রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

মন্ত্রীদের ব্যর্থতা নিয়ে কিছু কথা

কার্টুন: প্রথম আলো
সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকজন মন্ত্রীর ব্যর্থতার কারণে খোদ সরকারের দক্ষতা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এমনকি সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা পর্যন্ত কয়েকজন মন্ত্রীর ব্যর্থতা নিয়ে সংসদে রীতিমতো প্রশ্ন তুলেছেন। মিডিয়াও এ থেকে পিছিয়ে নেই। বেশ কটি সংবাদপত্রে মন্ত্রীদের ব্যর্থতা, তথা খোদ মন্ত্রিসভার ব্যর্থতা নিয়ে রীতিমতো লিড নিউজ করেছে। ব্যর্থতার তালিকায় যেসব মন্ত্রীর নাম এসেছে, তাদের মধ্যে এক নম্বরে আছেন যোগাযোগমন্ত্রী। এর পরে পর্যায়ক্রমে রয়েছেন নৌমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কে পরিচালনা করেন, সে প্রশ্নও উঠেছে। দেশের কয়েকজন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী পুরো মন্ত্রিসভার ব্যর্থতা হিসেবে চিহ্নিত করলেও এ ক্ষেত্রে আমার মূল্যায়ন কিছুটা ভিন্নতর। যাদের মন্ত্রিসভায় নিয়োগ দেয়া হয়েছিল, তাদের কেউ কেউ ব্যর্থ হতেই পারেন। প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই তাদের দক্ষতা মূল্যায়ন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী একজন মন্ত্রীর ব্যর্থতার দায়ভার নেবেন না। যদিও মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকারে কোনো মন্ত্রীর ব্যর্থতা সাম্প্রতিকভাবে পুরো কেবিনেট বা মন্ত্রিপরিষদের ব্যর্থতা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে। কিন্তু আমি মনে করি, মন্ত্রী যখন ব্যর্থ হয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী তার পরিবর্তে অন্য কাউকে সুযোগ দিতে পারেন। মন্ত্রিসভায় রদবদল খুব স্বাভাবিক একটি ঘটনা। যারা বড় বড় কথা বলে মিডিয়ায় ইতিমধ্যে 'স্টার' হয়ে গেছেন, তাদের ব্যাপারেও সতর্ক থাকা প্রয়োজন। মন্ত্রিসভায় 'স্থান' পাওয়ার জন্য তাদের এটা একধরনের কৌশল কি না, সেটাও বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন।
তবে এটা বলতেই হবে যোগাযোগমন্ত্রী সম্পৃর্ণরূপেই ব্যর্থ। অর্থমন্ত্রীর 'বক্তব্য' এর পরও শেয়ারবাজার অস্থির। গত ২১ আগস্টও বিক্ষোভ হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী এখনো নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আছেন বটে, কিন্তু মূল দায়িত্ব পালন করতে হয় দুজন উপদেষ্টাকে। সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন যোগাযোগমন্ত্রী। তিনি নিজে ব্যবসায়ী। সে কারণে কি না জানি না। কিন্তু তার আগ্রহ বড় বড় প্রজেক্টের ব্যাপারে যেখানে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রশ্ন জড়িত। তার নজর নেই রাস্তাঘাটের দিকে, সাধারণ মানুষ যেসব রাস্তার ওপর পরিপূর্ণভাবে নির্ভরশীল।
জ্বালানি সংকট সরকারের একটি অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকলেও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় পরিপূর্ণভাবে ব্যর্থ। লোডশেডিং এখন নিত্যসঙ্গী। আগামী দিনগুলোতে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা কল্পনা করতে পারছি না। দেশে বর্তমানে গ্যাসের চাহিদা আছে ২৪০ কোটি ঘনফুট। কিন্তু উৎপাদন হচ্ছে ২০০ কোটি ঘুনফুট। গ্যাসের কারণেই বিদ্যুতের এই ঘাটতি। সাধারণ মানুষের বিদ্যুৎ পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু গেল বছর এই সেক্টরে সরকারের সাফল্য আশাপ্রদ নয়। গেল বছর বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকট প্রকট ছিল। গ্যাস সংকট মোকাবিলায় সরকার বিদ্যমান শিল্পকারখানাগুলোতে গ্যাসের রেশনিং ব্যবস্থা চালু করেছিল। নতুন শিল্পকারখানায় ও নবনির্মিত বাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেয়া বন্ধ রাখাও হয়েছিল, যা আজো বহাল রয়েছে। বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে বেশ কয়েকটি ক্ষুদ্র পিকিং প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। এখানে ব্যবহৃত হবে ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল। এসব প্লান্টে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ তিনগুণেরও বেশি। খুব স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যুতের দাম আরো বাড়বে। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ মানুষ। গত ২১ আগস্টও ৩৫২ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এতে করে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান কতটুকু হবে, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত হতে পারছি না। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে (২০০৮) বলা হয়েছিল, ২০১১ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৫ হাজার মেগাওয়াট, ২০১৩ সালের মধ্যে ৭ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০২১ সালে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে উৎপাদন বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এটা একটা উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে যেসব পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে, তা ইতিমধ্যে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এর আগে দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সেই নির্মাণকাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা, যা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা যায়, এই বিদ্যুৎকেন্দ্র দুটি নির্মিত হবে আইপিপি হিসেবে ১৫ বছর মেয়াদে। সরকারের এ ধরনের পরিকল্পনা অদূর ভবিষ্যতে কোনো ফল দিলেও চলতি ২০১১ সালে কোনো ফল দেবে না। ফলে এ সেক্টরে অসন্তোষ লক্ষ করা যাবে। আসলে বিকল্প জ্বালানি দরকার। সৌরবিদ্যুতের একটি সম্ভাবনা থাকলেও এই সেক্টরে ব্যাপক কর্মকা- লক্ষ করা যায় না। তরল গ্যাস আমদানির একটি ঘোষণা থাকলেও এ ব্যাপারে অগ্রগতি তেমন নেই।
অর্থনীতির চেহারা চলতি বছর খুব যে ভালো, তা বলা যাবে না। রিজার্ভ বাড়লেও রেমিটেন্স কমতে শুরু করেছে। সৌদি আরবের মতো বড় বাজারে জনসম্পদ রফতানি এখনো বন্ধ। মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি নিয়ে জটিলতা কাটেনি। সেখান থেকে কয়েক লাখ বাংলাদেশিকে এখন ফিরে আসতে হবে। নতুন ভিসায় যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে বটে, কিন্তু বায়রার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর দ্বন্দ্ব জনশক্তি রফতানিতে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। এই সেক্টরে একটি বড় সম্ভাবনা থাকলেও এই মন্ত্রণালয়ে কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। চলতি বছর জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭ শতাংশ প্রাক্কলন করা হয়েছে। কিন্তু তা অর্জন করা সম্ভব হবে না। রেমিটেন্স প্রবাহের প্রবৃদ্ধি কমার সঙ্গে সঙ্গে বৈদেশিক সাহায্যও কমেছে। বৈদেশিক বিনিয়োগও আশাপ্রদ নয়। অথচ আমদানি চাহিদা বাড়ছে। ফলে আর্থিক খাতের লেনদেনের চেয়ে বৈদেশিক লেনদেনে চাপ বাড়ছে। বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বারবার শ্রমিক অসন্তোষের কারণে। এমনকি চট্টগ্রাম বন্দরের স্থবিরতাও বিতর্কের মাত্রা বাড়িয়েছে। খাদ্যশস্যের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা আরো বাড়বে। প্রতি বছর দেশে সর্বোচ্চ ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব (এফবিসিসিআইয়ের মতে)। অথচ দেশে বর্তমান দুই কোটি ৭০ লাখ লোক বেকার। আর প্রতি বছর ২০ লাখ মানুষ যুক্ত হচ্ছে কর্মবাজারে। ফলে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। এর ওপর দলীয় ভিত্তিতে নিয়োগ বৃদ্ধি পাওয়ায় কর্মবাজারে নানা বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সরকার এককভাবে এত বিপুল জনগোষ্ঠীর জন্য কাজের ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে পারে না। তাই দরকার বেসরকারি উদ্যোগ। কিন্তু যেভাবে শিল্প প্রতিষ্ঠানে অসন্তোষ 'সৃষ্টি' করা হচ্ছে, তাতে করে বেসরকারি সেক্টরে সেভাবে বিনিয়োগ হচ্ছে না।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যর্থতা সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সরকারপ্রধান যেদিন ৩৬ জন পুলিশ অফিসারকে 'পুলিশ পদক' দিয়েছিলেন সেদিনই উচ্চ আদালত কামরাঙ্গীরচর থানার এক পুলিশ অফিসারকে 'কাজে অবহেলার' জন্য কারণ দর্শাও নোটিশ জারি করেছিলেন। পরে তাকে বরখাস্ত করার জন্য মেট্রোপলিটান পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশও দিয়েছিলেন। একটি শিশুর অঙ্গহানি ঘটিয়ে তাকে দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করানো হতো। এ ব্যাপারে কামরাঙ্গীরচর থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন নির্লিপ্ত। বছরের এখন অবধি যেভাবে হত্যাকা- সংঘটিত হচ্ছে, তাতে করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। খোদ দুজন মহিলা সংসদ সদস্যের বাসায় ডাকাতি, একজন সাংবাদিক হত্যা পুলিশ রোধ করতে পারেনি। দুজন সংসদ সদস্যের অসহায়ত্ব যখন প্রকাশ পায়, যখন ঢাকেশ্বরী মন্দিরের দুর্ধর্ষ চুরি রোধ করা সম্ভব হয় না, তখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতা প্রকট হয়ে ধরা পড়ে বৈ কি! চলতি বছরের শুরু থেকে এখন অবধি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে অবনতির চিত্র আমরা পাই, তাতে করে আগামী দিনগুলো সম্পর্কে আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে পারি না। গেল বছরও এ মন্ত্রণালয়ের জন্য কোনো আশার খবর ছিল না। আর ছাত্রলীগের টেন্ডারবাজি মাস্তানি এমন পর্যায়ে গিয়ে উন্নীত হয়েছে যে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী একপর্যায়ে তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। আর একসময়ের ছাত্রলীগের সভাপতি, বর্তমানে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল কাদের তো প্রকাশ্যেই ছাত্রলীগের নামে যারা সন্ত্রাসী করে তাদের দ্রুত বিচার আইনে বিচারের দাবি জানিয়েছিলেন। দলের একজন সিনিয়র নেতার হতাশা কোন পর্যায়ে গেলে এ ধরনের কথা তিনি বলতে পারেন! ছাত্রলীগের এ ধরনের কর্মকা- সরকারের অনেক অর্জনকে মস্নান করে দিয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা, একটি শিক্ষানীতি জাতিকে উপহার দেয়া, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংসদে পাস করা সরকারের জন্য বড় অর্জন। কিন্তু ছোট ছোট 'ঘটনা' যেমনি বড় অর্জনকে মস্নান করে দেয়, ঠিক তেমনি সরকারের 'অনেক বড় অর্জন' মস্নান হয়ে গেছে কয়েকজন মন্ত্রীর ব্যর্থতার কারণে। সংবাদপত্রগুলো আমাদের জানাচ্ছে, গেল বছর ৪ হাজার ১৬৩টি হত্যা, ৮৭১টি অপহরণ ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- হয়েছে ১৩৩টি। গত ৮ মাসে এই পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন। কিন্তু তার পরও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখে শুনি পুলিশ বাহিনীর প্রশংসার কথা। 'আইনি বাহিনীর আত্মরক্ষার গুলিতে সন্ত্রাসী মরাই স্বাভাবিক' (কালের কণ্ঠ, ২৭ জানুয়ারি), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্য যেন বিগত সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি। এ ধরনের বক্তব্য পুলিশের কর্মকর্তাদের খুশি করলেও সাধারণ মানুষ এই বক্তব্যে খুশি হয়নি।
মন্ত্রীরা বড় বড় কথা বলেন। কাজ করেন কম। সূক্ষ্মভাবে দেখলে দেখা যাবে, যেসব মন্ত্রী মিডিয়ায় কম কথা বলেন, তাদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কম। যারা 'বেশি' কথা বলে মিডিয়ায় 'স্টার' হতে চেয়েছেন, তারাই ব্যর্থ। এ ব্যর্থতা সরকারের জন্য কোনো মঙ্গল নয়। এই ঈদে কয়েক লাখ মানুষ যখন বেহাল রাস্তা ধরে বাড়ি যাবেন, তারা মন্ত্রীর চাইতে সরকারপ্রধানকেই অভিযুক্ত করবেন বেশি। নৌপরিবহন মন্ত্রী শ্রমিক নেতা। আগামীতেও তাকে শ্রমিকদের নিয়ে রাজনীতি করতে হবে। এটাই তার পেশা। সুতরাং তিনি যে অদক্ষ চালকদের লাইসেন্স দেয়ার সুপারিশ করবেন, এটাই স্বাভাবিক। দুঃখ লাগে যখন দেখি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর তিনি নিজের মতো করে এর ব্যাখ্যা দেন। অন্য কোনো দেশ হলে এই দুই মন্ত্রী (নৌ ও যোগাযোগমন্ত্রী) পদত্যাগ করতেন। কিন্তু বাংলাদেশ বলে কথা।
সরকার ৩১ মাস অতিক্রম করেছে। সরকার ক্ষমতায় থাকবে আরো ২৯ মাস। ২৯ মাসের আগেই নির্বাচন হবে। মানুষ কিন্তু হিসাব করতে শুরু করেছে। সরকারপ্রধানের এখন উচিত ব্যর্থ মন্ত্রীদের বিদায় করে দিয়ে দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন মন্ত্রীদের কেবিনেটে জায়গা দেয়া। মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন সংসদীয় গণতন্ত্রেরই অংশ। সুতরাং সরকারপ্রধান বড় ধরনের 'বিতর্ক' এড়াতে মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আনতে পারেন। 
আমাদের বাংলাদেশ
ড. তারেক শামসুর রেহমান
লেখক : রাজনৈতিক বিশ্লেষক
tsrahmanbd.blogspot.com

0 comments:

Post a Comment