একটা প্রশ্ন এখন গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে যে নরেন্দ্র মোদির
বাংলাদেশ সফরে বাংলাদেশের প্রাপ্তি কী? অর্থাৎ এই সফরে বাংলাদেশ কী পাবে?
প্রাপ্তির দিক থেকে বাংলাদেশের পাল্লাটা ভারী হবে, নাকি ভারতের পাল্লা ভারী
হবে? বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই সফর অনেক আগেই প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু
অত্যন্ত কৌশলী মোদি বেছে নিলেন এমন একটা সময়-যখন তিনি ঢাকায় এসে বলতে
পারবেন আসলেই তিনি বাংলাদেশের জনগণের জন্য কিছু নিয়ে এসেছেন। স্থল সীমানা
চুক্তি, যা ভারতের সংসদের উভয় কক্ষে অনুমোদিত হয়েছে এবং এ-সংক্রান্ত
সংবিধান সংশোধনের বিলে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষরও করেছেন, এই মেসেজই তিনি দেবেন।
কয়েকটি এমওইউ স্বাক্ষরিত হবে। কিছু আর্থিক ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেবেন
এবং সে ব্যাপারে চুক্তিও স্বাক্ষরিত হবে। কিন্তু বাংলাদেশের
স্বার্থসংশ্লিষ্ট বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে, যার কোনো একটির
ব্যাপারে কোনো চুক্তি হবে, এমন সম্ভাবনা ক্ষীণ। প্রথমেই এসে যায় তিস্তার
পানিবণ্টন চুক্তির কথা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঢাকায় আমাদের বলে গিয়েছিলেন
ধৈর্য রাখার জন্য। আমরা অপেক্ষা করেছি। মোদি নিজে যে চেষ্টা করেননি, তেমনটি
নয়। তিনি নিজে কলকাতায় মমতার সঙ্গে দু-দুবার কথা বলেছেন। এখন মমতা নিজে
মোদির সফরসঙ্গী হচ্ছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 'তিস্তা কার্ডটা' শেষ
পর্যন্ত বিজেপির হাতে তুলে দেবেন-এ প্রশ্ন থাকলই। ২০১৬ সালে বিধানসভার
নির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। তিস্তার পানিবণ্টনের বিষয়টি উত্তরবঙ্গে একটি
রাজনৈতিক ইস্যু। মমতা তিস্তায় ছাড় দেবেন, এটা মনে হয় না। তাই তিস্তার
পানিবণ্টনের জট এই মুহূর্তে খুলবে না। সাংবিধানিকভাবে কেন্দ্র এখানে
দুর্বল। কোনো রাজ্যের আপত্তিকে উপেক্ষা করে কেন্দ্র এককভাবে কোনো চুক্তি
করতে পারে না। তাই মোদি আসবেন। মমতার উপস্থিতিতে আগের মতোই প্রতিশ্রুতি
দেবেন তিস্তা চুক্তি হবে! এখানে আমাদের অপেক্ষা করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
তিস্তা নিয়ে যদি চুক্তি হয়ও, তা হবে ২০১৬ সালের পর।
বাংলাদেশের নয়, বরং ভারতের স্বার্থের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক চুক্তি তথা এমওইউ স্বাক্ষরিত হবে ঢাকায়। যেমন ভারত আরো ১৫টি রুটে ট্রানজিট চাইছে এখন। ত্রিপুরা রাজ্য সরকার চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করতে চাইছে প্রকাশ্যে। নৌ প্রটোকলের আওতায় নদীপথে তৃতীয় দেশের পণ্য চলাচলের যে প্রস্তাব বাংলাদেশের মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে, তা বাতিলের অথবা পুনর্মূল্যায়নের দাবি করেছে ভারত।
এখানে বলা ভালো, মোদির সফরে এক নম্বর অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে এই কানেক্টিভিটি। এই কানেক্টিভিটির আওতায় আশুগঞ্জ-আখাউড়া সড়ক চার লেনে উন্নীত করা হবে। অর্থ জোগাবে ভারত সরকার। কেননা প্রয়োজনটা তাদের। ত্রিপুরায় পণ্য নিয়ে যেতে হলে সড়ক যোগাযোগ উন্নত করা প্রয়োজন। এ জন্য ভারত বাংলাদেশকে ঋণ দেবে। এই ঋণ নিয়েও কথা আছে। সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিটে এই ঋণ পাবে বাংলাদেশ। সমস্যা এখানেই। পৃথিবীর কোনো দেশই এখন আর সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিটে ঋণ নেয় না। এর ফলে যারা ঋণ দেয় তাদের দেশ থেকে (এ ক্ষেত্রে ভারত) ৭৫ শতাংশ পণ্য কিনতে হবে। ঠিকাদারও নিয়োগ হবে ওই দেশ থেকে। এর অর্থ হচ্ছে-সড়ক নির্মাণে বাংলাদেশের প্রযুক্তি, পণ্য কিংবা দক্ষ মানবসম্পদ ব্যবহার করার কোনো সুযোগ নেই। আবার নির্দিষ্ট সময়ে প্রজেক্টের কাজ শেষ না হলে বাংলাদেশকে জরিমানা গুনতে হবে ৫ শতাংশ হারে। ফলে এই সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিটে নেওয়া ঋণ নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই। ভারত নিজেও সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিটে কোনো ঋণ গ্রহণ করে না। বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় রয়েছে একাধিক-বাণিজ্য ঘাটতি কমানো, সাফটা চুক্তির আলোকে বাংলাদেশি পণ্যের ভারতে প্রবেশাধিকারের বিশেষ সুবিধা ও শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার, সীমান্ত হত্যা বন্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ, ভিসা ব্যবস্থা সহজীকরণ, ভুটান ও নেপালকে ট্রানজিট দেওয়া ইত্যাদি।
তাই মোদির এই সফর নানা সম্ভাবনাও সৃষ্টি করতে পারে আমাদের জন্য। মনে রাখতে হবে, ভারত বড় অর্থনীতির দেশ। দক্ষিণ এশিয়ার মোট আয়তনের মধ্যে ৭২ শতাংশ এলাকা একা ভারতের। মোট জনসংখ্যার ৭৭ শতাংশ ভারতের। ভারতের অর্থনীতির অবস্থান বিশ্বে তৃতীয় ও চতুর্থ এবং জাতিসংঘের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০১৬ সালে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭.৭ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে, যখন চীনের অর্থনীতিতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৭.২ শতাংশ। সুতরাং ভারতের এই অর্থনৈতিক উন্নয়ন থেকে আমরা উপকৃত হতে চাই। অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। ১৯৭২ সালে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ-ভারত নৌ প্রটোকলের আওতায় নদী খনন করা যেতে পারে, যাতে ভারতীয় পণ্য আমদানিতে আমরা নৌপথ ব্যবহার করতে পারি। এ ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের সাহায্য চাওয়া যেতে পারে। বর্তমানে নদীপথে সব ধরনের পণ্য সরবরাহ করা যায় না। এটা পরিবর্তন প্রয়োজন। রাতের বেলা নৌযান চলাচলের অনুমতি এবং দক্ষ নাবিক নিয়োগ করাও জরুরি। সমুদ্রপথে কানেক্টিভিটি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে ভারতের তিনটি সমুদ্রবন্দর সংযুক্ত-সংক্রান্ত একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে। এটা ভালো ও সমর্থনযোগ্য। আইটি সেক্টরে ও আইটি পার্ক গড়ার ক্ষেত্রে আমরা ভারতীয় দক্ষতা ও সহযোগিতাকে কাজে লাগাতে পারি। সমুদ্র অর্থনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশ দুটি একসঙ্গে কাজ করতে পারে। দক্ষিণ এশিয়া ভবিষ্যতে দুটি বড় ধরনের সমস্যায় পড়বে। জ্বালানি ও পানি সংকটের মুখে পড়বে পুরো দক্ষিণ এশিয়া। উভয় ক্ষেত্রেই আঞ্চলিক সহযোগিতার অ্যাপ্রোচ গড়ে তুলতে হবে। ভুটান, নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশের সমন্বয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতার আলোকে জ্বালানি সংকট ও পানি সংকটের সমাধান সম্ভব। ভারত এটা করে না। ভারত দ্বিপক্ষীয়ভাবে এসব সমস্যার সমাধান করতে চায়। দ্বিপক্ষীয়তা কখনোই কোনো ভালো অ্যাপ্রোচ হতে পারে না। বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে মোদি সরকার একটি ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব নীতি গ্রহণ করেছে। এটা আমরা আমাদের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারি। বাংলাদেশে ভারতীয় বিনিয়োগ তুলনামূলকভাবে কম। একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের আমরা উৎসাহিত করতে পারি সেখানে বিনিয়োগ করতে। আমরা ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থেকে নিজেরা সমৃদ্ধ হতে চাই। মোদির পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া। বাংলাদেশে তাঁর সফর এ আলোকেই রচিত। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সফরসঙ্গী হওয়ায় তিস্তার পানিবণ্টনের পথটি আরো সহজ হলো। এটা নিঃসন্দেহে মোদির একটি সাফল্য। তিনি পার্শ্ববর্তী দেশ, বিশেষ করে বাংলাদেশের সমস্যার ব্যাপারে যে আন্তরিক সেটাই প্রমাণিত হলো। আমরা নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে স্বাগত জানাই। Daily KalerKontho 04.06.15
বাংলাদেশের নয়, বরং ভারতের স্বার্থের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক চুক্তি তথা এমওইউ স্বাক্ষরিত হবে ঢাকায়। যেমন ভারত আরো ১৫টি রুটে ট্রানজিট চাইছে এখন। ত্রিপুরা রাজ্য সরকার চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করতে চাইছে প্রকাশ্যে। নৌ প্রটোকলের আওতায় নদীপথে তৃতীয় দেশের পণ্য চলাচলের যে প্রস্তাব বাংলাদেশের মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে, তা বাতিলের অথবা পুনর্মূল্যায়নের দাবি করেছে ভারত।
এখানে বলা ভালো, মোদির সফরে এক নম্বর অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে এই কানেক্টিভিটি। এই কানেক্টিভিটির আওতায় আশুগঞ্জ-আখাউড়া সড়ক চার লেনে উন্নীত করা হবে। অর্থ জোগাবে ভারত সরকার। কেননা প্রয়োজনটা তাদের। ত্রিপুরায় পণ্য নিয়ে যেতে হলে সড়ক যোগাযোগ উন্নত করা প্রয়োজন। এ জন্য ভারত বাংলাদেশকে ঋণ দেবে। এই ঋণ নিয়েও কথা আছে। সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিটে এই ঋণ পাবে বাংলাদেশ। সমস্যা এখানেই। পৃথিবীর কোনো দেশই এখন আর সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিটে ঋণ নেয় না। এর ফলে যারা ঋণ দেয় তাদের দেশ থেকে (এ ক্ষেত্রে ভারত) ৭৫ শতাংশ পণ্য কিনতে হবে। ঠিকাদারও নিয়োগ হবে ওই দেশ থেকে। এর অর্থ হচ্ছে-সড়ক নির্মাণে বাংলাদেশের প্রযুক্তি, পণ্য কিংবা দক্ষ মানবসম্পদ ব্যবহার করার কোনো সুযোগ নেই। আবার নির্দিষ্ট সময়ে প্রজেক্টের কাজ শেষ না হলে বাংলাদেশকে জরিমানা গুনতে হবে ৫ শতাংশ হারে। ফলে এই সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিটে নেওয়া ঋণ নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই। ভারত নিজেও সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিটে কোনো ঋণ গ্রহণ করে না। বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় রয়েছে একাধিক-বাণিজ্য ঘাটতি কমানো, সাফটা চুক্তির আলোকে বাংলাদেশি পণ্যের ভারতে প্রবেশাধিকারের বিশেষ সুবিধা ও শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার, সীমান্ত হত্যা বন্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ, ভিসা ব্যবস্থা সহজীকরণ, ভুটান ও নেপালকে ট্রানজিট দেওয়া ইত্যাদি।
তাই মোদির এই সফর নানা সম্ভাবনাও সৃষ্টি করতে পারে আমাদের জন্য। মনে রাখতে হবে, ভারত বড় অর্থনীতির দেশ। দক্ষিণ এশিয়ার মোট আয়তনের মধ্যে ৭২ শতাংশ এলাকা একা ভারতের। মোট জনসংখ্যার ৭৭ শতাংশ ভারতের। ভারতের অর্থনীতির অবস্থান বিশ্বে তৃতীয় ও চতুর্থ এবং জাতিসংঘের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০১৬ সালে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭.৭ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে, যখন চীনের অর্থনীতিতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৭.২ শতাংশ। সুতরাং ভারতের এই অর্থনৈতিক উন্নয়ন থেকে আমরা উপকৃত হতে চাই। অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। ১৯৭২ সালে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ-ভারত নৌ প্রটোকলের আওতায় নদী খনন করা যেতে পারে, যাতে ভারতীয় পণ্য আমদানিতে আমরা নৌপথ ব্যবহার করতে পারি। এ ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের সাহায্য চাওয়া যেতে পারে। বর্তমানে নদীপথে সব ধরনের পণ্য সরবরাহ করা যায় না। এটা পরিবর্তন প্রয়োজন। রাতের বেলা নৌযান চলাচলের অনুমতি এবং দক্ষ নাবিক নিয়োগ করাও জরুরি। সমুদ্রপথে কানেক্টিভিটি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে ভারতের তিনটি সমুদ্রবন্দর সংযুক্ত-সংক্রান্ত একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে। এটা ভালো ও সমর্থনযোগ্য। আইটি সেক্টরে ও আইটি পার্ক গড়ার ক্ষেত্রে আমরা ভারতীয় দক্ষতা ও সহযোগিতাকে কাজে লাগাতে পারি। সমুদ্র অর্থনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশ দুটি একসঙ্গে কাজ করতে পারে। দক্ষিণ এশিয়া ভবিষ্যতে দুটি বড় ধরনের সমস্যায় পড়বে। জ্বালানি ও পানি সংকটের মুখে পড়বে পুরো দক্ষিণ এশিয়া। উভয় ক্ষেত্রেই আঞ্চলিক সহযোগিতার অ্যাপ্রোচ গড়ে তুলতে হবে। ভুটান, নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশের সমন্বয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতার আলোকে জ্বালানি সংকট ও পানি সংকটের সমাধান সম্ভব। ভারত এটা করে না। ভারত দ্বিপক্ষীয়ভাবে এসব সমস্যার সমাধান করতে চায়। দ্বিপক্ষীয়তা কখনোই কোনো ভালো অ্যাপ্রোচ হতে পারে না। বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে মোদি সরকার একটি ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব নীতি গ্রহণ করেছে। এটা আমরা আমাদের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারি। বাংলাদেশে ভারতীয় বিনিয়োগ তুলনামূলকভাবে কম। একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের আমরা উৎসাহিত করতে পারি সেখানে বিনিয়োগ করতে। আমরা ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থেকে নিজেরা সমৃদ্ধ হতে চাই। মোদির পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া। বাংলাদেশে তাঁর সফর এ আলোকেই রচিত। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সফরসঙ্গী হওয়ায় তিস্তার পানিবণ্টনের পথটি আরো সহজ হলো। এটা নিঃসন্দেহে মোদির একটি সাফল্য। তিনি পার্শ্ববর্তী দেশ, বিশেষ করে বাংলাদেশের সমস্যার ব্যাপারে যে আন্তরিক সেটাই প্রমাণিত হলো। আমরা নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে স্বাগত জানাই। Daily KalerKontho 04.06.15
0 comments:
Post a Comment