বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ছাত্রদের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে একটি প্রশ্ন বারবার উচ্চারিত হচ্ছে, আর তা হচ্ছেÑ এশিয়ার দুই বৃহৎ শক্তি চীন ও ভারতের মধ্যকার দ্বন্দ্বে কি বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে? অর্থাৎ বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় চীনের অর্থায়নে কি শ্লথগতি আসবে? ভারত ও চীনের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে যে দ্বন্দ্ব, সেই দ্বন্দ্ব মূলত ভারত মহাসাগরে প্রভাব বলয় বিস্তারকে কেন্দ্র করে। চীন যখন তার মেরিটাইম সিল্ক রোডের নামে ভারত মহাসাগরভুক্ত অঞ্চলে তার প্রভাব বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে, ঠিক তখনই মোদি সরকার প্রাচীন ‘কটন রুট’কে নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছে। অনেকেই স্মরণ করতে পারেন গত মাসে মোদি মরিশাস, সিসিলি ও শ্রীলঙ্কা সফর করেছেন। তার মালদ্বীপ সফরেও যাওয়ার কথা ছিল। এর অর্থ পরিষ্কার ভারত মহাসাগরে ভারত তার প্রভাব ও সামরিক কর্তৃত্ব বাড়াচ্ছে। কেননা ভারত মহাসাগরে চীনা নৌবাহিনীর উপস্থিতি ও টহল বৃদ্ধি ভারতের নিরাপত্তাকে এক ধরনের হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে শ্রীলঙ্কায় বিগত রাজাপাকসে সরকারের সময় হামবানতোতা গভীর সামুদ্রিক বন্দরে চীনা সাবমেরিনের উপস্থিতি এবং মালদ্বীপের সীমানায় চীনা সাবমেরিনের অবাধ চলাচল ভারতের সামরিক গোয়েন্দাদের একটা চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল।
চীন ও ভারত সাম্প্রতিক সময়ে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করলেও ভারত মহাসাগরভুক্ত অঞ্চলে উভয় শক্তিই এক ধরনের ‘প্রভাব বিস্তার করার’ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বৃহৎ শক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে। প্রভাব বিস্তার করার এই যে প্রতিযোগিতা, এই প্রতিযোগিতায় এ অঞ্চলের দেশগুলো প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে যাবে। চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। আর ভারত ইতোমধ্যে অন্যতম একটি অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। ফলে ভারত তার ‘ক্ষমতা প্রয়োগ’ করতে শুরু করেছে। ফলে এ অঞ্চলে ভারতের ভূমিকা আগামীতে চীনা স্বার্থকে আঘাত করবে। ভারতের নীতি নির্ধারকরা এখন প্রকাশ্যেই বলছেন তারা এ অঞ্চলে চীনের উপস্থিতি ‘সহ্য’ করবেন না। ভুবনেশ্বর আইএআর সম্মেলনে (মার্চ ২০১৫) এই মেসেজটিই তারা দিয়েছেন। ভারতের পররাষ্ট্রনীতির এটা একটা নয়া দিক। সিসিলি ও মরিশাসের সঙ্গে একাধিক প্রতিরক্ষা চুক্তি ও এ দুটি দেশে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করার সিদ্ধান্ত, শ্রীলঙ্কায় ভারতীয় প্রভাব বাড়ানো এবং ভবিষ্যৎ এ ‘জাফনা কার্ড’ ব্যবহার করা প্রমাণ করে ভারত ভারতীয় মহাসাগরভুক্ত অঞ্চলে তার প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়াতে চায়। ইতিহাসের ছাত্ররা জানেন ভারত প্রাচীনকালে তার ‘কটন রুট’ ব্যবহার করে এ অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে তার সম্পর্ক বৃদ্ধি করেছিল। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে প্রাচীন যুগে হিন্দু ও বৌদ্ধ সভ্যতা বিকাশে ভারতীয় পণ্ডিতরা একটি বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। হাজার বছর আগে দক্ষিণের চোল বংশের রাজা রাজেন্দ্র চোলের আমলে নৌ-বাণিজ্যে ভারত শক্তিশালী ছিল। ওই সময় ভারত মহাসাগরকে চোল হ্রদ বলা হতো। ভারতীয় নৌ-বাণিজ্যের যে প্রাচীন রুট, তাতে দেখা যায় ভারত, পাকিস্তান, কুয়েত, মিসর, আফ্রিকার মাদাগাস্কার, আবার অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা হয়ে সুমাত্রা, জাভা (মালাক্কা প্রণালি), হংকং, জাপান পর্যন্ত ভারতীয় বাণিজ্য রুট সম্প্রসারিত ছিল। মোদি সরকার এই ‘কটন রুট’কেই নতুন আঙ্গিকে সাজাতে চায়। প্রাচীনকালে ভারতীয় তুলা তথা সুতা এই সমুদ্র পথে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেত। একদিকে চীনা নেতা শি জিন পিং তার ‘সিল্ক রুট’-এর ধারণা নিয়ে ভারতীয় মহাসাগরভুক্ত অঞ্চলে চীনের কর্তৃত্ব যেমন প্রতিষ্ঠা করতে চান, এর প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারত তার পুরনো ‘কটন রুট’-এর ধারণা প্রমোট করছে। দ্বন্দ্বটা তৈরি হবে সেখানেই। বাণিজ্যনির্ভর এই দ্বন্দ্ব, শেষ অবধি পরিণত হবে সামরিক দ্বন্দ্বে। চীন তার নৌবহরে বিমানবাহী জাহাজ আরো বাড়াচ্ছে। ভারতও ভারত মহাসাগরে তার নৌবাহিনী শক্তিশালী করছে। আন্দামানে নৌঘাঁটি নির্মাণ করছে।
বলা হয় একুশ শতক হবে এশিয়ার। তিনটি বৃহৎ শক্তি চীন, জাপান ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক একুশ শতকের বিশ্ব রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করবে। এ ক্ষেত্রে এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বড় ভূমিকা রয়েছে বৈকি। জাপানের নিরাপত্তার গ্যারান্টার যুক্তরাষ্ট্র। দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটি রয়েছে। জাপানেও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। একই কথা প্রযোজ্য ফিলিপাইনের ক্ষেত্রেও। ফলে এ অঞ্চলে চীনের সঙ্গে যে বিপদ (জাপান ও ফিলিপাইনের সঙ্গে) তাতে যুক্তরাষ্ট্র একটি পক্ষ নিয়েছে। সম্প্রতি চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জেন পিং যে নয়া সিল্ক রুটের কথা বলেছেন তা ‘অন্য চোখে’ দেখছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকদের ধারণা, এতে বিশাল এক এলাকাজুড়ে চীনা কর্তৃক, প্রভাব ও প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। ইতিহাসের ছাত্ররা অনেকেই জানেন, ২১০০ বছর আগে চীনের হ্যান রাজবংশ এই ‘সিল্ক রুট’টি প্রতিষ্ঠা করেছিল। এই ‘সিল্ক রুট’-এর মাধ্যমে চীনের পণ্য (সিল্ক) সুদূর পারস্য অঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছে যেত। এর মধ্য দিয়ে আজকের যে মধ্যপ্রাচ্য সেখানেও চীনের প্রভাব বেড়েছিল। চীনের নয়া প্রেসিডেন্ট এর নামকরণ করেছেন ‘নিউ সিল্ক রুট ইকোনমিক বেল্ট’। এটা চীনের পশ্চিমাঞ্চল থেকে শুরু করে মধ্য এশিয়া পর্যন্ত সম্প্রসারিত। একই সঙ্গে একটি ‘মেরিটাইম সিল্ক রুট’-এর কথাও আমরা জানি। যা কিনা চীনের সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর একটা যোগসূত্র ঘটিয়েছিল। ইতিহাস থেকে জানা যায়, এই মেরিটাইম সিল্ক রুটের ধারণাও কয়েকশ’ বছরের। এই মেরিটাইম সিল্ক রুট ধরে চীনা এডমিরাল ঝেং হে (মা হে) ১৪০৫ সাল থেকে ১৪৩৩ সাল এই ২৮ বছর প্রশান্ত মহাসাগর থেকে ভারত মহাসাগরে চীনা পণ্য নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন। ১৪২১-১৪৩১ সালে তিনি দুবার তৎকালীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁওয়ে এসেছিলেন। চীন এই নৌরুটটি নতুন করে আবার ব্যবহার করতে চায়। তবে কয়েকশ’ বছরের ব্যবধানে এই অঞ্চল অনেক বদলে গেছে। চীন আর একক শক্তি নয়। ভারত তার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী। আর যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে সঙ্গে নিয়েই তার নিজের স্বার্থ আদায় করতে চায়। ফলে এটা স্পষ্ট নয় ভারত-চীন সম্পর্ক আগামীতে কোন পর্যায়ে গিয়ে উন্নতি হবে। কেননা ভারত মহাসাগরে চীন ও ভারতের যথেষ্ট স্বার্থ রয়েছে। মৎস্য সম্পদ থেকে শুরু করে জ্বালানি সম্পদ ও জ্বালানি সম্পদ সরবরাহের অন্যতম রুট হচ্ছে এই ভারত মহাসাগর। পরিবর্তিত বিশ্ব রাজনীতির কারণে এই সামুদ্রিক রুটের গুরুত্ব বাড়ছে। এই সামদ্রিক রুটের গুরুত্ব অনুধাবন করতেই চীন এ অঞ্চলে তার নৌবাহিনীর উপস্থিতি বাড়িয়েছে। এর ফলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভারতের স্বার্থও বিঘিœত হচ্ছে। ভারত তাই এ অঞ্চলভুক্ত দেশগুলোতে তার নৌবাহিনীর উপস্থিতি ও কর্তৃত্ব বাড়াচ্ছে। ফলে এক ধরনের ‘স্নায়ুবিক যুদ্ধ’ শুরু হয়েছে এশিয়ায় প্রভাবশালী এই দেশ দুটির মধ্যে। আগামী মে মাসে নরেন্দ্র মোদি বেইজিং যাবেন। ভারতীয় মহাসাগরভুক্ত অঞ্চলে ভারতীয় তৎপরতা দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় হয়তো স্থান পাবে না। কিন্তু চীনা নেতারা বিষয়টি জানেন ও বোঝেনও। মোদি নিজে চীনের ব্যাপারে যতই আগ্রহী থাকুন না কেন, ভারতে একটি শক্তিশালী আমলাতন্ত্রও আছে এবং ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা পৃথিবীর শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর একটি। এরা ভারতের স্বার্থকে সব সময় ‘বড়’ করে দেখতে চায়। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় ইতোমধ্যে ভারতের এক ধরনের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভারতের স্ট্র্যাটেজিস্টদের চোখ এখন ভারত মহাসাগরের দিকে। ভারত মহাসাগরে শুধু যে বিশাল সম্পদই রয়েছে, তা নয়। বরং বিশ্বের ‘কার্গো শিপমেন্ট’-এর অর্ধেক পরিবাহিত হয় এই ভারত মহাসাগর দিয়ে। সেই সঙ্গে ৩ ভাগের ১ ভাগ কার্গো ব্যবহƒত জ্বালানি তেলের ৩ ভাগের ২ ভাগ এবং ৪ ভাগের ৩ ভাগ ট্রাফিক পৃথিবীর অন্যত্র যেতে ব্যবহার করে ভারত মহাসাগরের সমুদ্রপথ। পৃথিবীর আমদানিকৃত পণ্যের (তেলসহ) শতকরা ৯০ ভাগের পরিচালিত হয় এই সামুদ্রিক রুট ব্যবহার করে। সুতরাং এই সমুদ্র পথের নিরাপত্তার প্রশ্নটি তাই গুরুত্ব পাচ্ছে বেশি করে।
ভারত মহাসাগরকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য ভারত-চীন দ্বন্দ্বে আক্রান্ত হবে এ অঞ্চলের দেশগুলো। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির জন্য এই চীন-ভারত দ্বন্দ্ব নতুন একটি ‘জটিলতার’ জš§ দিয়েছে। কেননা বাংলাদেশের বর্তমান সরকার চীন ও ভারতের সঙ্গে ‘ভারসাম্যমূলক’ কূটনীতি অবলম্বন করেছে। যদিও অনেকই বিশ্বাস করেন বাংলাদেশের কূটনীতি বেশি মাত্রায় ভারতনির্ভর। প্রধানমন্ত্রী ২০১০ সালের মার্চে চীনে গিয়েছিলেন। ওই সফরে তিনি কুনমিংও গিয়েছিলেন এবং কুনমিং-কক্সবাজার সড়ক নির্মাণের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। এখন এই সড়ক নির্মাণের প্রশ্নটি এবং বিসিআইএম (বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার) জোটের জš§ ও বিকাশ প্রশ্নের মুখে থাকল। কেননা চীন-ভারত দ্বন্দ্বে এই আঞ্চলিক জোটের বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চীনের ‘কুনমিং উদ্যোগ’-এর পরিবর্তিত নাম হচ্ছে বিসিআইএম জোট। এখানে চীনের স্বার্থ বেশি। এই জোট গঠিত হলে চীনা পণ্য সড়কপথে বঙ্গোপসাগরের মধ্য দিয়ে বিদেশে রফতানি সম্ভব হবে। অনেকে স্মরণ করতে পারবেন সোনাদিয়ার অদূরে যে গভীর সমুদ্র বন্দরটি নির্মাণ করার কথা ছিল তাতে চীন যথেষ্ট আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। ৬০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চীনের এটি নির্মাণ করে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই পরিকল্পনা এখন পরিত্যক্ত। গভীর সমুদ্রবন্দরটি এখন নির্মিত হবে পায়রা বন্দরে। একনেকে এ ধরনের একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মূল কারণ হচ্ছে ভারতের আপত্তি। ভারতের সঙ্গে তার নিরাপত্তার প্রশ্নটি তুলেছে। এমনকি ভারতের নীতি নির্ধারকরা এটাও মনে করেন এই গভীর সমুদ্রবন্দরটি নির্মিত হলে চীনা পণ্যে এ অঞ্চল ছেয়ে যাবে। এতে ভারতীয় পণ্য মার খাবে। ফলে বিসিআইএম আঞ্চলিক জোট নিয়ে প্রশ্ন থাকলই। উল্লেখ্য যে, ভুটানে চীনা দূতাবাস খোলার ব্যাপারেও ভারতের আপত্তি রয়েছে। ফলে এ অঞ্চলের নিরাপত্তা, পণের অবাধ চলাচল, সম্পদের আহরণ ইত্যাদির ব্যাপারে আগামী দিনগুলোতে চীন ও ভারতের মধ্যকার দ্বন্দ্ব আরো স্পষ্ট হবে। ফলে এ অঞ্চলের দেশগুলো এই দ্বন্দ্বে জড়িয়ে যেতে পারে।
আঞ্চলিক সহযোগিতাকে কেন্দ্র করেই বর্তমান বিশ্ব বিকশিত হচ্ছে। এখানে সামরিক দ্বন্দ্বের চেয়ে বাণিজ্যিকনির্ভরতার বিষয়টি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। চীন ও ভারত বড় অর্থনীতির দেশ। ভারতে দরিদ্রতা থাকলেও ভারত আঞ্চলিক শক্তি তো বটেই, বড় অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারত। আর চীন দূর প্রতিবেশী। চীনের সঙ্গে আমাদের সীমান্তের দূরত্ব খুব বেশি নয়। দুটি দেশের উন্নয়ন থেকেই আমরা উপকৃত হতে পারি। অর্থনৈতিক ও সামরিক আধিপত্য কাটিয়ে উঠে চীন ও ভারত যদি নিজেদের মধ্যে ‘সহযোগিতার সম্পর্ক’ গড়ে তোলে তাহলে এ অঞ্চলের দেশগুলো উপকৃত হবে। সেই পঞ্চাশের দশকে হিন্দি-চীন ভাই ভাই সম্পর্ক, পঞ্চকীলার ধারণা (যা ন্যামের জš§ দিয়েছিল) এই দুটি দেশের মাঝে একটা আস্থার সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। একুশ শতকে এসে বৈরিতা নয়, বরং আস্থার সম্পর্ক এ অঞ্চলে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে। এখন দেখার পালা আগামী দিনগুলোতে এই দেশ দুটি বৈরিতা কতটুকু কমিয়ে আনতে পারে।
Daily Manobkontho
27.04.15
0 comments:
Post a Comment