রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

দোদুল্যমানতা ছেড়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিন


সরকারের নীতি নির্ধারকদের মাঝে সন্দেহ ও অবিশ্বাস দিনে দিনে বাড়ছে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা তোফায়েল আহমেদ যখন মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন, তখনই এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, যেভাবে সরকার পরিচালিত হচ্ছে, দলের অনেক সিনিয়র নেতা তা চান না। দলের নীতি নির্ধারণীতে এখন সাবেক ‘মস্কোপন্থী কমিউনিস্ট’ হিসেবে পরিচিতদের প্রাধান্য বাড়ছে। এই প্রাধান্যের কারণে আওয়ামী লীগের মূল ধারার নেতা হিসেবে পরিচিতরা এক রকম কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। জীবদ্দশায় আবদুল জলিল সম্মান পাননি। অথচ তিনি ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর স্মরণ সভায় আওয়ামী লীগের নেতারাই স্বয়ং এ কথা বলেছেন। এমনকি তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমুর মতো ঝানু নেতারাও মস্কোপন্থীদের কারণে দলের নীতিনির্ধারণীতে ঠাঁই পাচ্ছেন না। সঙ্কটকালীন সময়ে মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তোফায়েল আহমদের সম্মতি তাতে ছিল না। দক্ষ রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদ জানেন, সরকারের পড়ন্ত বেলায় ক্ষমতার স্বাদ নিয়ে তিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবনকে ঝুঁকির মাঝে ঠেলে দিতে চান না। নাসিম বা আমুর মতো নেতারাও প্রধানমন্ত্রীর নজরে পড়ার জন্য নানা কৌশল করে যাচ্ছেন। কিন্তু মন্ত্রিসভায় জায়গা তাদের হয়নি এবং আগামী নির্বাচনের আগে হবে, এটা মনে করারও কোনো কারণ নেই। অতি সম্প্রতি শাহবাগিদের উত্থান, বিএনপির জনসভায় গুলিবর্ষণ এবং সর্বশেষ গত ১১ মার্চ বিএনপি অফিসে পুলিশি অভিযান ও একই সাথে শীর্ষস্থানীয় নেতাদের গ্রেফতারের ঘটনায় দলের মাঝে বিরোধ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। দলের যুগ্ম মহাসচিব যিনি কার্যত মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন, সেই মাহবুব-উল-আলম হানিফের একটি বক্তব্য এই বিরোধকে উসকে দিয়েছে। হানিফ বলেছেন, ১১ মার্চের ঘটনায় পুলিশ আরো কৌসুলি হতে পারত। তারা এ পর্যায়ে না গেলে তারা খুশি হতেন। রাজনৈতিক দলের নেতাদের এভাবে আটক করা প্রত্যাশিত নয় (যায় যায় দিন, ১৩ মার্চ)। অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম খা আলমগীর বলেছেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান ‘যৌক্তিক’ ছিল (ঐ)। শুধুতাই নয় বিবিসির বাংলা বিভাগের সাথে সাক্ষাৎকারে ম খা আলমগীর জনাব হানিফের বক্তব্যের শুধু সমালোচনাই করেননি, বরং ইঙ্গিতপূর্ণ কটূক্তি করেছেন। ম খা আলমগীর সনাতন রাজনীতিবিদ নন। স্থানীয় পর্যায়ে রাজনীতি করে তিনি শীর্ষ পদে উঠে আসেননি। শহীদ জিয়ার খাল কাটা কর্মসূচির উপর গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। পাকিস্তান আমলে  সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিসে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালীন তিনি অন্যান্য বাঙালি সিএসপি অফিসারের মতো মুক্তিযুদ্ধে যোগ না দিয়ে তিনি ‘পাকিস্তানের সেবা’ করে গেছেন। এমনকি ওই সময় তিনি টাঙ্গাইলে এডিসি থাকাকালীন সময়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের রিক্রুট করার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। বোধকরি এটা বিবেচনায় নিয়েই বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী তাকে রাজাকার হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। আমরা খুশি হতাম যদি তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করতেন। কিন্তু আমার জানা মতে তিনি তা করেননি। বরং উল্টো কাদের সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন। সেই মখা আলমগীর এখন আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার আমলে প্রধান বিরোধী দলের অফিস তছনছ করা হলো। অফিস থেকে টাকা লুটেরও অভিযোগ করেছে বিএনপি। গত ১৪ মার্চের বিবিসির সঙ্গে বেলার অনুষ্ঠানেও জানা গেল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের অনেক নেতা নাকি এই পুলিশি অভিযানের ব্যাপারে অসন্তুষ্ট। পুলিশের সাম্প্রতিক আচরণে আমি উৎকণ্ঠিত। এর আগেও বিএনপির এক সমাবেশে পুলিশ ছররা গুলি ছুঁড়েছিল। ওই গুলিতে  আহত হয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এখন হাসপাতালে। পুলিশের বক্তব্য তারা আক্রান্ত হন বলেই গুলি ছুঁড়তে বাধ্য হন। এর পেছনে ‘সত্যতা’ একদমই নেই। পুলিশকে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। পুলিশ উত্তেজিত হতে পারে না। প্রশিক্ষণের সময় তো তাদের এ কথাই শেখানো হয়। এর আগে গত ৭ মার্চ পুলিশ চারজন বিএনপি দলীয় মহিলা সংসদ সদস্যকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। তারপর এক পর্যায়ে গাড়ি থেকে পরে আহত হন সংসদ সদস্য শাম্মী আখতার। তার ফাট হয়ে শুয়ে থাকার ছবি সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছিল পরদিন। একজন সংসদ সদস্যের সাথে পুলিশ কী এভাবে আচরণ করতে পারে? ‘ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্সি’ অনুযায়ী একজন সংসদ সদস্যের অবস্থান তো একজন পুলিশ অফিসারের চাইতে অনেক ওপরে। আর বিএনপি অফিসে ‘ককটেল আবিষ্কারের’ কাহিনী টিভি চ্যানেলে দেখিয়ে পুলিশ আত্মতুষ্টিতে ভুগলেও, এটা কী বিশ্বাসযোগ্য যে, ‘টয়লেটের পাশেই’ বিএনপির কর্মীরা ‘ককটেল রাখবে’! প্রবীণ সাংবাদিক এবিএম মুসা তো এ প্রশ্নটাই করেছিলেন।
শেষ পর্যন্ত পুলিশ বিএনপির শীর্ষ তিন নেতাকে জেলে পাঠায়নি। কিন্তু জেলে পাঠিয়েছে এবং মামলা করেছে জয়নুল আবদীন ফারুকের মতো সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে। যিনি এর আগেও পুলিশ কর্তৃক নির্যাতিত হয়েছিলেন। পুলিশ বাকি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করায় ১৮ ও ১৯  মার্চ সারা দেশব্যাপী ও ২১ মার্চ ঢাকায় হরতাল হয়েছে। সরকার হজরত মুহাম্মদ (সা.)কে অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি। শুধু লোক দেখানো একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। হেফাজতে ইসলাম তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার কথা বলেছে। আগামীতে আরো হরতাল হতে পারে। এখন সরকারের নীতিনির্ধারকরা যদি  উপলব্ধি না করেন, তাহলে এ ধরনের হরতাল হতেই থাকবে। হরতাল নিষিদ্ধের আইন করেও কিছু হবে না। হরতাল হতেই থাকবে। হরতাল সাধারণ মানুষ তো বটেই, সরকার ও বিরোধী দল, কারো জন্যই কোনো মঙ্গল ডেকে আনে না। বিগত কয়েকদিনের হরতালে সাধারণ নিরীহ প্রচুর (এ সংখ্যা ১৭০) মানুষ মারা গেছেÑ এই ক্ষতি তো রাষ্ট্রেরই। পুলিশের আরো মানবিক ও সহনশীল হওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশের বিকাশমান গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য একটি ‘কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজারস’ (সিবিএম) ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সিবিএম, বা আস্থার সম্পর্ক গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত। সিবিএম না থাকলে গণতন্ত্র বিকশিত হবে না। অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে। বিঘিœত হবে সুশাসন। আর রাষ্ট্র ধীরে ধীরে এগিয়ে যাবে অকার্যকর রাষ্ট্রের দিকে। এ দেশে অনেক সম্ভাবনা আছে। এই সম্ভাবনাকে আমরা নষ্ট হতে দিতে পারি না। রাজনীতি যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়, তা দেখার দায়িত্ব সকলের। এখানে বিরোধী দল, ‘শত্রু’ নয়, বিরোধী দল গণতন্ত্রের ভাষায় ‘সরকারের একটি অংশ”। একজন সংসদ সদস্যকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে নিজ অফিস থেকে শীর্ষস্থানীয় নেতাদের গ্রেফতার করে বিরোধী দল যে ‘সরকারের একটি অংশ’, তা প্রমাণ করা যাবে না। বিরোধী দলকে আস্থায় নেয়াটা জরুরি।  আর অফিসে হামলা ও নেতাদের গ্রেফতার, সঙ্কটকে আরো গভীরতর করবে মাত্র।
‘মহাসঙ্কটে দেশ’, এই অভিমত অনেকের। এই বক্তব্যের সাথে দ্বিমত করার কোনো সুযোগ নেই। রাজনৈতিক সঙ্কেটের কারণে অর্থনৈতিক অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। ফেব্রুয়ারি (২০১৩) মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। ব্যাপকহারে বেড়েছে ‘খাদ্য মূল্যস্ফীতি’। পয়েন্ট টু পয়েন্টে ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ (জানুয়ারিতে ছিল ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ)। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ (জানুয়ারিতে ছিল ৫ দশমিক ০২ শতাংশ)। ঢাকায় অবস্থিত বিদেশী কূটনীতিকরা চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এখন সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়, থানা আক্রমণ করা হয়, বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুড়িয়ে দেয়া হয়। কারা করে এসব? এসব আলামত আমাদের জন্য ভালো কোনো খবর নয়। তাই বিদেশী কূটনীতিকরা যখন উদ্বেগ প্রকাশ করেন, তখন সরকারের উচিত এই উদ্বেগকে বিবেচনায় নেয়া। ডা. দীপুমনি কূটনীতিকদের সাথে কথা বলেছেন। তিনি পুরো ঘটনার জন্য বিরোধী দলের ওপর দোষ না চাপিয়ে পারতেন বিরোধী দলীয় নেত্রীর সাথে দেখা করতে। তা তিনি করেননি। ‘ব্লেম গেম’ এর রাজনীতিতে আক্রান্ত এ দেশ। সরকারের অভিযোগ বিরোধী দলের উপর। আর বিরোধী দলকে নির্মূল করতে চায়, সরকার। আর এটা  তো সত্য একটা গণতান্ত্রিক সমাজে পুলিশ এভাবে তাণ্ডবতা চালাতে পারে না। নিঃসন্দেহে মাহবুব-উল আলম হানিফের বক্তব্য একটি ভালো দিক। তিনি বলেছেন, ‘রাজনৈতিক নেতাদের এভাবে আটক প্রত্যাশিত নয়।’ এই বক্তব্যে রাজনৈতিক পরিপক্বতা আছে। এখন অভিযুক্ত পুলিশের একজন এডিসি যদি অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করে থাকেন, তাহলে তার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন। তাকে অন্যত্র বদলী করা যায়।
আজ অনেকগুলো বিষয় যুক্ত হয়েছে রাজনীতিতে। এক. জামায়াতকে  আস্থায় নেয়া দরকার। দুই. যারা ফেসবুক ও ব্লগে নবী করিম (সা.) সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে, বিচারের ব্যবস্থা করা। তিন. রাজনীতিতে পেশী শক্তির মহড়া প্রদর্শন বন্ধ করা। চার. একটি নিরপেক্ষ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাঠামো উপস্থাপন করা।  তরুণ প্রজন্ম, যারা জামায়াতের রাজনীতিকে ধারণ করেছে, তাদের দোষ দেয়া যাবে না। বিচার প্রক্রিয়া চলছে। আর শাহবাগিরা বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করে বিচার বিভাগকে ধ্বংস করছে। এটা নিয়ে আন্দোলন অব্যাহত থাকলে তা ভিন্ন ‘সিগন্যাল’ পৌঁছে দেবে সর্বত্র। সরকার একটি কমিটি করেছে, যারা অনলাইনে নবী করিম (সা.)কে নিয়ে কটূক্তি করেছে, সে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে। পত্রিকায় এদের নাম-ধাম বেড়িয়েছে। এদের চিহ্নিত করে আইনের আশ্রয়ে নেয়া হোক।কিন্তু সহিংসতা রোধে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি গঠনের নামে দলীয় ক্ষমতা প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে বিএনপি তথা ১৮ দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে জননিরাপত্তা কমিটি গঠন করার। দুই পক্ষের এই পাল্টাপাল্টি অবস্থানে দেশে সংঘাত ও সহিংসতা আরো ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে। এখানে প্রয়োজন ছিল রাজনৈতিক পরিপক্বতার। তা নেই। সরকারকে সহনশীল হতে হবে। সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি গঠনের নামে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা কোনো ভালো খবর নয়। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই মানুষের মাঝে শঙ্কা বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কথা বলেছিলেন বটে, কিন্তু তার জট খোলেনি। এখন প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে আছে সবাই। প্রধানমন্ত্রীকে রেখে কোনো ‘সমাধান কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য হবে না। স্পিকারের সম্ভাবনাও কম। কেননা শোনা যাচ্ছে আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হবেন। সুতরাং তার ওপর আস্থা রাখা যায় না।  আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন বটে, কিন্তু দল ত্যাগ করেননি।  এ ক্ষেত্রে নেপালের অতি সম্প্রতি নেয়া একটি সিদ্ধান্তকে আমরা বিবেচনায় নিতে পারি। নেপালের চারটি বড় দল সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্ব দেবেন। আগামী জুনে সেখানে সাধারণ নির্বাচন। চূড়ান্ত বিচারে আমরা এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারি।
বিরোধী দলকে নির্মূল করা, কিংবা বিএনপির অফিসে পুলিশি অভিযানের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের ভেতরে যে ‘মিশ্র’ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে, তাকে আমি ‘পজিটিভলি’ নিচ্ছি, অর্থাৎ ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছি। এখন সরকার যদি দমন-পীড়ন বন্ধ করে এবং আগামী দশম নির্বাচনের ব্যাপারে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা করে, তাহলে আমরা একটা বড় ধরনের সংঘাত থেকে মুক্তি পাব। সেই সাথে ইসলামবিরোধী তথাকথিত ব্লগারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়াও প্রয়োজন।  চট্টগ্রামের ‘ঘটনা’ সরকারের জন্য একটা ‘সিগন্যাল’। সরকার শুভবুদ্ধির পরিচয় দেবে, এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।
22.03.13

0 comments:

Post a Comment