রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

মনমোহনের ঢাকা সফর কতটা ফলপ্রসূ হবে

আগামী ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ঢাকায় আসছেন। যে কোন বিবেচনায় এ সফরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর সোনিয়া গান্ধীসহ একাধিক মন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর এ কথাই প্রমাণ করে যে, বর্তমান সরকারকে ভারত খুব গুরুত্ব দিচ্ছে। ২৯ আগস্ট ঢাকা ঘুরে গেলেন ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশংকর মেনন। ধারণা করা হচ্ছে মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় যেসব চুক্তি হবে, তা চূড়ান্ত করতেই শিবশংকর মেনন ঢাকায় এসেছিলেন। মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় যেসব বিষয়ে চুক্তি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে তিস্তার পানিবণ্টন ও ফেনী নদীর কিছু পানি প্রত্যাহার সংক্রান্ত একটি চুক্তি, ছিটমহল বিনিময়, অপদখলীয় জমি হস্তান্তর ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি। ট্রানজিট সংক্রান্ত কোন চুক্তি হচ্ছে না বলেই জানা গেছে। তবে এটা ঠিক কোন কোন বিষয়ে চুক্তি ও সমঝোতা হবে, তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি। পত্রপত্রিকায় আভাষ দেয়া হচ্ছে মাত্র। কিন্তু নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না। এতে করে বাংলাদেশের স্বার্থ কতটুকু রক্ষিত হবে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেল।
প্রথমেই এসে যায় তিস্তার পানিবণ্টনের প্রশ্নটি। এর সঙ্গে বাংলাদেশের স্বার্থ জড়িত। ১৯৮৭ সালের আগ পর্যন্ত তিস্তা নদীই ছিল উত্তরবঙ্গের প্রধান নদী। কিন্তু পানিবণ্টনের ব্যাপারে ভারতের একগুঁয়েমি, ঢিলেমি ও হটকারিতার ফলে তিস্তা এখন রুক্ষ হয়ে উঠেছে। তিস্তার বুকজুড়ে এখন শুষ্ক মৌসুমে কেবল বালু আর বালু। অন্যদিকে বর্ষাকালে মূল গতিপথ বদলে তিস্তা প্রচণ্ডভাবে আছড়ে পড়ে দুই তীরে। ফলে নির্দয় ভাঙনে ফি বছর ২০ হাজার মানুষ বাড়িঘর, গাছপালা, আবাদি জমি হারিয়ে ভিখেরি হয়ে পড়ে। ১৯৮৫ সালে তিস্তার উৎসমুখে এবং তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্পের মাত্র ৬৫ কিলোমিটার উজানে ভারত গজলডোবা নামক স্থানে ব্যারেজ নির্মাণ করে। এর ফলে তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পটি এখন একরকম অকার্যকর। এ প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ৭ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর কৃষি জমি। তিস্তার শাখা নদীগুলো এখন পানিশূন্য। ৬৫ কিলোমিটার নদী ভরাট হয়ে গেছে এরই মধ্যে। তিস্তার পানিবণ্টনের ব্যাপারে অতীতে বাংলাদেশের প্রস্তাব ছিলÑ তিস্তা নদীর ৮০ ভাগ পানি সমানভাবে ভাগ হবে আর ২০ ভাগ রেখে দেয়া হবে নদীর জন্য। কিন্তু ভারত সে প্রস্তাব গ্রহণ না করে উল্টো তিস্তার কমান্ড এরিয়া তাদের বেশি, এ রকম দাবি তুলে বাংলাদেশ তিস্তার পানির সমান ভাগ পেতে পারে না বলে যুক্তি দেখিয়েছিল। ভারত তিস্তা ব্যারেজের সেচ এলাকা কমিয়ে দ্বিতীয় প্রকল্প বাতিল করার জন্য চাপ দিয়েছিল এবং সর্বশেষ এক চিঠিতে তিস্তার মাত্র ২০ ভাগ পানি ভাগাভাগি করার বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছিল। এখন একটা চুক্তি হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত ক্ষমতাবান উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান সম্প্রতি নয়াদিল্লি সফর শেষ করে আমাদের জানিয়েছিলেন, তিস্তা নদীর ওপর ‘নির্ভরশীল জমি ও জনসংখ্যার ভিত্তিতে’ নদীর পানির ভাগাভাগি হবে। এর ব্যাখ্যা কী? আমরা কি তিস্তা নদীর ওপর নির্ভরশীল আমাদের জমি ও জনসংখ্যার সঠিক পরিসংখ্যান ভারতীয় পক্ষকে দিয়েছি? নাকি ভারত যে পরিসংখ্যান দিয়েছে, সেই পরিসংখ্যান আমরা গ্রহণ করে নিয়েছি? আমি নিশ্চিত নই আগের অবস্থান থেকে আমরা সরে এসেছি কিনা? অবশ্যই একটি চুক্তি ভালো, যদি সেই চুক্তিতে জাতীয় স্বার্থ রক্ষিত হয়। যে চুক্তিতে ভারতীয় স্বার্থ রক্ষিত হবে, সেই চুক্তিকে আমরা সমর্থন করতে পারি না। ১৯৯৬ সালে গঙ্গার পানি চুক্তি আমরা করেছিলাম। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী আমরা পানি পাচ্ছি না। প্রতিবছরই সংবাদপত্রগুলো আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে এ কথাটা। ফেনী নদীর পানি প্রত্যাহার নিয়েও কথা আছে। ভারত ত্রিপুরার সাবরুমে সুপেয় পানির জন্য একটি শোধনাগার নির্মাণ করতে ফেনী নদী থেকে ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানিয়েছিল। এখন শোনা যাচ্ছে ভারত সেচকাজের জন্যও ফেনী নদীর পানি ব্যবহার করতে চায়। ফেনী নদীর পানি প্রত্যাহারের ফলে মুহুরি সেচ প্রকল্পের আওতাধীন চট্টগ্রাম ও ফেনী জেলার ইরি সেচ হুমকির মুখে থাকবে। আমরা কি এটা বিবেচনায় নিয়েছি?
ভারত থেকে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্রয়সংক্রান্ত একটি চুক্তি হবে। কিন্তু এতে কি বাংলাদেশ খুব বেশি লাভবান হবে? বিদ্যুৎ কিনতে ভারতের ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার কোম্পানিকে কমিশন বাবদ ইউনিটপ্রতি ৪ পয়সা করে বছরে ৭ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে। এটা মূলত দালালি ‘ফি’। শুধু তাই নয়, ভারত সীমান্তের যত দূর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে বাংলাদেশকে তত বেশি সঞ্চালন ফি (হুইলিং চার্জ) দিতে হবে। ভারতে খুচরা পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য ২ রুপি। বাংলাদেশ এখন কত টাকায় বিদ্যুৎ কিনবে (প্রতি ইউনিট), তা স্পষ্ট নয়। কোন বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আসবে, তাও আমরা জানি না। বিদ্যুৎ আমদানিতে কোন জটিলতা হলে, তা কোন আইনে হবে, কোথায় মীমাংসা হবে, তাও স্পষ্ট নয়। উপরন্তু ভারত থেকে বিদ্যুৎ আনতে আমাদের অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। সব মিলিয়ে বিদ্যুৎ আনতে আমাদের যে বিনিয়োগ, ওই বিনিয়োগ দিয়ে আমরা স্থানীয়ভাবেই বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারতাম। খুলনা এবং চট্টগ্রামে কয়লাভিত্তিক এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্যও একটি চুক্তি হবে। এই কয়লা আসবে ভারত থেকে, যা অত্যন্ত নিকৃষ্টমানের। এখানে যে প্রশ্নটি করা যায়, তা হচ্ছে যেখানে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে প্রচুর কয়লার সন্ধান পাওয়া গেছে এবং তা উত্তোলিতও হচ্ছে, সেখানে কয়লানীতি প্রণয়ন না করে কেন আমরা ভারতীয় কয়লার ওপর নির্ভরশীল হলাম? এই নির্ভরশীলতার মধ্য দিয়ে জাতীয় স্বার্থ রক্ষিত হবে না।
ছিটমহল ও অপদখলীয় জমি বিনিময়, সাড়ে ছয় কিলোমিটার সীমান্ত চিহ্নিতকরণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সুন্দরবন সুরক্ষা, বিটিভি ও দূরদর্শনের সম্প্রচার বিনিময় ইত্যাদি যেসব চুক্তি বা সমঝোতা হবে, তা আমার বিবেচনায় খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমার বিবেচনায় যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা বা চুক্তি হওয়া উচিত, তা হচ্ছে টিপাইমুখ বাঁধ সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট বক্তব্য, যা যৌথ ইশতেহারে থাকতে হবে। বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ভারতকে উদ্যোগী হতে হবে স্পষ্ট করে। ট্যারিফ, প্যারাট্যারিফের নামে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা চলবে না। এই ট্যারিফ কমানের কোন উদ্যোগ ভারত কখনও নেয়নি। বাণিজ্য ঘাটতি একটি বড় বাধা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতির যে পরিমাণ, তার প্রায় অর্ধেক ভারতের সঙ্গে। ২০১০-১১ সালে এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার, যা এর আগের বছরে ছিল ২ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ঘাটতির পরিমাণ দিনে দিনে বাড়লেও, ঘাটতি কমানোর কোন উদ্যোগ নেই। ভারত অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। যেমন বাংলাদেশের মেলামাইনের চাহিদা ভারতে থাকলেও বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের প্রায় ৩২ ভাগ শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। ভারত বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের কোটা ৮০ লাখ পিছ থেকে বাড়িয়ে ১ কোটিতে উন্নীত করলেও অশুল্কের কারণে বাংলাদেশী পোশাক রফতানিকারকরা উৎসাহী হচ্ছেন না। সম্প্রতি ভারত বাংলাদেশ থেকে আমদানিকৃত সিমেন্টের ওপর অতিরিক্ত ১৮ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। ভারত আগামী ৩ বছরের জন্য ১০ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ২২৪টি পণ্য বাংলাদেশে রফতানি করার অনুমতি চেয়েছে। কিন্তু ভারতে বাংলাদেশী ৬১টি পণ্য শুল্কমুক্তভাবে প্রবেশাধিকারের অনুমতি চেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেই অনুমতি দেয়া হয়নি। দক্ষিণ এশীয় মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (সাফটা) এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বিধান অনুযায়ী ভারতে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নানা ধরনের সুবিধা পাওয়ার কথা। বাংলাদেশ সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে স্বল্পোন্নত। এজন্য বাংলাদেশের বিশেষ সুবিধা পাওয়ার কথা। কিন্তু ভারত সেই সুবিধা বাংলাদেশকে কখনোই দেয়নি। এখন শোনা যাচ্ছে মনমোহনের সফরের সময় এই অশুল্ক বাধা নিয়ে আদৌ কোন আলোচনা হবে না। যেখানে আমাদের স্বার্থ জড়িত, সেই বিষয়গুলো নিয়ে যদি আলোচনা না-ই হয়, তাহলে এই সফরকে আমরা সফল বলতে পারি না।
টিপাইমুখ নিয়ে আদৌ আলোচনার কোন সুযোগ নেই। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের বলেছিলেন, ভারত এমন কিছু করবে না, যাতে বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণœ হয়। কিন্তু সম্প্রতি হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়েছেন নর্থইস্টার্ন ইলেকট্রিক পাওয়ার কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান প্রেমচান্দ পংকজ। তিনি বাঁধ নির্মাণের সত্যতা স্বীকার করেছেন। বাঁধটি নির্মিত হলে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। গ্রীষ্মকালে ৯৪৬ কিলোমিটার এলাকা মরুভূমির ন্যায় শুকনো থাকবে। এই বিষয়টি যৌথ ইশতেহারে থাকবে না কেন? টিপাইমুখ বাঁধ আমাদের জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত।
ট্রানজিট নিয়ে কোন চুক্তি হচ্ছে না। তবে ট্রানজিটের কাঠামোর ব্যাপারে সমঝোতা হতে পারে। অর্থাৎ কীভাবে ট্রানজিট চলবে, এ ব্যাপারে একটি সমঝোতা। ভারত ১৫টি রুটে (নদীপথ, সড়কপথ ও রেলযোগাযোগ) ট্রানজিট চাচ্ছে। ভারত থেকে ঋণ নিয়ে ভারতের জন্যই আমরা অবকাঠামো তৈরি করে দিচ্ছি। ওই ঋণ (১০০ কোটি ডলার) সুদমুক্ত নয়। আমাদের অবকাঠামো ভারত ব্যবহার করবে। আমাদের স্বার্থ এখানে নেই। প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী নয়াদিল্লি সফর করে এসে আমাদের জানিয়ে দিলেন নতুন করে ট্রানজিট চুক্তি করার কোন প্রয়োজন নেই। কেননা ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত ইন্দিরা-মুজিব চুক্তিতে ভারত এই ট্রানজিট সুবিধা পেতে পারে। ড. রিজভীর এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা প্রয়োজন। যদি ১৯৭৪ সালের চুক্তি অনুযায়ী ভারতের ট্রানজিট প্রাপ্তির সুযোগ থাকত, তাহলে ভারত অনেক আগেই এই সুযোগ গ্রহণ করত। অন্তত গওহর রিজভীর বক্তব্যের জন্য অপেক্ষা করত না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর ৫ জন মুখ্যমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে (মমতা ব্যানার্জি-পশ্চিমবঙ্গ, তরুণ গগৈ-আসাম, মানিক সরকার-ত্রিপুরা, মুকুল সাংমা-মেঘালয়, পু লালথান ওয়ালা-মিজোরাম)। এতেই বোঝা যায় ভারতের স্বার্থ কোথায়। ভারত বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে একটি উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা গড়ে তুলতে চায়। এ ধরনের উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষিত হওয়ার আদৌ কোন সম্ভাবনা নেই। ড. মনমোহন সিং আমাদের অতিথি। আমরা অতিথিকে স্বাগত জানাই। কিন্তু বাংলাদেশের স্বার্থ উপেক্ষা করে মনমোহন সিং যেসব চুক্তি ও সমঝোতা স্বাক্ষর করতে যাচ্ছেন, তাতে করে এ দেশের সাধারণ মানুষের সমর্থন তিনি পাবেন না। চুক্তি ও সমঝোতাগুলো হতে যাচ্ছে একপক্ষীয়।
দৈনিক যুগান্তর ৫ই  সেপ্টেম্বর ২০১১
ড. তারেক শামসুর রেহমান
অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

0 comments:

Post a Comment