রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

মোদির ঢাকা সফর ও চীন ফ্যাক্টর


মোদির ঢাকা সফর শেষ হয়েছে অনেক আগে। কিন্তু যে বিষয়টি আলোচনা হয়েছে কম, তা হচ্ছে একটি 'চীনা ফ্যাক্টর' তার এই সফরের পেছনে কাজ করছিল। অর্থাৎ এ অঞ্চলে চীনের প্রভাব হ্রাস করার একটা স্ট্র্যাটেজি নিয়েই মোদি ঢাকায় এসেছিলেন। ঢাকার ব্যাপারে ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের আগ্রহ অনেক দিনের। এখানে চীনের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব বাড়ছে। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চীনের বর্তমান সরকারের সম্পর্কও ভালো। প্রধানমন্ত্রী চীন থেকেও ঘুরে এসেছেন। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীতে চীনের একটা অলিখিত প্রভাব রয়েছে। সেনা অফিসারদের একটা অংশ চীনে প্রশিক্ষিত। বিমানবাহিনী চীনা বিমানে সুসজ্জিত। ভারতের নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা এটা ভালো চোখে দেখছেন না। এ অঞ্চলে অন্য কেউ প্রভাব খাটাক এটা ভারত চায় না। শ্রীলঙ্কায় চীনের খুব কাছের বন্ধু প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসেকে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত, ভুটানে চীনা দূতাবাস খোলার ব্যাপারে আপত্তি এবং নেপালে ক্রমবর্ধমান চীনা প্রভাবে ভারতের অসন্তুষ্টি প্রমাণ করে ভারত চীনকে পুরোপুরি আস্থায় নিতে পারছে না। বলাই বাহুল্য, পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় চীনা পণ্যের বিশাল এক 'বাজার' সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে ভারতীয় পণ্য জায়গা করে নিতে পারছে না। 'বাজার' ধরে রাখার ব্যাপারে চীন ও ভারতের মধ্যকার দ্বন্দ্ব এখন আগের চেয়েও স্পষ্ট। তবে এটাও সত্য, চীনের ব্যাপারে ব্যক্তিগতভাবে মোদির একটি আগ্রহ রয়েছে। যখন তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন একাধিকবার তিনি বেইজিং সফর করেছেন এবং 'চীনা মডেলে' আগ্রহান্বিত হয়েছিলেন। গুজরাটে বড় চীনা বিনিয়োগ রয়েছে। উপরন্তু গেল বছরের সেপ্টেম্বরে চীনা প্রেসিডেন্ট তাঁর ভারত সফরে নয়াদিল্লি না নেমে সরাসরি আহমেদাবাদ বিমানবন্দরে নেমেছিলেন। এবং সব প্রটোকল ভেঙে নরেন্দ্র মোদি তাঁকে বিমানবন্দরে সংবর্ধনা জানিয়েছিলেন। তাই চীন-ভারত সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই। ব্রিকস ব্যাংক গঠনের উদ্যোক্তা এই দুটি দেশ। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় সাত হাজার কোটি মার্কিন ডলার, যা কি না চলতি বছর ১০ হাজার কোটি ডলারে নিয়ে যেতে চান উভয় দেশের নেতারা। যদিও এটা সত্য, বাণিজ্য ঘাটতি ২০০১-০২ সালে যেখানে ছিল মাত্র ১০০ কোটি ডলার, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার হাজার কোটি মার্কিন ডলারে। এখন এই বাণিজ্য ব্যবধান কিভাবে কমিয়ে আনা যায়, দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাবকে কিভাবে সংকুচিত করা যায় সে চেষ্টাই নরেন্দ্র মোদি করবেন। এটা তাঁর বৈদেশিক নীতির অংশ। তবে কতটুকু তিনি সফল হবেন, এ প্রশ্ন থাকবেই। কেননা ভারতের অনেক কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রকাশ্যেই চীনা নেতারা তাঁদের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। অনেকেই স্মরণ করতে পারেন ভারত মহাসাগরভুক্ত দেশগুলোকে নিয়ে গঠিত 'ইন্ডিয়ান ওসেন রিম' বা আইওআরের একটি শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ভারতের ওড়িশা রাজ্যের রাজধানী ভুবনেশ্বরে গত ২০-২২ মার্চ। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। ভারত মহাসাগরভুক্ত বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া আইওআরের সদস্য। এই সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এমন একটি সময়, যখন ভারতের নয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের পররাষ্ট্রনীতিকে নতুন করে সাজাচ্ছেন। তাঁর পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা এবং সেই সঙ্গে এশিয়ায় ভারতকে অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত করা। ইতিমধ্যে মালদ্বীপ ও পাকিস্তান বাদে তিনি দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় প্রতিটি দেশ সফর করেছেন। তাঁর পররাষ্ট্রসচিবও 'সার্ক যাত্রার' অংশ হিসেবে সার্কভুক্ত প্রতিটি দেশ সফর করেছেন। ভুবনেশ্বর শীর্ষ সম্মেলনের আগে নরেন্দ্র মোদি মরিশাস, সিসিলি ও শ্রীলঙ্কা সফর করেছেন। মরিশাসে সফরের সময় সে দেশের সঙ্গে সেখানে একটি ভারতীয় নৌ ঘাঁটি স্থাপনের ব্যাপারে চুক্তি হয়েছে। এর অর্থ পরিষ্কার, ভারত ভারতীয় মহাসাগরে তার আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এ ব্যাপারে মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে একটি মৈত্রী জোট গড়ার উদ্যোগ নিয়েছিল ভারত। এবং ওই জোটে মরিশাস ও সিসিলিকে পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকার আমন্ত্রণও জানানো হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূল থেকে শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ মধ্যাঞ্চলের সিসিলি, মরিশাস কিংবা সুদূরের ওমান-মোজাম্বিকও এই প্রক্রিয়ায় একীভূত হয়ে উঠেছে। অর্থনৈতিকভাবে এ অঞ্চলের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। ভারত তাই এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক শক্তিকে ব্যবহার করে অন্যতম শক্তি হিসেবে বিশ্ব রাজনীতিতে আবির্ভূত হতে চায়। এ ক্ষেত্রে তার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে চীন। চীন যে তার 'মেরিটাইম সিল্করুট'-এর কথা বলছে, সেই 'সিল্করুট'-এর সঙ্গে ভারতের এই অর্থনৈতিক স্বার্থ সাংঘর্ষিক। চীন ও ভারতের স্বার্থ মূলত এক ও অভিন্ন-ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজ নিজ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা। ফলে চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক উন্নয়নের যে সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে, তা এখন রীতিমতো ভস্মের মুখে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, গেল সেপ্টেম্বরে চীনা প্রেসিডেন্টের ভারত সফর ও আহমেদাবাদ বিমানবন্দরে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কর্তৃক তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ছাত্রদের সেই পঞ্চাশের দশকের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের কথা মনে করিয়ে দিলেও অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে অতিসম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে আস্থার সম্পর্কে কিছুটা ঘাটতি দেখা দিয়েছে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি (২০১৫) প্রধানমন্ত্রী মোদি অরুণাচল সফর করেন। সেখানে তিনি রেলপথ ও বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করেন। এর প্রতিবাদ জানিয়েছিল চীন। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে তখন বলা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী মোদির অরুণাচল সফরকে সমালোচনা করে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া ওই বিবৃতিতে বলা হয়, চীনা সরকার কখনোই 'অরুণাচল প্রদেশ'কে স্বীকৃতি দেয়নি। বেইজিংয়ের মতে, চীনের অন্তর্গত তিব্বতের মারিযুল, লোয়ুল ও নিম্ন সায়ুল এলাকা নিয়ে অরুণাচল প্রদেশ গড়েছে নয়াদিল্লি। ওই এলাকাগুলো এখনো ভারতের 'বেআইনি দখলদারি'র কবলে রয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই অভিমত সংগত কারণেই দুই দেশের সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলবে। অনেকেই স্মরণ করতে পারেন, কিছুদিন আগে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুজিও কিসিদা ভারতে এসেছিলেন। সেখানে তিনি অরুণাচল প্রদেশ যে ভারতের, সে ব্যাপারে বক্তব্য দিয়েছিলেন। কিসিদার ওই বক্তব্যে চীন ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল। চীন মনে করে, ভারত জাপানকে চীনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে।
নরেন্দ্র মোদি দায়িত্ব গ্রহণ করার পর তিনি চীনও সফর করেছেন। কিন্তু তাতে করে দুই দেশের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক বেড়েছে, এটা বলা যাবে না। চীন গভীর আগ্রহের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির 'নেইবারডে পলিসি' অর্থাৎ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের সম্পর্ককে পর্যবেক্ষণ করছে। মোদির ঢাকা সফরও এই পর্যবেক্ষণ থেকে বাদ যায়নি। গত ৮ জুন মোদির ঢাকা সফরের পর ভারতীয় পত্রিকা হিন্দুস্তান টাইমস একটি চীনা পর্যবেক্ষণ প্রকাশ করে। সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়া মন্তব্য করে যে মোদি তাঁর ঢাকা সফর শেষ করেছেন বাংলাদেশকে তিস্তার পানি বণ্টনে 'তৃষ্ণার্ত' রেখে ও 'হতাশায়' রেখে। সিনহুয়ার প্রতিবেদনে ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার জন্য মোদি যে অভিযুক্ত হয়েছিলেন, সে কথাটাও উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স ২৮ মে নয়াদিল্লি থেকে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনটি লিখেছিলেন সঞ্জীব মিগলানি। ওই প্রতিবেদনে এটা উল্লেখ করা হয়েছিল যে মোদি ঢাকা যাচ্ছেন। কিন্তু তাঁর মাথায় আসছে চীনের প্রসঙ্গটি। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে চীনের ওপর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নির্ভরশীলতার কথা।
স্টকহোম পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে চীন বিশ্বে যে অস্ত্র বিক্রি করে, বাংলাদেশ সেই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ ২০১৯ সালের মধ্যে চীন থেকে ২১৯ মিলিয়ন ডলার মূল্যের একটি সাবমেরিন ক্রয় করবে, এমন তথ্যও ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। চীনের 'মুক্তার মালা' স্ট্র্যাটেজির আওতায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম বন্দর ভবিষ্যতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে, এমন একটি আশঙ্কা ভারতের ছিল, যা টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনেও প্রকাশ পেয়েছে। ফলে মোদির ঢাকা সফরের সময় এই 'চীনা কার্ডটি' যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। তবে এটাও সত্য, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ছাত্ররা এমন ধারণা রাখেন এবং জানেন চীনের বৈদেশিক নীতি এখন বিনিয়োগ ও ব্যস্ততানির্ভর। চীনারা কোনো দেশে তাদের রাজনৈতিক প্রভাবের চেয়ে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী। চীনারা ব্যবসা বোঝে। ব্যবসা চায়। মোদি সরকারও একটি 'ব্যবসা ও বিনিয়োগনির্ভর' নীতি গ্রহণ করেছে। ভারতে যথেষ্ট চীনা বিনিয়োগ রয়েছে। ফলে হঠাৎ করেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। দুই দেশই চাইবে তার নিজ নিজ স্বার্থ আদায় করে নিতে। আগামী শতাব্দী হবে চীন ও ভারতের। চীন বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনীতি আর ভারত তৃতীয় কিংবা চতুর্থ অর্থনীতি। ফলে ওই দুটি বড় অর্থনীতির মধ্যে সম্পর্ক যদি ভালো থাকে, তাহলে তা বিশ্বের স্থিতিশীলতার জন্যও মঙ্গল। এ জন্যই বেইজিংয়ে মোদি দুই দেশের সম্পর্ককে একুশ শতকের মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। এখন দেখার পালা, এই 'মাইলফলক' বক্তব্যটির বাস্তবে কতটুকু প্রতিফলন ঘটে। চীনারা সাধারণত অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ঘটনায় নাক গলায় না, তারা হস্তক্ষেপও করে না, যা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা করে। ফলে এখানে দুই দেশের অ্যাপ্রোচের ক্ষেত্রে পার্থক্য রয়েছে। একটা মিল অবশ্যই আছে আর তা হচ্ছে-দুই দেশের পররাষ্ট্রনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্যনির্ভর ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে প্রাধান্য দিয়েছে বেশি। এ জন্যই এক ধরনের 'প্রতিযোগিতা' থেকে যাবেই। বাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বের জন্ম হওয়া বিচিত্র কিছু নয়। তবে নিঃসন্দেহে এটা বলা যায়, মোদির ঢাকা সফর একটি বিশাল প্রত্যাশা জাগিয়ে শেষ হয়েছে। ব্যবসা ও বিনিয়োগনির্ভর বেশ কিছু চুক্তি ও এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে করে বাংলাদেশে ভারতের অবস্থান আরো শক্তিশালী হয়েছে। যদিও এটা সত্য, বাংলাদেশের অনেক আশাই এই সফরের মধ্য দিয়ে পূরণ হয়নি। কৌশলগত দিক দিয়ে মোদির এ সফর একটি সফল সফর। তিনি বাংলাদেশি নেতাদের আস্থায় নিতে পেরেছেন। এতে করে বাংলাদেশে চীনা প্রভাব হ্রাস ও চীনের নয়া নেতৃত্ব যে 'ওয়ান রোড, ওয়ান বেল্ট' কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, তাতে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণের সম্ভাবনা হ্রাস পেলেও, অতীতে বাংলাদেশ চীন ও ভারতকে ব্যালেন্স করে একটি ভারসাম্যমূলক পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করলেও, মোদির সফরের মধ্য দিয়ে এই সম্পর্কটি কিছুটা হলেও ভারতের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। মোদির বাংলাদেশ সফরের সাফল্য এখানেই।

0 comments:

Post a Comment