রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

মিয়ানমারকে কতটুকু আস্থায় নেওয়া যায়

বিজেবির একজন সদস্য নায়েক আবদুর রাজ্জাককে অপহরণ এবং তাকে ফেরত দেওয়ার পর একটি প্রশ্ন এখন বিভিন্ন মহলে আলোচিত হচ্ছে, মিয়ানমারকে কতটুকু আস্থায় নেওয়া যায়? আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে মিয়ানমারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান রয়েছে, সন্দেহ নেই তাতে। কিন্তু তা সত্ত্বেও মিয়ানমারের আচরণ দুই দেশের সম্পর্ককে এখন একটা বড় প্রশ্নের মাঝে ঠেলে দিয়েছে। মূলত রোহিঙ্গা-ইস্যুকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে অবনতি ঘটিয়েছে। অতীতে মিয়ানমার তার কথা রাখেনি। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের তারা ফিরিয়ে নেয়নি। যদিও দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় তারা কথা দিয়েছিল। সে কথা রাখেনি তারা। উপরন্তু সাম্প্রতিককালে শত শত রোহিঙ্গাকে বাধ্য করেছে অথবা প্রলোভন দেখিয়ে সাগরে ভাসতে বাধ্য করেছিল। সাগর-ভাসা শত শত রোহিঙ্গাকে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার উদ্যোগ সফল না হলেও বিষয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যথেষ্ট গুরুত্ব পেয়েছিল। এ ঘটনার রেশ ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই আবার ঘটেছিল রাজ্জাকের অপহরণের ঘটনা। স্পষ্টতই মিয়ানমারের এই ভূমিকা তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
শেষ পর্যন্ত নায়েক রাজ্জাকের অপহরণের এ ঘটনা দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন করে নানা প্রশ্নের মাঝে ঠেলে দিয়েছে। বাংলাদেশের উচিত হবে না মিয়ানমারের ফাঁদে পা দেওয়া। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ‘স্মার্ট ডিপ্লোম্যান্সি’ (ঝসধৎঃ উরঢ়ষড়সধপু) প্রদর্শন করতে হবে। মিয়ানমারের সঙ্গে কোনো ধরনের সংঘাতে না গিয়ে বাংলাদেশের নিজস্ব স্বার্থ উদ্ধারে কাজ করে যেতে হবে। কেননা বাংলাদেশের কাছে মিয়ানমার নানাবিধ কারণেই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমেই আসে এর ভৌগোলিক অবস্থানগত গুরুত্বের কথা। প্রায় ৩ লাখ ৭৭ হাজার বর্গকিলোমিটার ভূখ- নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলে মিয়ানমার দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। মিয়ানমারের পশ্চিমে বাংলাদেশ, পশ্চিম ও উত্তরে ভারত, উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে চিন, পূর্বে থাইল্যান্ড ও লাওস। মিয়ানমারের এই ভৌগোলিক অবস্থানের সুযোগ নিতে পারে বাংলাদেশ। মিয়ানমারের সঙ্গে যে সড়ক যোগাযোগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তাতে করে বাংলাদেশ তার পণ্য নিয়ে সড়কপথে কেবল মিয়ানমারের বাজারেই নয়, বরং মিয়ানমার সরকারের সহযোগিতা নিয়ে পূর্বের অন্যান্য দেশের বাজারেও প্রবেশ করতে পারে (বিশেষ করে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর বাজারে)। ঘুমধুম-মুসে হাইওয়ে চালু হলে সড়কপথেই চিনে যাওয়া সম্ভব। ঘুমধুম বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশি এলাকা। আর মুসে হচ্ছে চিনের সীমান্ত শহর।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্কের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে উভয় দেশই বিমসটেক (ইওগঝঞঊঈ পরিবর্তিত নাম ইইওগঝঞঊঈ) এবং ইঈওগ জোটের সদস্য। যদিও প্রস্তাবিত ইঈওগ জোটটি এখনো আলোর মুখ দেখেনি। ভুটান ও নেপাল বিমসটেক জোটে যোগ দেওয়ায় এ জোটটি শক্তিশালী হয়েছে। এই জোটের উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলংকা ও থাইল্যান্ডে একটি মুক্তবাণিজ্য অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা। মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধিতে চট্টগ্রামে মিয়ানমারের কাঁচামালভিত্তিক ব্যাপক শিল্প-কারখানা স্থাপিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষিভিত্তিক মিয়ানমারে বাংলাদেশি সারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মিয়ানমার সীমান্তসংলগ্ন চট্টগ্রাম এলাকায় বেশ কিছু সার কারখানা স্থাপন করে বাংলাদেশ মিয়ানমারে সার রপ্তানি করতে পারে। মিয়ানমারের আকিয়াব ও মংডুর আশপাশের অঞ্চলে প্রচুর বাঁশ, কাঠ ও চুনাপাথর পাওয়া যায়। এসব কাঁচামালের ওপর ভিত্তি করে চট্টগ্রাম অঞ্চলে সিমেন্ট ও কাগজশিল্প বিকশিত হতে পারে। মিয়ানমারে প্রচুর জমি অনাবাদি রয়েছে। এ অবস্থায় মিয়ানমারের ভূমি লিজ নিয়ে বাংলাদেশের জন্য চাল উৎপাদনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা যেতে পারে। মান্দালয়-ম্যাগওয়ের তুলা আমদানি করতে পারে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ তার ক্রমবর্ধিষ্ণু গার্মেন্ট সেক্টরের কাঁচামাল হিসেবে তুলা মিয়ানমারের এই অঞ্চল থেকে আমদানি করতে পারে। গবাদি পশু আমদানি করার সম্ভাবনাও রয়েছে। বাংলাদেশিরা মিয়ানমারে গবাদিপশুর খামারও গড়ে তুলতে পারে। মিয়ানমারের সেগুন কাঠ পৃথিবী-বিখ্যাত। আমাদের ফানির্চার শিল্পের চাহিদা মেটাতে পারে এই সেগুন কাঠ, যার ওপর ভিত্তি করে আমরা মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপে আমাদের ফার্নিচার শিল্পের প্রসার ঘটাতে পারি। মিয়ানমারে মূল্যবান পাথর, যেমন রুবি, জেড, মোম আর মার্বেলসমৃদ্ধ। এসব মূল্যবান পাথর আমাদের জুয়েলারি শিল্পকে সমৃদ্ধ করে ভ্যালু-এডিশনের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়ক হতে পারে। ভারত-মিয়ানমার প্রস্তাবিত গ্যাস পাইপলাইন থেকে ভবিষ্যতে বাংলাদেশও উপকৃত হতে পারে। ভারতীয় কোম্পানি রিলায়েন্স মিয়ানমারের গভীর সমুদ্রে গ্যাস উত্তোলনে নিয়োজিত রয়েছে। এই গ্যাস তারা পাইপলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতে নিয়ে যেতে চায়। অতীতে এ ব্যাপারে বাংলাদেশের আপত্তি ছিল। এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। বাংলাদেশ মিয়ানমারের গ্যাস ব্যবহার করে সেখানে বিদ্যুৎ তথা জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে, যা পরে বাংলাদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, বাংলাদেশের যে পূর্বমুখী পররাষ্ট্রনীতি, সেখানে মিয়ানমার একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। এ কারণে মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। রোহিঙ্গা-ইস্যু এবং সর্বশেষ নায়েক রাজ্জাকের অপহরণের ঘটনায় এই সম্পর্কে কিছুটা অবিশ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এই অবিশ্বাসকে নিয়ে বেশিদূর যাওয়া ঠিক হবে না। একমাত্র ঝসধৎঃ উরঢ়ষড়সধপু-র মাধ্যমেই বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ককে আগের অবস্থায় নিয়ে যেতে পারে। একদিকে মিয়ানমারের ওপর ‘চাপ’ প্রয়োগ অব্যাহত রাখতে হবে, আর অন্যদিকে মিয়ানমারের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে রোহিঙ্গা বিষয়টির সমাধান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনোভাবেই মিয়ানমারের চাপের কাছে আমাদের আত্মসমর্পণ করা যাবে না। রাজ্জাকের অপহরণের বিষয়টির সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রশ্নটিকে এক করে দেখাও যাবে না। যে ৫৪৪ জন মিয়ানমারের নাগরিককে ফেরত নেওয়ার শর্ত তারা জুড়ে দিয়েছিল, তাও গ্রহণযোগ্য ছিল না। এসব আরাকানবাসী মিয়ানমারের নাগরিক। এদের ‘বাঙালি’ হিসেবে চিহ্নিত করা কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রয়োজন হলে আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার মাধ্যমে এসব মিয়ানমারের নাগরিকের নাগরিকত্ব যাচাই করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ চলতি বছরের শুরুতে যে গণশুমারি শুরু করেছে, তাতে আরাকানবাসী রোহিঙ্গাদের তারা ‘ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন কার্ড’ (এনআরসি) দিতে অস্বীকার করে আসছে। এই এনআরসি হচ্ছে মিয়ানমারের আইনগত বৈধ অধিবাসী হওয়ার অন্যতম শর্ত। কারও কাছে এনআরসি না থাকলে তিনি মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হন না। আরাকানে বংশপরম্পরায় বাস করা হাজার হাজার মুসলমান রোহিঙ্গাকে ইচ্ছাকৃতভাবেই এনআরসি দেওয়া হচ্ছে না। এদের চিহ্নিত করা হচ্ছে বাঙালি হিসেবে। এ বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে দুই দেশের মাঝে আলোচনায় স্থান পেলেও এর কোনো সমাধান হয়নি। সমস্যা হচ্ছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ কোনো আন্তর্জাতিক আইনকানুন, বিধি ইত্যাদি কিছুই মানে না। সেখানে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি না থাকায় কোনো দায়বদ্ধতাও সৃষ্টি হয়নি। সেখানে সেনাবাহিনী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করছে। ফলে সেনাবাহিনী যা চায়, সেটাই আইন। একটি সংসদ আছে বৈকি, কিন্তু তা সেনাবাহিনীর সদস্য কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। এমনকি বিরোধী দল নেত্রী অং সান সু চিও ওদের স্বার্থেই কাজ করছেন। তিনি রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কোনো জোরালো দাবি কখনো উত্থাপন করেননি। এখনো করছেন না। তিনি সেনাবাহিনীর স্বার্থের বাইরে যেতে পারছেন না। একই সঙ্গে আরও একটি বিষয় লক্ষণীয়Ñ তা হচ্ছে সেখানে একটি উগ্র বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদের জন্ম। এই উগ্র বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদকে এখন মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ‘প্রমোট’ করছে। এরা মূলত মিয়ানমারকে একটি পূর্ণ বৌদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। আর এ লক্ষ্যেই তারা আরাকান প্রদেশে পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গা মুসলমানদের তাদের নিজস্ব ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করছে। তাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ক্রিশ্চিয়ান কমিউনিটির ওপর যতটুকু না আক্রমণ হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি আক্রমণ হচ্ছে মুসলমানদের ওপর। পাঠকদের বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের একটি প্রচ্ছদ প্রতিবেদনের (১ জুলাই, ২০১৩, ডযবহ ইঁফফযরংঃং এড় ইধফ) কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। বৌদ্ধ উগ্রবাদ কীভাবে মিয়ানমারে বিস্তার লাভ করছে, কীভাবে রোহিঙ্গারা বৗদ্ধ ভিক্ষুদের দ্বারা আক্রমণের শিকার হচ্ছে, তার বিস্তারিত বর্ণনা আছে ওই প্রতিবেদনে। আছে উগ্রবাদী বৌদ্ধ নেতা ভিরাথুর বক্তব্য, যাকে কি না বলা হয় ‘বার্মিজ বিন লাদেন’। ভিরাথু তার উগ্রবাদী মতবাদের জন্য ২০০৩ সালে সাত বছর জেলে কাটিয়েছিলেন সত্য, কিন্তু ক্ষমতাসীনরা তাকেই এখন মুসলমানদের উচ্ছেদ অভিযানে ব্যবহার করছে। ভিরাথু মিয়ানমারকে একটি বৌদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চান। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিয়ে যে সমস্যা, তার পেছনে কাজ করছে এই উগ্র বৌদ্ধ মানসিকতা।
আজ যে ৫৪৪ জন মিয়ানমারের নাগরিককে নিয়ে মিয়ানমার প্রশ্ন তুলেছে এবং যাদের তারা বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে চায়, তার সঙ্গে নায়েক রাজ্জাকের অপহরণের কোনো মিল ছিল না। দুটি ভিন্ন বিষয়।
এখানে একটা কথা বলা প্রয়োজন যে নায়েক রাজ্জাকের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছিল তা আন্তর্জাতিক আইনের বরখেলাপ। ১৯৪৯ সালের জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী (আর্টিকেল-৩) নায়েক আবদুর রাজ্জাকের অধিকার ছিল আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী স্বীকৃত। তার সঙ্গে সেভাবেই আচরণ করা উচিত ছিল। কিন্তু লুঙ্গি পরিয়ে, রক্তাক্ত অবস্থায় তার ছবি আপলোড করে মিয়ানমার সরকার আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করছে। আমাদের উচিত হবে বিষয়টি জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট শাখাকে অবহিত করা। কেননা জাতিসংঘে চার্টারের ২৫ নম্বর ধারায় জাতিসংঘের ভূমিকা এ ব্যাপারে স্পষ্ট। একই সঙ্গে আমাদের উচিত হবে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর (যাদের সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পর্ক ভালো) ‘সাহায্য ও সহযোগিতা’ নেওয়া। আমরা বিরোধী নেত্রী অং সান সু চির সহযোগিতাও চাইতে পারি। তবে তার ক্ষমতা সীমিত। এ ক্ষেত্রে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর স্থানীয় কমান্ডারের ভূমিকাই মুখ্য।
মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চেয়ে স্থানীয় সেনা কমান্ডারের ভূমিকা অনেক বেশি। ২০১১ সালের পর থেকে মিয়ানমারে কিছুটা সংস্কার আনলেও রাজনীতি এখনো ‘নিয়ন্ত্রণ’ করে সেনাবাহিনী।
আমাদের পূর্বমুখী পররাষ্ট্রনীতির স্বার্থে মিয়ানমারকে আমাদের প্রয়োজন রয়েছে, এটা স্বীকার করে নিয়ে একটা আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন জাতি হিসেবেই মিয়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যু দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় যেতে হবে। আমাদের জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে আমাদের নমনীয় হলে চলবে না আবার হটকারী কোনো সিদ্ধান্তও নেওয়া যাবে না। আর এ জন্যই দরকার ‘স্মার্ট ডিপ্লোম্যাসি’।
Daily Amader Somoy
28.06.15

0 comments:

Post a Comment