রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

কী পেলেন জাবির শিক্ষকরা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবসরের বয়সসীমা কমানোর একটি সিদ্ধান্ত সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে কয়েকদিন আগে। ওই সংবাদে বলা হয়েছে শিক্ষকদের অবসরের বয়সসীমা ৬৭ বছর থেকে কমিয়ে ৬৫ বছরে করা হয়েছে। এর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট অনেকটা 'জোর করেই' শিক্ষকদের অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর থেকে ৬৭ বছরে উন্নীত করেছিল। আবার এক বছর পর একই ভিসির নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেট তা কমিয়ে আবার ৬৫-এ আনলেন। এর আগে অবশ্য শিক্ষামন্ত্রী জাবির উপাচার্য ও কয়েকজন শিক্ষককে ডেকেছিলেন। উপাচার্যকে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন সরকার এই ৬৭ বছরের অবসরের বয়সসীমা মানবে না। এর পর পরই জাবির সিন্ডিকেট শিক্ষকদের অবসরের বয়সসীমা কমিয়ে আনল। এখানে অনেক প্রশ্ন আছে, যা শুধু শিক্ষকদের অবসরের সঙ্গেই সম্পর্কিত নয়, বরং এর সঙ্গে সমাজে শিক্ষকদের 'অবস্থান'-এর বিষয়টিও জড়িত। প্রথমত, শিক্ষকদের অবসরের বয়সসীমা ৬৭-এ উন্নীত করার কোনো প্রয়োজন ছিল না। কেননা আইনানুযায়ী সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবসরের বয়সসীমা ৬৫। এখন এককভাবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট যে সিদ্ধান্ত গত বছর নিয়েছিল, তা ছিল অবৈধ। এর পেছনে যে 'রাজনীতি'ই কাজ করুক না কেন, সিন্ডিকেটর ওটা করা উচিত হয়নি। আমাকে ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান চেয়ারম্যানও বলেছিলেন, সরকার এটা অনুমোদন করবে না। শেষ পর্যন্ত তাই হলো। দ্বিতীয়ত, যে ১১ জন সিনিয়র শিক্ষককে ৬৭ বছরের 'সুযোগ' দেয়া হয়েছিল, জাবির সিন্ডিকেট কি এখন তাদের অসম্মানিত করল না? গত এক বছরে এদের পেছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যয় হয়েছে এক কোটি টাকার ওপরে। এই টাকা মঞ্জুরি কমিশন বরাদ্দ করেনি। তাহলে কোন খাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই টাকা বরাদ্দ করল? এই টাকা এখন 'অ্যাডজাস্ট' হবে কিভাবে? মঞ্জুরি কমিশন কি তা মানবে? যদি ওই ১১ জন শিক্ষকের প্রাপ্য টাকা থেকে এই টাকা কেটে নেয়া হয়, তাহলে তারা কি মানবেন? কিংবা যদি তাদের এক বছরের সমপরিমাণ টাকা 'অন্য খাত' থেকে দেয়া হয়, তাহলে তা কি 'অবৈধ' হবে না? যুক্তি হিসেবে বলা যায় তারা তো গত এক বছর শিক্ষকতা করেছেন। শিক্ষকতার সম্মানী তো তারা পেতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব উৎস থেকে যদি তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়, সেখানেও ভবিষ্যতে 'অডিট' আপত্তি উঠতে পারে। তৃতীয়ত, বিশেষ বিবেচনায় ওই ১১ জন শিক্ষককে যদি বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয়, তাহলে ২০১৫ সালের জুন মাসে যারা গেলেন অবসরে, তারাও তো এরকমটি চাইতে পারেন! না হলে তারাও তো বৈষম্যের প্রশ্নটি তুলতে পারেন। চতুর্থত, নীতি-নির্ধারকদের একটা বিষয় বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন। এটা শুধু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। বরং সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আর সেটি হচ্ছে যোগ্যতাসম্পন্ন এবং দেশকে, জাতিকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য যোগ্য শিক্ষক কি তৈরি হচ্ছে? আজ ৬৫ বছর বয়সের পর ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী কিংবা চট্টগ্রামের যেসব শিক্ষক 'অবসরে' গেলেন, তাদের বিকল্প কি তৈরি হয়েছে? 'অধ্যাপক' তো আছেন শত শত। কজন সেই যোগ্যতা রাখেন? যতদিন শিক্ষক 'রাজনীতি' থাকবে, ততদিন দেশে 'যোগ্য' শিক্ষক তৈরি হবে না। একাধিক সদ্য নিয়োগ পাওয়া উপাচার্যকে চিনি, যারা এখন ব্যস্ত থাকেন টিভির রাতের টক-শোতে সরকারের গুণগান গাওয়ার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নের সময় তাদের কোথায়? একজন তথাকথিত উপাচার্যের কথা বলি। ঢাকার বাইরের একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তিনি। সদ্য নিয়োগ পাওয়া। রাজনীতি বিজ্ঞান তার বিষয় নয়। কিন্তু টিভি টকশোতে রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে প্রায় প্রতিদিনই তাকে দেখি। খোঁজ নিয়ে দেখেছি তিনি নিজে ফোন করে অনুষ্ঠানে আসতে আগ্রহ দেখান। এখন একজন উপাচার্য যদি সপ্তাহের চারদিনই টকশোতে থাকেন, তিনি ঢাকার বাইরের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজ চালান কিভাবে? অনেকেই বলেন, তিনি ঢাকা থেকেই নাকি অফিস করেন! সত্য-মিথ্যা জানি না। তাকে যখন টিভির নব ঘুরালেই সর্বত্র দেখি, তখন আমার মনেও এ প্রশ্ন উদয় হয় বৈকি! কী জানি 'ডিজিটাল যুগে' হয়তো এটা সম্ভব। জানি না শিক্ষামন্ত্রী নিয়োগপ্রাপ্ত উপাচার্যদের এখন কর্মকা- মনিটর করেন কিনা? যদিও রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত এসব উপাচার্যের ক্ষমতার উৎস অন্যত্র। শিক্ষামন্ত্রী এদের কিছুই করতে পারবেন না। চতুর্থত, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেলও 'ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স'-এ তাদের অবস্থান নিয়ে দীর্ঘদিন আন্দোলনের পেছনে যুক্তি কতটুকু আছে, তা ভিন্ন প্রশ্ন। কিন্তু একজন ডেপুটি সেক্রেটারির পদমর্যাদাসম্পন্ন জেলা প্রশাসক যখন একজন উপাচার্যকে অসম্মানিত করেন, তখন সঙ্গতকারণেই উপাচার্যদের তথা সিনিয়র শিক্ষকদের মর্যাদার প্রশ্ন ওঠে বৈকি! আমলারা একটি অভিযোগ প্রায়ই করেন। আমার এক ছাত্রকেও সেদিন ফেসবুকে মন্তব্য করতে দেখলাম_ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা খুব কম সময়ে 'অধ্যাপক' হয়ে আজ। এর পেছনে কিছুটা সত্যতা আছে, আমি অস্বীকার করি না। কিন্তু সচিবালয়ে যারা আছেন, তাদের শিক্ষকতার যোগ্যতা কোন পর্যন্ত? বিভাগের ভালো ছাত্রটি কি সিভিল সার্ভিসে যান, না কি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে চান? সচিবরা একাধিক সিনিয়র সচিবের পদ সৃষ্টি করেছেন। পুলিশ বিভাগেও সচিব পদমর্যাদার একাধিক কর্মকর্তা আছেন। সরকার এ পদ সৃষ্টি করেছেন বটে; কিন্তু শিক্ষকদের সেই সুযোগ কই? পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই শিক্ষকরা আলাদা সম্মান পান। শিক্ষকতার স্বার্থকতা এখানেই। কিন্তু শিক্ষকরা দাবি করতে পারেন না সিনিয়র শিক্ষক পদ সৃষ্টি করার। 'সিলেকশন গ্রেডের' অধ্যাপক নামে একটি পদ আছে। কিন্তু সব অধ্যাপকরা এই পদে যেতে পারেন না। এখন আমার মনে হয় সময় এসেছে 'সিনিয়র অধ্যাপক' পদ সৃষ্টি করার। যারা নূ্যনতম ৫ থেকে ৭ বছর অধ্যাপক পদে কর্মরত আছেন, তারা সরাসরি 'সিনিয়র অধ্যাপক' পদে পদোন্নতি পাবেন। তবে রাষ্ট্র উপার্জন তথা অধ্যাপকদের আলাদাভাবে মর্যাদা দিতে পারে। কোনো রাষ্ট্র যদি অধ্যাপকদের মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হয়, সেই রাষ্ট্রে কোনোদিন ভালো অধ্যাপক তৈরি হবে না। ভালো ছাত্ররা কোনোদিন শিক্ষকতা পেশায় আসবে না। পে-স্কেলে শিক্ষকদের মর্যাদা নিয়ে একটা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে। আমার বিশ্বাস কমিটি নিশ্চয়ই এ বিষয়টি বিবেচনায় নেবে। এ ক্ষেত্রে ওই কমিটির বিবেচনার জন্য আমি কিছু সুপাারিশ রাখতে চাই। এক. সিনিয়র শিক্ষকদের সচিব পদমর্যাদা দেয়া হোক। আর সিনিয়র শিক্ষকদের পদমর্যাদা নির্ধারিত হবে নূ্যনতম ৫ থেকে ৭ বছর নিজ পদে থাকার পর। দুই. অধ্যাপক পদে পদোন্নতির নীতিমালায় পরিবর্তন আনা যেতে পারে। পিএইচডি ডিগ্রি, মৌলিক গ্রন্থ, উচ্চতর গবেষণা, বিদেশি ডিগ্রি ছাড়া কাউকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালায় পরিবর্তন আনা যেতে পারে। বিশেষ করে পদোন্নতির নীতিমালায় পরিবর্তন আনা জরুরি। এখন সব বিশ্ববিদ্যালয়ের পদোন্নতির নীতিমালা একবার। তিন. শিক্ষক নিয়োগের নীতিমালায় পরিবর্তন আনা জরুরি। এখন উপাচার্যের ব্যক্তিগত স্বার্থ, নিজ জেলা, বিশেষ একটি জেলা, আত্মীয়তার বন্ধন শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পায়। যা করা উচিত, তা হচ্ছে পিএসসির আদলে মঞ্জুরি কমিশনের আওতায় আলাদা একটি কমিশন গঠন করা, যাদের কাজ হবে বিশ্ববিদ্যালয় তথা কলেজ শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া দেখভাল করা। গত বেশ কয়েক বছরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের তুঘলকি কা--কারখানা হয়েছে। যিনি কোনো বিশেষ বিভাগে কোনোদিন পড়াশোনা করেননি, উচ্চতর কোনো ডিগ্রি নেই, তাকে রাজনৈতিক বিবেচনায় ওই বিভাগে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাই কমিশন গঠনের বিষয়টি খুবই জরুরি। কমিশন এ ধরনের সুপারিশ করতে পারে।
জাবির শিক্ষকদের অবসরের বয়সসীমা নিয়ে খুব সঙ্গতকারণেই এসব প্রশ্ন আলোচিত হলো। শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে কোনো 'রাজনীতি' থাকা উচিত নয়। আমি অনেক জাবি শিক্ষককে চিনি, যারা ২০১৪ সালেই ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পর ৬৭ বছরের সুযোগ নেননি। তারা অবসর নিয়েছেন। অথচ শারীরিকভাবে তারা সবাই সুস্থ এবং জাতিকে আরো কিছু দেয়ার ক্ষমতা রাখতেন। কিন্তু আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং কোনোরকম রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ব্যবহার না করেই তারা অবসরে চলে গেছেন। তারা যে দৃষ্টান্ত রেখেছেন, সেই দৃষ্টান্ত অন্যরা অনুসরণ করলে ভালো করতেন। এখানে বলা ভালো জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজনীতিতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ বলে কিছু নেই। দুই মতাদর্শের শিক্ষকরাই এক প্লাটফর্মে কাজ করেন। শিক্ষক সমিতিতেও এই 'ঐক্য' কাজ করে। সারাদেশজুড়ে বিএনপির সমর্থকরা জেল-জুলুম আর মামলার ঝামেলায় 'ব্যস্ত' থাকলেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা দলীয়ভাবেই প্রশাসনের অংশ। সিন্ডিকেটে যেমনি তাদের প্রতিনিধি রয়েছে, তেমনি প্রশাসনেও রয়েছে তাদের প্রতিনিধি। আর এই 'ঐক্যের' ফলেই ওই ১১ জন শিক্ষকের অবসরের বয়সসীমা ৬৭ বছরে উন্নীত হয়েছিল। এখন তা আবার ৬৫ বছরে কমিয়ে আনায় উপাচার্য মহোদয় নিশ্চয়ই শিক্ষামন্ত্রীর সাধুবাদ পাবেন, কিন্তু অনেক শিক্ষকই তাতে মনঃক্ষুণ্ন হবেন। আরো একটা কথা শিক্ষকদের পাশাপাশি অফিসারদের অবসরের বয়সসীমাও ৬২ বছরে উন্নীত করা হয়েছে। এখন এটা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার তথা কর্মচারীদের অবসরের বয়সসীমার মধ্যে একটা সামঞ্জস্য থাকা উচিত। মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারীরা অবসরে যান ৫৯ বছর বয়সে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার ও কর্মচারীরা ৬২ বছরে অবসরে যেতেই পারেন। কিন্তু সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এই সমতা যেন থাকে। না হলে প্রশ্ন উঠবে, যেমনি প্রশ্ন উঠেছিল শিক্ষকদের অবসরের বয়সসীমা নিয়ে।
এখন শিক্ষকদের বয়সসীমা ৬৫ বছরে কমিয়ে আনায় আমার সিনিয়র সহকর্মীদের জন্য আমার দুঃখবোধ রইল। অনেকটা অসম্মানের সঙ্গে তারা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এখন ত্যাগ করবেন। তাদের নিজেদেরও উচিত ছিল এই 'বিতর্কে' না জড়ানো। দীর্ঘদিন তারা শিক্ষকতা করেছেন। শিক্ষকতার বাইরে থেকেও সমাজকে সেবা করা যায়। আমরা চাই না জাবির শিক্ষক সমিতি এটা নিয়ে 'রাজনীতি' করুক। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আমরা স্বায়ত্তশাসন ভোগ করি বটে, কিন্তু অর্থের জন্য আমাদের তাকাতে হয় সরকারের দিকে। ফলে সরকারের সিদ্ধান্তের বাইরে আমরা যেতে পারি না। আমি যুক্তি হিসেবে মেনে নিই অবসরের বয়সসীমা ৬৭-তে উন্নীত করা যায়। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তারা যেখানে ৫৯-এ অবসরে যান, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য ৬ বছর বাড়িয়ে ৬৫-তে থাকাই যুক্তিযুক্ত। সুতরাং জাবির সিন্ডিকেট আবার ৬৫-তে ফিরে এসে সঠিক কাজটিই করেছে। আসুন, আমরা সবাই মিলে সামনের দিকে তাকাই। Daily Jai Jai Din 11.08.15

0 comments:

Post a Comment