আজ আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস। জাতিসংঘের আহ্বানে ২০০৮ সাল থেকে দিবসটি পালন করে আসছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে বড় বিস্ময়ের বিষয় হল- ২০০৮ সালে যখন বিশ্ব গণতন্ত্র দিবসের যাত্রা শুরু হয় তখন বাংলাদেশে চলছিল সেনা সমর্থিত অনির্বাচিত সরকারের শাসন। গণতন্ত্রের জন্য যেখানে নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন, সেখানে তখনকার বাংলাদেশের পরিস্থিতি ছিল সম্পূর্ণ উল্টো। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনীতিবিদদের অগণতান্ত্রিক আচরণ ও সংঘাতের কারণেই সেই পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। যার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জনগণের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে স্বৈরশাসকদের প্রেত্মাতারা। তবে এদের বিষয় সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে।
এ প্রসঙ্গে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. গিয়াসউদ্দিন মোল্লা রেডিও তেহরানকে বলেছেন, গণতন্ত্রের পূর্বশর্তগুলোর অনুপস্থিতি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর অগণতান্ত্রিক আচরণের কারণে দেশে গণতন্ত্র এখনো কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছতে পারেনি। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা এবং বিশ্বাসের চরম ঘাটতিকে দায়ী করেন এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের তথ্যানুযায়ী গোটাবিশ্বে গণতন্ত্র উন্নয়নের সূচকে শীর্ষে সুইডেনের অবস্থান। এর ঠিক পরেই আছে নরওয়ে ও ডেনমার্ক। অথচ প্রথম দশটি দেশের মধ্যে নেই গণতন্ত্রের কথিত ধারক যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন। ১৯ নম্বরে ঠাঁয় পেয়ে এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে জাপান। আর গণতন্ত্রের ঐতিহ্যবাহী দেশ ভারতের অবস্থান রয়েছে ৫৮তম স্থানে। বাংলাদেশের অবস্থান ৮৭তে। বিশ্ব গণতন্ত্রের সার্বিক চিত্রে বাংলাদেশের এতো পেছনে থাকার জন্য এর দুর্বল ভিত্তিকেই দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা।
এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমান রেডিও তেহরানকে বলছেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র বিকাশের পথে মূল বাধা হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার আস্থাহীনতা এবং প্রধান দু'টি দলের মধ্যকার বৈরী সম্পর্ক। এমন অবস্থা অব্যাহত থাকলে কোন দেশেই গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটানো সম্ভব নয়। তিনি বলেন, বিরোধীদলের মতামতকে অগ্রাহ্য করে যতদিন সরকারি দল দেশ পরিচালনা করার চেষ্টা করবে ততদিন কোনভাবেই গণতন্ত্রের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব হবে না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু হয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর অগণতান্ত্রিক চর্চায় অকার্যকর হয়ে পড়ছে দেশের জাতীয় সংসদ। তারপরও সংসদীয় গণতন্ত্রের সুফল পাওয়ার লক্ষ্যে জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ প্রসঙ্গে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. গিয়াসউদ্দিন মোল্লা রেডিও তেহরানকে বলেছেন, গণতন্ত্রের পূর্বশর্তগুলোর অনুপস্থিতি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর অগণতান্ত্রিক আচরণের কারণে দেশে গণতন্ত্র এখনো কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছতে পারেনি। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা এবং বিশ্বাসের চরম ঘাটতিকে দায়ী করেন এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের তথ্যানুযায়ী গোটাবিশ্বে গণতন্ত্র উন্নয়নের সূচকে শীর্ষে সুইডেনের অবস্থান। এর ঠিক পরেই আছে নরওয়ে ও ডেনমার্ক। অথচ প্রথম দশটি দেশের মধ্যে নেই গণতন্ত্রের কথিত ধারক যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন। ১৯ নম্বরে ঠাঁয় পেয়ে এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে জাপান। আর গণতন্ত্রের ঐতিহ্যবাহী দেশ ভারতের অবস্থান রয়েছে ৫৮তম স্থানে। বাংলাদেশের অবস্থান ৮৭তে। বিশ্ব গণতন্ত্রের সার্বিক চিত্রে বাংলাদেশের এতো পেছনে থাকার জন্য এর দুর্বল ভিত্তিকেই দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা।
এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমান রেডিও তেহরানকে বলছেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র বিকাশের পথে মূল বাধা হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার আস্থাহীনতা এবং প্রধান দু'টি দলের মধ্যকার বৈরী সম্পর্ক। এমন অবস্থা অব্যাহত থাকলে কোন দেশেই গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটানো সম্ভব নয়। তিনি বলেন, বিরোধীদলের মতামতকে অগ্রাহ্য করে যতদিন সরকারি দল দেশ পরিচালনা করার চেষ্টা করবে ততদিন কোনভাবেই গণতন্ত্রের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব হবে না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু হয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর অগণতান্ত্রিক চর্চায় অকার্যকর হয়ে পড়ছে দেশের জাতীয় সংসদ। তারপরও সংসদীয় গণতন্ত্রের সুফল পাওয়ার লক্ষ্যে জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
0 comments:
Post a Comment