রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

হিলারি ক্লিনটন ও যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট

শেষ পর্যন্ত সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে হিলারি ক্লিনটন ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর প্রার্থীপদ ঘোষণা করেছেন। তিনি হতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট। জর্জ ওয়াশিংটনের (প্রথম প্রেসিডেন্ট, ১৭৮৯-১৭৯৭) পর বারাক ওবামা পর্যন্ত ৪৪ জন প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউসে এসেছেন। কেউ এক টার্ম বা কেউ দুই টার্মের জন্য আট বছর থেকেছেন (ব্যতিক্রম ছিলেন ৩২তম প্রেসিডেন্ট ফ্রাংকলিন রুজভেল্ট। তিনি ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন)। বারাক ওবামার দুই টার্মের মেয়াদ শেষ হবে ২০১৬ সালের নভেম্বরে। ৮ নভেম্বর (২০১৬) সেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আর ওই নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন যদি 'বিজয়ী' হন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি শপথ নেবেন ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি। গেল সপ্তাহে দুই মিনিটের এক ভিডিওবার্তায় তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট দৌড়ে তিনি নামছেন। ভিডিওবার্তায় তিনি বলেছেন, 'এ দেশের প্রত্যেকটি মানুষের জন্য একজন চ্যাম্পিয়ন দরকার। আমি সেই চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। আশা করি এই চলার পথে আপনাদের সবাইকে পাশে পাব।' ১৯৪৭ সালে জন্ম নেওয়া ও ৬৭ বছর বয়সী হিলারি ক্লিনটনের হোয়াইট হাউস, প্রশাসন ও আইন প্রণেতা হিসেবে অভিজ্ঞতা অনেক দিনের। হোয়াইট হাউসে তিনি ছিলেন আট বছর, ১৯৯৩ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত একজন ফার্স্ট লেডি হিসেবে। এরপর নিউ ইয়র্ক থেকে একজন সিনেটর হিসেবে তিনি কংগ্রেসে আইন প্রণয়নে সহায়তা করেন ২০০১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত। এরপর ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সেক্রেটারি অব স্টেট হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এর আগে ২০০৮ সালে তিনি বারাক ওবামার সঙ্গে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী হতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু চূড়ান্ত বিচারে তিনি ওবামার কাছে হেরে যান। এরপর বারাক ওবামা মন্ত্রিপরিষদে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দিলেও হিলারি ক্লিনটন বারেবারেই আলোচনায় ছিলেন। মিডিয়া তাঁকে বারবার ফোকাস করেছে। শেষ পর্যন্ত সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটালেন তিনি। কিন্তু হোয়াইট হাউসে আসার পথটি কি মসৃণ? তিনি কি পারবেন ইতিহাস গড়তে? যুক্তরাষ্ট্রের সমাজ ২০০৮ সালে ওবামাকে নির্বাচিত করে ট্র্যাডিশনাল প্রথা ভেঙেছিল- একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হন। এই ধারাবাহিকতায় এখন যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্টকে পায় কি না, সেটাই দেখার বিষয়। তবে অনেক প্রশ্ন তো আছেই। এক, যুক্তরাষ্ট্রের সমাজ এখনো কনজারভেটিভ। তারা একজন নারীকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে না-ও চাইতে পারে। যদিও বিভিন্ন দেশে নারীরা সরকার ও রাষ্ট্র পরিচালনায় বেশ সাফল্যের পরিচয় দিয়েছেন। জার্মানি, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিলসহ চার ডজন দেশে নারীরা এখনো রাষ্ট্র তথা সরকার পরিচালনা করে আসছেন। ইউরোপের অনেক দেশে রাষ্ট্রপ্রধান এখন নারী। ফলে একদিকে হিলারি ক্লিনটনের সম্ভাবনা যেমনি আছে, তেমনি এটাও সত্য তিনি কনজারভেটিভদের বাধার সম্মুখীন হতে পারেন। দ্বিতীয়ত, জনগণের ভোটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন না। নির্বাচিত হন নির্বাচকমণ্ডলীর ভোটে। যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যের সংখ্যা ৫০টি, আর নির্বাচকমণ্ডলীর সংখ্যা ৫৩৮। সাধারণত সিনেট ও হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভের (প্রতিনিধি পরিষদ) সদস্যসংখ্যার ভিত্তিতে এই নির্বাচকমণ্ডলী গঠিত হয়। হিলারি ক্লিনটনের জন্য সমস্যা হচ্ছে, কনজারভেটিভ রিপাবলিকানরা এখন কংগ্রেসের উভয় কক্ষ (সিনেট ও হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ) নিয়ন্ত্রণ করে। অর্থাৎ নির্বাচকমণ্ডলীর মধ্যে রিপাবলিকানরা ভারী। ২০১৬ সালে এক-তৃতীয়াংশ সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদের নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। তাতে করে যদি পরিবর্তন আসে, তাহলে তা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। নতুবা কনজারভেটিভদের বলয় ভাঙা তাঁর জন্য কঠিন হবে। তৃতীয়ত, হিলারিকে বলা হয় দুর্বলচিত্তের একজন মানুষ। তাঁর স্বামী বিল ক্লিনটন যখন প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় মনিকা লিউনস্কির সঙ্গে অবৈধ যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে যান, তখন স্ত্রী হিসেবে তিনি যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারেননি। যদিও ওই ঘটনার পরও তিনি স্বামীকে 'ক্ষমা' করে দিয়েছিলেন ও বৈবাহিক জীবন টিকিয়ে রাখতে পেরেছিলেন। তবে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না, নির্বাচনী প্রচারণায় হিলারি ক্লিনটনকে এ ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে। এ জন্য হিলারি ক্লিনটন কতটুকু মানসিক শক্তির অধিকারী হন, সেটাই বড় প্রশ্ন এখন। চতুর্থত, ক্লিনটন দম্পতির বিরুদ্ধে বেশ কিছু আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। যখন এই দম্পতি হোয়াইট হাউস ছাড়ে, তখন তাদের আর্থিক ভিত্তি অতি শক্তিশালী ছিল না। কিন্তু পরবর্তী সময়ে নিউ ইয়র্কে ২৭ লাখ ডলারের একটি বাড়ি ও ওয়াশিংটনে ২৮ লাখ ৫০ হাজার ডলারের তাদের অন্য একটি বাড়ি ক্রয় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। ক্লিনটন ফাউন্ডেশন নিয়েও প্রশ্ন আছে। অভিযোগ আছে, অনেক বিদেশি রাষ্ট্র এই ফাউন্ডেশনকে আর্থিক সুবিধা দিয়ে তাদের 'সুবিধা' আদায় করে নিয়েছে। যদিও দুজনই বক্তৃতা, আর সেমিনার করে বেশ অর্থ আয় করেন। পঞ্চমত, হিলারির বিরুদ্ধে বড় একটি অভিযোগ হচ্ছে, তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকা অবস্থায় লিবিয়ার বেনগাজিতে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটে জঙ্গিবাদীদের হামলা ও ওই হামলায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নিহত হওয়ার ঘটনা ঠেকাতে পারেননি। এবং রাষ্ট্রদূতসহ অন্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেননি। ষষ্ঠত, ওয়াশিংটনের পিউ রিচার্স ইনস্টিটিউটের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বৈদেশিক নীতি ইস্যুতে মানুষ রিপাবলিকানদের বেশি বিশ্বাস করে। এটা হিলারি ক্লিনটনের জন্য একটা মাইনাস পয়েন্ট। সপ্তমত, অতীতে হিলারি ইরাক, বসনিয়া ও কসোভোয় 'যুদ্ধ' সমর্থন করেছিলেন। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরোধী একটা জনমত তাঁকে প্রত্যাখ্যান করতে পারে। তবে হিলারি ক্লিনটনের বেশ কিছু প্লাস পয়েন্টও রয়েছে। এক. তিনি পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা বিষয়ে যথেষ্ট অভিজ্ঞ। এ ক্ষেত্রে রিপাবলিকান প্রার্থী জেব বুশের (সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের ভাই ও সিনিয়র বুশের ছোট ছেলে) চেয়ে তিনি অনেক এগিয়ে আছেন। দুই. গেল বছরের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের যে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাতে রিপাবলিকানরা বিজয়ী হলেও ইতিমধ্যে রিপাবলিকান স্রোতে উল্টো বাতাস বইছে। বিশেষ করে তরুণ ও গরিব আমেরিকান ভোটারদের মধ্যে ডেমোক্রেটিক পার্টির জনপ্রিয়তা বাড়ছে। তিন. যুক্তরাষ্ট্রে একটি শক্তিশালী তরুণ প্রজন্ম রয়েছে, যাদের নেতৃত্বে নিউ ইয়র্কসহ অন্যান্য শহরে 'অকুপাই মুভমেন্ট' পরিচালিত হয়েছিল। এই 'শক্তি' ডেমোক্র্যাটদের আবার ২০১৬ সালে কংগ্রেসে ফিরিয়ে আনতে পারে, যা হিলারিকে বিজয়ী হতে সাহায্য করবে। চার. ওবামা তাঁর শেষ টার্মে এসে বেশ কিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন (স্বাস্থ্যসেবা, অভিবাসন, তরুণদের উচ্চশিক্ষায় সাহায্য ইত্যাদি), যা কি না তিনি কংগ্রেসের বিরোধিতার কারণে বাস্তবায়ন করতে পারছেন না। এই তরুণ প্রজন্মের সমর্থন পেতে পারেন হিলারি। পাঁচ. যুক্তরাষ্ট্রে যুদ্ধবিরোধী একটি জনমত রয়েছে, যা বেশ শক্তিশালী। প্রেসিডেন্ট ওবামার আমলেই যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে আইএসবিরোধী যুদ্ধে অংশ নিয়ে নতুন একটি 'ফ্রন্ট' ওপেন করেছে। কোটি কোটি ডলার খরচ হয় যুদ্ধে। হিলারি যদি এই 'যুদ্ধবিরোধী' জনমতের সঙ্গে অবস্থান করেন, তাহলে তাঁর সমর্থন ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। ছয়. রিপাবলিকান শিবিরে তেমন কোনো শক্ত প্রার্থী নেই। এটা হিলারির জন্য একটা প্লাস পয়েন্ট। ডেমোক্র্যাট শিবিরে হিলারি ক্লিনটনের অবস্থান অনেক শক্তিশালী। প্রেসিডেন্ট ওবামা তাঁকে একজন সম্ভাব্য 'ভালো প্রেসিডেন্ট' হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তুলনামূলক বিচারে জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন অনেক পিছিয়ে আছেন। কৌশলী হিলারি অনেক আগে তাঁর প্রার্থীপদ ঘোষণা করে প্রতিযোগিতায় নিজেকে এগিয়ে রাখলেন। তবে যেতে হবে অনেক দূর। পার্টি ফোরামে ও কনভেনশনে তাঁকে প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হবে নিজ দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে। সেই সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে তাঁকে প্রচুর অর্থ সংগ্রহ করতে হবে। বড় ব্যবসায়ী হাউসগুলো অর্থ জোগায়। হিলারিকে তাদের আস্থা অর্জন করতে হবে। এটা সত্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপর প্রেসিডেন্ট পদে দলের পরিবর্তন হয়েছে। অর্থাৎ একটি দল (যেমন- ডেমোক্রেটিক পার্টি) ক্ষমতায় দুই টার্ম থাকলেও পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রিপাবলিকানদের মধ্য থেকে। হ্যারি ট্রুম্যান (১৯৪৫-১৯৫৩) প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন ডেমোক্রেটিক পার্টির পক্ষ থেকে। কিন্তু পরবর্তী অর্থাৎ ৩৪তম প্রেসিডেন্ট হলেন রিপাবলিকান দল থেকে (আইসেনহাওয়ার, ১৯৫৩-১৯৬১)। ৩৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবার পরিবর্তন। কেনেডির মৃত্যুর পর জনসন (১৯৬১-১৯৬৯) ডেমোক্র্যাটদের ধারাবাহিকতা রক্ষা করেন। ১৯৬৯ সালে আবার পরিবর্তন। প্রেসিডেন্ট হলেন রিপাবলিকানরা (নিক্সন ও ফোর্ড, ১৯৬৯-১৯৭৭)। এই ধারাবাহিকতায় প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার (ডেমোক্র্যাট, ১৯৭৭-১৯৮১), রিগান (রিপাবলিকান, ১৯৮১-১৯৮৯), ও জর্জ বুশ (রিপাবলিকান, ১৯৮৯-১৯৯৩), বিল ক্লিনটন (ডেমোক্র্যাট, ১৯৯৩-২০০১), বুশ-২ (রিপাবলিকান, ২০০১-২০০৮), ওবামা (২০০৮-২০১৬)। এই ধারা হিলারি ক্লিনটন ভাঙতে পারবেন কি না, সেটাই বড় প্রশ্ন এখন। হিলারি ক্লিনটনের ব্যাপারে যে কথাটা বলা যায় তা হচ্ছে, তিনি মার্কিন বৈদেশিক নীতিতে একটি নতুন দিকদর্শন আনেন। বিশ্ব রাজনীতির অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু এখন এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল। ২০১০ সালে তিনি তাঁর বিখ্যাত Forward Deployed Diplomacy-র মাধ্যমে এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি নিশ্চিত করেন। তিনি বিখ্যাত Foreign Policy ম্যাগাজিনে লিখেছিলেন, The Asia Pacific has became a key driver of global politics and US Commit there is essential. তাঁর এই নীতির উদ্দেশ্য ছিল তিনটি। ১. এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকা, ২. যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা এবং ৩. এ অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধি। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ছাত্ররা জানে, একুশ শতক হবে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের। এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যকার সম্পর্ককে (চীন, জাপান, ভারত) কেন্দ্র করে বিশ্ব রাজনীতি বিকশিত হবে। জন কেরি হিলারির স্থলাভিষিক্ত (পররাষ্ট্রসচিব) হয়েও হিলারির এই নীতি অব্যাহত রেখেছেন। এটা একটা বাস্তববাদী নীতি। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে হিলারি ক্লিনটনের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী হতেই পারি। অনেকের স্মরণ থাকতে পারে, বাংলাদেশ সফরের সময় তিনি বাংলাদেশকে একটি Soft Power হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য এটা বড় পাওয়া। তিনি যোগ্য ব্যক্তি। একটি সম্মোহনী শক্তি তাঁর রয়েছে। একজন 'চ্যাম্পিয়নে'র কথা তিনি বলেছেন। দেখতে হবে ২০১৬ সালে কোন চ্যাম্পিয়ন হোয়াইট হাউসে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন। Daily KALERKONTHO 21.04.15

0 comments:

Post a Comment