রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে সুস্বাগতম


দুদিনের সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি আজ ঢাকা আসছেন। এ সফরের মধ্য দিয়ে অনেক প্রত্যাশার জন্ম হয়েছে বাংলাদেশে। ভারতের ব্যাপারেও এ দেশের মানুষের মনোভাবের পরিবর্তন হয়েছে। এমনকি যেসব রাজনৈতিক দল এক সময় ভারতবিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিল, ভারতের ব্যাপারে তাদের আগ্রহেরও পরিবর্তন হয়েছে। সামগ্রিকভাবে এ মনোভাবের পরিবর্তন দুদেশের সম্পর্ককে এখন আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে। তবে অনেক কিছুই এখন নির্ভর করছে ভারতের আচরণের ওপর। বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় ভারত একটি বড় অবদান রাখতে পারে। ভারতের জিডিপির পরিমাণ ২ দশমিক ৩০৮ ট্রিলিয়ন ডলার (পিপিপিতে ৭.৯৯৬ ট্রিলিয়ন ডলার)। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৩ ভাগ। বিশ্বের ৭ম বড় অর্থনীতি ভারতের (পিপিপিতে এর পরিমাণ তৃতীয়)। একটি বড় অর্থনীতির দেশের পাশে যদি একটি ছোট অর্থনীতির দেশ থাকে, তত্ত্বগতভাবে ওই ছোট অর্থনীতিও সমৃদ্ধ হয়। এ জন্যই বলা হয় ভারতের বিশাল অর্থনীতির পাশে থেকে বাংলাদেশ উপকৃত হতে পারে। যেমন বলা যেতে পারে, ভারতের রপ্তানির পরিমাণ ৪৬৪ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার, আর আমদানির পরিমাণ ৫৯৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ কিছুটা হলেও ভারতের এই আমদানি খাতে অবদান রাখছে। কিন্তু সেটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নানা কারণে। ফলে বাণিজ্যে ভারসাম্যহীনতা বাড়ছে। আর তা ভারতের অনুকূলে। বাংলাদেশের ৬৫৫ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি ভারতের সঙ্গে কোনো অবস্থাতেই তুলনীয় নয়। কিন্তু যা প্রয়োজন, তা হচ্ছে ভারতের মনোভাব। নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হওয়ায় (স্থলবন্দরে অয়্যারহাউস না থাকা, পণ্যে মেইড ইন কান্ট্রি অব অরিজিন নিয়ে প্রশ্ন তোলা, ওষুধের ক্ষেত্রে ভারতের সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের সনদ গ্রহণে বাধ্যবাধকতা, সাতবোন রাজ্যের ব্যাংকগুলোতে এলসি খোলার সামর্থ্য না থাকা, ইত্যাদি) বাণিজ্য ভারসাম্যতা কমানো যাচ্ছে না। এখন এমন একটা ধারণার জন্ম হয়েছে যে, নরেন্দ্র মোদির সফরের মধ্য দিয়ে এসব ক্ষেত্রে বেশ কিছু অগ্রগতি হবে। বাংলাদেশের মানুষ এটাই প্রত্যাশা করে। অনেকগুলো সম্ভাবনা ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে। ১৯৭২ সালে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ-ভারত নৌ প্রটোকলের আওতায় নদী খনন করা যেতে পারে, যাতে করে ভারতীয় পণ্য আমদানিতে আমরা নৌপথ ব্যবহার করতে পারি। এ ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের সাহায্য চাওয়া যেতে পারে। বর্তমানে নদীপথে সব ধরনের পণ্য সরবরাহ করা যায় না। এটা পরিবর্তন প্রয়োজন। রাতের বেলা নৌযান চলাচলের অনুমতি এবং দক্ষ নাবিক নিয়োগ করাও জরুরি। সমুদ্রপথে কানেকটিভিটি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে ভারতের তিনটি সমুদ্রবন্দর সংযুক্ত-সংক্রান্ত একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে। এটা ভালো ও সমর্থনযোগ্য। আইটি সেক্টরে এবং আইটি পার্ক গড়ার ক্ষেত্রে আমরা ভারতীয় দক্ষতা ও সহযোগিতাকে কাজে লাগাতে পারি। সমুদ্র অর্থনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ মোকাবেলায় দেশ দুটি একসঙ্গে কাজ করতে পারে। এখানে সমুদ্র অর্থনীতির কথা উল্লেখ করা যায়। একটি বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে এখানে, যা ব্লু অর্থনীতি হিসেবে পরিচিত। আমাদের দক্ষ জনশক্তি নেই। এই দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে আমরা ভারতের সহযোগিতা নিতে পারি। বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য ভারতের অনুকূলে। শুধু ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ৫৫৮ কোটি ডলার। দিনে দিনে এই ঘাটতি বাড়ছেই। বাংলাদেশ এই ঘাটতি কমাতে পারছে না। কারণ নানা ধরনের শুল্ক ও অশুল্ক বাধার কারণে বাংলাদেশি পণ্য ভারতে প্রবেশ করতে পারছে না। এই বাধা অপসারণের কথা বলা হলেও ভারতীয় আমলাতন্ত্রের কারণে তা দূর হচ্ছে না। তিস্তা চুক্তি নিয়ে একটি জটিলতা আছে জানি। আগামীতে যে কোনো এক সময়ে এই চুক্তিটি হওয়া বাঞ্ছনীয়। যাতে করে দুদেশের সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। তবে একই সঙ্গে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবহমান ৫৪টি নদীর ব্যাপারে একটি যৌথ ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা চালু করাও প্রয়োজন। শুধু গঙ্গার পানি ভাগাভাগির ব্যাপারে একটি চুক্তি হয়েছে। অথচ ভারত ফেনী নদী থেকেও পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। একটি যৌথ ব্যবস্থাপনা চালু হলে উভয় দেশই ৫৪ নদীর পানির সুবিধা পাবে। এ ক্ষেত্রে ভারত যে আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছে, সে ব্যাপারেও একটি সিদ্ধান্তে আসতে হবে। টিপাইমুখ বাঁধ নিয়েও একই কথা প্রযোজ্য। দক্ষিণ এশিয়া আগামীতে দুটি বড় ধরনের সমস্যায় পড়বে। জ্বালানি ও পানি সংকটের মুখে পড়বে পুরো দক্ষিণ এশিয়া। উভয় ক্ষেত্রেই একটি আঞ্চলিক সহযোগিতার অ্যাপ্রোচ গড়ে তুলতে হবে। ভুটান, নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশের সমন্বয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতার আলোকে জ্বালানি সংকট ও পানি সংকটের সমাধান সম্ভব। ভারত এটা করে না। ভারত দ্বিপাক্ষিকভাবে এসব সমস্যার সমাধান করতে চায়। দ্বিপাক্ষিকতা কখনোই কোনো ভালো অ্যাপ্রোচ হতে পারে না। বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে মোদি সরকার একটি ব্যাখ্যা ও বিনিয়োগবান্ধব নীতি গ্রহণ করেছে। এটা আমরা আমাদের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারি। বাংলাদেশে ভারতীয় বিনিয়োগ তুলনামূলকভাবে কম। ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য দুটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করার চুক্তি হবে, যাতে ভারতের ব্যবসায়ীদের আমরা উৎসাহিত করতে পারি সেখানে বিনিয়োগ করতে। আমরা ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থেকে নিজেরা সমৃদ্ধ হতে চাই। বিনিয়োগ ও ব্যবসাবান্ধব নীতি নিয়ে মোদি তার পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করছেন। তার পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া। বাংলাদেশে তার সফর এ আলোকেই রচিত। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার সফরসঙ্গী হওয়ায় তিস্তার পানিবণ্টনের পথটি আরও সহজ হলো। এটা নিঃসন্দেহেই মোদির একটি সাফল্য। তিনি পার্শ¦বর্তী দেশ বিশেষ করে বাংলাদেশের সমস্যার ব্যাপারে যে আন্তরিক সেটাই প্রমাণিত হলো। আমরা নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে স্বাগত জানাই। তবে প্রত্যাশা করি, মোদি সমস্যাগুলো সম্পর্কে ইতিবাচক একটি পদক্ষেপ নেবেন।
মোদির সফরে কানেকটিভিটির বিষয়টি প্রাধান্য পাবে বেশি। বিশেষ করে সড়কপথে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতের এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এ ক্ষেত্রে অবকাঠামো খাতে ভারত সাপ্লায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় ঋণ দেবে। এ ধরনের ঋণ আমরা অতীতেও নিয়েছি। নিঃসন্দেহে এতে করে ভারতের সাতবোন রাজ্যের ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন বেশি। সাতবোন রাজ্যের বাঙালি জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের ভেতর দিকে কলকাতায় যাওয়ার সুযোগ পাবেন। আধুনিক যুগে এ ধরনের কানেকটিভিটি নতুন কিছু নয়। তবে এ ক্ষেত্রে একটি শুল্ক নির্ধারণ করা প্রয়োজন এবং বাংলাদেশের বাসও যাতে এই রুটে চলাচল করতে পারে, সে বিষয়টিও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কলকাতা-ঢাকা-শিলং-গৌহাটি একটি যাত্রীবাহী বাস পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছে। এটা ভালো। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে ভারতের সাতবোন রাজ্যের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। ত্রিপুরা চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে চাইছে। এ ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন। এক. চট্টগ্রাম বন্দরের সেই ধারণক্ষমতা আছে কি না? অর্থাৎ বাংলাদেশি পণ্য আমদানি-রপ্তানি বেড়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী গেল বছর চট্টগ্রাম বন্দর ১ দশমিক ৭১ মিলিয়ন কনটেইনার হ্যান্ডেলিং করেছে, অথচ ২০০৯ সালে করেছিল ১ দশমিক ১৬ মিলিয়ন কনটেইনার। এর অর্থ হচ্ছে কনটেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে যুক্তি হিসেবে ভারতের সাতবোন রাজ্যের কনটেইনার যদি চট্টগ্রাম বন্দর আগামীতে ব্যবহার করে, তাহলে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানিতে একটা জট লেগে যেতে পারে। চট্টগ্রাম বন্দরের এই সক্ষমতা আছে কি না, তা স্টাডি করা দরকার। দুই. এই কনটেইনার হ্যান্ডেলিংয়ে একটি মাশুল থাকা প্রয়োজন এবং সেই মাশুল যেন আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করে নির্ধারণ করা হয়। মাশুল নির্ধারণ করা ছাড়া কনটেইনার পরিবহন চালু করা ঠিক হবে না। তিন. সার্কের আঞ্চলিক সহযোগিতার আওতায় নেপাল ও ভুটানের পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে এই দেশ দুটি যেন একই সুযোগ পায়, অর্থাৎ বাংলাদেশের একটি সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করার সুযোগ পায়, সে ব্যাপারটিও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে, এই দেশ দুটির বিকল্প কোনো সমুদ্রবন্দর নেই। ফলে দেশ দুটির পণ্যের আমদানি-রপ্তানিতে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে নিঃসন্দেহে এটা ভালো হতো, যদি সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দরটি আমরা নির্মাণ করতে পারতাম। ভারতের আপত্তির কারণে এই সমুদ্রবন্দরটি এখন সোনাদিয়ার পরিবর্তে পটুয়াখালীর পায়রাবন্দরে নির্মিত হতে যাচ্ছে।
সড়ক ট্রানজিটের ব্যাপারে আরও একটা কথা বলা প্রয়োজন। আর তা হচ্ছে বহুপাক্ষিকভাবে এই সড়ক ট্রানজিটটি যেন এখনই নিশ্চিত হয়। অর্থাৎ বাংলাদেশ যেন এখনই কানেকটিভিটি চুক্তির আওতায় ভারতীয় এলাকা অতিক্রম করে তার পণ্য নিয়ে সড়কপথে নেপাল ও ভুটান যেতে পারে। সেটা নিশ্চিত করা। আমরা জানতে পেরেছি ভারত নীতিগতভাবে এতে রাজি হয়েছে। এটা নরেন্দ্র মোদি সরকারের একটা দূরদর্শিতার পরিচয়। আঞ্চলিক সহযোগিতাকে তিনি যে গুরুত্ব দেন, এটা একটা বড় প্রমাণ। নৌ ট্রানজিটের ব্যাপারে তৃতীয় দেশকে (এ ক্ষেত্রে ভুটান ও নেপাল) অন্তর্ভুক্ত করার বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্তে ভারত প্রথম আপত্তি জানালেও পরে সেই আপত্তি তুলে নিয়েছে। ফলে ভুটান থেকে বোল্ডার আর নেপাল থেকে কাঠ আমদানি করার পথ প্রশস্ত হলো। সস্তায় নদীপথে পণ্য সরবরাহ করা যায়। এতে খরচ কম পড়ে। এমনকি কানেকটিভিটির আওতায় কয়েকটি ভারতীয় সমুদ্রবন্দর যোগ হওয়ায় ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাড়বে। সস্তায় পণ্য পরিবহন করা সহজ হবে। আসলে প্রাপ্য প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা যদি বহুপাক্ষিকতার আালোকে সমস্যার সমাধান করতে চাই, তা আমাদের উভয় দেশের জন্যই মঙ্গল।
নরেন্দ্র মোদি তার ঢাকা সফরের প্রাক্কালে কলকাতায় একটি বহুল প্রচারিত বাংলা দৈনিকের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। ওই সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের প্রশ্নে কয়েকটি কথা বলেছিলেন, যা যথেষ্ট গুরুত্বের দাবি রাখে। তিনি বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলে শান্তি ও স্থায়িত্ব নিয়ে আসবে।’ তিনি বলেছিলেন, ‘উন্নয়নই দুদেশের সম্পর্ক মজবুত করার কাজে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হতে পারে।’ এটাই হচ্ছে মোদ্দা কথা। দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের স্বার্থে দুদেশের মধ্যকার ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশ ছোট হতে পারে কিন্তু বিশ্বকে এবং ভারতকে দেওয়ার আছে অনেক কিছু। নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যে সে কথাই প্রমাণিত হয়েছে। এখন ভারত বাংলাদেশের উন্নয়নে বিভিন্ন সেক্টরে ঋণ দিচ্ছে। এই ঋণ শর্তযুক্ত হলেও চূড়ান্ত বিচারে আমাদের অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে তা বড় অবদান রাখবে। তাই নরেন্দ্র মোদির এই সফর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে নরেন্দ্র মোদি প্রমাণ করলেন, তিনি বাংলাদেশকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেন। এটাই আমাদের প্লাসপয়েন্ট। আমরা নরেন্দ্র মোদির এই আন্তরিকতাকে ব্যবহার করে আরও অনেক দূর যেতে চাই। তার ঢাকা সফর সফল হোক, এ প্রত্যাশাই করি।
Daily Amader Somoy
06.06.15

0 comments:

Post a Comment