত ১০ বছরে আত্মহত্যা
করেছেন। মোদি এখানে পরিবর্তনটি আনতে চাচ্ছেন। তার পররাষ্ট্রনীতির মূল কথা
হচ্ছে বিনিয়োগ বাড়ানো। আর বিনিয়োগ বাড়াতেই তিনি জাপান ও মার্কিন
বিনিয়োগকারীদের দিকে হাত বাড়িয়েছেন। স্বভাবতই ভারতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়লে
কর্মসংস্থান বাড়বে, দরিদ্র্য কমবে। মানুষের মধ্যে যে বৈষম্য তা যদি কমিয়ে
আনা যায় ভারত আরো সামনে এগিয়ে যাবে। মোদির স্বার্থ এখানেই।
তবে একটা ভয়ের কারণ আছে। আর তা হচ্ছে চিরবৈরী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের
মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা। ওবামার ভারত সফরের পর পরই ভারত
পারমাণবিক বোমা বহনযোগ্য মিসাইল অগি্ন-৫ উৎক্ষেপণ করেছিল। এই অগি্ন-৫-এর
ব্যপ্তিসুদূর চীন পর্যন্ত। ভারত এখন আর পাকিস্তানকে বিবেচনায় নিচ্ছে না।
ভারতের টার্গেট হচ্ছে চীন। অর্থাৎ চীনের কর্তৃত্ব কমানো। অগি্ন-৫ নিক্ষেপের
পরদিনই পাকিস্তান তার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র 'রাদ' না 'ব্রজ'-এর পরীক্ষা
চালিয়েছিল। এর আগে পাকিস্তান হাতল নামে পারমাণবিক বোমা বোহনযোগ্য
ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল। ফলে দেশ দুটি আবারো এক ধরনের পারমাণবিক
অস্ত্র পরীক্ষায় নিয়োজিত হলো। মোদির পররাষ্ট্রনীতিতে পাকিস্তানের গুরুত্ব
কম। যদিও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে পাক-প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের উপস্থিতি
দেখে মনে হয়েছিল দুই দেশের সম্পর্ক বাড়বে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে মোদির
পররাষ্ট্রনীতিতে পাকিস্তানকে বাদ দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ গুরুত্ব
পাচ্ছে বেশি। ইতোমধ্যে তিনি ভুটান, নেপাল সফর করছেন। এই মার্চেই তিনি গেছেন
শ্রীলংকায়। তিনি জাফনাতেও গেছেন। আগামীতে বাংলাদেশেও আসতে পারেন। চীনকে
গুরুত্ব দেয়ার পেছনে কাজ করছে তার ব্যবসায়িক নীতি। তিনি চান বিনিয়োগ। তবে
চূড়ান্ত বিচারে চীনের সঙ্গে তার সম্পর্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তা এই মুহূর্তে
বোঝা যাচ্ছে না। তবে এ অঞ্চলে চীনের প্রভাব কমানোই হবে মোদি সরকারের এক
নম্বর অগ্রাধিকার।
ভুবনেশ্বর সম্মেলনটি তাই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে ভারত মহাসাগরের বিশাল
অর্থনৈতিক সম্পদ, সম্পদ আহরণ ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এটাকে বলা হচ্ছে
'নীল অর্থনীতি'। অর্থাৎ সাগরের নীল জলরাশির সঙ্গে মিল রেখে এই উদ্যোগকে বলা
হচ্ছে নীল উদ্যোগ।' নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ এই উদ্যোগ থেকে উপকৃত হতে পারে।
কেননা আমাদের সমুদ্রসীমা নিয়ে যে বিরোধ ছিল (ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে), তার
একটা সমাধান হয়েছে। এখন প্রয়োজন সমুদ্র সম্পদ আহরণের উদ্যোগ, বড় বিনিয়োগ। এ
ক্ষেত্রে আইওআর জোট আমাদের সাহায্য করতে পারে কিংবা জোট থেকে আমরা উপকৃত
হতে পারি। কিন্তু জোটটি যদি চীনের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়, তাহলে আমরা উপকৃত
হবো না। বরং চীনের সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক, তাতে প্রভাব ফেলবে। আমাদের
জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নই আমাদের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করা উচিত। চীনের
বিরুদ্ধে কোনো জোটে শরিক হওয়া আমাদের উচিত নয়।
Daily Jai Jai Din
31.03.15
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment