রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর শোক কাটতে না কাটতে যে প্রশ্নটি এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে তা হচ্ছে, কে হতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি? সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় বিজয়ী দলই রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচিত করে থাকে এবং তাদের মনোনীত প্রার্থীই সংসদ সদস্যদের ভোটে বিজয়ী হয়ে থাকেন। এটা গণতান্ত্রিক সৌন্দর্যের একটা অংশ। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ‘ঐক্যের প্রতীক’ হিসেবে বিরোধী দল কোন প্রার্থী দেয় না। ২০০৯ সালের ফেব্র“য়ারিতে সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচনের জন্য মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান যখন প্রার্থী হন, তখন বিরোধী দল কোন প্রার্থী দেয়নি। দেশের এক চরম সংকটের সময় তিনি চলে গেলেন এবং রেখে গেলেন অনেক প্রশ্ন। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে এবং আগামী ১৮ জুনের মধ্যে আমরা একজন নয়া রাষ্ট্রপতি পাব।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আগ্রহ এ কারণেই। মহাজোট সরকার তাদের একজন প্রার্থী মনোনয়ন দেবে, যিনি চূড়ান্ত বিচারে বিজয়ী হবেন। কারণ সংসদে মহাজোট সরকারের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। তারা যাকে মনোনয়ন দেবেন, তিনিই রাষ্ট্রপতি হবেন। বিরোধী দলের প্রার্থী থাকা, না থাকা সমান কথা। বিরোধী দল আদৌ কোন প্রার্থী দেবে বলেও মনে হয় না। সুতরাং সরকারের সিদ্ধান্ত অনেক গুরুত্ব বহন করে। সময়টা যদি সরকারের প্রথম দিক হতো, তাতে কেউ কোন প্রশ্ন করত না। কিন্তু এখন সরকারের শেষ সময়। সংবিধান অনুযায়ী আগামী জানুয়ারিতে (২০১৪) সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগে দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ সবকিছু ঠিক থাকলে অক্টোবর-নভেম্বরেই (২০১৩) দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অথচ ওই নির্বাচনের আগেই সরকারকে একজন নয়া রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে একজন দলনিরপেক্ষ ও সর্বজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি যদি রাষ্ট্রপতি না হন, তাহলে নতুন নতুন জটিলতা তৈরি হবে। এ মুহূর্তে জাতির এমন একজন অভিভাবক দরকার, যিনি বিবদমান সব রাজনৈতিক দলকে এক পতাকাতলে সমবেত করতে পারবেন। জাতি এখন বিভক্ত। বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি স্পষ্ট। গণজাগরণ মঞ্চ প্রথম দিকে সব মহলের সমর্থন পেলেও ধীরে ধীরে তাদের সেই সমর্থন ফিকে হয়ে আসছে। দেখা গেছে, মূলত বামমনা ১৪ দলের নেতাকর্মীদের দ্বারা এবং ছাত্রলীগের প্রচ্ছন্ন মদদে এ গণজাগরণ মঞ্চের কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। ইসলামপন্থী দলগুলো (জামায়াত বাদে) মাঠে সক্রিয় রয়েছে। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে প্রশ্ন না থাকলেও এ প্রশ্নে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা বলা যাবে না। জাতির মাঝে বিভাজন স্পষ্ট। রাজনৈতিক সহিংসতায় ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১৫০ জন সাধারণ মানুষ। এ মুহূর্তে তাই প্রয়োজন এমন একজন নেতার, যিনি তার নেতৃত্বের গুণে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবেন এবং দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা উপহার দেবেন।
দ্বিতীয়ত, বড় প্রশ্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে। ওই নির্বাচনে বিএনপি তথা ১৮ দল অংশ নেবে, যদি একটি ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারে’র অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সরকারের অবস্থান হচ্ছে সংবিধানকে অনুসরণ করে একটি ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে’র অধীনে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করা। বর্তমান মহাজোট সরকারের শেষ তিন মাস হচ্ছে এই ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী থাকবেন! সম্ভবত একটি ক্ষুদ্র মন্ত্রিসভাও থাকবে এবং নির্বাচিত (নবম সংসদে) এমপিরাও থাকবেন। এদের প্রশাসনে রেখেই এই নির্বাচন! এই নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দল অংশ নেবে না। আর বিএনপি অংশ না নিলে নির্বাচনের কোন গ্রহণযোগ্যতাও থাকবে না। এমনই এক পরিস্থিতিতে দরকার এমন একজন রাষ্ট্রপতির, যিনি বিএনপিকে নির্বাচনমুখী করতে তার ‘ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা’ ব্যবহার করবেন।
তৃতীয়ত, বিএনপির জনসভায় প্রকাশ্যে গুলি করা, নেতৃবৃন্দকে আহত করা এবং বিএনপির অফিস ভেঙে নেতা ও কর্মীদের গ্রেফতার করার ঘটনা আমাদের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির জন্য একটি খারাপ সংবাদ। এতে করে একটি বড় ধরনের আস্থাহীনতার জš§ হয়েছে। এ ঘটনায় দুটি বড় দলের সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে ‘ক্ষত’ সৃষ্টি হয়েছে, তা সারিয়ে তোলার দায়িত্ব একজন রাষ্ট্রপতি নেবেন। কিন্তু কে হবেন সেই রাষ্ট্রপতি? দলীয় ব্যক্তি যদি রাষ্ট্রপতি হন, তা সাংবিধানিকভাবে শুদ্ধ, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা কাম্য নয়। একজন দলীয় রাষ্ট্রপতি বিভক্ত জাতির মাঝে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন না।
চতুর্থত, দলীয়ভাবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে তা বিরোধী দল তথা জোটের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। উপরন্তু সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচিত এই রাষ্ট্রপতি আগামী পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবেন। সেক্ষেত্রে একটা বড় সংকট তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে। যদি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৮ দলীয় জোট বিজয়ী হয় তাহলে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির দ্বন্দ্ব অনিবার্য। যদিও সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির ভূমিকা সীমিত। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগ ও প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ দেয়া ছাড়া সব কাজ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী করতে বাধ্য। তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা তার ক্ষমতাকে সীমিত করে দিলেও প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হয়ে উঠতে পারেন। এ ইতিহাস বাংলাদেশে আছে। এ বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রী যে জানেন না, বোঝেন না, তা নয়। খুব কম লোকই আছেন, যারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি তার চেয়ে ভালো জানেন।
নিঃসন্দেহে প্রয়াত জিল্লুর রহমান ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিলেন। তিনি দলীয় রাষ্ট্রপতি ছিলেন বটে, কিন্তু চেষ্টা করেছেন সব ধরনের বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকতে। সব সময় থাকতে পেরেছেন, এটা আমি বলব না (যেমন, দলীয় বিবেচনায় খুনের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মাফ করে দেয়া!)। তবে তার মাঝে এক ধরনের সরলতা কাজ করত। এক-এগারোর সময় তার দলীয় আনুগত্য, সভানেত্রীর প্রতি তার নির্মোহ সমর্থন, কট্টর কোন বক্তব্য না দেয়া, উগ্রতা পরিহার করা ইত্যাদি তাকে সর্বোচ্চ আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। প্রধানমন্ত্রীর আস্থা তো তিনি পেয়েছিলেনই, বিরোধী দলও তাকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করত। যখন নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়ে একটি জটিলতা তৈরি হয়েছিল, তখন রাষ্ট্রপতি উদ্যোগী হয়েছিলেন এর সমাধান করতে। একজন অভিভাবকের ভূমিকায় তিনি অবতীর্ণ হয়েছিলেন। গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে তিনি সব দলের পরামর্শ নিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল সেদিন বঙ্গভবনে গিয়েছিল। বিএনপির এই ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছিল। আজও ঠিক এ ধরনের একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। রাজনীতি ক্রমেই জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। ৯ জন যুদ্ধাপরাধীর (তিনজনের প্রাথমিক বিচার সম্পন্ন) বিচার দীর্ঘ ৪১ বছর পর শুরু হলেও এই বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে জাতি আজ একরকম বিভক্ত। গণজাগরণ মঞ্চ তৈরি করে ধর্মনিরপেক্ষবাদীরা একদিকে অবস্থান নিয়েছেন, যারা যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন এখনও অব্যাহত রেখেছেন, অন্যদিকে ইসলামপন্থীরা হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে নাস্তিকদের বিচারের দাবিতে সব ইসলামপ্রিয় মানুষকে একত্রিত করার উদ্যোগ নিয়েছেন। পরস্পরবিরোধী এই অবস্থান মানুষের মাঝে শংকা, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা বৃদ্ধি করেছে। বিদেশী দাতাগোষ্ঠী ও দেশীয় সুশীলরা একটা ‘সংলাপে’র কথা বলেছেন বটে কিন্তু প্রশ্ন হল, সেই উদ্যোগটি কে নেবে? রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান বেঁচে থাকলে তিনি সেই উদ্যোগটি নিতে পারতেন এবং নিশ্চিত করে বলতে পারি, আরেকটি ‘গোলটেবিল’ বৈঠক আমরা দেখতে পেতাম বঙ্গভবনে। এখন সেটা স্বপ্নই থেকে গেল।
রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর বিএনপি ও বেগম খালেদা জিয়া প্রয়াত রাষ্ট্রপতিকে যে সম্মান ও শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন, তা প্রশংসাযোগ্য। বিএনপির এই এপ্রোচ সংলাপের একটি ক্ষেত্র তৈরিতে সাহায্য করতে পারে। খালেদা জিয়া নিজে বঙ্গভবনে গেছেন। তার নিজের বগুড়া ও জয়পুরহাটের প্রোগ্রাম পিছিয়ে দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার বিএনপি ঢাকা জেলায় যে হরতাল ডেকেছিল, তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। বিএনপির এই এপ্রোচকে সরকার ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখলে ভালো করবে। জাতি এটাই প্রত্যাশা করে। কিন্তু সরকার কিছুটা নমনীয় হবে, এই আস্থা রাখতে পারছি না। বিএনপির অফিস থেকে গ্রেফতারকৃত ১৫১ জন নেতাকর্মীকে নজিরবিহীনভাবে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। জামিন পাননি ফারুক, রিজভী কিংবা আমানের মতো নেতারা। শীর্ষস্থানীয় এই তিন নেতাকে রিমান্ডে নেয়া হয়নি সত্য, কিন্তু তাদের জেলে রেখে বিএনপি কোন সংলাপে যাবে, এটা আমার মনে হয় না। সরকার হার্ড লাইনে গেছে। পুলিশের কর্মকাণ্ডের দেশে ও বিদেশে প্রতিবাদ হচ্ছে। কোথাও কোথাও মানুষ পুলিশের বিরুদ্ধে ‘প্রতিবাদী’ হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ প্রবণতাকে ‘মৌলবাদীদের অপতৎপরতা’ হিসেবে চিহ্নিত করলেও বিবিসির বাংলা বিভাগকে সাধারণ মানুষ বলেছেন, তারা কোন জঙ্গিবাদ তথা জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। এমনই এক পরিস্থিতিতে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মতো একজন অভিভাবকের প্রয়োজন ছিল, যিনি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ নিতে পারতেন।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে মহাজোট সরকার, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ‘রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ’ থেকে দেখবে। আমি তাতে দোষের কিছু দেখি না। শেখ হাসিনা প্রথম যখন প্রধানমন্ত্রী হন (১৯৯৬-২০০১), তখন তিনি সাবেক প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন। সেদিন তার সেই সিদ্ধান্ত প্রশংসিত হয়েছিল। কিন্তু বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ সব সময় প্রধানমন্ত্রীর কথামতো চলেননি। এ নিয়ে পরবর্তী সময়ে তাকে নানা গঞ্জনা সহ্য করতে হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়ার পর প্রকাশ্যে তার সমালোচনা করতে এতটুকু দ্বিধাবোধ করেননি। এই ইতিহাস প্রধানমন্ত্রী জানেন ও উপলব্ধি করেন। সুতরাং সব ধরনের ‘বিতর্ক’ এড়াতে তিনি কোন নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে মনোনীত করবেন, এই আস্থাটা রাখতে পারছি না। দু’জন প্রবীণ রাজনীতিকের নাম উঠেছে। রাজনীতিতে তাদের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি এবং যোগ্যতার মাপকাঠিতে কেউ কারও চেয়ে কম নন। কিন্তু সময়টা বড় খারাপ। পরিস্থিতি মহাজোট সরকারের অনুকূলে, তা বলা যাবে না। এমনকি মহাজোটের অন্যতম শরিক এইচএম এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি যে কোন সময় মহাজোট ত্যাগ করতে পারে। এরশাদকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি ‘চমক’ দিতে পারেন। কিন্তু তিনি এটা করবেন, তা বোধকরি জাতীয় পার্টির কোন সদস্যও বিশ্বাস করেন না। তাই ঘুরেফিরে ওই দুই ব্যক্তির দিকেই দৃষ্টি অনেকের। একটি ইংরেজি দৈনিক তো ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতিকেই চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে দিয়েছে।
তারপরও আমরা আশা করব, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রশ্নে প্রধান বিরোধী দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে একটা ‘আলোচনা’ হোক। তাদের মতামত নেয়া হোক। কেননা রাষ্ট্রপতি কোন দলের নন। তিনি বাংলাদেশের এক নম্বর ব্যক্তি। তিনি জাতির ঐক্যের প্রতীক। তিনি হবেন সবার রাষ্ট্রপতি। শেখ হাসিনা অতীতে অনেক উদারতা দেখিয়েছেন। আজ তেমন একটি সময় এসেছে তার কাছে। তিনি ইতিহাসে আবারও নন্দিত হতে পারেন, যদি তিনি একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে বেছে নেন। তিনি দেশের এক ‘কঠিন সময়ে’ দল ও সরকারের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়াতে পারবেন, যদি তিনি এ কাজটি করেন। তাই ৯০ দিনের এ সময়সীমাটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সবার দৃষ্টি থাকবে এখন বঙ্গভবনের দিকে। শেষ পর্যন্ত একজন রাজনীতিকই এই আসনটি অলংকৃত করেন কিনা, সেটাই হবে আলোচনার মূল বিষয়।
Daily JUGANTOR
27,03.13
0 comments:
Post a Comment