রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

কবে খুলবে তিস্তার জট?

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মমতা ব্যানার্জি ঢাকায় আসছেন। গত ২৮ মে বিকালে গণমাধ্যমে এটা ছিল ব্রেকিং নিউজ। এর অর্থ কী, কিংবা এর মধ্য দিয়ে তিস্তার পানি বণ্টনের পথটি কি সহজ হয়ে গেল? জট কি খুলল? বাংলাদেশের গণমাধ্যমে এটা যে আলোচনার অন্যতম বিষয় হয়ে থাকবে আরও কিছুদিন, বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদির ঢাকা ত্যাগ করা পর্যন্ত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মমতা ব্যানার্জির রাজনীতি যারা বোঝেন ও স্টাডি করেন, তাদের কাছে সঙ্গত কারণেই তার দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকা সফর বেশ ইন্টারেস্টিং। এখন মোদির সঙ্গে সফরসঙ্গী হয়ে তার ঢাকায় আসার বিষয়টি নানা প্রশ্নের জন্ম দেবে। প্রথমত, তিনি ঢাকায় এলেও এখন তিস্তার পানি বণ্টনের ব্যাপারে একটি চুক্তি হবে এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। কারণ এটা পশ্চিমবঙ্গে একটি রাজনৈতিক ইস্যু। তিস্তার পানি বণ্টনকে ইস্যু করে তিনি উত্তরবঙ্গে তার জনপ্রিয়তা বাড়াতে চান। এখন যদি চুক্তি হয় এবং তাতে যদি বাংলাদেশের শতকরা ৫০ ভাগের ওপর পানি প্রাপ্তি নিশ্চিত হয়, তা তার ভোট কাটবে। তিনি জনপ্রিয়তা হারাবেন। ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার নির্বাচন। এ ঝুঁকি তিনি এ মুহূর্তে নেবেন না। একটি সমঝোতায় তিনি রাজি হতে পারেন। তবে তা বিধানসভার নির্বাচনের পর। মোদির ঢাকা সফরের সময় তিস্তা চুক্তি যে হচ্ছে না, রোববার দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ তা স্পষ্ট করেছেন। এবার ঢাকায় এসে মমতা সেই পুরনো কথাই বলবেন- তার ওপর আস্থা রাখতে বলবেন। দ্বিতীয়ত, তিস্তার পানি বণ্টনের ব্যাপারে তিনি একবার একটি ফর্মুলা দিয়েছিলেন- শতকরা ৭৫ ভাগ পানি পশ্চিমবঙ্গের জন্য রেখে বাকি পানি বাংলাদেশকে দেয়া। এ ফর্মুলায় বাংলাদেশ রাজি হবে, এটা মনে হয় না। তৃতীয়ত, মমতা ব্যানার্জি পশ্চিমবঙ্গের পানি বিশেষজ্ঞ কল্যাণ রুদ্রকে আহ্বায়ক করে একটি কমিশন গঠন করেছিলেন। তাদের দায়িত্ব ছিল তিস্তার পানি বণ্টনের ব্যাপারে একটা সুপারিশ করা। রুদ্র কমিশন তার সুপারিশে উল্লেখ করেছিলেন এবং যার আংশিক রিপোর্ট পশ্চিমবঙ্গের সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে তিনি অভিমত দিয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের চাহিদা মিটিয়েও বাংলাদেশে তিস্তার ৫০ ভাগ পানি দেয়া সম্ভব। তিনি এও মত দিয়েছিলেন ম্যানেজমেন্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিস্তার পানি মজুদ করার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রণব কুমারও তার সঙ্গে একমত হয়েছিলেন। কিন্তু যতদূর জানা যায় মমতা ব্যানার্জি রুদ্র কমিশনের মতামতের ব্যাপারে সন্তুষ্ট ছিলেন না, যে কারণে এ রিপোর্টটি তিনি প্রকাশ করেননি। আজ তিনি সেই রুদ্র কমিশনের ফর্মুলায় পানি ভাগাভাগিতে রাজি হবেন, এটা মনে হয় না। চতুর্থত, তাহলে তিনি নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ঢাকায় সফরসঙ্গী হতে রাজি হলেন কেন? অতীতে মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে তার ঢাকায় আসা চূড়ান্ত হলেও শেষ মুহূর্তে তিনি বেঁকে বসেন। তাহলে এবার আসছেন কেন? যদি চুক্তি নাই হয়, তাহলে তার ঢাকায় উপস্থিতি কেন? এখানে বেশকিছু সম্ভাবনা আছে। একটি প্যাকেজ ডিলের আওতায় তিনি স্থলসীমান্ত চুক্তি সমর্থন করেছিলেন। রাজ্যসভায় তৃণমূল সমর্থন না করলে বিলটি পাস হতো না। কেন্দ্র থেকে তার আর্থিক সাহায্য ও সহযোগিতা দরকার। নরেন্দ্র মোদি এ আর্থিক সহযোগিতার বিষয়টিকে তার স্বার্থে ব্যবহার করেছেন। তার ঢাকায় আসার ব্যাপারেও সেই মানসিকতা কাজ করেছে।নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে কানেকটিভিটির প্রশ্নটি। তিনি ভারতের এক অঞ্চলকে অন্য অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত করতে চান বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে। আসাম, মেঘালয় ও পশ্চিমবঙ্গ এ তিনটি রাজ্য এ প্রক্রিয়ায় জড়িত। মোদি এজন্যই চেয়েছেন এ তিন রাজ্যের তিন মুখ্যমন্ত্রী ঢাকায় যাবেন। তাই মমতা আসছেন। তিস্তা এক্ষেত্রে প্রধান বিষয় নয়। অনেক পরিকল্পনা তিনি বাস্তবায়ন করতে পারবেন না, যদি না কেন্দ্র আর্থিকভাবে তাকে সাহায্য করে। সামনে নির্বাচন। মমতা এ ঝুঁকিটি নিতে চাইবেন না।পঞ্চমত, কেন্দ্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইর একটি চাপ আছে মমতার ওপর। সারদা কেলেংকারি, তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ওপর সিবিআই তার নজরদারি বাড়িয়েছে। ফলে এ চাপকে অনেকটা নিউট্রাল করতে তিনি মোদির সঙ্গে ঢাকায় আসতে রাজি হয়ে থাকতে পারেন। ষষ্ঠত, মমতা ব্যানার্জি আবার বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটে যোগ দিতে পারেন। এক সময় তিনি এ জোটে ছিলেন। কেন্দ্রের রেলমন্ত্রী ছিলেন। আবার বেরিয়েও এসেছিলেন। আগামীতে পশ্চিমবঙ্গে তার বিজয় নিশ্চিত করতে এবং সব কেলেংকারি থেকে মুক্ত হতে তিনি যদি আবারও এনডিএ জোটে ফিরে যান, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। সপ্তমত, যতদূর জানা যায় তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে ঢাকায় আসেননি একটাই কারণে। আর তা হচ্ছে মমতাকে উপেক্ষা করে কেন্দ্র এককভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি করতে চাচ্ছিল, যা মমতার মনঃপুত হয়নি। ভারতের সংবিধানে রাজ্য সরকারের কিছুটা অধিকার স্বীকৃত। রাজ্য সরকারকে উপেক্ষা করে কেন্দ্র এককভাবে কোনো চুক্তি করতে পারে না। এবার মোদি তাকে কথা দিয়েছেন তিনি ঢাকায় তিস্তার ব্যাপারে কোনো চুক্তি করবেন না এবং তিস্তার ব্যাপারে ঢাকার সঙ্গে কোনো কথা হবে না। যদি কথা বলতেই হয়, এ ব্যাপারে মমতাই কথা বলবেন। অষ্টমত, নরেন্দ্র মোদির এক নম্বর এজেন্ডা কানেকটিভিটির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গসহ সাত বোন রাজ্যের ৪টি জড়িত। এজন্য তিনি ৫ জন মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়েই ঢাকায় আসছেন (ত্রিপুরার মানিক সরকার, মেঘালয়ের মুকুল সাংমা, আসামের তরুন গগৈ, মিজোরামের লালখান হাওলা এবং পশ্চিমবঙ্গের মমতা ব্যানার্জি)। তার উদ্দেশ্য একটাইÑ বাংলাদেশকে দেখানো তার সিদ্ধান্তের পেছনে বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষা ৫ রাজ্যের সমর্থন রয়েছে। নবমত, বাংলাদেশ সফর সফল করতে হলে নরেন্দ্র মোদির মমতাকে চাই-ই। স্থলসীমানা চুক্তি কার্যকর হলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সবচেয়ে বেশি জমি পাবে বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে ঢাকায় জমি হস্তান্তরের যে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হবে, তাতে মমতা ব্যানার্জির উপস্থিতির প্রয়োজন রয়েছে (একই কথা প্রযোজ্য আসামের ক্ষেত্রেও)। তাই মমতা আসছেন। এটা নিঃসন্দেহে নরেন্দ্র মোদির বড় সাফল্য। তিনি মমতা ব্যানার্জিকে আস্থায় নিতে পেরেছেন।এখন মমতা ব্যানার্জি আসছেন বটে। কিন্তু তিস্তার জট এ মুহূর্তেই খুলবে, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। উল্লেখ্য, তিস্তা একটি আন্তর্জাতিক নদী। সিকিম হয়ে ভারতের দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি হয়ে পশ্চিমবঙ্গের ডুয়ারের সমভূমি দিয়ে চিলাহাটি থেকে চার-পাঁচ কিলোমিটার পূর্বে বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার উত্তর খড়িবাড়ির কাছে ডিমলা উপজেলার ছাতনাই দিয়ে প্রবেশ করেছে তিস্তা নদী। ছাতনাই থেকে এ নদী নীলফামারীর ডিমলা, জলঢাকা, লালমনিরহাটের সদর, পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, রংপুরের কাউনিয়া, পীরগাছা, কুড়িগ্রামের রাজারহাট, উলিপুর হয়ে চিলমারীতে গিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে মিশেছে। ডিমলা থেকে চিলমারী এ নদীর বাংলাদেশ অংশের মোট ক্যাচমেন্ট এরিয়া প্রায় ১ হাজার ৭১৯ বর্গকিলোমিটার।১৯৭২ সালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশন গঠনের পর তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ১৯৮৩ সালের জুলাইয়ে দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের এক বৈঠকে তিস্তার পানি বণ্টনে শতকরা ৩৬ ভাগ বাংলাদেশ ও ৩৯ ভাগ ভারত এবং ২৫ ভাগ নদীর জন্য সংরক্ষিত রাখার বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। কিন্তু ওই সিদ্ধান্তে তিস্তার পানি প্রবাহের পরিমাণ বা কোন জায়গায় পানি ভাগাভাগি হবে এ রকম কোনো বিষয় উল্লেখ না থাকায় তা আর আলোর মুখ দেখেনি। ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে তিস্তার পানি ৮০ ভাগ দুদেশের মধ্যে বণ্টন করে বাকি ২০ ভাগ নদীর জন্য রেখে দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ভারত সেই প্রস্তাবে রাজি না হয়ে উল্টো তিস্তার কমান্ড এরিয়া তাদের বেশি দাবি তুলে বাংলাদেশ তিস্তার পানির সমান ভাগ পেতে পারে না- এ দাবি উত্থাপন করেছিল। এরপর আর তিস্তার পানি বণ্টনের জট খোলেনি।এখানে বলা ভালো, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী, রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট ও বগুড়া জেলার ৩৫টি উপজেলায় তিস্তা সেচ প্রকল্প থেকে বর্ষা মৌসুমে সম্পূরক ও শুষ্ক মৌসুমে সেচ দেয়ার উদ্দেশ্যে ১৯৭৯ সালের আগস্টে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের প্রথম ফেস কাজের উদ্বোধন করা হয়। এরপর ভারত ১৯৮৫ সালে তিস্তার উৎসমুখে এবং তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের মাত্র ৬৫ কিলোমিটার উজানে গজলডোবা নামক স্থানে গজলডোবা ব্যারাজ নির্মাণ করে। এর ফলে তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পটি সেচ প্রদানে অকার্যকর হয়ে পড়ে। এ সেচ প্রকল্পের উপকৃত এলাকা ৭ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর। এদিকে কিশোরগঞ্জ উপজেলার (নীলফামারী জেলার অন্তর্গত) বাহাগিলি নামক স্থানে তিস্তা প্রকল্পের দ্বিতীয় প্রকল্পের কাজও হাতে নেয়া হয়েছে। এ কাজ সম্পন্ন হলে রংপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলার ৪ লাখ ৪৮ হাজার হেক্টর জমি সেচের আওতায় আসবে। কিন্তু পানির অভাবে তিস্তা এখন শুধু নামেই আছে। পানি নেই বললেই চলে। ভরাট হয়ে গেছে ৬৫ কিলোমিটার নদী।তিস্তা আন্তর্জাতিক নদী হওয়ায় জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পানি প্রবাহ কনভেনশন ১৯৯৭ অনুযায়ী বাংলাদেশের পানি প্রাপ্তি সেখানে স্বীকৃত। এখানে ভারতের কাছে চাওয়ার কিছু নেই। মমতা ব্যানার্জির আপত্তিও গ্রহণযোগ্য নয়। তিস্তা চুক্তি হওয়াটা বাঞ্ছনীয়। তিস্তা চুক্তি না হলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যাবে না। এখন মমতা ব্যানার্জি ঢাকায় এলে নরেন্দ্র মোদির হাত শক্তিশালী হবে বটে; কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের যে প্রত্যাশা, তা পূরণ হবে না। নরেন্দ্র মোদির সফরে বেশ কটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। কানেকটিভিটির আওতায় যে কটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে, তাতে করে বাংলাদেশের স্বার্থ কতটুকু রক্ষিত হবে, সে প্রশ্ন উঠতেই পারে। ভারতীয় ঋণ প্রকল্প নিয়েও কথা আছে। সাপ্লায়ার্স ক্রেডিটে নেয়া এসব ঋণ প্রকল্প বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করতে পারবে না। বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট যেসব বিষয় রয়েছে, সেসব বিষয়ে ভারত যদি কোনো সুস্পষ্ট পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে নরেন্দ্র মোদির সফর নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। বাণিজ্যে ভারসাম্যহীনতা কমানো, শুল্ক-অশুল্ক বাধা দূর করা, নৌ ট্রানজিটের আওতায় তৃতীয় পক্ষকে অন্তর্ভুক্ত করা (এ ক্ষেত্রে নেপাল ও ভুটান), আঞ্চলিক সহযোগিতার আলোকে বাংলাদেশের জ্বালানি ও পানি সমস্যার সমাধান করা- এ সবই বাংলাদেশের অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে। বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে, নরেন্দ্র মোদির সফরে এসব বিষয়েরও জট খুলবে।নরেন্দ্র মোদি আসছেন। নিঃসন্দেহে এটা আমাদের জন্য সুখবর। ভারত বড় অর্থনীতির দেশ। আমাদের উন্নয়নে ভারত বড় ভূমিকা রাখতে পারে। ভারত সমমর্যাদার দৃষ্টিতে আমাদের দেখবে, আমরা সেটাই প্রত্যাশা করি। ৫ জন মুখ্যমন্ত্রীকে সফরসঙ্গী করে নরেন্দ্র মোদি বোধকরি একটি মেসেজই দিতে চাচ্ছেন- সীমান্তবর্তী এ রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ভারতের অগ্রাধিকার তালিকার শীর্ষে। আর এ কানেকটিভিটির বিষয়টিই তার কাছে মুখ্য। কিন্তু বাংলাদেশ চায় কানেকটিভিটির পাশাপাশি ভারত তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টিও ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখুক। মমতা ব্যানার্জিকে আস্থায় নেয়ার দায়িত্বটি নরেন্দ্র মোদির। এ দায়িত্ব বাংলাদেশের নয় Daily Jugantor 02.06.15

0 comments:

Post a Comment