ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
দুই দিনের ঢাকা সফরের পর এর রেশ এখনও রয়ে গেছে। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এ সফরকে
বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ সফরের রেশ আরও কিছুদিন থেকে যাবে এবং
বাংলাদেশের রাজনীতিতে কিছুটা হলেও তা প্রভাব ফেলবে। তবে এটা সত্য, বিপুল এক
সম্ভাবনা ও প্রত্যাশার জন্ম দিয়ে তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন; কিন্তু বাংলাদেশের সব
প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে- এটা বলা যাবে না। তবে ভারতের প্রেক্ষাপটে অনেক অগ্রগতি
হয়েছে। এক. তার এ সফরকে প্রতিটি রাজনৈতিক দল স্বাগত জানিয়েছিল। বিএনপি ও জামায়াতের
মতো রাজনৈতিক দলগুলো, যাদের পরিচিতি ছিল ভারতবিরোধী দল হিসেবে, তারাও স্বাগত
জানিয়েছিল। কিন্তু মোদির সফরের পর এ দুইটি দলই তাদের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে;
বিরোধিতা করেনি। দুই. ভারতের জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ ক’টি
চুক্তি ও এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থ তেমন একটা রক্ষিত
হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। তিন. মোদির তিনটি কর্মসূচি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে
হয়েছে। মোদি খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সাক্ষাৎকে যেভাবেই বিশ্লেষণ করা
হোক না কেন, তিনি যে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি ফ্যাক্টর, এটা বোঝা গেছে এবং মোদি
যে সব রাজনৈতিক দলের সমর্থন নিয়ে ভারতের স্বার্থ নিশ্চিত করতে চান- এটাই প্রমাণিত
হলো। তিনি সংসদ অধিবেশনে ভাষণ দেননি। অথচ শ্রীলঙ্কা ও নেপালের পার্লামেন্টে তিনি
ভাষণ দিয়েছিলেন। বর্তমান সংসদ নিয়ে যে একটি ‘বিতর্ক’
আছে, সম্ভবত এটি বিবেচনায় নিয়েই তিনি সংসদে ভাষণ দেয়া থেকে বিরত থাকেন। তবে তিনি
বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে তরুণ প্রজন্মের (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র) উদ্দেশে
ভাষণ দিয়ে তরুণ প্রজন্মের কাছে ভারতের ইমেজ বাড়াতে চেয়েছেন। কেননা এদেশে একটা শক্ত
ভারতবিরোধী মনোভাব রয়েছে। এ ভারতবিরোধী মনোভাব তিনি কাটিয়ে উঠতে চান। এজন্য
টার্গেট করেছেন তরুণ প্রজন্মকে। বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর শতকরা ৬৫ ভাগের বয়স ৩৫ বছরের
নিচে। এদের নিয়েই মোদি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন করে রচনা করতে চান।
বলতে দ্বিধা নেই, মোদির এ সফরে
বাংলাদেশের অনেক প্রত্যাশাই পূরণ হয়নি। তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট ‘কমিটমেন্ট’
নেই। তিনি শুধু মমতা ব্যানার্জিকে সফরসঙ্গী করেছিলেন; কিন্তু তাতে আসাম ও
ত্রিপুরায় এক ধরনের অসন্তোষ আমরা লক্ষ করেছি। এ দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাদের
অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বলাই বাহুল্য কানেকটিভিটির নামে এ দুই রাজ্যে বাস চলাচল ও
পণ্য পরিবহনের উদ্বোধন হয়েছে; কিন্তু শুরু হয়নি। অথচ চুক্তি স্বাক্ষরের সময় এ দুই
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অনুপস্থিত ছিলেন। নরেন্দ্র মোদি তার ঢাকা সফরে ‘চীনা
কার্ড’টি
ব্যবহার করেছেন, এমন কথা ভারতীয় সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে। ৮ জুন হিন্দুস্তান টাইমসের
প্রতিবেদন ও এর আগে ২৮ মে নয়াদিল্লি থেকে পাঠানো রয়টার্সের প্রতিবেদনে
সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকায় চীনের প্রভাব সঙ্কুচিত করার উদ্দেশ্য নিয়েই
তিনি ঢাকা সফর করেন। এ সফর বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলে কিনা, সেটা এখন
দেখার বিষয়।
নরেন্দ্র মোদির এ সফর ও যৌথ ঘোষণাপত্র
সব ধরনের ‘বিতর্কের’
ঊর্ধ্বে, তা বলা যাবে না। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বেশকিছু বিষয়ে
কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় তা এক ধরনের ‘হতাশার’
জন্ম দেবে- এটা অস্বীকার করা যাবে না। যেমন, তিস্তার পানি বণ্টনের ব্যাপারে কোনো
নির্দিষ্ট সময়সীমা না থাকায়, আমাদের তা হতাশ করেছে। মমতা ব্যানার্জি ঢাকায়
এসেছিলেন আবারও। কিন্তু তা বাংলাদেশের স্বার্থে নয়, পশ্চিম বাংলার স্বার্থেও নয়।
তিনি এসেছিলেন মোদির অনুরোধে এবং মোদির স্বার্থে। এবারও আমরা তার কাছ থেকে কোনো
কমিটমেন্ট পেলাম না। বরং তিনি ‘বাংলাদেশ আত্রাই নদীতে বাঁধ দিয়ে পানি
প্রত্যাহার করে নিয়েছে’
কলকাতায় এ অভিযোগ তুলে তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টিকে অন্যদিকে দৃষ্টি ফেরানোর
একটি অপচেষ্টা চালালেন। দীর্ঘ ৪৩ বছরের যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকের ইতিহাসে ভারতের
পক্ষ থেকে কখনও এ ধরনের অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি। এবার হলো। উদ্দেশ্য পরিষ্কার- মমতা
সম্ভাব্য তিস্তা চুক্তির পেছনে ছুরিকাঘাত করতে চান!
তিনি তিস্তার বদলে দৃষ্টিটা অন্য
জায়গায় নিয়ে যেতে চান। ৬৫ দফা যৌথ ঘোষণাপত্রে এটা অঙ্গীকার করা হয়েছে যে, ২০২১
সালে বাংলাদেশ যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার পরিকল্পনা করছে, সেখানে
ভারত অংশীদার হতে চায়। অংশীদার হওয়া এক জিনিস আর বিদ্যুতের নিয়ন্ত্রণ ভারতের হাতে
চলে যাওয়া অন্য জিনিস। এখন পরিস্থিতি কি সেদিকেই যাচ্ছে না? দুইটি ভারতীয়
কোম্পানির (রিলায়েন্স ও আদানি) সঙ্গে ৪ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের
ব্যাপারে চুক্তি হয়েছে। এতে কি বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষিত হয়েছে? হলে, কতুটুকু
হয়েছে? রিলায়েন্স করবে এলএনজি প্লান্ট। তরলীকৃত গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে।
কিন্তু অবকাঠামো ও বিদ্যুৎ লাইন টেনে নেয়ার দায়িত্বটি বাংলাদেশের। প্রতি ইউনিট
বিদ্যুৎ কত টাকায় আমরা কিনব কিংবা চুক্তির বিস্তারিত আমরা জানি না। বিদ্যুৎ
বিভাগের ওয়েবসাইটেও তা প্রকাশ করা হয়নি। আর আদানি গ্রুপ ভারতীয় কয়লায় বিদ্যুৎ
উৎপাদন করবে। এটা সবাই জানে, ভারতীয় কয়লা নিকৃষ্টমানের। অথচ আমাদের পাঁচটি কয়লা
খনিতে যে কয়লা পাওয়া যায়, তা উন্নতমানের বিটুমিনাস কয়লা। প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের
কয়লা দিয়ে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হলো না কেন? উপরন্তু আমাদের দেশে এখন অনেক
উদ্যোক্তা রয়েছেন, যারা বিদ্যুৎ সেক্টরে বড় বিনিয়োগ করতে পারেন। তাদের কেন এ
সুযোগটি দেয়া হলো না? উন্মুক্ত টেন্ডারেও দুইটি ভারতীয় কোম্পানিকে এ কাজ দেয়া
হয়নি। সরকারের অভিযোগ আছে, উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগের কারণে এবং মোদির ব্যক্তিগত
আগ্রহেই এ ‘কাজ’ ভারতীয় কোম্পানি পেয়েছে। এটা এখন অনেকেই জানেন, আদানি গ্রুপ
গুজরাটের ব্যবসায়ী গ্রুপ। তাদের সঙ্গে মোদির ব্যক্তিগত সখ্য রয়েছে। মোদির
নির্বাচনী প্রচারণায় এ শিল্পগোষ্ঠীর অবদান ছিল অনেক। এখন এরা বাংলাদেশে একটি ‘কাজ’
পেল। হয়তো অনেকেই জানেন না, আদানি গ্রুপ বাংলাদেশে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণেও
আগ্রহ দেখিয়েছিল। অথচ এ কাজে এদের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। রিলায়েন্স গ্রুপের ক্ষেত্রেও
একই কথা প্রযোজ্য। ভারত থেকে যে ২০০ কোটি ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি পেয়েছি, তাতে
বাংলাদেশ কতটুকু লাভবান হবে? এ ঋণ নেয়া হবে সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিটের আওতায়। আমরা
অনেক আগে থেকেই বলে আসছি, সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিটে নেয়া ঋণ কোনো ভালো ঋণ নয়। এতে করে
ঋণ দেয়া দেশের কাছে দায়বদ্ধতা বরং ভারতীয় স্বার্থই রক্ষিত হবে বেশি। সম্প্রতি
ভারতের পত্রিকা টাইমস অব ইন্ডিয়াও একই ধরনের মন্তব্য করেছে। তারা বলেছে, ঋণের অর্থ
যেসব প্রকল্পে খরচ করা হবে, তার কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি ও সেবা ভারত থেকে কিনতে হবে।
অর্থাৎ ঋণের দায় বাংলাদেশের আর সুদাসল ছাড়াও রফতানি ব্যবসা হবে ভারতের। এ ঋণের
টাকায় যেসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে, তাতে ভারতের ৫০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে।
এখন দেখা যাবে, এসব প্রকল্পে যেসব পণ্য দরকার হবে (ঠিকাদার, ইস্পাত, সিমেন্ট, ইট,
যন্ত্রপাতি, ইঞ্জিনিয়ার), তা সরবরাহ করবেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। এমনকি অদক্ষ
জনশক্তিও আসতে পারে। অথচ এসব পণ্য বাংলাদেশ উৎপাদন করে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা
বিদেশেও রফতানি হয়। আমাদের দক্ষ জনশক্তি (ইঞ্জিনিয়ার, আর্কিটেক্ট) আছে। কিন্তু
আমরা তাদের এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারব না। তাই আমরা কখনও বলি না, সাপ্লাইয়ার্স
ক্রেডিট একটি ভালো ঋণ। একসময় সমাজতান্ত্রিক দেশগুলো এ ধরনের ঋণ দিত। ভারত কিন্তু
তা করবে না। বার্টার ট্রেডে ভারতের সঙ্গে আমাদের ব্যবসা হয় না। উল্লেখ্য, মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেছেন, ভারতের দেয়া এই ঋণ সম্পূর্ণ শর্ত মুক্ত।
টিপাইমুখ বাঁধ নির্মিত হবে না, এ
ধরনের একটি কমিটমেন্ট যৌথ ঘোষণাপত্রে থাকলেও আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের ব্যাপারে
কোনো কমিটমেন্ট নেই। বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার ক্ষেত্রেও কোনো সুনির্দিষ্ট
কর্মসূচির কথা বলা হয়নি। বাংলাদেশ একটি নয়া উপআঞ্চলিক জোট বিবিআইএন (ভুটান,
বাংলাদেশ, ভারত- সাত বোন রাজ্য ও নেপাল) গঠনে রাজি হয়েছে। এটি যদি কার্যকরী হয়,
তাহলে সার্ক দুর্বল হয়ে যাবে। ভারত যে সার্কের ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল, তা
তাদের কর্মকান্ডে প্রমাণিত হয়েছে। ভারত সার্কের অবলুপ্তি চায় না, চায় একটি দুর্বল
সার্ক। তাদের টার্গেট হচ্ছে উপআঞ্চলিক সহযোগিতা, যাতে করে ভারতের সাত বোন রাজ্যের
উন্নয়ন সম্ভব। এখন ‘কানেকটিভি’ চুক্তি সম্পাদিত হওয়ায় ভারতের পণ্য কলকাতা থেকে
বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের সাত বোন রাজ্যগুলোতে যাবে। এক্ষেত্রে ভারতের ঋণে
অবকাঠামো উন্নয়ন হবে (বিশেষ করে চার লেনে রাস্তা হবে, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মিত
হবে)। আর অদূর ভবিষ্যতে সাত বোন রাজ্যগুলো চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করবে।
ত্রিপুরাকে কেন্দ্র করে সাত বোন রাজ্যগুলোর একটি বড় ব্যবসা কেন্দ্র হবে, যারা আমদানি-রফতানির
জন্য চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করবে। এক্ষেত্রে সাত বোন রাজ্যে বাংলাদেশী পণ্যের যে
বিশাল বাজার সৃষ্টি হয়েছিল, তা হুমকির মুখে থাকবে। বাংলাদেশী পণ্য প্রতিযোগিতায়
টিকতে পারবে না। বাংলাদেশ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদে ভারতকে সমর্থন
জানিয়েছে। এতে করে আমরা জাপানের ‘অসন্তোষের’ শিকার হতে পারি। চীনও এটাকে ভালো চোখে
দেখবে না। জাপানও নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদে প্রার্থী হতে চায়।
বাংলাদেশেরও উচিত হবে একইসঙ্গে জাপানকেও সমর্থন জানানো। না হলে বাংলাদেশে জাপানের
সাহায্যের ব্যাপারে তা প্রভাব ফেলবে।
নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর ও যৌথ
ঘোষণাপত্রে নানা প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। এসব প্রতিশ্রুতি যদি বাস্তবায়ন না হয়,
তাহলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই। কানেকটিভিটি এ যুগের চাহিদা।
কিন্তু তা হতে হবে বহুপাক্ষিকভাবে এবং উপআঞ্চলিক সহযোগিতার আলোকে। ভারত বড় অর্থনীতির
দেশ। ভারতে বাংলাদেশী পণ্যের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। ভারত যদি সব শুল্ক ও অশুল্ক
বাধা দূর না করে এবং যা সাপটা চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রাপ্ত, তাহলে ভারতের
উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই। বাংলাদেশের অনেক কিছু দেয়ার আছে ভারতকে। আর সেজন্যই
প্রয়োজন ভারতের মানসিকতার পরিবর্তন। বাংলাদেশকে সমমর্যাদার দৃষ্টিতে দেখতে হবে।
ভারতের আমলাতন্ত্র এ কাজটি করছে না, ফলে এ দুই দেশের সম্পর্কে নানা জটিলতা তৈরি
হয়েছে। মোদি সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ আমলাতান্ত্রিক বাধা কাটাতে চাচ্ছেন। তিনি তা
পারবেন কিনা, তা ভবিষ্যৎই বলে দেবে। তবে এটা সত্য, অন্যান্য ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর
চেয়ে নরেন্দ্র মোদির এ সফর ছিল ব্যতিক্রমধর্মী একটি সফর। তার কাছে বাংলাদেশের
মানুষের প্রত্যাশা অনেক।
দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ ১৪.০৬.২০১৫
দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ ১৪.০৬.২০১৫
0 comments:
Post a Comment