রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

তিন নির্বাচন, প্রশ্ন অনেক

খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের ওপর একাধিকবার হামলা, পাল্টাপাল্টি মামলা আর কূটনীতিকদের ‘সমবেদনা’র মধ্য দিয়ে তিন সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২৮ এপ্রিল। এর মাঝে আবার বিএনপি হামলার প্রতিবাদে ২২ এপ্রিল হরতালও ডেকেছিল (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বাদে)। এ হামলা অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে এবং চলমান রাজনীতিতে এর রেশ যে থেকে যাবে, এটি আর কাউকে মনে করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন নেই। এক. খালেদা জিয়ার জামিনপ্রাপ্তি ও নিজ বাসগৃহে ফিরে যাওয়ার মধ্য দিয়ে সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও সংসদের বাইরের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির মধ্যে ‘সমঝোতার’ যে সম্ভাবনার জন্ম হয়েছিল, তা এখন ভেস্তে যেতে বসেছে! স্পষ্টতই অসহিষ্ণু রাজনীতির যে চিত্র এদেশে রয়েছে, তাই রয়ে গেল। দুই. এই হামলার সঙ্গে সরকার সমর্থকরা জড়িত নয় বলে সরকারের সঙ্গে জড়িত একাধিক ব্যক্তি মন্তব্য করলেও একাধিক মিডিয়ার প্রতিবেদনে সবাই ধরা পড়েছে। ছাত্রলীগের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও এ হামলার সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এটি কোনো অবস্থাতেই ভালো খবর নয় এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশের জন্য তা কোনো শুভ ফল বয়ে আনবে না। তিন. খালেদা জিয়ার ওপর এ হামলাকে বিএনপির সিনিয়র নেতারা ও তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা ‘খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন। এ ধরনের একটি মন্তব্য আমাদের উদ্বেগের জন্য যথেষ্ট। এই মন্তব্য যে ‘সত্য নয়’, তা প্রমাণ করার জন্যই সরকার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে পারে। চার. নির্বাচনী প্রচারণার সময় হামলার বিষয়টি নির্বাচন কমিশন খতিয়ে দেখতে পারে। কেননা এ ঘটনা সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। ইসি যদি শক্ত অবস্থান গ্রহণ না করে, তাহলে বারবার এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকবে। পাঁচ. নির্বাচনী প্রচারে বাধাদানে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন নিন্দা জানিয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির জন্য এটি কোনো ভালো খবর নয়। এতে করে আমাদের অভ্যন্তরীণ ঘটনায় বিদেশীদের ‘হস্তক্ষেপের’ প্রবণতা আরও বাড়বে। ছয়. অতীতে শেখ হাসিনার (তিনি যখন বিরোধীদলীয় নেত্রী ছিলেন) ওপর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। আমাদের জাতীয় পর্যায়ের নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সেদিন সরকার ব্যর্থ হয়েছিল। আজও হামলা হল। সরকারের দায়িত্ব দোষীদের আইনের আওতায় আনা। ‘সরকারের সমর্থক হলেই তিনি আইনের ঊর্ধ্বে থাকবেন’- এই সংস্কৃতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। সাত. বিগত ৯২ দিনের আন্দোলনে ব্যবসায়ীরা, বিশেষ করে ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন- এটি অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ কি এমন হতে পারে? হামলাকারীদের ছবি ও পরিচিতি সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে। এরা কেউই ক্ষুদে ব্যবসায়ী নন। আট. সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ‘মূল ধারার’ রাজনীতিতে ফিরে এসেছে। একটি আস্থা বা ‘কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজার্স’-এর আবহ তৈরি হয়েছিল। এখন সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে এই আস্থার সম্পর্কটা ধরে রাখা। নয়. যদি নির্বাচনী প্রচারণায় বাধাদান অব্যাহত থাকে, তাহলে আগামীতে যে কোনো নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। সরকারের ভাবমূর্তির জন্য তা ভালো কোনো সংবাদ নয়। দশ. সুষ্ঠু একটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আগামীতে সুষ্ঠু ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌর নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করবে। ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আর পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলে। তাই এ তিনটি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনেরগুরুত্ব অনেক বেশি।এটা অস্বীকার করা যাবে না, নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে খালেদা জিয়া একটি সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন। আচরণবিধির অনেকটাই তার জন্য প্রযোজ্য নয়। ওদিকে আওয়ামী লীগের সমর্থক মেয়র কিংবা কাউন্সিলর প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার ‘অংশগ্রহণের’ সুবিধা পাচ্ছেন না। শেখ হাসিনার উপস্থিতি কিংবা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ খুব স্বাভাবিকভাবেই কর্মীদের উজ্জীবিত করত। একইসঙ্গে ভোটারদেরও উজ্জীবিত করত। খালেদা জিয়া আইনগতভাবেই নির্বাচনী প্রচারণায় যাচ্ছেন। কিন্তু যেতে পারছেন না শেখ হাসিনা। তবে এটিও একটা ভালো খবর, প্রধানমন্ত্রী কিংবা মন্ত্রীরা নির্বাচন আচরণবিধি লংঘন করছেন না।বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্য দুটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। এক. দুটি বড় দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে একটা সহাবস্থান থাকতে হবে। এই সহাবস্থান নিশ্চিত না হলে গণতন্ত্রকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যাবে না। এদেশের হাজার হাজার মানুষ যেমন মনে করে আওয়ামী লীগের মাধ্যমেই তাদের মুক্তি ও জীবনমানের উন্নয়ন সম্ভব, ঠিক একইসঙ্গে এটিও সত্য, হাজার হাজার মানুষ এখনও বিএনপির পতাকাতলে আছে ও বিএনপির রাজনীতিকে ধারণ করছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে একটি দ্বিদলীয় রাজনীতির জন্ম হয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশে এই দ্বিদলীয় রাজনীতি আমরা লক্ষ্য করি। ইউরোপের অনেক দেশের রাজনীতি প্রধানত দুটো প্রধান দলের ওপর নির্ভরশীল। তৃতীয় বা চতুর্থ দল থাকে বটে, তারা প্রধানত প্রধান দুটো দলের সহযোগী মিত্র হিসেবে রাজনীতিতে অবদান রাখে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রধান দুটি দল, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি গত ৪৪ বছরের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। স্বাধীনতার পরপরই জাসদ প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। হাজার হাজার তরুণ জাসদে আস্থা রেখেছিল। কিন্তু জাসদের হটকারী রাজনীতির কারণে জাসদ মূলধারার রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়ে, আর জাসদের পরিবর্তে রাজনীতির মঞ্চে আবির্ভূত হয় বিএনপি, যাদের রাজনীতি বিকশিত হয় আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করে। পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই (১৯৯১) বিএনপি জাতীয় রাজনীতিতে তার অবস্থান শক্তিশালী করেছে। বিএনপি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০১৪) অংশ না নিলেও এর মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল এবং নির্বাচনে ভালো করেছিল। এর অর্থ হচ্ছে উপজেলা পর্যায়ে বিএনপির অবস্থান বেশ শক্তিশালী। ফলে বিএনপিকে সঙ্গে নিয়েই বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে শক্তিশালী করতে হবে।দ্বিতীয় যে বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক চর্চার ক্ষেত্রে সনাতন ধারায় পরিবর্তন আনতে হবে। অর্থাৎ ব্রিটিশ মডেলের গণতন্ত্রের পরিবর্তে উন্নয়নমুখী একটি গণতান্ত্রিক মডেল আমাদের দেশে দরকার। উন্নয়নশীল বিশ্বে গণতন্ত্র চর্চা নিয়ে অনেক কথা আছে। অধ্যাপক হানটিংটন উন্নয়নশীল বিশ্বের গণতন্ত্রের বিকাশে উন্নয়ন প্রক্রিয়া তথা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে গুরুত্ব দিয়েছেন বেশি। তিনি পূর্ব এশিয়ার তথা দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার (বিশেষ করে সিঙ্গাপুর মডেল) গণতন্ত্রের মডেলকে দক্ষিণের গরিব দেশগুলোর জন্যও একটি মডেল হিসেবে বিবেচনায় নিতে বলেছেন। প্রায় ২০ বছর আগে আমার সুযোগ হয়েছিল নিউইয়র্কের জনপ্রিয় মেয়র এড কচের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে মতবিনিময় করার। কচ আমাকে বলেছিলেন, আমেরিকার মডেলের গণতন্ত্র উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য উপযুক্ত নয়। তিনি কিছু চাপিয়ে দেয়ার পক্ষপাতী নন। বলেছিলেন, সিঙ্গাপুর মডেলের গণতন্ত্র উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য প্রযোজ্য হতে পারে। ব্যাখ্যা চাইলে ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, গণতন্ত্রের মূল কথা হচ্ছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। এটি আগে দরকার। আজ এত বছর পর এড কচের কথা মনে পড়ে গেল। আমি আমার একটি গ্রন্থে এড কচের কথা উল্লেখও করেছিলাম। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশ নিয়ে আমরা যখন আলোচনা করি, তখন এই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিষয়টি আমাদের বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন। অনেকের স্মরণ থাকার কথা- হিলারি ক্লিনটন তার বাংলাদেশ সফরের সময় বাংলাদেশকে soft power-এর সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। বেশকিছু পরিসংখ্যান আমাদের এই সম্ভাবনার কথা বলে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.২ শতাংশ (যা এখন ৫.৭ শতাংশে নেমে যাওয়ার আশংকা)। রিজার্ভ ২২৪০ কোটি ডলার, রফতানি ২৭ বিলিয়ন ডলার, রেমিট্যান্স ১১.৭৯ বিলিয়ন ডলার, আয়ু ৭০ বছর, শিক্ষিতের হার ৬০ ভাগ, শতকরা ৫৬ ভাগ মানুষের স্যানিটেশন সুবিধা, দারিদ্র্য মাত্র ২৪ ভাগ, মাথাপিছু আয় ১১৯০ ডলার, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ইত্যাদি। এ পরিসংখ্যান বলে বাংলাদেশ দ্রুতবর্ধনশীল উন্নয়নশীল দেশগুলোর একটি। আর সরকারেরও ইচ্ছা দেশকে ২০৫০-এর আগেই একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা। আর এটা করতে গেলে বড় প্রয়োজন আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলা, পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস ও শ্রদ্ধাবোধের সম্পর্ক গড়ে তোলা, জাতীয় নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সহিংস রাজনীতি পরিত্যাগ করা, হরতালের মতো আত্মঘাতী কর্মকাণ্ড পরিত্যাগ করে এর ‘বিকল্প রাজনীতি’ খুঁজে বের করা, সংসদকে সত্যিকার অর্থে প্রতিনিধিত্বশীল একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা।রাজনীতিতে বিরোধিতা থাকবেই। আর এই বিরোধিতা হতে হবে এজেন্ডাভিত্তিক। অর্থাৎ ভোটারদের সুযোগ দিতে হবে বেছে নেয়ার। এখন যদি নির্বাচনে সহিংসতা বৃদ্ধি পায়, তাহলে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিতির হার কম হবে। আর যদি কারচুপি হয়, তাতে করে নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নের মুখে পড়বে। ইসি বিতর্কিত হবে। আমার প্রত্যাশা ছিল প্রার্থীরা সুস্পষ্টভাবে কর্মসূচি উপস্থাপন করবেন। কিন্তু তা তারা করেননি। ভাসা ভাসা প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। আর নির্বাচনী প্রচারণাতেও সেই ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ দেখা যাচ্ছে না। মির্জা আব্বাস সুযোগ পাননি প্রচার চালানোর। উপরন্তু বিএনপি সমর্থক একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী গ্রেফতার হয়েছেন। এরপর ঘটল খালেদা জিয়ার ওপর হামলা। এক দিন নয়, পরপর তিন দিন। এর অর্থ পরিষ্কার, সরকার সমর্থকরা চান না তিনি মাঠে থাকুন। এ হামলার ফলে কি এখন বিএনপির দিকে সমর্থন আরও বাড়ল না? ২৮ তারিখের নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি-না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। ইসি নির্বাচনের ৪ দিন আগে সেনাবাহিনী নামানো হবে, এই ঘোষণা দিলেও ঠিক তার পরদিন তার আগের অবস্থান থেকে সরে আসে। এখন ইসির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে সেনাবাহিনী মাঠে নয়, ক্যান্টনমেন্টেই থাকবে। তবে নির্বাচনী মাঠে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাদের প্রয়োজনে ডাকতে পারবেন। সেনাবাহিনী তো ক্যান্টনমেন্টেই থাকে। সরকার চাইলেই সেনাবাহিনী মাঠে নামে। এখন কি ইসির এই বক্তব্য কোনো বিভ্রান্তি তৈরি করবে না? এটা তো সবাই জানে, সরকার কখনও চায়নি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীকে নামানো হোক কিংবা আইনশৃংখলা রক্ষায় তাদের ব্যবহার করা হোক। বাহ্যত ইসির পরবর্তী ব্যাখ্যায় সরকারের ইচ্ছারই প্রতিধ্বনি হল। আমাদের জন্য মঙ্গল ছিল যদি আমরা সেনাবাহিনী ছাড়াই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারতাম। কিন্তু আমরা কি তা পেরেছি কখনও? অতীতে উপজেলা নির্বাচনে যে সহিংস ঘটনাবলি আমরা প্রত্যক্ষ করেছিলাম, তা বিবেচনায় নিয়েই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রশ্নটি উঠেছিল। এখন সেনাবাহিনী আদৌ মাঠে নামবে কিনা, সে প্রশ্ন থেকেই গেল।আমরা চাই নির্বাচনটি সুষ্ঠু হোক। একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হোক। ভোটারদের সুযোগ দেয়া হোক তাদের প্রার্থী নির্বাচনের। আর খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা রাষ্ট্র নিশ্চিত করুক। বড় দলগুলোর মধ্যে আস্থার সম্পর্ক বৃদ্ধি পাক। আর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনটি হোক একটি প্লাটফর্ম, যেটাকে ভিত্তি করে আস্থার সম্পর্কটি আরও সম্প্রসারিত হতে পারে। Daily JUGANTOR 25.04.15

0 comments:

Post a Comment