রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

আঞ্চলিক সহযোগিতা, নাকি প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা

এপ্রিলের মাঝামাঝিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ত্রিদেশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতার ব্যাপারে তিন দিনব্যাপী একটি সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। ‘ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা’ শীর্ষক এ সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ভারতের আবুল কালাম আজাদ ইনস্টিটিউট অব এশিয়ান স্টাডিজ। এ সিম্পোজিয়ামে ভারতের হাইকমিশনার ও মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতও বক্তৃতা করেন। সিম্পোজিয়ামে খোলামেলাভাবেই বলা হয়, এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য সবাইকে আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এ লক্ষ্যে সবার আগে প্রয়োজন খোলা মন নিয়ে সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করা। সম্মেলনে এটিও বলা হয় বাংলাদেশ খোলা মন নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। ফলে অন্য দেশগুলোর কাছ থেকেও একইভাবে বিনিময় আশা করে বাংলাদেশ। আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রশ্নে এ ধরনের একটি সম্মেলন বা সিম্পোজিয়ামের গুরুত্ব অনেক বেশি, তবে এখানে প্রশ্ন আছে ভারতের ভূমিকা নিয়ে। একই সঙ্গে এ অঞ্চলের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকাকেও আমরা অস্বীকার করতে পারি না। ভারত ত্রিদেশীয় (বাংলাদেশ-ভারত-মিয়ানমার) একটি আঞ্চলিক সহযোগিতার কথা বলছে বটে, কিন্তু একইসঙ্গে ভারত মহাসাগরভুক্ত দেশগুলোকে নিয়ে একটি সামরিক অ্যালায়েন্স গড়ে তুলছে, যা কিনা আগামীতে এ অঞ্চলে চীনের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করবে। সিরিয়াস পাঠকমাত্রই জানেন, ঢাকায় শেষ হওয়া এ সিম্পোজিয়ামের আগে ২০ থেকে ২২ মার্চ ভারতের ভুবনেশ্বরে ‘ইন্ডিয়ান ওসেন রিম’ বা আইওআর একটি শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিংবা ভারতের জয়েন্ট ইন্টেলিজেন্স কমিটির চেয়ারম্যান যেসব বক্তব্য রেখেছেন, তাতে এটি স্পষ্ট যে, ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় চীনকে এককভাবে কর্তৃত্ব করতে দেবে না। ফলে একদিকে ভারত যখন আঞ্চলিক সহযোগিতার কথা বলছে, অন্যদিকে আবার এ অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার করার উদ্যোগ নিয়েছে। ফলে ভারতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই। এখানে দুইটি বিষয় বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এক. মিয়ানমার ধীরে ধীরে ‘উন্মুক্ত’ হয়ে যাচ্ছে। দুই. যুক্তরাষ্ট্র এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে তার প্রভাব বাড়াচ্ছে এবং ভারতের সঙ্গে একটি কৌশলগত সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছে। নিঃসন্দেহে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা হবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্র ভারত ও মিয়ানমারকে সঙ্গে নিয়ে চীনবিরোধী একটি অ্যালায়েন্স গড়ে তুলতে চায়। তাই ত্রিদেশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতার কথা যখন বলা হচ্ছে, তখন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকাকে বিবেচনায় নিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের এ ভূমিকা ত্রিদেশীয় এ আঞ্চলিক সহযোগিতাকে কতটুকু প্রভাবিত করে, তা দেখতে হবে। গবেষকরা এ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পারেন। বলা ভালো, ওবামা তার শাসনামলে দুইবার ভারত সফর করেন। ২৫ জানুয়ারি তিনি ভারত সফর করে গেছেন। ওবামার এ সফরের মধ্য দিয়ে ২০০৮ সালে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তার জট খুলেছিল। সমস্যা ছিল ভারতের পক্ষ থেকে। কেননা ২০১০ সালে ভারতে পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন পাস হওয়ার পর গোটা প্রক্রিয়াটি থমকে গিয়েছিল। কেননা ওই আইনে বলা হয়েছিল কোনোরকম দুর্ঘটনা ঘটলে, তার দায় নিতে হবে ইউরেনিয়াম সরবরাহকারী মার্কিন সংস্থাগুলোকে। এখন একটি বীমা কোম্পানি গঠন করা হয়েছে, তারা এ দুর্ঘটনার দায়ভার বহন করবে। ফলে পরমাণু সেক্টরে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগে আর কোনো বাধা থাকল না। ওবামা ভারতে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কাজের ক্ষেত্র সৃষ্টির জন্য ৪০০ কোটি ডলার তহবিলের ঘোষণা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি ব্যাংক এ অর্থ জোগাবে। এ অর্থের প্রায় অর্ধেক, অর্থাৎ ২০০ কোটি ডলার দেয়া হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য। একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ১০ বছরের জন্য এ চুক্তি নবায়ন করা হযেছে, যেখানে একসঙ্গে গবেষণা ও অস্ত্র তৈরির কথা রয়েছে। এ চুক্তির আওতায় রাসায়নিক বা জৈব প্রতিরক্ষা কর্ম তৈরি, রোল অন রোল অব ইনটেলিজেন্স এবং নজরদারি বিমান তৈরিতে ভারতকে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র। সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর কথাও বলছিল দুই পক্ষ। যৌথ বিবৃতিতে পাকিস্তানভিত্তিক ভারতবিরোধী সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর নামও উল্লেখ করা হয়েছিল। একইসঙ্গে দুই পক্ষ সাইবার হুমকি মোকাবিলায় তথ্য আদান-প্রদানে সম্মত হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের ‘ভূমিকা’ এবং সেই ভূমিকার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের নীরব সমর্থন ভারত-যুক্তরাষ্ট্র অ্যালায়েন্সকে নতুন করে সামনে নিয়ে এলো। পার্শ্ববর্তী দুইটি দেশ চীন ও পাকিস্তানের যে প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে, তাতে প্রমাণ হয়, দেশ দুইটি খুব খুশি নয়। চীনের প্রেসিডেন্ট ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে যে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন, তাতে তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, ‘ওয়াশিংটন চাইছে ভারত ও চীনের মধ্যে যেন একটি সহজাত শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব তৈরি হয়।’ আর পাকিস্তান বলেছে, ‘নিরাপত্তা পরিষদে যোগ্য নয় ভারত।’ ওবামা ভারতকে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যপদে সমর্থন করেছিলেন। এখানে বলা প্রয়োজন যে, অতি সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় সরকার পরিবর্তন হয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে অতিমাত্রায় চীনের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন এবং শ্রীলঙ্কাকে অতিমাত্রায় চীনের ওপর নির্ভরশীল করে তুলেছিলেন। এ নির্ভরশীলতা একটি নিরাপত্তা সঙ্কট তৈরি করেছিল, যা ভারত খুব ভালো চোখে নেয়নি। এখন শ্রীলঙ্কার নয়া সরকার বলছে, তারা শ্রীলঙ্কা-চীন সম্পর্ক নতুন করে পুনঃবিবেচনা করবে। এমনকি শ্রীলঙ্কায় চীনের বিনিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নয়া প্রধানমন্ত্রী। ফলে শ্রীলঙ্কায় সরকার পরিবর্তনে ‘ভারতের একটি ভূমিকা’ নিয়ে কথা উঠেছে। চীনবিরোধী কথাবার্তা বলার মধ্য দিয়ে শ্রীলঙ্কা-চীন সম্পর্ক এখন প্রশ্নের মুখে থাকল। অপরদিকে শ্রীলঙ্কা-ভারত সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন উঠল। এটি স্পষ্ট যে, এ অঞ্চলে বিশেষ করে শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান কিংবা বাংলাদেশে চীনের একটি ‘ভূমিকা’র ব্যাপারে ভারতের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দারা খুব খুশি ছিল না। ভারত চীনের এ ভূমিকাকে আরও সঙ্কুচিত করতে চায়। অনেকের স্মরণ থাকার কথা, গেল বছরের মাঝামাঝি মোদি ক্ষমতাসীন হয়ে প্রথম বিদেশ সফরে ভুটানে গিয়েছিলেন। তখন সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গিয়েছিল যে, চীন ভুটানে দূতাবাস খুলতে চায়, এ ব্যাপারে ভারতের আপত্তি রয়েছে। ভারতের নীতিনির্ধারকরা এটিকে নিরাপত্তা দৃষ্টিকোণের আলোকে দেখেনি।অরুণাচল নিয়ে ভারত ও চীনের মাঝে দ্বন্দ্ব বেশ পুরনো। চীনা প্রেসিডেন্টের ভারত সফর ও গুজরাটে সরাসরি চীনা প্রেসিডেন্টকে সংবর্ধনা জানানোর পরও চীন অরুণাচল রাজ্যের ওপর থেকে তার ‘দাবি’ প্রত্যাহার করে নিয়েছে, এটি বলা যাবে না। এর অর্থ হচ্ছে নতুন আঙ্গিকে চীন-ভারত দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে। এমনকি কক্সবাজারের অদূরে সোনাদিয়ায় যে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করার কথা ছিল চীনের তাও এখন বাতিল করা হয়েছে। এখন এটি নির্মাণ করা হবে পায়রা বন্দরে। এখানেও নিরাপত্তাটার প্রশ্নটি উঠেছে। ভারত চায় না এ অঞ্চলে চীনের রাজনৈতিক তথা অর্থনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধি পাক। এখানেই তাই ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ এক ও অভিন্ন। যুক্তরাষ্ট্রও চায় না এ অঞ্চলে চীনের প্রভাব বৃদ্ধি পাক। ওবামার ভারত সফরের পেছনে এ উদ্দেশ্যটিও কাজ করেছিল মার্কিন নীতিনির্ধারকদের কাছে। তাই প্রশ্ন থাকলই, ওবামার ভারত সফরের মধ্য দিয়ে কে লাভবান হয়েছিল? ভারত না যুক্তরাষ্ট্র? ওবামাকে ভারতে নিয়ে আসার ব্যাপারে নরেন্দ্র মোদি কৃতিত্ব দাবি করতেই পারেন। এতে করে তার ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির কিছুটা হলেও অগ্রগতি হবে। এর আগে পররাষ্ট্র সচিব জন কেরি ‘ভাইব্রান্ট গুজরাট’ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। এর মধ্য দিয়ে মার্কিন বিনিয়োগকারীরা ভারতে আসবেন। এখন বেসামরিক পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় এবং তাতে মার্কিনি বিনিয়োগকারীদের জন্য রক্ষাকবচ থাকায়, বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ল। ওবামা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ীপদে ভারতের প্রার্থিতা সমর্থন করে ভারতকে কাছে টানার একটি উদ্যোগ নিলেন বটে। কিন্তু তিনি যদি ভারতকে চীনের বিরুদ্ধে ‘ব্যবহার’ করেন, তাহলে ভুল করবেন এবং ভারতও যদি এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রকে সঙ্গে নিয়ে চীনবিরোধী একটি অ্যালায়েন্স গড়ে তোলে তাও এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য কোনো মঙ্গল বয়ে আনবে না! এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে উত্তেজনা দিন দিন বাড়ছে। এখানে ‘সীমিত যুদ্ধ’ এর সম্ভাবনা উজ্জ্বল হচ্ছে! চীনের সঙ্গে প্যাসিফিক অঞ্চল ফিলিপাইন, জাপানের দ্বন্দ্ব রয়েছে এবং এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করছে এ অঞ্চলে। পূর্ব চীন সমুদ্রে জাপান এবং দক্ষিণ চীন সমুদ্রে ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামের সঙ্গে চীনের দ্বন্দ্ব ও বিবাদ একাধিকবার সংবাদের শিরোনাম হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এ দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে ফায়দা উঠাতে চায়। অনেকের স্মরণ থাকার কথা কিছুদিন আগে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতে এসেছিলেন। সেখানে তিনি অরুণাচল রাজ্য যে ভারতের, সে ব্যাপারে বক্তব্য দিয়েছিলেন। ফুমিও কিসিদার এ বক্তব্যে চীনের ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখায়। চীন অরুণাচল রজ্যের ওপর তার দাবি পরিত্যাগ করেনি। চীন মনে করে, ভারত জাপানকে চীনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে এবং সেই সঙ্গে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত সম্পর্ক একটি ভিন্ন মেসেজ পৌঁছে দিতে পারে বেইজিংয়ে। স্পষ্টতই প্রভাব বিস্তারের এক অশুভ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে ভারত ও চীন। বাংলাদেশের মতো ছোট একটি দেশ এ প্রতিযোগিতায় নিজেকে জড়িত করতে পারে না। তবে এটি সত্য, আমরা আঞ্চলিক সহযোগিতায় বিশ্বাসী। এ কারণে বাংলাদেশ বিসিআইএম জোটের ব্যাপারে তার আগ্রহ দেখিয়েছে। বাংলাদেশ, চীন (ইউনান প্রদেশ), ভারত (উত্তর পূর্বাঞ্চল রাজ্যগুলো) এবং মিয়ানমারকে নিয়ে প্রস্তাবিত বিসিআইএম জোটটি গঠিত। কিন্তু ভারত মহাসাগর নিয়ে উত্তেজনা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে এ জোটটি বিকশিত হবে না। ফলে বাংলাদেশের পূর্বমুখী পররাষ্ট্রনীতি একটি বড় ধাক্কা খাবে। ঢাকায় তিন দিনব্যাপী ত্রিদেশীয় সিম্পোজিয়ামটি শেষ হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য সিম্পোজিয়ামে এ অঞ্চলে ভারতের ভূমিকা, কিংবা চীনের ভূমিকা এবং প্রস্তাবিত বিসিআইএম জোট নিয়ে আলোচনা হয়েছে কম। নিঃসন্দেহে আঞ্চলিক সহযোগিতা থেকে আমরা উপকৃত হতে পারি। বিশেষ করে ভারত ও মিয়ানমার আমাদের উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই চীনের সঙ্গে বৈরিতা সৃষ্টি করে এ আঞ্চলিক সহযোগিতা কোনো বড় অবদান রাখতে পারবে না। Daily Alokito Bangladesh 19.04.15

1 comments: