রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

মনমোহন সিংকে স্বাগতম

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং এখন ঢাকায়। গতকাল তিনি দুদিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন। আজই তিনি চলে যাবেন। এই সফরে তিনটি চুক্তি ও সাতটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হবে। এ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট করে কিছু বলা না হলেও পত্র-পত্রিকা সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি যেসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হবে তার মাঝে রয়েছে ফেনী নদীর পানি প্রত্যাহারের ব্যাপারে অপর একটি চুক্তি, ছিটমহল বিনিময়, অপদখলীয় জমি হস্তান্তর ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি। তবে টিপাইমুখ বাঁধ, ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প, সমুদ্রসীমা, ভারত কর্তৃক বাংলাদেশি পণ্যের ওপর অশুল্ক বাধা আরোপ ইত্যাদি স্পর্শকাতর বিষয় চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফর বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে কতটুকু সফল হবে এ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে।
মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফর নিয়ে ভারতীয় পক্ষের বিশেষ তৎপরতা লক্ষ্যণীয়। সফরের প্রাক্কালে ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশংকর মেননের দু'বার ঢাকা সফর বিশেষ গুরুত্বের দাবি রাখে। মেননের ঢাকা সফরের মধ্য দিয়ে তিনি বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চূড়ান্ত করে গেছেন এবং যৌথ ইশতেহারে যেসব বিষয় স্থান পাবে, তাও চূড়ান্ত করে গেছেন। সূক্ষ্মভাবে দেখলে এই সফর থেকে অনেকগুলো বিষয় বেরিয়ে আসবে। এক. বেশ ক'টি চুক্তি ও সমঝোতার ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত থাকলেও দেখা গেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দু'জন উপদেষ্টা (ড. মসিউর রহমান ও ড. গওহর রিজভী) ভারতীয় পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়েছিলেন। 'রুলস অব বিজনেস' অনুযায়ী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরই আলাপ-আলোচনা করার কথা। এ ক্ষেত্রে ব্যত্যয় ঘটেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অন্ধকারে রাখা হয়েছে। এমনকি পররাষ্ট্র সচিবও কোনো আলাপ-আলোচনায় অংশ নেননি। মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফর ও চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে ড. মসিউর রহমান ও ড. গওহর রিজভী 'সুপার ফরেন মিনিস্টার' এর ভূমিকা পালন করেছেন। দুই. যেসব চুক্তি রয়েছে, তাতে বাংলাদেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট একটি চুক্তিও নেই। সব চুক্তিই ভারতের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট এবং ভারত এসব চুক্তি থেকে উপকৃত হবে। বাংলাদেশ উপকৃত হবে না। তিন. ড. গওহর রিজভী জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের সঙ্গে ট্রানজিট চুক্তি করার আদৌ প্রয়োজন নেই। কেননা ১৯৭২ সালে স্বাক্ষরিত ইন্দিরা-মুজিব চুক্তিতে ভারতকে ট্রানজিট দেয়ার কথা বলা হয়েছে। তার এই বক্তব্য ব্যাখ্যা দাবি রাখে। কেননা ১৯৭২ সালের চুক্তিতে যদি এ ধরনের কোনো সুযোগ থাকতো, তাহলে ভারত অনেক আগেই ট্রানজিট দাবি করতো। চার. মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৪ জন মুখ্যমন্ত্রীর ঢাকা সফর করার কথা (মমতাকে বাদ দিয়ে)। এর মধ্য দিয়ে ভারত তার উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার ধারণাকে সামনে নিয়ে এলো। উপ-আঞ্চলিক ধারণায় বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করে ভারতের 'সাত বোন' রাজ্যের উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের উন্নয়নের কোনো সম্ভাবনা নেই। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে মমতা ব্যানার্জিরও আসার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে জানান হয়েছে তিনি আসছেন না। এর অর্থ তিস্তার চুক্তি নিয়ে মমতা ব্যানার্জির আপত্তি রয়েছে। কেননা তিস্তার পানিবণ্টন পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে একটি ফ্যাক্টর।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত রোববার সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের জানিয়েছেন তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এ ক্ষেত্রে আমরা জানি না ওই তিনটি চুক্তিতে বাংলাদেশের স্বার্থ কীভাবে এবং কতটুকু রক্ষিত হবে। ভারত একটি 'প্যাকেজ ডিল' আওতায় এই চুক্তিটি করতে যাচ্ছে। কিছু সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি করতে যাচ্ছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই পানিবণ্টন চুক্তিতে বাংলাদেশের স্বার্থ কতটুকু রক্ষিত হবে। তিস্তার পানিবণ্টনের ওপর বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের চাষাবাদ অনেকাংশে নির্ভরশীল। ১৯৮৭ সালের আগ পর্যন্ত তিস্তা নদীই ছিল উত্তরবঙ্গের প্রধান নদী। কিন্তু পানিবণ্টনের ব্যাপারে ভারতের একগুঁয়েমি, ঢিলেমি ও হঠকারিতার ফলে তিস্তা এখন রুক্ষ হয়ে উঠেছে। তিস্তার বুকজুড়ে এখন শুষ্ক মৌসুমে কেবল বালু আর বালু। বর্ষাকালে মূল গতিপথ বদলে তিস্তা প্রচ-ভাবে আছড়ে পড়ে দুই তীরে। নদীভাঙনে প্রতি বছর ২০ হাজার মানুষ বাড়িঘর হারিয়ে অন্যত্র স্থান নিতে বাধ্য হয়। ১৯৮৫ সালে তিস্তার উৎসমুখে এবং তিস্তার ব্যারেজ সেচ প্রকল্পের মাত্র ৬৫ কিলোমিটার উজানে ভারত গজলডোবা নামক স্থানে ব্যারেজ নির্মাণ করে। এর ফলে প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পটি সেচ প্রদানে অকার্যকর হয়ে পড়েছে। ১৯৮৩ সালের জুলাই মাসে দুই দেশের মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠকে তিস্তার পানিবণ্টনে শতকরা ৩৬ ভাগ বাংলাদেশ, ৩৯ ভাগ ভারত ও ২৫ ভাগ নদীর জন্য রাখার একটি সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু তা কার্যকর হয়নি। পরবর্তীকালে বাংলাদেশ তিস্তার পানির ৮০ ভাগ দু'দেশের মধ্যে বণ্টন করে ২০ ভাগ নদীর জন্য রেখে দেয়ার প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু ভারত সে প্রস্তাবে রাজি হয়নি। এখন এতদিন পর যে চুক্তিটি হতে যাচ্ছে, তা নতুন করে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। কেননা মমতা ব্যানার্জি এই বণ্টনে রাজি নন। ইতিমধ্যে যে সমঝোতা হয়েছিল এবং যাতে মমতা ব্যানার্জির সম্মতি ছিল (ভারত ৭৫ ভাগ, বাংলাদেশ ২৫ ভাগ), তার থেকে বাংলাদেশ এখন আরো বেশ কিছু বেশি পানি পাচ্ছে। এটা মমতাকে না জানিয়েই করা হয়েছে। মমতার আপত্তি এখানেই যে, বাংলাদেশ বেশি পানি পাচ্ছে। চুক্তি স্বাক্ষরের আগেই পশ্চিম দিনাজপুর ও কুচবিহারে বিক্ষোভ হয়েছে। সঙ্গত কারণেই তাই তিস্তার পানিচুক্তি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে।
ভারত বড় দেশ। বড় অর্থনীতি। বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারত বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। সে ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ভারত তার নিজের স্বার্থের ব্যাপারে যথেষ্ট উৎসাহী। এজন্য তিস্তার পানিবণ্টনের ব্যাপারে বাংলাদেশকে কিছুটা 'ছাড়' দিয়েও ভারত বাংলাদেশের কাছ থেকে বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা আদায় করে নিচ্ছে। যাতে করে বাংলাদেশের স্বার্থ কতটুকু রক্ষিত হবে, তা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। ফেনী নদীর পানির একটা অংশ প্রত্যাহারের ব্যাপারেও একটি চুক্তি হবে। এই পানি শোধনাগারে পরিশোধন করে ত্রিপুরায় সুপেয় পানি হিসেবে সরবরাহ করা হবে। কিন্তু এর ফলে ফেনী, ছাগলনাইয়া, পরশুরাম, ফুলগাজী, সোনাগাজী ও মিরসরাই অঞ্চলে বিপর্যয় নেমে আসবে। মুহুরী প্রকল্প বড় ধরনের ঝুঁকির মাঝে থাকবে। ভারত থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় করার ব্যাপারে একটি চুক্তি হওয়ার কথা। এতে করে বাংলাদেশ ভারতের ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার কোম্পানিকে কমিশন দিতে হবে ইউনিট প্রতি ৪ পয়সা হারে। এরপরও রয়েছে হুইলিং চার্জ (সঞ্চালন ফি) ও অবকাঠামো উন্নয়ন। কোনো সমস্যা হলে কোন দেশের আইনে তার সমাধান হবে, তারও কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই। ফলে ভারত থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় করে আমরা কতটুকু লাভবান হবো, এ প্রশ্ন থাকলোই। ভারত থেকে কয়লা আমদানি করে খুলনা ও চট্টগ্রামে দুটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ব্যাপারে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। এতে করে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে ভবিষ্যতে। এই বিদ্যুৎ আমাদের প্রয়োজন রয়েছে সন্দেহ নেই তাতে। কিন্তু যেখানে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে প্রচুর কয়লার সম্ভাবনা রয়েছে, তা উত্তোলন না করে কেন আমরা ভারত থেকে নিকৃষ্টমানের কয়লা আমদানি করার ঝুঁকি গ্রহণ করলাম? এতে করে আমরা কতটুকু লাভবান হব? এর বাইরে যেসব সমঝোতা ও প্রটোকল সাক্ষরিত হবে (সুন্দরবন সুরক্ষা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিটিভি ও দূরদর্শনের মধ্যে চুক্তি, বাঘরক্ষা, স্থল সীমানা চিহ্নিতকরণ ইত্যাদি) তা অত্যন্ত সাদামাটা। এর জন্য এই 'হাই লেভেল ভিজিটের' কোনো প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু এর চেয়েও আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল, যা নিয়ে আলোচনা কিংবা চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে, বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষিত হতো বেশি। বিশেষ করে টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ঘোষণা, বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সব বাংলাদেশি পণ্যের ভারতে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার, পণ্যের স্পর্শকাতর তালিকা বাতিল করা, সাফটার আওতায় স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের বাণিজ্য অধিকার নিশ্চিত করা, সমুদ্রসীমায় বাংলাদেশের দাবির প্রতি সমর্থন, সীমান্ত হত্যা চিরতরে বন্ধের ব্যাপারে কৌশল অবলম্বন ইত্যাদি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ঘোষণা থাকলে, তা বাংলাদেশের স্বার্থরক্ষা করতো। এর একটি ক্ষেত্রেও কোনো চুক্তি, সমঝোতা কিংবা প্রটোকল স্বাক্ষরিত হচ্ছে না। ট্রানজিট নিয়ে কোনো চুক্তি হচ্ছে না সত্য; কিন্তু ট্রানজিটের কাঠামো সম্পর্কে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। অর্থাৎ কীভাবে ট্রানজিট চলবে (১৫টি রুটে ভারত ট্রানজিট চাচ্ছে), তার রূপরেখা নিয়ে দু'পক্ষ (বাংলাদেশ ও ভারত) একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করবে। এর আওতায় চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের সুবিধা পাবে ভারত। এটা নিয়ে বিতর্ক বাড়বে। এমনিতেই ট্রানজিট নিয়ে নানা বিতর্ক। দু'জন উপদেষ্টার ভূমিকা এখন প্রশ্নবিদ্ধ। যেখানে প্রয়োজন ট্রানজিট নিয়ে আঞ্চলিক কানেকটিভিটির আওতায় পূর্ণাঙ্গ একটি চুক্তি, ফি নির্ধারণ, কোন কোন পণ্য চলাচল করবে সে ব্যাপারটি নিশ্চিত করা, পরিবেশ রক্ষার ব্যাপারটি নিশ্চিত করা, তা না করে আমরা কীভাবে ট্রানজিট কার্যকরী হবে সে ব্যাপারে একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি। এতে করে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষিত হবে না।
সামগ্রিক বিচারে মনমোহনের এই সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের প্রাপ্তির ভাগটা কম, ভারতের প্রাপ্তির ভাগটা বেশি। এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে এমন একটা ধারণার জন্ম হতে পারে যে, ভারত বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশের কাছ থেকে বেশি সুবিধা আদায় করে নিচ্ছে। আমরা সমমর্যাদাভিত্তিক সম্পর্ক চাই। মনমোহন সিং আমাদের বন্ধু। ভারত আমাদের বন্ধু দেশ। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার তথা জনগণের ভূমিকা আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি। কিন্তু ভারত যদি একতরফাভাবে সব সুযোগ-সুবিধা আদায় করে নেয়, তাহলে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই সফর প্রশ্নবিদ্ধ হবেই। আমরা চাই ভারত সরকার আরো উদার হবে এবং বাংলাদেশের সমস্যাগুলোর ব্যাপারে আরো নমনীয় হবে। তাই মনমোহন সিংয়ের সফরের দিকে তাকিয়ে থাকবে সারাদেশ। তার একটি ঘোষণা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে আরো উচ্চতায় নিয়ে যাবে। আমরা এমনটাই চাই। 

ড. তারেক শামসুর রেহমান
অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, 
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

0 comments:

Post a Comment