রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

চীনে ক্ষমতার পটপরিবর্তন


চীনে ক্ষমতার পটপরিবর্তন হলো। গত বৃহস্পতিবার চীনের পিপলস কংগ্রেসের (পার্লামেন্ট) ভোটাভুটিতে শি জিন পিং নয়া রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এটা অনেকটা প্রত্যাশিত ছিল। গেল বছরের নভেম্বরে তিনি পার্টির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। সাধারণ সম্পাদকরাই রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। কংগ্রেসের দুই হাজার ৯৫৬ জন সদস্যের মধ্যে তিনজন অনুপস্থিত ছিলেন। আর একটি ভোট পড়ে তাঁর বিপক্ষে। আর এই ভোটটি তিনি নিজেই দিয়েছেন। এই পালাবদলের মধ্য দিয়ে শি জিন পিং হু জিন তাওয়ের স্থলাভিষিক্ত হলেন। এই পালাবদল শি জিন পিংকে ন্যূনতম ১০ বছর ক্ষমতায় রাখবে। ২০১৭ সালে পরবর্তী পার্টি কংগ্রেস। বলা হয়, চীনে যাঁরা দায়িত্ব নিলেন রাষ্ট্রক্ষমতা পরিচালনার, তাঁরা 'পঞ্চম জেনারেশন'-এর রাজনীতিবিদ। শি জিন পিংয়ের পাশাপাশি লি ইউয়ান চাও ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং লি খোয়াছিয়াং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এই তিন ব্যক্তি আলোচনায় থাকবেন বেশ কিছুদিন।
চীনে নয়া নেতৃত্ব দায়িত্ব নেওয়ায় যে প্রশ্নটি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে, তা হচ্ছে কেমন হবে এখন চীনের রাজনীতি? সংস্কারপ্রক্রিয়া নিয়ে চীন কতদূর যেতে পারবে? যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কই বা কী হবে? চীন-রাশিয়া সম্পর্ক, চীনের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী দেশ, বিশেষ করে তাইওয়ান, জাপান কিংবা ফিলিপাইনের সঙ্গে চীনের সম্পর্কই বা কেমন হবে? বলা ভালো, বিতর্কিত বেশ কয়টি দ্বীপের মালিকানা নিয়ে চীনের সঙ্গে এই দেশগুলোর বিরোধ রয়েছে। চীন গেল বছর এই অঞ্চলে যুদ্ধ জাহাজও পাঠিয়েছিল। তবে শি জিন পিংয়ের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিযুক্তি, আমাদের জন্য একটি প্লাস পয়েন্ট। কেননা ব্যক্তিগতভাবে তিনি বাংলাদেশি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পরিচিত। গেল বছর তিনি বাংলাদেশেও এসেছিলেন। বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া যখন গেল বছর চীনে গিয়েছিলেন, তখন শি জিন পিং তাঁকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন তখন ভাইস প্রেসিডেন্ট। বাংলাদেশি নেতৃবৃন্দকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার মধ্য দিয়ে চীন প্রমাণ করেছিল, তারা বাংলাদেশকে একটি 'ঘনিষ্ঠপ্রতিম বন্ধুরাষ্ট্র' হিসেবেই মনে করে। বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ অনেক বেশি। চীন আমাদের উন্নয়নের অংশীদার। নিকট-প্রতিবেশী দেশ হিসেবে চীনের সঙ্গে আমাদের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের একজন মনীষী অতীশ দীপঙ্কর বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারের জন্য সুদূর চীনেও গিয়েছিলেন। অতীশ দীপঙ্কর তিব্বতেই দেহত্যাগ করেছিলেন। অন্যদিকে চীনের কূটনীতির জনক হিসেবে যাঁকে চিহ্নিত করা হয়, সেই অ্যাডমিরাল হো প্রায় চার শ বছর আগে এই এলাকা সফর করে গেছেন, যা আজ বাংলাদেশ নামে পরিচিত।
চীন বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক শক্তি। ২০১০ সালে জিএনপির দিক থেকে জাপানকে ছাড়িয়ে যায় চীন। যেখানে ১৯৮০ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে চীনের অবদান ছিল মাত্র ২ দশমিক ২ ভাগ (যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ ভাগ), সেখানে বলা হচ্ছে ২০১৬ সালে ppp- এর হিসাব অনুযায়ী (purchasing, price, parity) চীনের অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে ছাড়িয়ে যাবে। উৎপাদনশীল পণ্যের, বিশেষ করে ইলেকট্রনিকস পণ্যের দিক থেকে চীন এখন এক মহাশক্তি। বিশ্বের যত ফটোকপিয়ার, মাইক্রোওয়েভ ও জুতা উৎপাদিত হয়, তার তিন ভাগের দুই ভাগ চীন একা উৎপাদন করে। সেই সঙ্গে বিশ্বে উৎপাদিত মোবাইল ফোনের ৬০ শতাংশ, ডিভিডির ৫৫ শতাংশ, ডিজিটাল ক্যামেরার ৫০ শতাংশ, পারসোনাল কম্পিউটারের ৩০ শতাংশ, শিশুদের খেলনার ৭৫ শতাংশ চীন একা উৎপাদন করে। ফলে বিশ্বব্যাপী চীনা পণ্যের একটা বাজার তৈরি হয়েছে। চীনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ দুই ট্রিলিয়ন ডলারের ওপরে। ফরচুন ম্যাগাজিন বিশ্বের বড় ৫০০ কম্পানির কথা উল্লেখ করেছে, সেখানে চীনের রয়েছে ৩৭টি কম্পানি। বিশ্বে যত জ্বালানি ব্যবহৃত হয়, তার মধ্যে এককভাবে চীনে ব্যবহৃত হয় তার ১৬ শতাংশ। আর বিশ্বে জ্বালানি তেল ব্যবহারের দিক থেকে ৩ ভাগের ১ ভাগ ব্যবহার করে চীন। যে কারণে চীনকে বিশ্বের অন্যতম পরিবেশদূষণকারী দেশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পরিবেশদূষণের কারণে চীনে ক্যান্সারে মৃত্যুর হার বেড়েছে ২৯ শতাংশ হারে। চীনের রয়েছে বিশাল এক তরুণ প্রজন্ম, যারা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত। প্রতিবছর ২১ মিলিয়ন তরুণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হয়। আর প্রতিবছর তিন লাখ শিক্ষার্থী বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে যায়। তারা ফিরেও আসে। ১৯৪৮ সালে (স্বাধীনতার ঠিক এক বছর আগে) যেখানে চীনে শিক্ষিতের হার ছিল মাত্র ২০ শতাংশ, এখন সেখানে এক শ শতাংশ শিক্ষিত। অর্থনৈতিক সংস্কারের কারণে চীনে যে ব্যাপক অর্থনৈতিক পরিবর্তন এসেছে, তাতে প্রায় ২০ কোটি মানুষকে চীন অতি দরিদ্রতম অবস্থা (প্রতিদিন জাতিসংঘ কর্তৃক নির্ধারিত ১.২৫ ডলার আয় হিসেবে) থেকে বের করে এনে কিছুটা সচ্ছলতা দিয়েছে। যদিও বলা হয়, এখনো প্রায় ২০৭ মিলিয়ন লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দেশটিতে একদিকে যেমনি ধনী ও গরিবের মধ্যে এক ধরনের বৈষম্য সৃষ্টি করেছে, ঠিক তেমনি বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যেও বৈষম্য তৈরি হয়েছে। মানুষ গ্রাম থেকে শহরে আসছে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো এখন কর্মজীবী মানুষের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। মানুষের আয় সেখানে বেশি। হাজার হাজার টাউনশিপ এখন তৈরি হয়েছে, যা বদলে দিয়েছে চীনের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জীবনযাত্রা। চীনকে নিয়ে খারাপ খবরও আছে। যেখানে ২০০৯ সালে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ শতাংশ, ২০১২ সালে তা কমে এসে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশে। মুদ্রাস্ফীতি ৩ দশমিক ৫ শতাংশ কম। আর শহরে বেকারত্বের হার ৪ থেকে ৬ শতাংশের নিচে। এই যে চীন, এই চীনের নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্বটি এখন বর্তিয়েছে শি জিন পিংয়ের ঘাড়ে। শেষ পথে এখন চীন? শি জিন পিংয়ের এজেন্ডায় এখন কোন বিষয়টি প্রাধান্য পাবে বেশি- অভ্যন্তরীণ ইস্যু না বৈদেশিক সম্পর্ক? বেশকিছু বিশ্লেষকের লেখা পড়ে যা মনে হয়েছে, তা হচ্ছে- শি জিন এখন প্রথমেই অগ্রাধিকার দেবেন অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোর দিকে। এক বিশাল দেশ চীন। প্রায় ৫৫ জাতি ও উপজাতি নিয়ে গড়ে উঠেছে চীন। ২২টি প্রদেশ, পাঁচটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল, চারটি বিশেষ অঞ্চল ও ১৪৭টি বিশেষ এলাকা নিয়ে যে চীনা রাষ্ট্র, রাজনৈতিক সংস্কারের প্রশ্নে সেই রাষ্ট্রটি ভেঙেও যেতে পারে। এ কারণেই চীনা নেতারা রাজনৈতিক সংস্কারের প্রশ্নে সতর্ক থাকছেন। যে ভুল করেছিলেন গর্বাচেভ, সেই ভুল করেননি চীনা নেতারা। সেনাবাহিনী এখনো পার্টির প্রতি অনুগত। তাই অর্থনৈতিক সংস্কারকেই তাঁরা বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তবে বৈষম্য তৈরি হয়েছে। ফুজিয়ান, ঝে ঝিয়াং কিংবা সাংগাই প্রদেশগুলো তুলনামূলক বিচারে অনেক বেশি সমৃদ্ধিশালী। প্রদেশে প্রদেশে যে বৈষম্য, গ্রাম আর শহরের মধ্যে যে পার্থক্য, তা দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে শি জিন পিং প্রশাসনকে। সেই সঙ্গে রয়েছে প্রচুর বয়স্ক লোকের পেনশন-ভাতা নিশ্চিত করা, পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখা, অসমতা ও দরিদ্রতা দূর করা। এটা হবে নয়া প্রেসিডেন্টের প্রধান কাজ। দুর্নীতির বিষয়টিও তার অগ্রাধিকার তালিকায় থাকবে। পার্টির সিনিয়র নেতাদের ব্যাপক দুর্নীতির ব্যাপারে এখন চীন ও রাশিয়া বিশ্বে আলোচনার অন্যতম বিষয়। অভিযোগ আছে, সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া বাও ২ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারের সম্পদের মালিক হয়েছেন। নিউ ইয়র্ক টাইমস এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করলে তা ব্যাপক আলোচিত হয়। অভিযোগে বলা হয়েছিল, বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর মায়ের নামে একটি কম্পানির ১২০ মিলিয়ন ডলারের শেয়ার আছে। খোদ প্রেসিডেন্ট নিজেও অভিযুক্ত। যুক্তরাষ্ট্রের সুমবার্গ গ্রুপের মতে, শি পরিবার ৩৭৬ মিলিয়ন ডলারের মালিক। শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সম্পর্কে এ ধরনের অভিযোগ নয়া প্রেসিডেন্টের জন্য কোনো ভালো খবর নয়।
প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে শি জিন পিং বেছে নিয়েছেন আফ্রিকাকে। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত 'ব্রিকস' দেশগুলোর (চীন, ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ও আরো দুটি আফ্রিকান দেশ সফর করবেন। অনেকেই জানেন, আফ্রিকায় প্রচুর বিনিয়োগ রয়েছে চীনের। আফ্রিকার জ্বালানিসম্পদ উত্তোলনে চীনের বিনিয়োগ রয়েছে। চীন আফ্রিকার কয়েকটি দেশ থেকে জ্বালানি তেল আমদানি করে। আর 'ব্রিকস' হচ্ছে বড় অর্থনীতির দেশগুলোর একটি গ্রুপ, যারা আগামী দুই দশকের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করবে। চীনের গুরুত্ব এ কারণেই। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক যা ছিল, তাতে কোনো পরিবর্তন আসবে বলে মনে হয় না। বেশ কিছুদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে চীন একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। যুক্তরাষ্ট্র চীনকে মনে করে Responsible stakeholder। আর জেমস স্ট্রাইনবার্গের ভাষায়- Strategic reassurance হচ্ছে এই সম্পর্কের ভিত্তি। ওবামা বলেছিলেন, as important as any in the world- যুক্তি হিসেবে এটা ঠিক আছে। অবশ্যই চীন বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। কিন্তু প্যাসিফিক অঞ্চলের কর্তৃত্ব নিয়ে দেশ দুটো বিপদে জড়িয়ে পড়তে পারে। যুক্তরাষ্ট্র যে Trans Pacific partnership-এর কর্মসূচি বহন করেছে, তা চীনের সঙ্গে সম্পর্কের প্রশ্নে জটিলতা তৈরি করতে পারে। অনেকেই জানেন, যুক্তরাষ্ট্র এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে তার সামরিক (বিশেষ করে নৌবাহিনীর উপস্থিতি) উপস্থিতি বাড়িয়েছে (বাংলাদেশ এই স্ট্র্যাটেজির আওতায়)। ফলে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে এবং ভারত মহাসাগরে চীনের উপস্থিতিকে চ্যালেঞ্জ করবে যুক্তরাষ্ট্র। এ অঞ্চলে অর্থাৎ ভারত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রয়েছে। ২০০৭ সালের পর থেকে শ্রীলঙ্কা, চীন, ইরান ও রাশিয়ার সমন্বয়ে এ অঞ্চলে যে 'ঐক্য' গড়ে উঠেছে (প্রিমাকভ ডকট্রিন), তা মার্কিন স্বার্থকেও আঘাত করছে। গেল সপ্তাহে ওবামা বলেছেন, ইরান আগামী এক দশকের মধ্যে পারমাণবিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবে। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতির মূল কারণ দুটি- একদিকে ইরানের উত্থানকে চ্যালেঞ্জ করা, অন্যদিকে ধীরে ধীরে চীনকে ঘিরে ফেলা। অনেকটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নকে ঘিরে ফেলার যে নীতি (ফনটেইনমেন্ট থিওরি) যুক্তরাষ্ট্র বহন করেছিল, তার মতো। যুক্তরাষ্ট্রের এই স্ট্র্যাটেজি সম্পর্কে শি জিন পিং নিজে অবগত। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন। তখন তিনি এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, 'এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানো কোনো ভালো কূটনীতির পরিচয় দেয় না।' এ বক্তব্য প্রমাণ করে, যুক্তরাষ্ট্রের এই ভূমিকাকে চীন ভালো চোখে দেখছে না।
চীন অনেক বদলে গেছে। চীন এখন আর মার্কসবাদী-মাওবাদী আদর্শে বিশ্বাসী একটি রাষ্ট্র নয়। তবে মাওবাদকে তারা পুরোপুরি পরিত্যাগ করছে- তাও বলা যাবে না। জীবনযাত্রার মানের উন্নতি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন তাদের কাছে এখন প্রধান্য। পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর Neo Authoritarianism নেতৃত্ব, লাতিন আমেরিকার Corporatism এবং পশ্চিম ইউরোপের Social Democracy-র সমন্বয়ে চীন এক নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছে। এই রাজনীতি থেকে ফেরার আর পথ নেই। তাই শি জিন পিংয়ের নেতৃত্বের দিকে তাকিয়ে থাকবে সারা বিশ্ব। তিনি চীনে আরো সংস্কার আনেন কি না সেটাই বড় প্রশ্ন এখন।Daily KALERKONTHO18.03.13

0 comments:

Post a Comment