যারা গত ১২ মার্চের সংবাদপত্রগুলো পাঠ করেছেন তাদের মাঝে এ প্রশ্নটা ওঠা স্বাভাবিক যে, দেশের চলমান রাজনীতি আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে। সংবাদপত্রের ভাষায় গত ১১ মার্চ সন্ধ্যা বেলায় পুলিশ বিএনপি অফিসে যে গ্রেফতার অভিযান চালায়, তা ছিল ইতিহাসের জঘন্যতম পুলিশি অ্যাকশন। দৈনিক মানবকণ্ঠেও ছিল সাত কলামব্যাপী একটি হেডিং। সংবাদপত্রজুড়ে শুধু পুলিশি অ্যাকশনের ছবি। পুলিশ হাতুড়ি দিয়ে ভাঙছে বিএনপি অফিসের মহাসচিবের রুমের তালা। কোনো ছবিতে আবার মহাসচিবকে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। কোনো ছবিতে আছে পুলিশের প্রতি ঢিল নিক্ষেপের ছবিও। আছে সাংবাদিক ও সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খানের ওপর বোমা নিক্ষেপে ক্ষতিগ্রস্ত তার গাড়ির ছবিও। বিএনপির সমাবেশ ছিল ১১ মার্চ। বক্তৃতা করছিলেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ১২ মার্চের হরতালের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ককটেল ফুটল গুনে গুনে ১০টি। এতক্ষণ পর্যন্ত পুলিশ চুপচাপ ছিল। এরপর শুরু হলো পুলিশি অ্যাকশন। গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হলো শতাধিক কর্মীকে। কিন্তু তারপর? ১৮ ও ১৯ মার্চও পালিত হলো হরতাল। এই হরতালের রাজনীতি আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? রাজনীতি কেন অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে বার বার? যদিও ইতিমধ্যে ফখরুলসহ তিন নেতা মুক্তি পেয়েছেন। বাকিরা জেলে।
আমাকে অনেকেই জিজ্ঞেস করেন বাংলাদেশে কী হতে যাচ্ছে আগামীতে? নিউইয়র্কে বসবাসকারী এক বাংলাদেশি যিনি আমার লেখার পাঠক, ফোন করলেন সোমবার রাতে। তার প্রশ্ন কী হতে যাচ্ছে দেশে? আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বন্ধু কামাল। থাকে জার্মানীতে। জার্মান নাগরিক। ই-মেইলে তার উৎকণ্ঠা প্রকাশ পায় প্রতিবার। আমার ছাত্ররা অপেক্ষায় থাকে। ক্লাস আদৌ হকে কি? আমি ‘বন্দিজীবন’ যাপন করি। বলতে পারি না কবে ক্লাস নিতে পারব। একটি অস্থিরতা সব জায়গায়, ক্যাম্পাসে, রাজনীতিতে, অর্থনীতিতে, প্রতিটি সেক্টরে।
একটি সংলাপের কথা বলেছিলেন সৈয়দ আশরাফ! কোথায় সেই সংলাপ? দীপু মনির একটি বক্তব্য ছাপা হয়েছে ১২ মার্চের পত্রিকায়। তিনি বলেছেন, ‘যে কোনো আলোচনায় পরিষ্কার হাত নিয়ে আসতে হয়।’ তার বক্তব্য মানবকণ্ঠে ছাপা হয়েছে এভাবে, ‘বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনার পথ সব সময় খোলা। কারণ, গণতন্ত্রে পার্থক্য থাকবে। মতের ভিন্নতা থাকবে। জনগণের স্বার্থে জনগণের অভীষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছতে বিএনপির কথা বলার জায়গা আছে। সেটির ভালো জায়গা সংসদ। সেটি না হলে আলোচনার পথই সর্বোত্তম পথ। সহিংসতা নয়। বর্তমানে আরো সহিংসতা করছে তারা কোনো সমাধান চায় না। তারা সহিংসতা করে তার দায় অন্যের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে। তারা চায় না আলোচনার মাধ্যমে কোনো কিছুর সমাধান করতে।’
মিথ্যা বলেননি দীপু মনি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বেড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে? দীপু মনির বক্তব্য আর মির্জা ফখরুলের গ্রেফতারের ছবি কি পরস্পরবিরোধী নয়? মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ‘আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের’ অজুহাতে। এর আগে তিনি জামিন পেয়েছিলেন চার সপ্তাহের জন্য। এখন তাকে আবার ছেড়ে দেয়া হলো। কিন্তু বাকিদের জেলে রেখে সংলাপ হবে কীভাবে? তবে পুলিশের সাম্প্রতিক আচরণে আমি উৎকণ্ঠিত। এর আগেও বিএনপির এক সমাবেশে পুলিশ ছররা গুলি ছুড়েছিল। ওই গুলিতে আহত হয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এখনও হাসপাতালে।
পুলিশের বক্তব্য তারা আক্রান্ত হন বলেই গুলি ছুড়তে বাধ্য হন। এর পেছনে ‘সত্যতা’ যাই থাকুক না কেন, পুলিশকে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। পুলিশ উত্তেজিত হতে পারে না। প্রশিক্ষণের সময় তো তাদের এ কথাটাই শেখানো হয়। এর আগে গত ৭ মার্চ পুলিশ চার বিএনপিদলীয় মহিলা সংসদ সদস্যকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। তারপর একপর্যায়ে গাড়ি থেকে পরে আহত হন সংসদ সদস্য শাম্মী আখতার। তার অচেতন দেহ ফ্লাট হয়ে শুয়ে থাকার ছবি সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছিল পরদিন। একজন সংসদ সদস্যের সঙ্গে পুলিশ কি এভাবে আচরণ করতে পারে?’ ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্সি’ অনুযায়ী এক সংসদ সদস্যের অবস্থান তো একজন পুলিশ অফিসারের চাইতে অনেক ওপরে। আর বিএনপি অফিসে ‘ককটেল আবিষ্কারের’ কাহিনী চ্যানেলে দেখিয়ে পুলিশ আত্মতুষ্টিতে ভুগলেও এটা কি বিশ্বাসযোগ্য যে ‘টয়লেটের পাশেই’ বিএনপির কর্মীরা ‘ককটেল রাখবে!’ প্রবীণ সাংবাদিক এবিএম মূসা তো এ প্রশ্নটাই করেছিলেন।
একটি ‘ভালো খবর’ অবশ্যি আমরা পেয়েছি। ১১ মার্চ চট্টগ্রামে গণজাগরণ মঞ্চের জনসভা হওয়ার কথা ছিল। পাল্টা জনসভা ডেকেছিল হেফাজতে ইসলাম নামে আরেকটি সংগঠন। ফলে সরকারকে বাধ্য হয়ে ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়েছিল। এমনকি গণজাগরণ মঞ্চের নেতাদের চট্টগ্রামে প্রবেশ করতেও দেয়নি পুলিশ। লক্ষণটা ভালো। আমরা আরো খুশি হতাম যদি সর্বক্ষেত্রে পুলিশ এই আচরণ করত। বিএনপি অফিসে পুলিশি অভিযানের সিদ্ধান্তটি ছিল ভুল। পরিণতিতে আবার ডাকা হলো হরতাল। কেন বারবার হরতাল হয়, কেন ইসলামপ্রিয় মানুষরা, যারা জামায়াত করে না, অসহিষ্ণু হয়ে ওঠে, তা যদি সরকারের নীতিনির্ধারকরা উপলব্ধি না করেন, তাহলে এ ধরনের হরতাল হতেই থাকবে। হরতাল নিষিদ্ধের আইন করেও কিছু হবে না। হরতাল হতেই থাকবে।
হরতাল সাধারণ মানুষ তো বটেই, সরকার ও বিরোধী দল, কারো জন্যই কোনো মঙ্গল ডেকে আনে না। গত কয়েকদিনের হরতালে গাড়ি পুড়েছে, ট্রেনের বগি পুড়েছে, মানুষ মারা গেছে এই ক্ষতি তো রাষ্ট্রেরই। পুলিশকে আরো মানবিক ও সহনশীল হওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশের বিকাশমান গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য একটি ‘কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজারস’ (সিবিএম) ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সিবিএম বা আস্থার সম্পর্ক গণতন্ত্রের পূর্ব শর্ত। সিবিএম না থাকলে গণতন্ত্র বিকশিত হবে না। অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে। বাধাগ্রস্ত হবে সুশাসন। আর রাষ্ট্র ধীরে ধীরে এগিয়ে যাবে অকার্যকর রাষ্ট্রের দিকে। এদেশে অনেক সম্ভাবনা আছে। এই সম্ভাবনাকে আমরা নষ্ট হতে দিতে পারি না। রাজনীতি যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়, তা দেখার দায়িত্ব সবার। এখানে বিরোধী দল ‘শত্র“’ নয়, বিরোধী দল গণতন্ত্রের ভাষায় ‘সরকারের একটি অংশ।’ একজন সংসদ সদস্যকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে নিজ অফিস থেকে শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের গ্রেফতার করে বিরোধী দল যে সরকারের একটি অংশ, তা প্রমাণ করা যাবে না। বিরোধী দলকে আস্থায় নেয়াটা জরুরি।
জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার যে দাবি উঠেছে, তা করতে হলে বিরোধী দলকে আস্থায় নিয়েই এগুতে হবে। আর অফিসে হামলা ও নেতাদের গ্রেফতার, সংকটকে আরো গভীরতর করবে মাত্র। ‘মহাসংকটে দেশ’, এই অভিমত অনেকের। এই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত করার কোনো সুযোগ নেই। রাজনৈতিক সংকটের কারণে অর্থনৈতিক অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। ফেব্র“য়ারিতে (২০১৩) মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। ব্যাপকহারে বেড়েছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি। পয়েন্ট টু পয়েন্টে ফেব্র“য়ারিতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ (জানুয়ারিতে ছিল ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ)। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ। (জানুয়ারিতে ছিল ৫ দশমিক ০২ শতাংশ)। ঢাকায় অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিকরা চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
যখন সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়, থানা আক্রমণ করা হয়, বিদ্যুৎকেন্দ পুড়িয়ে দেয়া হয় এসব আলামত আমাদের জন্য ভালো কোনো খবর নয়। তাই বিদেশি কূটনীতিকরা যখন উদ্বেগ প্রকাশ করেন, তখন সরকারের উচিত এই উদ্বেগকে বিবেচনায় নেয়া। ডা. দীপু মনি কূটনীকিতদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি পুরো ঘটনার জন্য বিরোধী দলের ওপর দোষ না চাপিয়ে পারতেন বিরোধী দল নেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। তা তিনি করেননি।
‘ব্লেমগেম’ এর রাজনীতিতে আক্রান্ত এদেশ। সরকারের অভিযোগ বিরোধী দলের ওপর, আর বিরোধী দল অভিযোগ করেছে সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে। আর এটা তো সত্য একটা গণতান্ত্রিক সমাজে পুলিশ এভাবে তাণ্ডব চালাতে পারে না। নিঃসন্দেহে মাহবুব-উল আলম হানিফের বক্তব্য একটি ভালো দিক। তিনি বলেছেন, ‘রাজনৈতিক নেতাদের এভাবে আটক প্রত্যাশিত নয়।’ এই বক্তব্যে রাজনৈতিক পরিপক্বতা আছে। তখন অভিযুক্ত পুলিশের একজন এডিসি যদি অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করে থাকেন, তাহলে তার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন। তাকে অন্যত্র বদলি করা যায়।
আজ অনেক বিষয় যুক্ত হয়েছে রাজনীতিতে। এক. জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা, দুই. যারা ফেসবুক ও ব্লগে নবী করিম (সা.) সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছে তাদের চিহ্নিত করে বিচারের ব্যবস্থা করা, তিন. রাজনীতিতে পেশি শক্তির মহড়া প্রদর্শন বন্ধ করা, চার. একটি নিরপেক্ষ ও অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাঠামো উপস্থাপন করা।
জামায়াতের নিবন্ধনে যদি ত্র“টি থাকে, তাহলে আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ করা যায়। কিন্তু এটা কোনো সমাধান নয়। তরুণ প্রজন্ম, যারা জামায়াতের রাজনীতিকে ধারণ করেছে, তাদের দোষ দেয়া যাবে না। বিচার প্রক্রিয়া চলছে যারা একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে তাদের। জামায়াতের নিষিদ্ধের বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হোক। তাই বলে এটা নিয়ে আন্দোলন অব্যাহত থাকলে তা ভিন্ন ‘সিগন্যাল’ পৌঁছে দেবে সর্বত্র। সরকার একটি কমিটি করেছে, যারা অনলাইনে নবী করিম (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করেছে, সে বিষয়টি তদন্ত করে দেখার। পত্রিকায় এদের নাম-ধাম বেড়িয়েছে। এদের চিহ্নিত করে আইনের হাতে সোপর্দ করা হোক। জামায়াত-শিবিরের সহিংসতা রোধে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি গঠনের নামে দলীয় ক্ষমতা প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে বিএনপি তথা ১৮ দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে জননিরাপত্তা কমিটি গঠন করার। দুইপক্ষের এই পাল্টাপাল্টি অবস্থান দেশে সংঘাত ও সহিংসতা আরো ভয়ংকর রূপ নিতে পারে। এখানে প্রয়োজন ছিল রাজনৈতিক পরিপক্বতার। তা নেই। সরকারকে সহনশীল হতে হবে। সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি গঠনের নামে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা কোনো ভালো খবর নয়। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই মানুষের মাঝে শঙ্কা বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী একটি অন্তবর্তীকালীন সরকারের কথা বলেছিলেন বটে। কিন্তু তার জট খোলেনি। এখন প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে আছে সবাই। প্রধানমন্ত্রীকে রেখে কোনো ‘সমাধান’ কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য হবে না। সংসদের একজন প্রবীণ ও গ্রহণযোগ্য সংসদ সদস্যকে অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী করে একটা সমাধান বের করা যায়।
স্পিকার এই দায়িত্বটি নিতে পারতেন। কিন্তু কেন জানি মনে হচ্ছে এই বৃদ্ধ বয়সে এসেও তিনি দশম সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। সংসদের একমাত্র নির্দলীয় সংসদ সদস্যকে নিয়েও এই সরকার হতে পারে। আওয়ামী লীগের একজন প্রবীণ সদস্য, যিনি আগামীতে প্রার্থী হবেন না, তিনিও পারেন দায়িত্বটি নিতে। তবে এতে বিএনপির সম্মতি প্রয়োজন। তাই সংলাপটি প্রয়োজন। সংলাপ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই এবং রাজনীতির জটও খুলবে না। যে অবস্থা চলছে তা কোনোভাই আর দীর্ঘায়িত হতে দেয়া কারোরই উচিত হবে না। রাষ্ট্র, সমাজ, জনজীবনে এর চরম বিরূপ প্রভাব পড়ছে। মানুষ আর সহ্য করতে পারছে না। এই বাস্তবতা উপলব্ধি করে রাজনীতিকরা গঠনমূলক সিদ্ধান্ত নিলেই মঙ্গল। জনজীবনে নিরাপত্তাহীনতা, সম্পদহানি ইত্যাদি কোনো কিছুই প্রীতিকর কোনো চিত্র নয়। বিদ্যমান পরিস্থিতি আমাদের কোনদিকে নিয়ে যাচ্ছে এটি সময়ের উদ্বেগজনক প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন বৈরী পরিস্থিতির অবসান ঘটনানোর দায় কমবেশি সবারই।
Daily Manobkontho
21.3.13
0 comments:
Post a Comment