রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

কৃষ্ণার সফর প্রসঙ্গে দুটি কথা

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসএম কৃষ্ণার ঢাকা সফর শেষ হয়েছে গত শুক্রবার। চারদলীয় জোটের ডাকা হরতালের সময় তিনি ঢাকা এসেছিলেন। চলেও গেলেন হরতালের পরদিন। সাম্প্রতিক সময়গুলোতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নানা কারণে আলোচিত। বিশেষ করে ভারতকে একতরফাভাবে ট্রানজিট দেয়ার পরপরই দু’দেশের সম্পর্ক নিয়ে নানা কথা আলোচিত হতে থাকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০ জানুয়ারির (২০১০) ভারত সফরের পরপরই পররাষ্ট্রনীতিতে ‘ভারতের দিকে ঝুঁকে পড়ার প্রবণতা’ আমরা লক্ষ্য করতে থাকি। আমরা এটাও লক্ষ্য করেছি, স্বাধীনতার ৪০ বছরে বাংলাদেশ এই প্রথমবারের মতো অতি বেশি মাত্রায় ভারতের প্রতি নির্ভরশীল হয়েছে। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে যতটা ভারতের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিলেন, তার চেয়ে অনেক বেশি নিয়ে গেলেন তার কন্যা শেখ হাসিনা। বলার অপেক্ষা রাখে না, বর্তমান সরকারের সময় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুন একটি মাত্রা পেয়েছে।
ভারত অনেক বড় দেশ। বড় অর্থনীতি। বিশ্ব ব্যাংকের উপদেষ্টা ভারতীয় বংশোদ্ভূত হরিন্দর কোহলির মতে, আগামী ৩০ বছরে ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনীতিতে পরিণত হবে। মাথাপিছু আয় ৯৪০ ডলার থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ২২ হাজার ডলারে। বিশ্ব অর্থনীতিতে তখন এককভাবে অবদান রাখবে শতকরা ১৭ ভাগ (২০০৭ সালে মাত্র ২ ভাগ অবদান রেখেছে)। যদিও ভারতে ৪১ কোটি লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে, জনগোষ্ঠীর শতকরা ৩৭ দশমিক ০২ ভাগ দরিদ্র। কিন্তু তারপরও ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ভারতকে ‘বিশ্ব অর্থনৈতিক শক্তি’তে পরিণত করতে যাচ্ছে। এমনি একটি দেশ যদি পার্শ্ববর্তী দেশ হয়, সঙ্গত কারণেই বাংলাদেশ তা থেকে উপকৃত হতে পারে। বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা সেটাই। কিন্তু ভারতীয় নেতাদের মনমানসিকতা তা বলে না। তারা চায় একতরফাভাবে সুবিধা নিতে। বাংলাদেশকে তারা কোন দৃষ্টিতে দেখে তার প্রমাণ রেখেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং স্বয়ং, যখন তিনি দিল্লিতে সম্পাদকদের সঙ্গে আলোচনায় মুখ ফসকে ‘আসল’ কথাটি বলে ফেলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই ভালো। কিন্তু আমাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে সেখানকার ২৫ শতাংশ মানুষ জামায়াতের সমর্থক এবং তারা ভারতবিদ্বেষী। তাদের ঘিরে বিভিন্ন সময়ে আইএসআই নানারকম চক্রান্ত করছে। কাজেই যে কোনো সময় বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে।’ মনমোহন সিংয়ের বক্তব্যকে ঢাকা হালকাভাবে নিলেও, এটাকে হালকাভাবে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেননা আমাদের নেতানেত্রীদের মতো মনমোহন সিং হালকা কিংবা অর্থহীন কথাবার্তা বলেন না। এ ধরনের রেকর্ড তার নেই। তিনি যা বলেছেন তা তার সরকারের কথা। জামায়াত সম্পর্কে যে মন্তব্য তিনি করেছেন, তা তথ্যনির্ভর নয়। জামায়াত জঙ্গিবাদকেও পৃষ্ঠপোষকতা করে না। জামায়াতের সঙ্গে আইএসআইয়ের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের জবাব জামায়াত দিয়েছে। কিন্তু মনমোহন সিংয়ের মতো একজন উঁচুদরের নেতার কাছ থেকে এ ধরনের বক্তব্য অপ্রত্যাশিত ছিল। সত্য কথা হচ্ছে, নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকের অনেকেই বাংলাদেশকে এভাবেই দেখেন। অতীতে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে একটি ‘জঙ্গিবাদী রাষ্ট্রে’ (?) পরিচিত করতে চেয়েছিল ভারত। ভারতের নেতানেত্রীদের কথায় বারবার ফিরে এসেছে বাংলাদেশে তথাকথিত ‘জঙ্গিদের আস্তানা’র (?) কথা। ভারতের কোথাও কোনো বোমা বিস্ফোরণ ঘটলে ইঙ্গিত করা হতো বাংলাদেশের দিকে। বাংলাদেশকে একটি জঙ্গিবাদী (?) রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারলে ভারতের লাভ অনেক। বিগত জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশকে এভাবেই চিহ্নিত করেছিল ভারত। আজ মনমোহন সিং যখন এ ধরনের একটি বক্তব্য দেন, আমি তাতে অবাক হই না। ভারত চায় বাংলাদেশের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করে নিতে। তাই তারা নিচ্ছেও। প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কি শুধু দিয়েই যাব? আমাদের প্রাপ্তি তো শূন্য। আমাদের প্রাপ্তি নিয়ে যে স্বয়ং আমাদের প্রধানমন্ত্রী অখুশি, তা জানিয়ে দিল কলকাতার আনন্দবাজার।
কৃষ্ণা ঢাকায় বললেন, ‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীল সমৃদ্ধ বাংলাদেশে বিশ্বাসী ভারত।’ এটা কূটনৈতিক জবাব। তিনি আরও যা বললেন, তাতে আশার কোনো কারণ আমি খুঁজে পাই না। বিমানবন্দরে সাংবাদিকরা তাকে কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ না পেলেও, দীপু মনির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি দু’একটি কথার জবাব দিয়েছেন। সেখানে আশার কথা তো নয়ই বরং আপত্তিকর কথাও বলেছেন। সীমান্তে হত্যা বন্ধ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘সীমান্ত হত্যা বন্ধে দু’দেশকে দায়িত্ব নিতে হবে।’ এই বক্তব্যটি আপত্তিকর। কেননা সীমান্তে হত্যাকাণ্ডে ভারতের বিএসএফ এককভাবে দায়ী, বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড দায়ী নয়। গত বছর বিএসএফের হাতে কতজন বাংলাদেশী মারা গেছেন, তা অধিকারের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সীমান্তে বিএসএফের হাতে ১৭ জন বাংলাদেশী প্রাণ হারিয়েছেন। আর চলতি মাসের প্রথম ৬ দিনে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ২ জন বাংলাদেশী। আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তো সংসদে স্বীকার করেছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২৬ মাসে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ১৩৬ জন বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ১৭০ জন (আমার দেশ, ৭ জুলাই)। কিশোরী ফেলানীকে পাখির মতো গুলি করে তার মৃতদেহ কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখল ঘণ্টার পর ঘণ্টা। সারাবিশ্বের মানুষ এ ঘটনায় বিস্মিত ও হতবাক হলেও ঢাকার সুেগুনবাগিচায় কর্মরত কর্তাব্যক্তিদের টনক তাতে নড়েনি। তাত্ক্ষণিকভাবে ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে আমাদের পররাষ্ট্র সচিব ‘সাহস’ পেলেন না প্রতিবাদ জানাতে। যদিও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। আজ আমাদের দীপু মনির সঙ্গে বসে কৃষ্ণা বাবু যখন বললেন ‘সীমান্ত হত্যা বন্ধে দুই দেশকে দায়িত্ব নিতে হবে, তখন আমাদের দীপু মনি ‘সাহস’ করে বলতে পারলেন না একজন ভারতীয় নাগরিককে হত্যা করেনি বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড। আমাদের দুঃখটা এখানেই—আমাদের নেতানেত্রীরা সাহস করে ভারতীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন না।
কৃষ্ণার সফরকালে দুটি চুক্তি হয়েছে। একটি যৌথ বিনিয়োগ সংক্রান্ত আর দ্বিতীয়টি ভুটানের যানবাহন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ সংক্রান্ত। এই দুটি চুক্তি থেকে আমাদের লাভ কতটুকু, তা আগামী দিনই বলতে পারবে। তবে ভারতের ভূমিসংক্রান্ত চুক্তি আগেও হয়েছিল, কাজ হয়নি। আমাদের বলা হলো ভারতীয় ১০০ কোটি ডলার ঋণসংক্রান্ত প্রকল্প চূড়ান্ত হবে মনমোহন সিংয়ের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সফরের সময়। বলা হলো তিস্তার পানিবণ্টন নিয়েও একটি চুক্তি হবে ওই সময়। ভারতীয় ঋণ চুক্তি নিয়ে যে জটিলতা, সিরিয়াস পাঠকরা এ সম্পর্কে মোটামুটি জানেন। তাই এ বিষয় আলোকপাত করলাম না। কিন্তু আমার শঙ্কা তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে। একটি চুক্তি হবে—এটা আশার কথা। কিন্তু তাতে আমাদের স্বার্থ রক্ষিত হবে কি? এরই মধ্যে দু’দেশের পানি সম্পদ সচিবরা একটি খসড়া চুক্তিতে উপনীত হয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। কিন্তু এর খুঁটিনাটি আমরা জানি না। এর জন্য আলোচনার পথও সরকার তৈরি করে দেয়নি। সংসদেও আলোচনার কোনো সুযোগ তৈরি হয়নি। আশঙ্কা করছি ফারাক্কা চুক্তির মতোই তিস্তা চুক্তি আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হবে। আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে প্রথম যখন সরকার গঠন করে, তখন তড়িঘড়ি করে শেখ হাসিনা নয়াদিল্লিতে গিয়ে একটি চুক্তি করেছিলেন (১৯৯৬, ডিসেম্বর ১)। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী পানি আমরা কোনো দিনই
পাইনি। ওই চুক্তির আগে ১৯৯৬ সালের মার্চ-এপ্রিল মাসে পদ্মায় পানির সর্বনিম্ন প্রবাহ যেখানে ছিল ৯.৪৫ মিটার, সেখানে ২০১১ সালের মে মাসে রাজশাহীর রায়পুর-বোয়ালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ মাত্র ৮.৯২ মিটার (আমার দেশ, ১৬ মে, ১১)। ভারতের পানি প্রত্যাহারের ফলে একটা পর্যায়ে এসে পানি আরও কমে যাবে। ওই চুক্তি করে লাভবান হলো ভারত, আর আমরা আমাদের পানির হিস্যা হারালাম। এখন ভয় হচ্ছে তিস্তা নিয়েও এমন একটি চুক্তি হয় কি-না। চুক্তি করলেই স্বার্থ রক্ষিত হয় না। ফারাক্কা চুক্তি এর বড় প্রমাণ।
শুধু তিস্তার চুক্তির কথা কেন বলি, ভারতের সঙ্গে আমাদের সমস্যা একাধিক। কৃষ্ণার সফরের সময় এর কোনোটি নিয়েও কোনো আলোচনা হলো না। ট্রানজিট চুক্তির বিনিময়ে এরই মধ্যে আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ত্রিপুরায় ওভার ডাইমেনশনাল (ওডিসি) পরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। কিন্তু ট্রানজিট ফি কত হবে, তা আজও নির্ধারিত হয়নি। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ৬.৫ কিলোমিটার সীমানা আজও চিহ্নিত হয়নি। ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল রয়েছে, যার জমির পরিমাণ ৭ হাজার ১১০ একর। ওইসব ছিটমহল আজও বাংলাদশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত হয়নি। তিনবিঘা করিডোরের ওপর একটি ফ্লাইওভার নির্মাণের সিদ্ধান্ত হলেও, তা এখনও কার্যকর হয়নি। বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য ভারতের অনুকূলে। বাণিজ্য ভারসাম্য কমিয়ে আনতে ভারতের কোনো উদ্যোগ পরীলক্ষিত হয়নি। ভারতে বাংলাদেশী পণ্যের চাহিদা থাকলেও নানা ধরনের ট্যারিফ ও প্যারাট্যারিফের কারণে সেই পণ্য ভারতের বাজারে প্রবেশ করতে পারছে না। কৃষ্ণার বাংলাদেশ সফরের সময় এসব বিষয় নিয়ে আদৌ আলোচনা হলো না। বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও প্রশ্নগুলো উত্থাপন করা হলো না। এখন মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় আমরা কী পাব, সে ব্যাপারেও নিশ্চিত হতে পারছি না। কেননা কৃষ্ণার সফরের সময়ই মনমোহন সিংয়ের সফরের খুঁটিনাটি চূড়ান্ত হয়েছে। মনমোহন আসবেন শুধু চুক্তি স্বাক্ষর করার জন্য। আমরা বারবার বলে আসছি, আমরা ভারতের বন্ধুত্ব চাই। কিন্তু সেই বন্ধুত্ব হতে হবে সমমর্যাদার ভিত্তিতে। বাংলাদেশ ছোট দেশ হতে পারে, তার অর্থনীতি ছোট হতে পারে কিন্তু বাংলাদেশের একজন ড. ইউনূস আছেন যিনি বাংলাদেশকে সারা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছেন। আমাদের সেনাবাহিনী বিশ্বে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিয়ে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়েছে। পোশাকশিল্পে আমাদের দক্ষতা আমরা প্রমাণ করেছি। তাই বাংলাদেশকে ছোট করে দেখা যাবে না। ভারতের সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় আমাদের দক্ষতা প্রমাণ করতে হবে। চলতি মাসেই একটি সেমিনারে অংশ নিতে ঢাকায় আসবেন সোনিয়া গান্ধী। আমরা তাকে স্বাগত জানাব। বেশ কিছুদিন আগে রাহুল গান্ধীও ঢাকা ঘুরে গিয়েছিলেন। সেদিন তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। বাংলাদেশ যে পারে, আমরা তো তা প্রমাণ করেছি। এখন রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রমাণ দেখানোর পালা। সেপ্টেম্বর হতে আর খুব বাকি নেই। আমরা প্রত্যাশা করব মনমোহন সিং ঢাকায় এসে আমাদের আশার কথা শোনাবেন। যে বক্তব্য রেখে তিনি বাংলাদেশকে ‘ছোট’ করেছেন, এখন তাকেই উদ্যোগ নিতে হবে বাংলাদেশের মানুষের আস্থা অর্জন করতে।
রবিবার ১০ জুলাই ২০১১, দৈনিক আমার দেশ। 
ড. তারেক শামসুর রহমান 
অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ,
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
tsrahmanbd@yahoo.com

0 comments:

Post a Comment