অসহিষ্ণু রাজনীতি অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
তা রে ক শা ম সু র রে হ মা ন
বাংলাদেশ এখন কোন দিকে যাচ্ছে? ৩৬ ঘণ্টার হরতাল পালনের পর লাগাতার হরতাল পালিত হল ৭ ও ৮ জুলাই। ১০ ও ১১ জুলাই হরতাল করছে ইসলামী দলগুলো। পরপর হরতাল পালনের মধ্য দিয়ে এক ধরনের ‘ভয়ের সংস্কৃতি’ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। হরতাল মানেই আগের দিন সন্ধ্যায় গাড়ি পোড়ানো, গাড়ি ভাংচুর আর সাধারণ মানুষের দ্রুত বাড়ি ফেরার আকুতি। এটা আমি নিজে প্রত্যক্ষ করেছি ৫ তারিখ সন্ধ্যাবেলায়। শত শত মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলেন অথচ রাস্তায় জনপরিবহন ছিল কম। সাধারণ মানুষের এই যে ভোগান্তি, এজন্য কাকে আমরা দায়ী করব? চারদলীয় জোটকে, যারা হরতাল আহ্বান করেছে, তাদের? নাকি যারা সরকারে আছেন, তাদের? এ দেশের আমজনতা তো ‘জিম্মি’ হয়ে আছে এক ধরনের। হরতালের ভোগান্তি মেনে নেয়া ছাড়া তাদের করণীয় কিছু থাকে না। অথচ এই আমজনতার ভোটেই কেউ জিতে সরকার গঠন করেন, কেউ হেরে বিরোধী দলে অবস্থান করেন।
আজ হরতালের বিপক্ষে যেসব মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের নেতারা কথা বলছেন, তারা কি হরতালের পক্ষে ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর একই কথা বলেননি? হরতালের পক্ষে দেয়া তাদের হাজারো যুক্তি ওই সময় সংবাদপত্রগুলোতে ছাপা হয়েছিল। দুর্ভাগ্য এ জাতিরÑ দেয়ালের লিখন থেকে আমরা কেউই শিখি না। যারা সরকার গঠন করেন, তারা যেমন শেখেন না, তেমনি শেখেন না যারা বিরোধী দলে আছেন তারাও। রাজনীতি তো জনগণের মঙ্গলের জন্য। কিন্তু এ কেমন রাজনীতি! একদিকে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার উদ্যোগ, অন্যদিকে ক্ষমতায় যাওয়ার প্রচেষ্টা। আমজনতা ভোট দেয় বটে, আগামীতেও দেবে। কিন্তু তাদের স্বার্থ কে দেখে!
সরকার সংবিধান সংশোধন করেছে। সংবিধান পরিবর্তন করতে গিয়ে সংবিধানে এমন কিছু মৌলিক পরিবর্তন করা হয়েছে, যা না করলে সরকার ভালো করত। নিদেনপক্ষে বিতর্ক এড়ানো যেত। সংবিধান পরিবর্তন হতেই পারে। অতীতেও হয়েছে। কিন্তু মৌলিক কাঠামোয় হাত দেয়া মানে অসহিষ্ণুতা বাড়িয়ে দেয়া। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল নয়, বরং প্রয়োজন ছিল সংস্কারের। প্রধান বিচারপতির প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার বিধান বাতিল করা উচিত ছিল। তা না করে আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাই বাতিল করে দিলাম। এর অর্থ হল দলীয় নির্বাচন। কিন্তু দলীয় নির্বাচন যে সু®ু¤ হয় না, তার জন্য আমাদের ১৯৯৪ সালের মাগুরা উপনির্বাচনে ফিরে যাওয়ার দরকার নেই। ২০১০ সালের ভোলার উপনির্বাচনও প্রমাণ করেছে দল যখন ক্ষমতায় থাকে, তখন স্থানীয় পর্যায়ে দলীয় নেতারা প্রভাব খাটান নির্বাচনে। নির্বাচন কমিশনের তথা সরকারের লোকজন থাকেন বটে। কিন্তু তাদের করার কিছু থাকে না।
সংবিধান সংশোধনের পর ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ থাকল বটে। কিন্তু মূলনীতিতে (৮.১ক) ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস হইবে যাবতীয় কার্যাবলীর ভিত্তি’ কথাটা থাকল না। এর কি আদৌ প্রয়োজন ছিল? এটা তো ইসলামপন্থী দলগুলোকে উসকে দিল। তারা একটা সুযোগ পেলেন ‘ইসলাম’ নিয়ে রাজনীতি করার। এই পরিবর্তনের আদৌ কোন প্রয়োজন ছিল না। প্রয়োজন ছিল না ‘জাতীয় পরিচয় বাঙালি ও নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশী’ অন্তর্ভুক্ত করার। পাহাড়ে বসবাসকারী নৃ-গোষ্ঠীর লোকেরা তো বাঙালি নন। তারা নিজেদের বাঙালি বলেনও না। তারা বাংলাদেশী এটা ঠিক আছে। কিন্তু সবাইকে বাঙালি বলা ঠিক নয়। ইতিমধ্যেই পাহাড়ি নেতারা এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এখন এই ‘ইস্যুতে’ পাহাড়ে যদি অশান্তি বাড়ে, তাহলে এর দায়-দায়িত্ব কে নেবে? সমাজতন্ত্রও ফিরে এলো সংবিধানে। কিন্তু কোন সমাজতন্ত্র আমরা বিনির্মাণ করব এদেশে? খোদ চীনেও এখন ধ্র“পদী সমাজতন্ত্র নেই। ভিয়েতনামে ‘দই মই’ (সংস্কার) রাজনীতি শুরু হয়েছে অনেক আগে। আর কিউবাতে রাহুল ক্যাস্ট্রো কিছু পরিবর্তন আনছেন। এখন বিশ্বব্যাপী যেখানে ‘সমাজতন্ত্র’কে বিদায় জানানো হচ্ছে, আমরা সেখানে সমাজতন্ত্র নিয়ে এলাম। তাতে বামরা খুশি হতে পারেন, কিন্তু এটা একটি ‘ভুল সিগন্যাল’ কি পৌঁছে দেবে না পশ্চিমা বিশ্বে? সংবিধানের ২৫ (২) ধারাটি বাদ দেয়ার ফলে কি মুসলিম বিশ্বে একটা ‘ইমেজ সংকট’-এর মুখে পড়বে না বাংলাদেশ? এটা যদি থাকত, তাতে ক্ষতি কী ছিল? আমাদের বৈদেশিক নীতিতে মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক সৌদি আরবেই কাজ করে দশ লাখের ওপর বাংলাদেশী। এদের পাঠানো অর্থ আমাদের বৈদেশিক আয়ের অন্যতম উৎস। ওআইসিতেও বাংলাদেশ একটি বড় ভূমিকা পালন করে। আমাদের এই যে ‘আইডেনটিটি’ তা তো আমরা বাদ দিতে পারব না? বিশেষ কমিটির ২৫ (২) ধারা বাদ দেয়ার সিদ্ধান্তটি সঠিক হয়নি।
শেখ হাসিনা অনেক ‘ফ্রন্ট’ ওপেন করেছেন। তিনি প্রতিশ্র“তিবদ্ধ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে। এ ব্যাপারে কারওরই আপত্তি নেই। যারা গণহত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠনের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের বিচার হোক। রুয়ান্ডার যুদ্ধাপরাধীদের যদি বিচার হতে পারে, যদি বসনিয়ার কসাইকে আন্তর্জাতিক আদালতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়, তাহলে বাংলাদেশেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতে পারে। কিন্তু ‘মুখ চেনা’ কিছু ব্যক্তির বিচার করলে তো পুরো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার বিচার তার আমলেই সম্পন্ন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ৩ জুলাই গ্রেনেড হামলা মামলার সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এই মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ মামলার গতি-প্রকৃতির ব্যাপারে যে অনেকের দৃষ্টি থাকবে, তা বলাই বাহুল্য। শেয়ারবাজার কেলেংকারিতে অভিযুক্তদের বিচার করা প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কয়েক লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের পরিবার ও সমর্থকদের সংখ্যাও একেবারে কম নয়। পত্রপত্রিকায় শেয়ারবাজার কেলেংকারির সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের নাম-ধাম এসেছে। এদের কেউ কেউ সরকারি দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। ১৯৯৬ সালে শেয়ারবাজার কেলেংকারির সময়েও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল। অভিযুক্তদের কারওরই বিচার হয়নি। আজও অভিযুক্তদের যদি বিচার না হয়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্য তা ভালো কোন খবর নয়। প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটা চ্যালেঞ্জও বটে।
সরকার সংবিধান সংশোধনীর মতো বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট যেসব বিষয়, সে বিষয়গুলোর ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়নি এতটুকুও। অথবা গুরুত্ব দিলেও এ ব্যাপারে অগ্রগতি হয়েছে কম। যেমন খাদ্যদ্রব্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি। মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। ২০০৫ সালের তুলনায় ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত চালের দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। আটার দাম বেড়েছে প্রায় ৬৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। সয়াবিন ও পাম তেলের দামও বেড়েছে যথাক্রমে শতকরা ১১৮ দশমিক ৩৬ ভাগ ও ১৪৬ দশমিক ১৫ ভাগ। এটা বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন অন্বেষণের দেয়া তথ্য। ২০১০-১১ অর্থবছরের শুরু থেকেই খাদ্য মূল্যস্ফীতি দুই অংকের ঘর অতিক্রম করে। ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ। সার ও ডিজেলের দামও বাড়ানো হয়েছে। ফলে খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মাঝে রয়েছে বাংলাদেশ। মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার এখানে ব্যর্থ।
ইতিমধ্যে নিু আয়ের মানুষের একটা বড় অংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে। ২০১৫ সালের মধ্যে এমডিজির বাস্তবায়ন এখন প্রশ্নের মুখে। যে রেমিট্যান্স নিয়ে আমাদের এত গর্ব, সেখানে আশার কোন খবর নেই। রেমিট্যান্স আয়ের উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারা কিছুটা শ্লথ হয়েছে। গত অর্থবছরে যে অর্থ এসেছে (১ হাজার ১৬৪ কোটি ৯৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার), তার প্রবৃদ্ধি মাত্র ৬ শতাংশ। অথচ এর আগের বছরে (২০০৯-১০) প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১৩ শতাংশেরও বেশি। এর অর্থ পরিষ্কার, শ্রমবাজার খোঁজার ব্যর্থতা। বাংলাদেশের মূল জনবল রফতানির বাজার মধ্যপ্রাচ্য। সেখানে বাংলাদেশীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে আসছে (কিন্তু নেপালের মতো দেশের সম্ভাবনা বাড়ছে সেখানে)। দেশে বেকার সমস্যা আশংকাজনকহারে বাড়ছে। কিন্তু সরকারের কোন বড় উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি। এমনিতেই জ্বালানি সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়েনি। নতুন নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সংযোগও দেয়া সম্ভব হয়নি। ২০১১ সালে জাতীয় গ্রিডে ২ হাজার ১৯৪ মেগাওয়াট বাড়তি বিদ্যুৎ যুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে জুন পর্যন্ত মাত্র ৬৩০ মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ছয় বছর আগে ২০০৪ সালে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো, এখনও সেই পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে (কালের কণ্ঠ, ৫ জুলাই)। দেশের আইন-শৃংখলা পরিস্থতি যে ভালো তা বলা যাবে না। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যখন পুলিশের জন্য আরও ১০টি আইজি পদ চাচ্ছেন, তখন দেশের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতির খবর সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে। শুধু এক মাসে ২৬ শিশু ও ১২ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে ‘সকালের খবর’ ৭ জুলাইয়ের প্রতিবেদনে। আর জুন মাসে ঢাকা শহরের একাধিক সোনার দোকানে ও বাসায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের ভূমিকা আবারও প্রশ্নবিদ্ধ হল যখন বিএনপির একজন সংসদ সদস্য পুলিশের পিটুনিতে আহত হলেন। একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যখন পুলিশের পিটুনির শিকার হন, তখন এর চেয়ে আর দুঃখজনক কিছু থাকতে পারে না। পুলিশের পিটুনি খাওয়ার পরও তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সরকারের জন্য এখন চ্যালেঞ্জ একাধিক। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী আসছেন সেপ্টেম্বরে। এসে গেলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আসবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সোনিয়া গান্ধী স্বয়ং। স্পষ্টতই বোঝা যায়, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক একটি নতুন দিকে টার্ন নিচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমস্যা রয়েছে একাধিক। ৪০ বছরেও সেসব সমস্যার সমাধান হয়নি। আমরা ট্রানজিট দিলাম। কিন্তু বিদ্যুৎ কবে আসবে, আমরা জানি না। ‘হাই প্রোফাইল’ ভিজিট ভালো। কিন্তু আমরা পদ্মায় পানি চাই। চাই তিস্তার পানির ন্যায্য অধিকার। চাই বিএসএফের হত্যা বন্ধ। চাই ছিটমহলগুলো ফেরত। ভারতকে ‘বন্ধু’ ভাবতে চাই। কিন্তু এই বন্ধুত্ব হতে হবে একপক্ষীয় নয়, দ্বিপাক্ষিক, প্রয়োজনে বহুপাক্ষিক। শেখ হাসিনার জন্য এটা আরেকটা চ্যালেঞ্জÑ অতিমাত্রায় ভারতনির্ভরতা বাংলাদেশের জন্য ‘ইমেজ সংকট’ সৃষ্টি করতে পারে।
রাজনীতি এক অনিশ্চয়তার দিকে যাত্রা শুরু করেছে। সরকারের কঠোর মনোভাব সংকটকে আরও জটিল করেছে। এ থেকে বেরিয়ে আসা দরকার। বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনায় যাওয়াটা জরুরি। সংবিধান সংশোধিত হয়ে গেছে। এখন দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হতে পারে। একটি দলীয় সরকারের বাইরে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব। এর জন্য দরকার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা। বারবার হরতাল পালন যদি সরকারকে কোন ‘মেসেজ’ পৌঁছে দেয়, সেটাই হবে আমাদের জন্য বড় পাওয়া।]
জুলাই ১১, সোমবার, দৈনিক যুগান্তর, ২০১১
আমাদের বাঙলাদেশ
ড. তারেক শামসুর রেহমান
অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ,
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
tsrahmanbd@yahoo. com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment