রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

ভারত স্বাধীনতার ৬৮ বছরে এগোতে পারল কতটুকু

ভারত স্বাধীনতার ৬৮ বছর পার করেছে এই আগস্টে। কিন্তু যে প্রশ্নটি অনেকে করার চেষ্টা করেন, তা হচ্ছে এই ৬৮ বছরে কতটুকু এগোতে পারল ভারত? এটা অস্বীকার করা যাবে না যে ভারতের সংসদীয় রাজনীতিতে বিজেপির উত্থান ও নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ ভারতকে পরিপূর্ণভাবে বদলে দিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের অবস্থান আগের চেয়ে যেমন আরো বেশি শক্তিশালী হয়েছে, ঠিক তেমনি বিশ্ব আসরে ভারতের গ্রহণযোগ্যতা আরো বেড়েছে। কিন্তু ভারতের দারিদ্র্য দূরীকরণে গত এক বছরে মোদির তেমন সাফল্য চোখে পড়ে না। ঋণের দায় এড়াতে কৃষকদের আত্মহত্যা তিনি বন্ধ করতে পারেননি। ভারতের জিডিপির পরিমাণ ২ দশমিক ৩০৮ ট্রিলিয়ন ডলার (পিপিপি অর্থাৎ ক্রয় ক্ষমতার হিসেবে ৭ দশমিক ৯৯৬ ট্রিলিয়ন ডলার)। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৩ ভাগ। বিশ্বের সপ্তম বড় অর্থনীতি ভারতের (পিপিপিতে এর পরিমাণ তৃতীয়)। কিন্তু ঋণের দায়ে কৃষকের আত্মহত্যা বন্ধের কোনো উদ্যোগ নিতে পারেননি নরেন্দ্র মোদি।
ভারতের কৃষক আত্মহত্যার 'কাহিনী' নতুন নয়। খরা, কিংবা প্রচুর বৃষ্টি ইত্যাদির কারণে প্রচুর কৃষক আত্মহত্যা করে থাকেন। মোদি যখন ২০১৪ সালের মে মাসে ভারতের বিধানসভার নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন। তখন তিনি এক স্বপ্নের কথা শুনিয়েছিলেন। নির্বাচনের আগে ৪৭৭টি জনসভায় বক্তৃতা করেছিলেন। ৩ লাখ কিলোমিটার পথ ভ্রমণ করেছিলেন। ৫,১৮৭টি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। ৩৯ লাখ অনুসারী তার টুইটারে। আর ফেসবুকে নির্বাচনের আগে তার 'লাইক'-এর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৩০ লাখ। কিন্তু নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর তিনি খুব কমই গ্রামে গেছেন। তবে ১৯ দেশ সফর করে বিশ্ব নেতাদের কাতারে তার নামকে স্থান দিতে পেরেছেন। কী পরিমাণ বদলে গেছেন মোদি, তার বড় প্রমাণ ১০ লাখ রুপির স্যুট পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে নয়াদিলি্লতে আমন্ত্রণ। এক সময় ট্রেনে ট্রেনে চা বিক্রি করে যিনি কৈশোরে জীবিকা নির্বাহ করতেন, সেই মোদি কৃষক লাল সিংয়ের জন্য গত এক বছরে কোনো আশার বাণী নিয়ে আসেননি। গরিব ঘরের সন্তান হয়েও মোদি এখন অভিজাততন্ত্রের প্রতিনিধিত্ব করছেন। জাত-পাতে বিভক্ত ভারতীয় সমাজের জন্য তিনি কোনো 'মডেল' হতে পারেননি এখনো। জমি অধিগ্রহণ বিল নিয়েও একটি মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে ভারতে। কংগ্রেস এটাকে পুঁজি করে গ্রামে গ্রামে কৃষকদের সংগঠিত করছে। এরকম একটি ছবি যেখানে রাহুল গান্ধী আমেথিতে (তার নির্বাচনী এলাকা) কৃষকদের নিয়ে ঘরোয়া সভা করছেন, তা ছাপা হয়েছিল বাংলাদেশের পত্রপত্রিকাতেও। যদিও এটা এই মুহূর্তে বোঝা যাচ্ছে না মোদির জনপ্রিয়তায় আদৌ ধস নেমেছে কিনা? কিংবা মোদি তার জনপ্রিয়তাকে আরো বাড়াতে পেরেছেন কিনা? কেননা এ ধরনের কোনো সার্ভে রিপোর্ট আমাদের কাছে নেই। নিঃসন্দেহে গত এক বছরে মোদি নিজেকে একজন উদ্যমী ও শক্তিশালী নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। দলে আদভানির (যিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন) মতো নেতাকে পাশে সরিয়ে রেখে তিনি তার অবস্থানকে শক্তিশালী করেছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি বড়, তা হচ্ছে তিনি 'গরিব দেশের ধনী প্রধানমন্ত্রী'। প্রেসিডেন্ট ওবামাকে স্বাগত জানাতে (জানুয়ারি ২০১৫) ১০ লাখ রুপির স্যুট পরিধান করে প্রমাণ করেছিলেন তিনি আসলে ধনিক শ্রেণিরই প্রতিনিধি!
এক সময় যে নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি কৈশোরে ট্রেনের কামরায় কামরায় চা বিক্রি করতেন, মা পরের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে সংসার চালাতেন (মে মাসের টাইম সাময়িকীর প্রতিবেদকের কাছে তা তিনি স্বীকারও করেছেন), সেই মোদির সঙ্গে এখন করপোরেট জগতের বাসিন্দাদের সম্পর্ক বেশি। ট্রেনে চা বিক্রেতাদের মতো সাধারণ ভারতীয়দের কাছে এখন তিনি 'অনেক দরের মানুষ'। তিনি যখন বিদেশ যান, তখন তার সঙ্গে যান ব্যবসায়ীরা, যান করপোরেট হাউসের প্রতিনিধিরা। কিন্তু গত এক বছরে তার শরীরে দশ লাখ রুপির স্যুট উঠেছে সত্য, কিন্তু দরিদ্র ভারতের চেহারা তিনি পরিবর্তন করতে পারেননি। কৃষকদের আত্মহত্যার প্রবণতা তিনি দূর করতে পারেননি। ইন্টারন্যাশনাল কম্পারিজন প্রোগ্রামের মতো জাপানকে হটিয়ে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে ভারত। ২০০৫ সালে ভারত দশম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ছিল, আজ তৃতীয় অবস্থানে (কারো কারো দ্বিমত এতে আছে) আর গত সপ্তাহেই জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে ২০১৬ সালে ভারতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি চীনের চেয়ে বেশি হবে। যেখানে চীনের প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ২ ভাগ, সেখানে ভারতের হবে ৭ দশমিক ৭ ভাগ। নরেন্দ্র মোদি এই ভারতকেই প্রতিনিধিত্ব করছেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে_ ভারতের জনগোষ্ঠীর ৩৭ ভাগ এখনো গরিব। ৫৩ ভাগ জনগোষ্ঠীর কোনো টয়লেট নেই, যারা প্রকাশ্যেই এ 'কাজটি' নিত্য সমাধান করেন। পরিসংখ্যান বলে বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ গরিব মানুষের বাস ভারতে, যাদের দৈনিক আয় বিশ্বব্যাংক নির্ধারিত ১ দশমিক ২৫ সেন্টের নিচে। চিন্তা করা যায় প্রতিদিন ভারতে ৫ হাজার শিশু মারা যায় শুধু অপুষ্টির কারণে (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ৮ সেপ্টেম্বর ২০১০)। পাঁচ বছর আগের এই পরিসংখ্যানে খুব পরিবর্তন এসেছে, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। শুধু দরিদ্র্যতা কেন বলি প্রায় ৮০ কোটি লোকের দৈনিক আয় ২ দশমিক ৫০ ডলারের মতো। ৭০ ভাগ লোক গ্রামে বসবাস করে। নারী-পুরুষের পার্থক্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যেখানে অবস্থান (জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র ১৮৬-কে হিসেবে ধরে) ১৪৬, ভারতের সেখানে ১৩৬। নারী নির্যাতন আর নারী ধর্ষণ এত ঘটনা ঘটার পরও বন্ধ হয়নি। নারী নির্যাতনের কাহিনী নিয়ে তৈরি ছবি (যা বাস্তব ঘটনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি) গুলাব গ্যাংয়ের (উত্তর প্রদেশের বুন্দেলখ-ে গ্রামের সত্য কাহিনী) কথা নিশ্চয়ই অনেকের মনে আছে। মোদি গত এক বছরে এদের জন্য কী করেছেন? যদিও মাত্র এক বছরে দরিদ্রতা কমানো সম্ভব নয়। কিংবা বিপুল তরুণ প্রজন্মের জন্য চাকরির সংস্থান করাও সম্ভব নয়। তিনি মনে করেন বিনিয়োগ বাড়লে কর্মসংস্থান বাড়বে। কিন্তু দরিদ্রতা কমানো তার জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তার 'গুজরাট মডেল' নিয়েও নানা প্রশ্ন আছে। গুজরাটে তিনি সড়ক, মহাসড়ক করেছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের নূ্যনতম চাহিদা পূরণে তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন। ভারতের প্রভাবশালী সংবাদপত্রগুলো তার এক বছরের পারফরম্যান্স নিয়ে নানা প্রবন্ধ লিখেছে। তবে বেশিরভাগ সংবাদপত্রের ভাষ্য একটাই_ তিনি যে নির্বাচনের আগে 'আচ্ছে দিন'-এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা এখনো অধরা। প্রাপ্তির ঘরটা এখনো শূন্যই। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ১২৫ কোটি মানুষের প্রত্যেকের ব্যাংক একাউন্টে ১৫ লাখ রুপি করে জমা হবে। কিন্তু তা হয়নি। ভবিষ্যতে হবে, এমন সম্ভাবনাও ক্ষীণ। কালো টাকা উদ্ধার করার প্রতিশ্রুতিও ছিল। কিন্তু অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানিয়ে দিয়েছেন কালো টাকার প্রশ্নটা ছেলে খেলা নয়। কাজেই অমন হুটোপুটি করলে চলবে না। আর অমিত শাহ বলেছেন, কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা_ এটা কথার কথা। এ ধরনের কথা বলতে হয়। এটা কথার কথা, এটাকে সিরিয়াসলি নিতে নেই_ এটা অমিত শাহের সাফ কথা। তাই নরেন্দ্র মোদির সেই প্রতিশ্রুতি 'আচ্ছে দিন', অর্থাৎ সুসময় কবে আসবে, বলা মুশকিল। তবে এটা তো ঠিক, সুসময় এসেছে ব্যবসায়ীদের জন্য। তারা এখন মোদির সঙ্গে সারা বিশ্বময় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাদের চাই ব্যবসা। চাই বিনিয়োগ। আর সেই ব্যবসা ও বিনিয়োগ নিশ্চিত করছেন মোদি। জাপান, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়াতে তিনি প্রচুর আশ্বাস পেয়েছেন। ভারতকে তিনি চীনের বিকল্প হিসেবে 'পণ্যের উৎপাদন কারখানায় পরিণত করতে চান। বড় বড় কোম্পানিগুলো এখন ভারতে আসছে। কিন্তু কৃষক যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। তাদের কোনো উন্নতি হয়নি।
সরকারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মোদি একটি খোলা চিঠি লিখেছিলেন। বাংলাদেশের পত্রপত্রিকাতেও তা ছাপা হয়েছে। এখানে তিনি কতগুলো বিষয় স্পষ্ট করেছেন। এমনকি বিজেপি এক সংবাদ সম্মেলনও করেছে গত ২৬ মে। মোদির চিঠি ও বিজেপির সংবাদ সম্মেলনে কতগুলো বিষয় স্পষ্ট হয়েছে। এক. রামমন্দির প্রতিষ্ঠা কিংবা শরিয়া আইন বাতিল তারা করবেন না। কেননা লোকসভায় তাদের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতাই যথেষ্ট নয়। অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ, মুসলিমদের শরিয়া আইন বাতিল, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদাবাহী সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল_ এগুলো ছিল বিজেপির প্রধান নির্বাচনী ইস্যু। দুই. মোদি বলেছেন, তিনি গত এক বছরে দুর্নীতিমুক্ত একটি সমাজ উপহার দিতে পেরেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি প্রধান পাহারাদার, দেশের সম্পদের পাহারাদার। কিন্তু বাস্তবতা বলে ভিন্ন কথা। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমে মোদির 'মেক ইন ইন্ডিয়া' (ভারত নির্মাণ) অভিযানকে অতিরঞ্জিত প্রচার বলে মন্তব্য করা হয়েছে। মোদি সরকারের কাছে বিপুল প্রত্যাশা থাকলেও কর্মসংস্থানের হাল যথেষ্ট খারাপ বলেও মন্তব্য করেছে তারা। প্রভাবশালী দৈনিক ওয়ালস্ট্রিট জার্নালে মোদি সরকারের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ভারতে 'মোদির এক বছর উচ্ছ্বাসের বাঁধ শেষ, সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ' শিরোনামে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ভারতে মোদি এক বছর আগে পরিবর্তন ও আর্থিক পুনরুজ্জীবনের আশায় নরেন্দ্র মোদি বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু এবার চূড়ান্ত বাস্তবতার সম্মুখীন হয়েছে মোদি সরকার। কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে, 'মেক ইন ইন্ডিয়া' অভিযান শুরু করলেও, ভারতের অর্থনীতি খুঁড়িয়েই চলছে। আর নিউইয়র্ক টাইমসের মতে, মোদির অধিকাংশ কর্মসূচি এখনো কথার কথাই রয়ে গেছে। নিউইয়র্ক টাইমসের মতে, দেশের অভ্যন্তরে আর্থিক অবস্থার খুব একটা উন্নতি হয়নি। কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার এখনো বেহাল। ব্যবসায়িক উদ্যোগেও তেমন দানা বাঁধছে না। একই সঙ্গে রাজনৈতিকভাবেও চাপে পড়েছেন মোদি।
এসব মূল্যায়ন মোদি সম্পর্কে কোনো ভালো ধারণা দেয় না। নিশ্চয়ই গত এক বছরে মোদি অনেক কিছু শিখেছেন। তবে এটা স্বীকার করতেই হবে তিনি নিজস্ব একটি স্টাইল তৈরি করেছেন। তিনি সিদ্ধান্ত একাই নেন। এখানেই মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে তার পার্থক্য। মনমোহন সিং বেশি মাত্রায় সোনিয়া গান্ধীনির্ভর ছিলেন। নরেন্দ্র মোদির প্লাস পয়েন্ট এটাই। দলে তাকে চ্যালেঞ্জ করার কেউ নেই। তারপরও তার বিরুদ্ধে অসন্তোষ আছে। দলের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এটা মনে করে কিনা জানি না, গত শনিবার ভারতের ৬৯তম স্বাধীনতা দিবসে এক ভাষণে তিনি বলেছেন, 'দুর্নীতি ভারতকে ঘুণপোকার মতো খেয়ে ফেলেছে। ওপরের পর্যায় থেকে আমাদের এ কাজ শুরু করতে হবে।' ভাষণে তিনি কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এর মধ্যে আছে ১০০০ দিনের মধ্যে সব গ্রামে বিদ্যুৎ। তিনি বলেছেন, 'স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া। নতুন ভারত গড়ার এখনই সময়।' তিনি কৃষকদের সেনাবাহিনীর জোয়ানদের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
প্রশ্ন এখানেই_ যে দেশে এখনো কৃষক ঋণের টাকা শোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা করে, সে দেশে কৃষকদের 'সাহসী সৈনিক' হিসেবে উল্লেখ করা অর্থহীন! ভারতে ক্ষুদ্রঋণের তেমন প্রচলন নেই। কৃষকদের প্রণোদনা দেয়ার জন্য ব্যাংকও এগিয়ে আসে না। ফলে মোদির বক্তব্য ওই কাগজ-কলমে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। দশ লাখ টাকা দামের স্যুট পরে আর যাই হোক, কৃষকবান্ধব হওয়া যায় না। Daily Jai Jai Din 20.08.15

0 comments:

Post a Comment