রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

প্রাচীন কটন রুট : ভারত মহাসাগরে আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতা

ভারত মহাসাগরে ভারত ও চীনের মধ্যকার দ্বন্দ্ব আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ছাত্রদের কাছে এখন আলোচনার অন্যতম একটি বিষয়। বিশেষ করে গেল মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারত মহাসাগরভুক্ত তিনটি দেশ- মরিশাস, সিসিলি ও শ্রীলংকা সফর এবং এর ঠিক পরপরই ভারতের ভুবনেশ্বরে ভারত মহাসাগরভুক্ত দেশগুলোর সংস্থা ইন্ডিয়ান ওশেন রিমের শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন প্রমাণ করে দেশটি ভারত মহাসাগরে তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ইতিমধ্যে ভারত মহাসাগরভুক্ত অঞ্চলগুলোয় চীনের একরকম কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। চীন যে 'String of Pearls' বা ‘মুক্তার মালা’ নীতি গ্রহণ করেছে, তার মাধ্যমে এ অঞ্চলের সামুদ্রিক বন্দরগুলোকে একত্রিত করতে চায়। এতে করে আরব সাগর থেকে শুরু করে ভারত মহাসাগরে চীনা নৌবাহিনীর কর্তৃত্ব বেড়েছে। চীনের এ মুক্তার মালা নীতির কারণে দক্ষিণ চীন সাগর থেকে মালাক্কা প্রণালী, ইন্দোনেশিয়ার বালি হয়ে ভারত মহাসাগর অতিক্রম করে অ্যারাবিয়ান গালফ পর্যন্ত যে সমুদ্রপথ, তা থাকছে চীনের নিয়ন্ত্রণে। কারণ এটি তার জ্বালানি সরবরাহের পথ। গাওদারে (বেলুচিস্তান, পাকিস্তান) চীনা নৌবাহিনীর একটি ছোট্ট ইউনিটও রয়েছে, যেখান থেকে চীন ভারত মহাসাগরের সব ধরনের নৌ-মুভমেন্ট লক্ষ্য করবে। গাওদারের ঠিক উল্টো দিকে ভারত মহাসাগরের এক পাশে রয়েছে শ্রীলংকার হামবানতোতা গভীর সামুদ্রিক বন্দর। এ সামুদ্রিক বন্দরটি চীন নির্মাণ করে দিয়েছে। এখানে চীনা নৌবাহিনীর সাবমেরিনের উপস্থিতি ভারতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দাদের চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল। ভারতের স্ট্রাটেজিস্টরা এ ধরনের কর্মকাণ্ড তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করেছিল। এজন্য রাজাপাকসেকে ক্ষমতা পর্যন্ত হারাতে হয়েছে। রাজাপাকসে অতিমাত্রায় চীনানির্ভর ছিলেন। এ চীনা নির্ভরতা ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা খুব সহজভাবে নিতে পারেননি। শ্রীলংকায় সরকার পরিবর্তন হয়েছে। নয়া প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা দায়িত্ব নিয়েছেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি শ্রীলংকা ঘুরে এসেছেন অতি সম্প্রতি। স্পষ্টতই মোদি সরকার ভারত মহাসাগরভুক্ত অঞ্চলগুলো নিয়ে যে নীতি প্রণয়ন করেছে, তা চীনা স্বার্থকে আঘাত করবে। ভারতের নীতিনির্ধারকরা এখন প্রকাশ্যেই বলছেন, তারা এ অঞ্চলে চীনের উপস্থিতি সহ্য করবেন না। ভুবনেশ্বর সম্মেলনে এ বার্তাটিই তারা দিয়েছেন। ভারতের পররাষ্ট্রনীতির এটা একটা নতুন দিক। সিসিলি ও মরিশাসের সঙ্গে একাধিক প্রতিরক্ষা চুক্তি ও এ দুটি দেশে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করার সিদ্ধান্ত, শ্রীলংকায় ভারতীয় প্রভাব বাড়ানো এবং ভবিষ্যতে ‘জাফনা কার্ড’ ব্যবহার প্রমাণ করে ভারতীয় মহাসাগরভুক্ত অঞ্চলে ভারত তার প্রভাব-প্রতিপত্তি বাড়াতে চায়। ইতিহাসের ছাত্ররা জানেন, ভারত প্রাচীনকালে তার ‘কটন রুট’ ব্যবহার করে এ অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করেছিল। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে প্রাচীন যুগে হিন্দু ও বৌদ্ধ সভ্যতার বিকাশে ভারতীয় পণ্ডিতরা একটি বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। হাজার বছর আগে দক্ষিণের চোল বংশের রাজা রাজেন্দ্র চোলের আমলে নৌ-বাণিজ্যে ভারত শক্তিশালী ছিল। ওই সময় ভারত মহাসাগরকে চোল হ্রদ বলা হতো। ভারতীয় নৌ-বাণিজ্যের যে প্রাচীন রুট, তাতে দেখা যায় ভারত, পাকিস্তান, কুয়েত, মিসর, আফ্রিকার মাদাগাস্কার, অন্যদিকে শ্রীলংকা হয়ে সুমাত্রা, জাভা (মালাক্কা প্রণালী), হংকং, জাপান পর্যন্ত ভারতীয় বাণিজ্য রুট সম্প্রসারিত ছিল। মোদি সরকার এ কটন রুটকেই নতুন আঙ্গিকে সাজাতে চায়। প্রাচীনকালে ভারতীয় তুলা তথা সুতি এ সমুদ্রপথে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যেত। একদিকে চীনা নেতা শি জিন পিং তার ‘সিল্ক রুটের’ ধারণা নিয়ে ভারতীয় মহাসাগরভুক্ত অঞ্চলে চীনের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চান, অন্যদিকে তার প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারত তার পুরনো কটন রুটের ধারণা প্রমোট করছে। দ্বন্দ্বটা তৈরি হবে সেখানেই। বাণিজ্যনির্ভর এ দ্বন্দ্ব শেষ অবদি পরিণত হবে সামরিক দ্বন্দ্বে। চীন তার নৌবহরে বিমানবাহী জাহাজ আরও বাড়াচ্ছে। ভারতও ভারত মহাসাগরে তার নৌবাহিনী শক্তিশালী করছে। আন্দামানে নৌ-ঘাঁটি নির্মাণ করছে। বলা হয়, একুশ শতক হবে এশিয়ার। তিনটি বৃহৎ শক্তি- চীন, জাপান ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক একুশ শতকের বিশ্ব রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করবে। এ ক্ষেত্রে এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রেরও বড় ভূমিকা রয়েছে। জাপানের নিরাপত্তার গ্যারান্টার যুক্তরাষ্ট্র। দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটি রয়েছে। জাপানেও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। একই কথা প্রযোজ্য ফিলিপাইনের ক্ষেত্রেও। ফলে এ অঞ্চলে চীনের সঙ্গে যে বিবাদ (জাপান ও ফিলিপাইনের সঙ্গে) তাতে যুক্তরাষ্ট্র একটি পক্ষ নিয়েছে। চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং যে নয়া সিল্ক রুটের কথা বলছেন, তা অন্য চোখে দেখছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের ধারণা, এতে করে বিশাল এক এলাকাজুড়ে চীনা কর্তৃত্ব, প্রভাব ও প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। ইতিহাসের ছাত্ররা অনেকেই জানেন, ২ হাজার ১০০ বছর আগে চীনের হ্যান রাজবংশ এ ‘সিল্ক রোড’টি প্রতিষ্ঠা করেছিল। এ রুটের মাধ্যমে চীনের পণ্য (সিল্ক) সুদূর পারস্য অঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছে যেত। এর মধ্য দিয়ে আজকের যে মধ্যপ্রাচ্য সেখানেও চীনের প্রভাব বেড়েছিল। চীনের নয়া প্রেসিডেন্ট এর নামকরণ করেছেন ‘নিউ সিল্ক রোড ইকোনমিক বেল্ট’। এটা চীনের পশ্চিমাঞ্চল থেকে শুরু করে মধ্য এশিয়া পর্যন্ত সম্প্রসারিত। একইসঙ্গে একটি মেরিটাইম সিল্ক রুটের কথাও আমরা জানি, যা কিনা চীনের সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর একটা যোগসূত্র ঘটিয়েছিল। ইতিহাস থেকে জানা যায়, এ মেরিটাইম সিল্ক রুটের ধারণাও কয়েকশ’ বছর আগের। এ মেরিটাইম সিল্ক রুট ধরে চীনা এডমিরাল ঝেং হে (মা হে) ১৪০৫ থেকে ১৪৩৩ সাল- এই ২৮ বছর প্রশান্ত মহাসাগর থেকে ভারত মহাসাগরে চীনা পণ্য নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন। ১৪২১-১৪৩১ সালে তিনি দু’বার তৎকালীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁওয়ে এসেছিলেন। চীন এ নৌরুটটি নতুন করে আবার ব্যবহার করতে চায়। তবে কয়েকশ’ বছরের ব্যবধানে এ অঞ্চল অনেক বদলে গেছে। চীন আর একক শক্তি নয়। ভারত তার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী। আর যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে সঙ্গে নিয়েই তার নিজের স্বার্থ আদায় করতে চায়। ফলে এটা স্পষ্ট নয় ভারত-চীন সম্পর্ক আগামীতে কোন পর্যায়ে উন্নীত হবে। ভারত মহাসাগরে চীন ও ভারতের যথেষ্ট স্বার্থ রয়েছে। মৎস্য সম্পদ থেকে শুরু করে জ্বালানি সম্পদ ও জ্বালানি সম্পদ সরবরাহের অন্যতম রুট হচ্ছে এ ভারত মহাসাগর। পরিবর্তিত বিশ্ব রাজনীতির কারণে এ সামুদ্রিক রুটের গুরুত্ব বাড়ছে। এ রুটের গুরুত্ব অনুধাবন করেই চীন এ অঞ্চলে তার নৌবাহিনীর উপস্থিতি বাড়িয়েছে। ফলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভারতের স্বার্থও বিঘ্নিত হচ্ছে। ভারত তাই এ অঞ্চলভুক্ত দেশগুলোতে তার নৌবাহিনীর উপস্থিতি ও কর্তৃত্ব বাড়াচ্ছে। ফলে এক ধরনের ‘স্নায়ুবিক যুদ্ধ’ শুরু হয়েছে এশিয়ার প্রভাবশালী এ দেশ দুটির মধ্যে। আগামী মে মাসে নরেন্দ্র মোদি বেইজিং যাবেন। ভারত মহাসাগরভুক্ত অঞ্চলে ভারতীয় তৎপরতা দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় হয়তো স্থান পাবে না। কিন্তু চীনা নেতারা বিষয়টি জানেন ও বোঝেন। মোদি নিজে চীনের ব্যাপারে যতই আগ্রহী থাকুন না কেন, ভারতে একটি শক্তিশালী আমলাতন্ত্র আছে এবং ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা পৃথিবীর শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর একটি। তারা ভারতের স্বার্থকে সব সময় বড় করে দেখতে চায়। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় ইতিমধ্যে ভারতের এক ধরনের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভারতের স্ট্রাটেজিস্টদের চোখ এখন ভারত মহাসাগরের দিকে। ভারত মহাসাগরে শুধু যে বিশাল সম্পদই রয়েছে, তা নয়। বরং বিশ্বের কার্গো শিপমেন্টের অর্ধেক পরিবাহিত হয় এ ভারত মহাসাগর দিয়েই। একইসঙ্গে ৩ ভাগের ১ ভাগ কার্গো, ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ৩ ভাগের ২ ভাগ এবং ৪ ভাগের ৩ ভাগ ট্রাফিক পৃথিবীর অন্যত্র যেতে ব্যবহার করে ভারত মহাসাগরের সমুদ্রপথ। পৃথিবীর আমদানিকৃত পণ্যের (তেলসহ) শতকরা ৯০ ভাগ পরিচালিত হয় এ সামুদ্রিক রুট ব্যবহার করে। এ সমুদ্রপথের নিরাপত্তার প্রশ্নটি তাই গুরুত্ব পাচ্ছে বেশি করে। ভারত মহাসাগরকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য ভারত-চীন দ্বন্দ্বে আক্রান্ত হবে এ অঞ্চলের দেশগুলো। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির জন্য এই চীন-ভারত দ্বন্দ্ব নতুন একটি ‘জটিলতার’ জন্ম দিয়েছে। কেননা বাংলাদেশের বর্তমান সরকার চীন ও ভারতের সঙ্গে ‘ভারসাম্যমূলক’ কূটনীতি অবলম্বন করেছে। যদিও অনেকেই বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের কূটনীতি বেশিমাত্রায় ভারতনির্ভর, তবে প্রধানমন্ত্রী ২০১০ সালের মার্চে চীন সফরে গিয়েছিলেন। ওই সফরে তিনি কুনমিংও গিয়েছিলেন এবং কুনমিং-কক্সবাজার সড়ক নির্মাণের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। এখন এ সড়ক নির্মাণের প্রশ্নটি এবং বিসিআইএম (বাংলাদেশ, চীন, ভারত, মিয়ানমার) জোটের জন্ম ও বিকাশ প্রশ্নের মুখে থাকল। কারণ চীন-ভারত দ্বন্দ্বে এই আঞ্চলিক জোটের বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চীনের কুনমিং উদ্যোগের পরিবর্তিত নাম বিসিআইএম জোট। এখানে চীনের স্বার্থ বেশি। এ জোট গঠিত হলে চীনা পণ্য সড়কপথে বঙ্গোপসাগরের মধ্য দিয়ে বিদেশে রফতানি সম্ভব হবে। অনেকের স্মরণে থাকতে পারে, সোনাদিয়ার অদূরে যে গভীর সমুদ্রবন্দরটি নির্মাণ করার কথা ছিল, তাতে চীন যথেষ্ট আগ্রহ দেখিয়েছিল। ৬০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চীনের এটি নির্মাণ করে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ পরিকল্পনা এখন পরিত্যক্ত। গভীর সমুদ্রবন্দরটি এখন নির্মিত হবে পায়রাবন্দরে। একনেকে এ ধরনের একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মূল কারণ ভারতের আপত্তি। এর সঙ্গে ভারত তার নিরাপত্তার প্রশ্নটি তুলেছে। এমনকি ভারতের নীতিনির্ধারকরা এটাও মনে করেন, এ গভীর সমুদ্রবন্দরটি নির্মিত হলে চীনা পণ্যে এ অঞ্চল ছেয়ে যাবে। এতে ভারতীয় পণ্য মার খাবে। ফলে বিসিআইএম আঞ্চলিক জোট নিয়ে প্রশ্ন থাকলই। উল্লেখ্য, ভুটানে চীনা দূতাবাস খোলার ব্যাপারেও ভারতের আপত্তি রয়েছে। ফলে এ অঞ্চলের নিরাপত্তা, পণ্যের অবাধ চলাচল, সম্পদের আহরণ ইত্যাদির ব্যাপারে আগামী দিনগুলোতে চীন ও ভারতের মধ্যকার দ্বন্দ্ব আরও স্পষ্ট হবে। এ অঞ্চলের দেশগুলো এই দ্বন্দ্বে জড়িয়ে যেতে পারে। আঞ্চলিক সহযোগিতাকে কেন্দ্র করেই বর্তমান বিশ্ব বিকশিত হচ্ছে। এখানে সামরিক দ্বন্দ্বের চেয়ে বাণিজ্যিক নির্ভরতার বিষয়টি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। চীন ও ভারত বড় অর্থনীতির দেশ। ভারতে দারিদ্র্য থাকলেও দেশটি আঞ্চলিক শক্তি তো বটেই, বড় অর্থনৈতিক শক্তিতেও পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারত। আর চীন দূর প্রতিবেশী। চীনের সঙ্গে আমাদের সীমান্তের দূরত্ব খুব বেশি নয়। দুটি দেশের উন্নয়ন থেকেই আমরা উপকৃত হতে পারি। অর্থনৈতিক ও সামরিক আধিপত্য কাটিয়ে উঠে চীন ও ভারত যদি নিজেদের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তোলে, তাহলে এ অঞ্চলের দেশগুলো উপকৃত হবে। সেই পঞ্চাশের দশকে হিন্দি-চীন ভাই ভাই সম্পর্ক, পঞ্চশীলার ধারণা (যা ন্যামের জন্ম দিয়েছিল) এ দুটি দেশের মাঝে একটা আস্থার সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। একুশ শতকে এসে বৈরিতা নয়, বরং আস্থার সম্পর্ক এ অঞ্চলে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে। এখন দেখার পালা আগামী দিনগুলোতে এ দেশ দুটি বৈরিতা কতটুকু কমিয়ে আনতে পারে। Daily Jugantor 04.04.15

1 comments: