রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে দুটি কথা

নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের প্রাক্কালে যে প্রশ্নটি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে তা হচ্ছে_ এই সফরের মধ্যদিয়ে দুই দেশের সঠিক কোন পর্যায়ে উন্নীত হবে? দুই দেশের মধ্যে বেশকিছু সমস্যা রয়েছে। এই সফরে সেসব সমস্যার সমাধান কতটুকু হবে, এ প্রশ্ন এখন সঙ্গত কারণেই উঠবে। মমতা ব্যানার্জিসহ আরো ৪ জন মুখ্যমন্ত্রীকে তার সঙ্গে নিয়ে আসার মধ্যদিয়ে নরেন্দ্র মোদি অন্তত একটি ম্যাসেজ দিতে চাচ্ছেন। আর তা হচ্ছে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে তিনি বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় রাজ্যগুলোকে গুরুত্ব দেন। অর্থাৎ তার থলিতে রয়েছে কানেকটিভিটির এজেন্ডা। এ ক্ষেত্রে মমতাকে সঙ্গে নিয়ে এসে তিস্তার পানিচুক্তি হবে_ এমন একটা ধারণা দিলেও এই সফরে এ চুক্তিটি হচ্ছে না। এটা একরকম নিশ্চিত।
মোদি তার পররাষ্ট্রনীতিতে দক্ষিণ এশিয়াকে গুরুত্ব দিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য একটা ভালো খবর, এ জন্য যে আমাদের উন্নয়ন ও প্রতিক্রিয়ায় ভারত বড় অবদান রাখতে পারে। ভারত বড় অর্থনীতির দেশ। ভারতীয় সহযোগিতায় আমরা আমাদের উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে আরো ত্বরান্বিত করতে পারব। তবে এ ক্ষেত্রে ভারতকে বাংলাদেশকে সমমর্যাদার দৃষ্টিতে দেখাতে হবে। ভারতকে দেখাতে হবে উন্নয়নের সহযোগিতা হিসেবে। ভারত যদি বাংলাদেশে শুধু তার পণ্যের বাজার সম্প্রসারিত করতে চায়, তাতে করে সমমর্যাদা নিশ্চিত হবে না। বরং ভারতীয় বন্ধুত্বকে একটি প্রশ্নের মুখে ঠেলে দেবে। ভারতকে বাংলাদেশেরও অনেক কিছু দেয়ার আছে। কিন্তু সেখানে তৈরি হয়ে আছে নানা জটিলতা। তাই সঙ্গত কারণেই আমাদের প্রত্যাশা থাকবে নরেন্দ্র মোদি তার ব্যক্তিগত ক্যারিশমা দিয়ে সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেবেন। ভারতীয় গণমাধ্যম এবং ভারতীয় নীতি-নির্ধারকরা ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে দ্বিপক্ষীয় সমস্যা রয়েছে, সে সম্পর্কে আদৌ অবগত নন, তা আমি বিশ্বাস করি না। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, জিটুজি পর্যায়ে বাংলাদেশের 'শক্ত' অবস্থানে যেতে না পারলেও, 'ট্রাকটু ডিপ্লোম্যাসির' আওতায় যেসব সেমিনার হয়, অর্থাৎ বেসরকারি পর্যায়ে দুই দেশের যেসব সভা-সেমিনার হয়, তাতে বাংলাদেশের অবস্থান কতটুকু তুলে ধরা হয়, সে ব্যাপারে আমার সন্দেহ রয়েছে। মোদির সফরের প্রাক্কালে বাংলাদেশের গবেষণামূলক সংস্থাগুলোর কাছে একটা প্রত্যাশ্যা ছিল তারা তথ্য-উপাত্তসহ বাংলাদেশের সমস্যাগুলো তুলে ধরবে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে হলেও সত্য, আমরা তা দেখতে পাইনি। তবে মাঝেমধ্যে দু'একটি তথাকথিত গবেষণা সংস্থার তৎপরতা আমাদের চোখে পড়ে বৈকি, কিন্তু দেখা যায় তারা বাংলাদেশের স্বার্থের চেয়ে ভারতীয় স্বার্থকেই বড় বেশি করে দেখছেন। তারা ভারতীয় বন্ধুত্বকে বড় বেশি করে দেখছেন। কিন্তু বাংলাদেশ-ভারতে দ্বিপক্ষীয় সমস্যাটা তাদের কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে কম। এমনকি বিরোধী দলের কাছ থেকে একটি গঠনমূলক পরামর্শও আমরা পাইনি কখনো। বিএনপির নিজস্ব কোনো 'থিংক ট্যাংক' নেই। তাদের নেতারা এখনো বিভ্রান্ত। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে তারা কোন পর্যায়ে দেখতে চান, এর মূল্যায়নের চেয়ে তাদের কাছে বড় হয়ে দেখা দিয়েছে মোদির সঙ্গে খালেদা জিয়ার সাক্ষাতের বিষয়টি। মূলত চারটি বিষয়ের আলোকে মোদির ঢাকা সফরকে বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। এই চারটি বিষয় হচ্ছে অর্থনীতি, নিরাপত্তা, সন্ত্রাস দমন ও কানেকটিভিটি। এর মধ্যে অর্থনীতি ও কানেকটিভিটির বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনীতির ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ভারত বাংলাদেশের বেশকিছু প্রকল্পে অর্থায়ন করবে। সংবাদপত্রে বলা হচ্ছে বাংলাদেশে ভারতের কাছে ২৯৪ কোটি ডলারের সাহায্য চাইবে। ইতোমধ্যে ১৫টি প্রকল্প ভারতের কাছে পাঠানো হয়েছে। এখানে সমস্যাটা হচ্ছে ভারতের ঋণের ধরন নিয়ে। ভারত এই ঋণ দিচ্ছে 'সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিট'-এর আওতায়। ভারত নিজে কখনো 'সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিট' ঋণ গ্রহণ করে না (সর্বশেষ মোদির দক্ষিণ কোরিয়া সফরের সময় ১ হাজার কোটি ডলার ঋণ গ্রহণ করার কথা উল্লেখ করা যায়)। 'সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিট' এখন বিশ্বে অচল। কোনো রাষ্ট্রই সাধারণত এর আওতায় কোনো ঋণ গ্রহণ করে না। কেননা তাতে নানা শর্ত থাকে। যেমন বলা যায় 'সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিট'-এ ঋণ নিলে ওই ঋণের আওতায় শতকরা ৭৫ ভাগ পর্যন্ত আমাদের ওই দেশ (এ ক্ষেত্রে ভারত) থেকে কিনতে হবে। ঠিকাদার নিয়োগের হবে ওই দেশ থেকে। সুদ দিতে হবে শতকরা ১ ভাগ হারে। নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্প শেষ না হলে বাংলাদেশকে জরিমানা গুণতে হবে শতকরা ৫ ভাগ হারে। এটা কোনো ভালে ঋণ নয়। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সুযোগ আছে ভারতের সঙ্গে এ ব্যাপারে আরো আলোচনা করা। এর আগে ভারতের কাছ থেকে 'সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিট'-এর আওতায় ১০০ কোটি ডলার ঋণ আমরা পেয়েছিলাম। এ ব্যাপারে আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। সূক্ষ্মভাবে দেখলে দেখা যাবে সব প্রকল্পে এই ঋণ ব্যয় হবে, তাতে আমাদের চেয়ে ভারতই উপকৃত হবে বেশি। ভারতের স্বার্থ এখানে বেশি। দুটো প্রকল্পের কথা আমি উল্লেখ করলাম_ একটি হচ্ছে আশুগঞ্জ-আখাউড়া সড়ক চার লেনে উন্নীত করা, যা কিনা সাতকোণ রাজ্যগুলোয় ভারতীয় পণ্য সরবরাহ সুবিধা হবে। এই ঋণের আওতায় সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিটে নেয়া ঋণ নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। ভারত নিজেও সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিট ও কোনো ঋণ গ্রহণ করে না। সড়কের পাশাপাশি আমরা ৫০০টি ডবল ডেকার বাসও কিনব। এ ক্ষেত্রে বাসের মূল্য যা ভারত নির্ধারণ করে দেবে, আমাদের তা মানতে হবে। এর চেয়ে সস্তায় অন্যত্র বাস পাওয়া গেলেও তা আমরা ক্রয় করতে পারব না। নৌ ট্রানজিটের বাংলাদেশ চেয়েছে ভুটান ও নেপালকে অন্তর্ভুক্ত করতে। কেননা ও দুটো দেশ থেকে নৌপথে কাঠ ও বোল্ডার সহজে আনা যায়। কিন্তু ভারত তার আপত্তি জানিয়েছে। ত্রিপুরার চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করার দাবি নিয়েও প্রশ্ন আছে। কেননা সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দরটি নির্মিত না হওয়ায় (ভারতের আপত্তির মুখে) আগামীতে চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি কিংবা আমদানিতে হিমশিম খাবে। সে ক্ষেত্রে ত্রিপুরা কিংবা ত্রিপুরার দেখাদেখি সাতকোণ রাজ্যগুলো যদি এই বন্দর ব্যবহার করতে চায় তাহলে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হবে। বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় রয়েছে একাধিক বাণিজ্য ঘাটতি কমানো, সাফটা চুক্তির আলোকে বাংলাদেশি পণ্যের ভারতে প্রবেশাধিকারের বিশেষ সুবিধা ও শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার, সীমান্ত হত্যা বন্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ, ভিসাব্যবস্থা সহজীকরণ, ভুটান ও নেপালকে ট্রানজিট দেয়া ইত্যাদি। এ ক্ষেত্রে কোনো একটি বিষয়ে ভারতের দেয়া প্রতিশ্রুতি ভারত রক্ষা করেনি। ফলে ভারতের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই।
ভারতের সঙ্গে আমাদের বেশ কিছু বিষয় রয়েছে, যা অমীমাংসিত। তিস্তার পানিচুক্তির কথা নাই বা বললাম, এর বাইরে আরো ৫২টি নদীর পানিবণ্টন নিয়ে উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। অথচ আমরা শুনতে পেয়েছি এবং জানতে পেরেছি ভারত আন্তঃনদী সংযোগ নিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। যার মধ্যদিয়ে ভারত-বাংলাদেশ এর মধ্যে প্রবাহমান বেশ কয়েকটি নদীর পানি ভারত প্রত্যাহার করে খরা অঞ্চলে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। টিপাইমুখ বাঁধ ও ফুলেরতল ব্যারাজ নিয়েও যে বাংলাদেশের আশঙ্কা তা দূর হয়নি। ভারতে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের সুযোগ আমরা পাইনি। বাণিজ্যে ভারসাম্যহীনতা কমানোর কোনো উদ্যোগ ভারতের নেই। সীমান্ত হত্যা বন্ধের কোনো উদ্যোগ ভারত কখনো নেয়নি। ভিসা সহজীকরণের কথা বলা হলেও তা ভারতে এখনো বাস্তবায়ন করেনি। তবে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তিটি।
এখন মমতা ব্যানার্জি আসছেন বটে। কিন্তু তিস্তার জট এই মুহূর্তেই খুলবে এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। উল্লেখ্য, তিস্তা একটি আন্তর্জাতিক নদী। সিকিম হয়ে ভারতের দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি হয়ে পশ্চিমবঙ্গের ডুয়ামের সমভূমি দিয়ে লাহাটি থেকে চার-পাঁচ কিলোমিটার পূর্বে বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার উত্তর খড়িবাড়ির কাছে ডিমলা উপজেলার ছাতনাই দিয়ে প্রবেশ করেছে তিস্তা নদী। ছাতনাই থেকে এ নদী নীলফামারীর ডিমলা, জলঢাকা, লালমনিরহাটের সদর, পাটগ্রাম, হাতিবান্ধা, কালীগঞ্জ, রংপুরের কাউনিয়া, পীরগাছা, কুড়িগ্রামের রাজারহাট, উলিপুর হয়ে চিলমারীতে গিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে মিশেছে। ডিমলা থেকে চিলমারী এ নদীর বাংলাদেশ অংশের মোট ক্যাচমেট এরিয়া প্রায় ১ হাজার ৭১৯ বর্গকিলোমিটার। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশন গঠনের পর তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ১৯৮৩ সালের জুলাই মাসে দুই দেশের মন্ত্রিপরিষদের এক বৈঠকে তিস্তার পানিবণ্টনে শতকরা ৩৬ ভাগ বাংলাদেশ ও ৩৯ ভাগ ভারত এবং ২৫ ভাগ নদীর জন্য সংরক্ষিত রাখার বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। কিন্তু ওই সিদ্ধান্তে তিস্তার পানিপ্রবাহের পরিমাণ বা কোন জায়গায় পানি ভাগাভাগি হবে এ রকম কোনো বিষয় উল্লেখ না থাকায় তা আর আলোর মুখ দেখেনি।
২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর তিস্তার পানির ৮০ ভাগ দুই দেশের মধ্যে বণ্টন করে বাকি ২০ ভাগ নদীর জন্য রেখে দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল কিন্তু ভারত সেই প্রস্তাবে রাজি না হয়ে উল্টো তিস্তার কমান্ড এরিয়া তাদের বেশি এই দাবি তুলে বাংলাদেশ তিস্তার পানি সমান ভাগ পেতে পারে না এই দাবি উপস্থাপন করেছিল। এরপর আর তিস্তার পানিবণ্টনের জট খোলেনি। এখানে বলা ভালো বাংলাদেশ উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী, রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট ও বগুড়া জেলার ৩৫টি উপজেলায় তিস্তা সেচ প্রকল্প থেকে বর্ষা মৌসুমে সম্পূরক ও শুল্ক মৌসুমে সেচ দেয়ার উদ্দেশ্যে ১৯৭৯ সালের আগস্টে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের প্রথম ফেজ কাজের উদ্বোধন করে। এরপর ভারত ১৯৮৫ সালে তিস্তার উৎসমুখে এবং তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের মাত্র ৬৫ কিলোমিটার উজানে গজলডোবা নামক স্থানে গজলডোবা ব্যারাজ নির্মাণ করে। এর ফলে তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পটি সেচ প্রদানে অকার্যকর হয়ে পড়ে। এই সেচ প্রকল্পের উপকৃত এলাকা ৭ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর। এদিকে কিশোরগঞ্জ উপজেলার (নীলফামারী জেলার অন্তর্গত) বাহাগিলি নামক স্থানে তিস্তা প্রকল্পের দ্বিতীয় প্রকল্পের কাজও হাতে নেয়া হয়েছে। এ কাজ সম্পন্ন হলে রংপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলার ৪ লাখ ৪৮ হাজার হেক্টর জমি সেচের আওতায় আসবে। কিন্তু পানির অভাবে তিস্তা এখন শুধু নামে আছে। পানি নেই বললেই চলে। ভরাট হয়ে গেছে ৬৫ কিলোমিটার নদী।
তিস্তা আন্তর্জাতিক নদী হওয়ায় জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পানিপ্রবাহ কনভেনশন ১৯৯৭ অনুযায়ী বাংলাদেশের পানি, প্রাপ্তি সেখানে স্বীকৃত। এখানে ভারতের কাছে চাওয়ার কিছু নেই। মমতা ব্যানার্জির আপত্তিও গ্রহণযোগ্য নয়। তিস্তাচুক্তিটি হওয়াটা বাঞ্ছনীয়। তিস্তাচুক্তি না হলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে আরো উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যাবে না। এখন মমতা ব্যানার্জি আবারো ঢাকায় আসছেন। এতে নরেন্দ্র মোদির হাত শক্তিশালী হলো বটে, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের যে প্রত্যাশা তা পূরণ হবে না।
নরেন্দ্র মোদির সফরে বেশ কটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। কানেকটিভিটির আওতায় যে কটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে, তাতে বাংলাদেশের স্বার্থ কতটুকু রক্ষিত হবে, সে প্রশ্ন উঠবেই। এ ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদির কাছে আমাদের অনেক প্রত্যাশা। তিনি সমস্যাগুলো অনুধাবন করে সমাধানের উদ্যোগী হবেন। না হলে কানেকটিভিটি নিশ্চিত করে তাদের নিজস্ব স্বার্থ রক্ষিত হবে বটে; কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের বন্ধুত্ব হয়ত তিনি পাবেন না। আমরা নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাই। তার বাংলাদেশ সফর সফল হোক। Daily Jai Jai Din 02.06.15

0 comments:

Post a Comment