রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

কোন পথে চীন?

চীনের পার্লামেন্ট
চীনা কমিউনিস্ট পার্টি ১ জুলাই একানব্বই বছরে পা দিল। ১৯২১ সালের ১ জুলাই সাংহাইয়ে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি আনুষ্ঠানিকভাবে জš§ লাভ করেছিল। এরপর অনেক চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে কমিউনিস্ট পার্টি চীনা জনগণকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। এই দীর্ঘ নব্বই বছরের যাত্রাপথ খুব সহজ ছিল না। প্রয়োজনে এবং জাতীয় স্বার্থে চীনা কমিউনিস্ট পার্টিকে মাঝে মধ্যে সমাজতান্ত্রিক নীতিতেও পরিবর্তন আনতে হয়েছে। ১৯২৩ সালে সমাজতন্ত্রবিরোধী ও দক্ষিণপন্থী কুয়ো মিংতাং পার্টির সঙ্গে ঐক্যফ্রন্ট গঠন, ১৯৪০ সালে মাও জে দং-এর ‘নয়া গণতন্ত্র’, ১৯৫৬ সালে ‘শত ফুল ফুটতে দাও’-এর নীতি, ১৯৬৫ সালের সাংস্কৃতিক বিপ্লব কিংবা মাও-এর মৃত্যুর পর (১৯৭৬) দেং জিয়াও পিং-এর উত্থান ও তার সংস্কার কর্মসূচি চীনকে আজ অন্যতম বিশ্বশক্তিতে পরিণত করেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে কমিউনিস্ট পার্টির সিদ্ধান্ত ছিল সঠিক। মনে রাখতে হবে, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে মিখাইল গরবাচেভ সংস্কার আনতে গিয়ে দেশটি ভেঙে ফেলেছিলেন। গরবাচেভের সংস্কার কর্মসূচির মূলত দুটি দিক ছিল। এক. রাজনৈতিক সংস্কার, যাকে কিনা অভিহিত করা হয়েছিল ‘গ্লাসনস্ত’ হিসেবে, বাংলা করলে যার অর্থ দাঁড়ায় দুয়ার খোলা নীতি। দুই. ‘পেরেস্ত্রইকা’ যার অর্থ পরিবর্তন কিংবা পরিবর্ধন। গরবাচেভ ‘গ্লাসনস্ত’ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সবকিছু ‘ওপেন’ করে দিয়েছিলেন। অনেকটা বহুদলীয় গণতন্ত্র, একটি ফেডারেল সিস্টেম, শক্তিশালী প্রেসিডেন্ট পদ্ধতি তিনি চালু করেছিলেন। আর অর্থনীতিতেও ব্যাপক পরিবর্তন এনেছিলেন। ফলে বিপত্তি বাধিয়ে বসেছিলেন তিনি। ভেঙে গিয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। তার ‘দুয়ার খোলা নীতি’র কারণে শক্তিশালী হয়েছিল সমাজতান্ত্রিক বিরোধী শক্তি। ওই শক্তিকে রোধ করা সম্ভব হয়নি গরবাচেভের পক্ষে। কিন্তু চীনে তথাকথিত ‘পেরেস্ত্রইকা’ এসেছে। অর্থাৎ অর্থনীতিতে এসেছে আমূল পরিবর্তন। চীন এখন বলছে সমাজতান্ত্রিক বাজার অর্থনীতির কথা। কিন্তু চীনে ‘গ্লাসনস্ত’ আসেনি। অর্থাৎ রাজনৈতিক সংস্কার আসেনি। গরবাচেভ ক্ষমতায় থাকার সময় সোভিয়েত সংবিধানের ৬ ও ৭ নং ধারা বাতিল ঘোষণা করে বহুদলীয় গণতন্ত্রের সূচনা করেছিলেন। ওই দুটো ধারায় বলা হয়েছিল কমিউনিস্ট পার্টির একক ক্ষমতা পরিচালনার কথা। সেনাবাহিনীর ওপরও পার্টির নিয়ন্ত্রণ কমিয়ে এনেছিলেন গরবাচেভ। কিন্তু চীনা নেতৃবৃন্দ এ কাজটা করেননি। সেনাবাহিনীর ওপর পার্টির নেতৃত্ব এখনও যেমন রয়েছে, ঠিক তেমনি চীনা সমাজকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য কমিউনিস্ট পার্টির একক কর্তৃত্বও বজায় রয়েছে। এজন্য চীন এখনও টিকে আছে। কিন্তু টিকে থাকতে পারেনি সোভিয়েত ইউনিয়ন। দুটি বড় দেশের কমিউনিস্ট পার্টির মাঝে পার্থক্য এখানেই। তাই চীনা কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ে বিশ্বজুড়ে যে আগ্রহ থাকবে, এটা বলাই বাহুল্য। চীনা কমিউনিস্ট পার্টি যেমন একদিন (১৯৩৪) লংমার্চের নেতৃত্ব দিয়ে বিপ্লবকে তার লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়েছিল, ঠিক তেমনি আজও স্নায়ু যুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্ব ব্যবস্থায় ‘নয়া চীন’কে নেতৃত্ব দিচ্ছে। প্রায় ৮ হাজার মাইলব্যাপী ওই লংমার্চে অংশ নিয়েছিল প্রায় ১ লাখ মানুষ। বিশ্ব ইতিহাসে সেটা ছিল এক বিরল ঘটনা। উচিয়াং, চিনশা, তাতু নদীর মতো প্রাকৃতিক বাধা কিংবা জনমানবহীন লাজি বিশাল জলাভূমি পার হতে বিপ্লবীরা সেদিন উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। আর আজও সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো একটি বড় সমাজতান্ত্রিক দেশের অবর্তমানে সব প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি চীনকে একুশ শতকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে।
কোন পথে এখন চীন? চীন কী একুশ শতকে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারবে? চীন সম্পর্কে এসব প্রশ্ন এখন উঠেছে। চীন যখন কমিউনিস্ট পার্টির ৯০ বছরের পূর্তি উৎসব পালন করছে, ঠিক সেই সময় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী (১৯৭৩-৭৭) হেনরি কিসিঞ্জার একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন চীন সম্পর্কে। কানাডার টরেন্টোতে আয়োজিত একটি বিতর্ক অনুষ্ঠানে কিসিঞ্জার বলেছেন, চলতি শতাব্দীতে চীন বিশ্বের ওপর একচ্ছত্র কর্তৃত্বের সুযোগ পাবে না। তার যুক্তি, চীন অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক সমস্যায় বেশি জর্জরিত থাকবে। ফলে তার পক্ষে বিশ্বের ওপর কর্তৃত্ব করার সুযোগ থাকবে না। যুক্তরাষ্ট্র আগামী ২৫ বছর বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবেÑ এটাও মনে করেন কিসিঞ্জার। যদিও ওই বিতর্কে ইতিহাসবিদ নিয়াল ফার্গুসন এবং বেইজিংয়ের সিনহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডেভিড লি কিসিঞ্জারের সঙ্গে একমত হননি।
চীন অনেক বদলে গেছে। এক সময় যে চীন ছিল কৃষিনির্ভর, দারিদ্র্য যেখানে ছিল প্রকট, বাড়িতে রঙিন টিভি ছিল যেখানে স্বপ্ন, সেই চীন আজ বিশ্বের অন্যতম শিল্পোন্নত দেশে পরিণত হয়েছে। চীন বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় বড় অর্থনীতি। যুক্তরাষ্ট্র, জাপানের পরই চীনের অর্থনীতি। ইতিমধ্যে জাতীয় উৎপাদনের দিক থেকে জাপানকেও ছাড়িয়ে গেছে চীন। আর যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবে ২০২০ সালে। উৎপাদনের দিক থেকে চীনকে বলা হয় ‘সুপার পাওয়ার’। বিশ্বের যত ফটোকপিয়ার, মাইক্রোওয়েভ ও জুতা তৈরি হয়, তার তিন ভাগের দুই ভাগ উৎপাদন করে চীন। সেই সঙ্গে বিশ্বে উৎপাদিত মোবাইল ফোনের ৬০ ভাগ, ডিভিডির ৫৫ ভাগ, ডিজিটাল ক্যামেরার ৫০ ভাগ, শিশুদের খেলনার ৭৫ ভাগ ও ৩০ ভাগ পারসোনাল কম্পিউটার একা উৎপাদন করে চীন। সুতরাং এই চীনকে বিশ্ব উপেক্ষা করে কিভাবে? পরিসংখ্যান বলে, চীনে বর্তমানে বৈদেশিক রিজার্ভের পরিমাণ ২ ট্রিলিয়ন ডলার। ফরচুন ম্যাগাজিন বিশ্বের বড় যে ৫০০টি বহুজাতিক কোম্পানির কথা উল্লেখ করেছে, তার মাঝে চীনের একারই রয়েছে ৩৭টি কোম্পানি। বিশ্বে যত জ্বালানি ব্যবহƒত হয়, তার মধ্যে শতকরা ১৬ ভাগ ব্যবহƒত হয় চীনে। জ্বালানি তেলের ব্যবহারের দিক থেকে চীনের অবস্থান তৃতীয়। প্রতি বছর কয়েক কোটি ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হয়। ৩ লাখ ছাত্র প্রতি বছর বিদেশে পড়তে যায়। যেখানে ১৯৪৮ সালে শিক্ষার হার ছিল মাত্র ২০ ভাগ, সেখানে এখন শতকরা ১০০ ভাগই শিক্ষিত। ২১ কোটি শিশু প্রতি বছর প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি স্কুলে ভর্তি হয়। চীন ইতিমধ্যে ২০ কোটি লোককে চরম দারিদ্র্য থেকে তুলে আনতে পেরেছে। তবে চীনে এখনও দরিদ্র মানুষ আছে। বিশ্বব্যাংক প্রতিদিন আয় ১ ডলার ২৫ সেন্ট হিসাব করে দরিদ্রের যে সীমারেখা টেনেছে, সেই হিসাবে চীনে এখনও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ২১ কোটি।
চীনে এখন নতুন নতুন তাক লাগানো শহর গড়ে উঠছে। আকাশছোঁয়া সব ভবনের ছবি টাইমস ছেপেছিল ২০০৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বরের সংখ্যায়। চীন বিশ্বের রূপান্তরযোগ্য জ্বালানির বিনিয়োগের নেতৃত্ব দিচ্ছে। ‘সবুজ জ্বালানি’ (অর্থাৎ সৌরবিদ্যুৎ) খাতে চীন গত বছর বিনিয়োগ করেছিল সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি ডলার, যা ছিল আগের বছরের তুলনায় শতকরা ৩৯ ভাগ বেশি। বিশ্বজুড়ে গত বছর এ খাতে বিনিয়োগ হয়েছে ২৪ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। চীন ২০২০ সালের দিকে এ খাত থেকে শতকরা ১৫ ভাগ বিদ্যুৎ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে চায়। চীনের ‘সবুজ জ্বালানি’ প্রকল্প উন্নয়নশীল বিশ্বের দেশগুলোর জন্য একটি দৃষ্টান্ত। স্কুলগুলোতে শেখান হয় ‘গ্রিন লিভিং’-এর কথা। কোন কোন শহরে রাস্তার বিদ্যুতের বাতি জ্বলে সৌরবিদ্যুতে। ১৯৪৯ সালের চীনের সঙ্গে ২০১১ সালের চীনকে মেলান যাবে না। কৃষিনির্ভর একটি দেশ এখন পরিণত হয়েছে শিল্পোন্নত দেশে।
কিন্তু রাজনীতি? রাজনীতিতে কী পরিবর্তন এসেছে? সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন তার চীন সফরের শেষ পর্যায়ে হংকংয়ে এসে বলেছিলেন, তিনি তার জীবদ্দশায় দেখে যাবেন চীনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে চীনে পশ্চিমা ধাঁচের গণতন্ত্র আদৌ প্রতিষ্ঠিত হবেÑ এ ব্যাপারে সবাই সন্দিহান। কেননা গণতন্ত্রের জন্য চীন প্রস্তুত নয়। ১২০ কোটি লোকের দেশ চীন। চীনে বাস করে ৫৬ জাতির লোক। দেশের শতকরা ৯৪ ভাগ লোকই হান জাতির। ২২টি প্রদেশ, ৫টি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল নিয়ে আজকের চীন। এখানে পশ্চিমা ধাঁচের পার্লামেন্টারি গণতন্ত্রের বিকাশ সম্ভব নয়। তাই বলে চীনকে এখন ধ্র“পদী একটি মার্কসবাদী রাষ্ট্রও বলা যাবে না। তারা অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। পুঁজিবাদের বেশকিছু উপাদান (ব্যক্তিগত খাত, ইপিজেড, স্টক মার্কেট) এখন চীনে চালু রয়েছে। স্বাস্থ্য খাত পুরোপুরিভাবে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণেÑ এটা বলা যাবে না। চীন এখন যৌথ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। চীনের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় একদিকে যেমন পাওয়া যায় ইউরোপের ঝড়পরধষ উবসড়পৎধপু’র ধারণা, ঠিক অন্যদিকে রয়েছে লাতিন আমেরিকার ঈড়ৎঢ়ড়ৎধঃরংস ও পূর্ব এশিয়ার ঘবড়-অঁঃযড়ৎরঃধৎরংস-এর উপাদান। এই তিনটির সংমিশ্রণে নতুন এক রাজনৈতিক সংস্কৃতির জš§ হয়েছে চীনে। এটাকে ঠিক মার্কসবাদও বলা যাবে না, আবার পুঁজিবাদও বলা যাবে না। এক সময় চীনে কনফুসিয়াসের ধ্যান-ধারণা নিষিদ্ধ ছিল। আজ চীন কনফুসিয়াসকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে পূজা করে। কনফুসিয়াসের অনেক চিন্তাধারা চীন এখন গ্রহণ করেছে। বাজার এখন চীনের অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করছে। চীনা পণ্য এখন বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করছে। চীনের বড় বিনিয়োগ এখন আফ্রিকাতে।
গরবাচেভ যে ভুলটি করেছিলেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে, সেই ভুল করেননি চীনা নেতৃবৃন্দ। তারা চীনকে বদলে দিয়েছেন। কিন্তু রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে তেমন কোন পরিবর্তন আনেননি। এখানে পরিবর্তন আসছে খুব ধীরগতিতে। আগে অত্যন্ত ক্ষমতাবান পলিটব্যুরোর সদস্যরা অবসর তেমন একটা পেতেন না। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তারা থাকতেন পলিটব্যুরোর সদস্য হয়ে। এখন ক্ষমতাবানদের অবসরে যেতে হয়। ২০১২ সালে অবসরে যাবেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও ও প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াও বাও। ধারণা করা হচ্ছে, বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট সি জিনপিং হু জিনতাও-এর স্থলাভিষিক্ত হবেন। সি জিনপিং চলতি বছরের প্রথমদিকে বাংলাদেশে এসেছিলেন। সংস্কারবাদী হিসেবেই তিনি পরিচিত। ধারণা করা হচ্ছে, আজ থেকে ৩৪ বছর আগে চীনা সংস্কারের জনক দেং জিয়াও পিং যে সংস্কারের সূচনা করেছিলেন, সেই ধারায় সি জিনপিংও একুশ শতকে চীনকে নেতৃত্ব দেবেন। এজন্যই মাইকেল এলিয়ট (Michael Elliot) লিখেছিলেন, ÔIn this century the relative power of the us. is going to decline, and that of China is going to rise. That cake was backed long ago (The Chinese Century Time, 22 January, 2007).
মাইকেল এলিয়ট মিথ্যা বলেননি। চীন আজ একটি শক্তি। এই শক্তিকে অবহেলা করা যাবে না। আর চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সার্থকতা এখানেই যে তারা চীনকে আজ এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।
সুত্রঃ যুগান্তর ৩রা জুলাই,২০১১
ড. তারেক শামসুর রেহমান
অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ,
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
www.tsrahmanbd.blogspotcom

0 comments:

Post a Comment