রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং কিছু কথা

সারা বিশ্ব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে যুদ্ধের ১০ বছর পার করল। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের টুইন টাওয়ারে বিমান বিধ্বস্ত করে ভবন দুটি ধ্বংস করার পর যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ শুরু করেছিল, ১০ বছর পার করার পর সেই যুদ্ধের অবসান হয়েছে_তা বোধ হয় বলা যাবে না। কেননা ওবামা প্রশাসন আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিলেও সেখানে যুদ্ধ চলছে। ইরাকে মার্কিন সেনা নেই বটে। কিন্তু আত্মঘাতী বোমা সংস্কৃতির সেখানে জন্ম হয়েছে। আর লিবিয়ায় গাদ্দাফির পতন সেখানে দীর্ঘস্থায়ী এক গৃহযুদ্ধের আশঙ্কার জন্ম দিয়েছে। ২০০১ সালে টুইন টাওয়ারে হামলার পাশাপাশি আরেকটি বিমান হামলা হয়েছিল ভার্জিনিয়ায় পেন্টাগনের সদর দপ্তরে। চতুর্থ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল পেনসিলভানিয়ায়। আল-কায়েদা নামে একটি সংগঠন এই হামলার দায়দায়িত্ব স্বীকার করেছিল। এরপর জানা গেল আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের নাম। গত ১০ বছর যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী আল-কায়েদার বিরুদ্ধে 'যুদ্ধ' পরিচালনা করেছে। গত ১ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদ শহরের একটি বাড়িতে অবস্থান নেওয়া বিন লাদেনকে হত্যার মধ্য দিয়ে 'সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ'র একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটেছে বটে। কিন্তু 'যুদ্ধ' এখনো শেষ হয়নি। এমনকি ওবামা নিজেও এই যুদ্ধের সমাপ্তির কথা ঘোষণা করেননি।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কী পেল? ১০ বছরের হিসাব-নিকাশ যদি মেলানো যায় তাহলে দেখা যাবে, যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোষ্ঠী এই যুদ্ধের মধ্য দিয়ে লাভবান হয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশি। ডেভিড ডি গ্র (David de Graw) Global Research-এ লিখিত একটি প্রবন্ধে স্বীকার করেছেন, এই যুদ্ধের মোট খরচ গিয়ে দাঁড়াবে ছয় ট্রিলিয়ন ডলার (প্রায় ৪৪৪ কোটি লাখ টাকার সমান)। চিন্তা করা যায়, কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। সাধারণ করদাতারা এই অর্থ পরিশোধ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয় এই যুদ্ধের খরচের একটি হিসাব দিয়েছে। তাদের ভাষায়, এই খরচ ৩ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার। কোন খাতে কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হচ্ছে, তার একটি পরিসংখ্যান দিয়েছেন ন্যানসি এ ইউসুফ (Nancy A. Youssef) তাঁর এক প্রবন্ধে The True Cost of Afgan Iraq War is Anyone's Guess (Me Clatchy-এর প্রতিবেদন, ১৫ আগস্ট ২০১১)। অথচ এই বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব ছিল। যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী, প্রতি ছয়জন মার্কিনের মধ্যে একজন দরিদ্র। পাঁচটি শিশুর মধ্যে একটি শিশু দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে ৫৪ শতাংশ দরিদ্র। এশীয়দের মধ্যে দারিদ্রের হার ১২.১ শতাংশ। তাদের চাকরি নেই। বুশ তথা ওবামা প্রশাসন তাদের জন্য ওই অর্থের একটি অংশ দিয়ে চাকরির ব্যবস্থা করতে পারত। সামাজিক খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে পারত। তা তারা করেনি। অথচ 'সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ' নিয়েও নানা কথা আছে। কারা শুরু করল, কেন করল_অনেক প্রশ্নেরই কোনো জবাব নেই দীর্ঘ ১০ বছর পরও। একটি নয়, দুটি নয়_চার-চারটি বিমান ছিনতাই হলো। গোয়েন্দারা টের পেল না। কয়েক মিনিটের মধ্যে টুইন টাওয়ারে দুটি বিমান বিধ্বস্ত হলো। দেখা গেল, ভবন দুটি ধসে পড়েছে, অথবা গলে গেছে। কোনো ধরনের বিস্ফোরক ছাড়া কি এত উঁচু ভবন একসঙ্গে ধসে নিচে পড়ে যেতে পারে? তাহলে কি কোনো শক্তি এমন কোনো বিস্ফোরক ব্যবহার করেছিল, যাতে করে পুরো ভবন ধসে পড়ে? কোনো বিমান যদি বিধ্বস্ত হয়, তাহলে বড়জোর ওই ভবনের কয়েকটি তলা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, পুরো ভবনটি ধসে পড়ার কথা নয়। শুধু দুটি ভবনই ধসে পড়ল, পাশের ভবনগুলো দাঁড়িয়ে থাকল, একটুও ক্ষতি হলো না কিংবা কাত হয়ে পড়ল না_এটা কি সম্ভব? ওই দুটি ভবন বেছে নেওয়ার কারণই বা কী? আশপাশে তো আরো অনেক ভবন ছিল। এটা করা হয়েছিল কী এ কারণে যে ভবন দুটি ছিল বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার সদর দপ্তর। এখানে যেকোনো হামলা সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকৃষ্ট করবে। পেন্টাগনে যে বিমানটি বিধ্বস্ত হলো, ওই বিমানের যাত্রীদের কোনো ছিন্নভিন্ন দেহ পাওয়া যায়নি। সাধারণত বিমান বিধ্বস্ত হলে মৃতদেহ পাওয়া যায়_এটাই স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে পাওয়া গেল না কেন? এমনকি বিধ্বস্ত বিমানের কোনো ছবিও দেখা যায়নি। পেনসিলভানিয়ার এক মাঠে চতুর্থ যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল, তার বিস্তারিত বিবরণও আমরা পাইনি কোনো দিন। ওই বিমানে কতজন যাত্রী ছিল, কয়টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে_এসব কোনো তথ্যই কারো কাছে নেই। পাঠক লক্ষ করুন, কোনো বিমান যদি বিধ্বস্ত হয়, তাহলে প্রথমেই খোঁজ পড়ে ব্লাক বঙ্রে, যেখানে সর্বশেষ কথোপকথন রেকর্ড হয়ে থাকে। যতদূর মনে পড়ে, বিধ্বস্ত চারটি বিমানের একটিরও 'ব্লাক বঙ্' উদ্ধার করা কিংবা পাওয়া যায়নি। এটা কি ইচ্ছাকৃত? নাকি কোনো তথ্য গোপন করার উদ্দেশ্যেই এটি করা হয়েছে। নিউ ইয়র্ক টুইন টাওয়ারে হামলায় তিন হাজার ব্যক্তি প্রাণ হারালেও (বাংলাদেশি পাঁচজনসহ) একজন ইহুদিও মারা যায়নি। এটা কি কাকতালীয়, নাকি অন্য কিছু? অভিযোগ আছে, বিমান হামলার পাঁচ মিনিট আগে সব ইহুদি এই ভবন ত্যাগ করে। এসব প্রশ্নের কোনো জবাব গত ১০ বছরে আমরা পাইনি। কিন্তু ওই হামলার পর বিশ্বকে বদলে যেতে দেখেছি আমরা। আফগানিস্তান দখল করে নিয়েছিল মার্কিন বাহিনী ২০০১ সালে। সেই দখলীস্বত্ব আজও বজায় রয়েছে। ঢাকঢোল পিটিয়ে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের কথা বলা হলেও, মার্কিন সেনাবাহিনী সেখানে থাকবে। কেননা মধ্যএশিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদের (গ্যাস ও তেল) ব্যাপারে আগ্রহ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। আফগানিস্তান থেকে সেই সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের। বেলুচিস্তানের মরুভূমিতে রয়েছে একটি বিমান ঘাঁটি, যা যুক্তরাষ্ট্র ব্যবহার করছে। বেলুচিস্তানের সীমান্তে রয়েছে ইরানের একটি প্রদেশ 'সিস্তান বেলুচিস্তান'। আরব সাগর ঘেঁষা গাওদারে চীনারা তৈরি করছে গভীর সমুদ্রবন্দর। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বেলুচিস্তানের গুরুত্ব অনেক বেশি।
আফগানিস্তানের পাশাপাশি ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র দখল করে নিয়েছিল ইরাক। অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র (ডগউ) রয়েছে_এই অভিযোগ তুলে দেশটি দখল করে নিয়েছিল। ২০১০ সালে এসে সেখান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে সত্য (৫০ হাজার সৈন্য রয়ে গেছে প্রশিক্ষণের জন্য)। কিন্তু ইরাকি সম্পদ (তেল) চলে গেছে মার্কিন কম্পানিগুলোর হাতে। ইরাকি তেলের পয়সায় এখন মার্কিন কম্পানিগুলো বিধ্বস্ত ইরাকের পুনর্গঠনের কাজে নিয়োজিত। ২০১০ সালে এসে সারা আরব বিশ্ব প্রত্যক্ষ করছে এক ধরনের গণ-আন্দোলন, যাকে বলা হচ্ছে 'আরব বসন্ত'। এই আরব বসন্ত কার জন্য, কিসের জন্য_এটা নিয়েও প্রশ্ন আছে। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা শাসকরা (বেন আলী, হোসনি মুবারক, আলী আবদুল্লাহ সালেহ) উৎখাত হয়েছেন বটে। কিন্তু ক্ষমতা সাধারণ মানুষের কাছে ফিরে আসেনি। সর্বশেষ গাদ্দাফিরও পতন হয়েছে। লিবিয়াকে বলা হয় উত্তর আফ্রিকায় যাওয়ার দরজা বা ধেঃবধিু। লিবিয়া যদি নিয়ন্ত্রিত থাকে, তাহলে প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর (নাইজার, সাদ, গিনি বিসাউ) দেশগুলোকেও নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। আফ্রিকায় ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে AFRICOM আফ্রিকান কমান্ড। বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃত্ব করার যে মানসিকতা, তা সামনে রেখেই পতন ঘটানো হলো গাদ্দাফি সরকারের।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তথাকথিত 'যুদ্ধ' শুরু করেছিল বুশ প্রশাসন। শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়ে ওবামা সেই যুদ্ধ বন্ধ করেননি। মার্কিন সমরাস্ত্র কারখানাগুলোতে উৎপাদন বেড়েছে। বিশ্বের সর্বত্র, বিশেষ করে আফগানিস্তান থেকে শুরু করে ইরাক_সর্বত্রই আমেরিকার কম্পানিগুলোর রমরমা ব্যবসা। নাইন-ইলেভেন এই ব্যবসার একটি ক্ষেত্র তৈরি করেছে। ফিনিয়ান কানিংহামের প্রবন্ধ '9/11 paved the way for America's permanent war of Aggression'-এ এ কথাই বলা আছে। আর মিসেল চসুডোভক্সি তো স্পষ্ট করে বলেছেন, 'alleged Jihadi plotters were the product of us state terrorism.' ... অনলাইনে চমস্কির বই ৯/১১ : was there an alternative (seven stories press) কেউ পড়ে দেখতে পারেন। তাই 'নাইন ইলেভেন' নিয়ে যে অসংখ্য প্রশ্ন ও জিজ্ঞাসা, ১০ বছর পার হয়ে যাওয়ার পরও আমরা এর পূর্ণ জবাব খুঁজে পেলাম না। ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যু হয়েছে সত্য, কিন্তু আল-কায়েদা ধ্বংস হয়ে যায়নি। তারা তাদের স্ট্র্যাটেজিতে পরিবর্তন এনেছে। অঞ্চল ভিত্তিতে আল-কায়েদা এখন সংগঠিত ও পরিচালিত হচ্ছে। যেমন-সৌদি আরবভিত্তিক Al-Qaeda in Arabian Peninsula (AQAP), রিয়াদে ২০০৩ সালে হামলার জন্য যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। ২০০৪ সালে ইরাকে সংগঠিত হয়েছে AQI বা Al-Qaeda in Iraq। ২০০৭-এ জন্ম হয়েছে Al-Qaeda in Islamic Magreb (AQIM)। ছোট ছোট সেল-এ বিভক্ত হয়ে তারা এখন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে, যাকে বলা হচ্ছে 'Spider Web'। মাকড়সার জালের মতো সংগঠিত হচ্ছে, আবার তারা ধ্বংসও হচ্ছে। এরপর অন্য এক জায়গায় গিয়ে তারা সন্ত্রাসের জাল বুনছে, মাকড়সারা যেমনটি করে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে একরকম যোগাযোগ ছাড়াই এই জিহাদি কর্মকাণ্ড পরিচালনার তত্ত্ব দিয়েছেন আল-কায়েদার একজন তাত্ত্বিক আবু মুসাব আল সুরি (The Global Islamic Resistance)। নোয়াম চমস্কি তাই লিখেছেন, The Jihadi movement could have been split and undermined after 9/11 if the 'crime against humanity' had been approached as a crime (was war only answer to 9/11? nation of change, 5 september, 2011)। এটাই হচ্ছে মোদ্দাকথা। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কর্মকাণ্ডকে সত্যিকার অর্থেই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়নি। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে ব্যবহার করা হয়েছে গোষ্ঠীস্বার্থে তথা ব্যবসায়িক স্বার্থে। ইরাক তার বড় প্রমাণ। ইরাকের তেলের পয়সায় এখন সেখানে পুনর্গঠনের কাজ চলছে। আর এককভাবে কাজ পেয়েছে মার্কিন কম্পানিগুলো। একই ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে এখন লিবিয়ায়। 'সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ' একটি জনগোষ্ঠীকে টার্গেট করে করা হয়েছিল। বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের বিভিন্ন চোখে দেখা হতো। এখন পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হয়েছ, এটা সত্য। কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান 'নাইন-ইলেভেন'-এর আগের অবস্থায় আর ফিরে যায়নি। 'সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ' একটি কালো অধ্যায়। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে চলা এই 'যুদ্ধ' প্রকারান্তরে বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃত্ব করার প্রয়াসেই রচিত। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মধ্য দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করা যায়নি। বরং তা আরো বেড়েছে। সারা বিশ্ব যখন টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার দশম বর্ষ পালন করছে, তখন কাবুলের কূটনীতিকপাড়ায় তালেবানদের হামলা (১৩ সেপ্টেম্বর) এ কথাই প্রমাণ করল আবার।
তারেক শামসুর রেহমান 
অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ,
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
tsrahmanbd@yahoo.com

0 comments:

Post a Comment