তিস্তা ও সীমান্তচুক্তির ব্যাপারে প্রণবের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ভারতের প্রেসিডেন্ট আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। বাস্তবতা হচ্ছে এর সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। কারণ, এর সঙ্গে মমতা ব্যানার্জির ভূমিকা জড়িত। মমতা এখন কেন্দ্রীয় সরকারে নেই। জোটেও নেই। তাই মমতাকে কেন্দ্রীয় সরকার রাজি করাতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে। আরেকটি বিষয় হলো, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, তিস্তার পানিবণ্টনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সিকিমের ভূমিকাও একটা ফ্যাক্টর। ইতিমধ্যেই সিকিম সরকার তিস্তার পানি প্রত্যাহার করে ২৭টি বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট নির্মাণ করেছে। সুতরাং সিকিমও এ ব্যাপারে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে চাপ দিতে পারে। এছাড়া সার্কের সম্মেলনে শেখ হাসিনার একটি প্রস্তাব ছিল, গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকা সংস্থা গঠনের। সেই প্রস্তাবে ভারত সমর্থন দেয়নি। সুতরাং বিষয়টি ভাবনার সৃষ্টি করে।
সীমান্ত চুক্তির ব্যাপারে ’৭৪ সালের মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই চুক্তি অনুসারে সিটমহল বিনিময় হওয়ার কথা। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালেই সংবিধানে তৃতীয় সংশোধনী এনে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু ভারতের মন্ত্রিসভা গত ৩৯ বছরে তার অনুমোদন দেয়নি। সম্প্রতি অনুমোদন দিলেও তাদের সংবিধান সংশোধন নিয়ে জটিলতা রয়েছে। কারণ, বিজেপি সংবিধানের সংশোধনীতে রাজি নয়। অর্থাৎ ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কারণেই প্রণব মুখার্জির এই আশাবাদ বাস্তবায়নে সংশয় থেকে যাচ্ছে।
Daily MANOBJAMIN
( Interview, 5.3.13)
0 comments:
Post a Comment