রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কোন্নয়নে উপকৃত হতে পারি







চীনে শি জিন পিংয়ের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ এবং প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে রাশিয়াকে বেছে নেয়া, সেই সঙ্গে আফ্রিকার তিনটি দেশ সফরের মধ্য দিয়ে একটি প্রশ্নই এখন সামনে চলে এসেছে; আর তা হচ্ছে— কোন পথে এখন চীন? বৈদেশিক সম্পর্কের প্রশ্নে চীন এখন কোন বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে? শি জিন পিংয়ের ক্ষমতা গ্রহণ আমাদের জন্য কি কোনো বার্তা নিয়ে এসেছে? শি জিন পিংয়ের রাশিয়া ও আফ্রিকা সফরের উদ্দেশ্য রয়েছে একাধিক। প্রথমত. রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানো এবং একটা স্ট্রাটেজিক বা  কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলা। যারা আন্তর্জাতিক রাজনীতির কিছুটা খোঁজখবর রাখেন তারা জানেন, ওবামা প্রশাসন সাম্প্রতিক সময়ে চীনবিরোধী বেশকিছু কর্মসূচি নিয়েছে। এমনকি চীনকে ‘ঘিরে ফেলার’ একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়েও যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের তার সামরিক তত্পরতা সম্প্রসারিত করেছে ভারত মহাসাগরেও। ভারত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের ষষ্ঠ নৌবহর যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হবে। পূর্ব চীন সাগরভুক্ত বেশ কয়টি বিতর্কিত দ্বীপ রয়েছে, যেগুলোর মালিকানা নিয়ে চীনের সঙ্গে জাপান ও ফিলিপাইনের দ্বন্দ্ব চলছে। এখন এ অঞ্চলে মার্কিন নৌ-সেনা মোতায়েনের অর্থ হচ্ছে— চীনের ওপর পরোক্ষভাবে ‘চাপ’ প্রয়োগ করা। একই সঙ্গে ভারত মহাসাগরে চীনের যথেষ্ট স্বার্থ রয়েছে। চীন এ অঞ্চল ঘিরে যে ‘মুক্তার মালা’ নীতি গ্রহণ করেছে (বন্দর স্থাপনা, রিফুয়েলিং স্টেশন প্রভৃতি), এটাও ভালো চোখে দেখছে না যুক্তরাষ্ট্র। এ অঞ্চলে চীনের স্বার্থ খর্ব করতে চায় তারা। স্ট্রাটেজিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভারত মহাসাগর (ভারত মহাসাগরভুক্ত অঞ্চলে রয়েছে বিশ্বের তেলের রিজার্ভের ৬০ শতাংশ আর গ্যাস রিজার্ভের তিন ভাগের এক ভাগ) আগামী দিনে প্রত্যক্ষ করবে চীন-যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্ব। এ দ্বন্দ্বে চীনের প্রয়োজন রয়েছে রাশিয়ার সমর্থনের। ‘প্রিমাকভ ডকট্রিন’ অনুযায়ী এ অঞ্চলে মস্কো, তেহরান, বেইজিং ও কলম্বোর মধ্যে যে ‘ঐক্য’ গড়ে উঠেছে, তাকে দৃঢ় করতেই শি জিন পিংয়ের মস্কো যাওয়ার প্রয়োজন ছিল। তাই তিনি মস্কো গেছেন। মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শি জিন পিং যে বক্তব্য রাখেন, তাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। সেখানে এক দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য দেশের প্রভাব বিস্তারের বিরুদ্ধে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন, যা কিনা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি এক ধরনের চ্যালেঞ্জ। চীনা রাষ্ট্রপ্রধান ২৬ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনেও যোগ দিয়েছেন। ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীনের পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকাও ব্রিকসের অন্যতম শক্তি। ব্রিকস বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক জোট। ২০৫০ সাল নাগাদ ব্রিকস দেশগুলোর মোট জিডিপির পরিমাণ দাঁড়াবে ১২৮ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার (যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান থাকবে ৩৮ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে)। একই সময় ব্রিকস দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃবাণিজ্য সম্পর্ক ৩৪০ বিলিয়ন ডলার (২০১২) থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ৫০০ বিলিয়নে। প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে মস্কো গিয়ে শি জিন পিং রাশিয়ার সঙ্গে পুরনো সম্পর্ককে ঝালাই করে নিলেন। একই সঙ্গে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি প্রমাণ করলেন, চীন নতুন অর্থনৈতিক জোটকেও বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে। চীনের জন্য এ সফর গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে, দেশটির নয়া নেতৃত্ব ন্যূনতম ১০ বছর অর্থাৎ ২০২৩ সাল পর্যন্ত চীনকে বিশ্ব আসরে নেতৃত্ব দেবে।
চীন বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক শক্তি। ২০১০ সালে জিএনপির দিক থেকে জাপানকে ছাড়িয়ে যায় চীন। যেখানে ১৯৮০ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে চীনের অবদান ছিল মাত্র ২ দশমিক ২ শতাংশ (যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ শতাংশ), সেখানে বলা হচ্ছে ২০১৬ সালে পিপিপির (পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি) হিসাব অনুযায়ী চীনের অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে ছাড়িয়ে যাবে। উত্পাদনশীল পণ্য, বিশেষ করে ইলেকট্রনিকস পণ্যের দিক থেকে চীন এখন এক মহাশক্তি। বিশ্বের যত ফটোকপিয়ার, মাইক্রোওয়েভ ও জুতা উত্পাদন হয়; তার তিন ভাগের দুই ভাগ চীন একা উত্পাদন করে। সেই সঙ্গে বিশ্বে উত্পাদিত সেলফোনের ৬০ শতাংশ, ডিভিডির ৫৫, ডিজিটাল ক্যামেরার ৫০, পার্সোনাল কম্পিউটারের ৩০, শিশুদের খেলনার ৭৫ শতাংশ চীন একা উত্পাদন করে। ফলে বিশ্বব্যাপী তাদের পণ্যের একটা বাজার তৈরি হয়েছে। চীনে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের পরিমাণ ২ ট্রিলিয়ন ডলারের ওপর। ফরচুন ম্যাগাজিন বিশ্বের বড় ৫০০ কোম্পানির কথা উল্লেখ করেছে, সেখানে চীনের রয়েছে ৩৭টি কোম্পানি। বিশ্বে যত জ্বালানি ব্যবহূত হয়, তার মধ্যে এককভাবে চীনে ব্যবহার হয় ১৬ শতাংশ। আর বিশ্বে জ্বালানি তেলের ব্যবহারের দিক থেকে ৩ ভাগের ১ ভাগ ব্যবহার করে চীন। যে কারণে দেশটিকে বিশ্বের অন্যতম পরিবেশ দূষণকারী রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পরিবেশ দূষণের কারণে চীনে ক্যান্সারে মৃত্যুর হার বেড়েছে ২৯ শতাংশ। তাদের রয়েছে বিশাল এক তরুণ প্রজন্ম, যারা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত। প্রতি বছর ২১ মিলিয়ন তরুণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভর্তি হয়। আর প্রতি বছর ৩ লাখ শিক্ষার্থী বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে যায়। তারা ফিরেও আসে। ১৯৪৮ সালে (স্বাধীনতার ঠিক এক বছর আগে) যেখানে চীনে শিক্ষিতের হার ছিল মাত্র ২০ শতাংশ, এখন সেখানে ১০০ শতাংশ শিক্ষিত। সংস্কারের কারণে চীনে যে ব্যাপক অর্থনৈতিক পরিবর্তন এসেছে, তাতে প্রায় ২০ কোটি মানুষকে চীন অতি দরিদ্রতম অবস্থা (প্রতিদিন জাতিসংঘ কর্তৃক নির্ধারিত ১ দশমিক ২৫ ডলার আয় হিসাবে) থেকে বের করে এনে কিছুটা সচ্ছলতা দিয়েছে। যদিও বলা হয়, এখানেও প্রায় ২০৭ মিলিয়ন লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি একদিকে যেমন দেশটিতে ধনী ও গরিবের মধ্যে এক ধরনের বৈষম্য সৃষ্টি করেছে, ঠিক তেমনি বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যেও বৈষম্য তৈরি হয়েছে। মানুষ গ্রাম থেকে শহরে আসছে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো এখন কর্মজীবী মানুষের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। মানুষের আয় সেখানে বেশি। হাজার হাজার টাউনশিপ এখন তৈরি হয়েছে, যা বদলে দিয়েছে চীনের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জীবনযাত্রা। চীনকে নিয়ে খারাপ খবরও আছে। যেখানে ২০০৯ সালে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ শতাংশ, ২০১২ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশে। মূল্যস্ফীতি ৩ দশমিক ৫ শতাংশ কম। আর শহরে বেকারসংখ্যা ৪-৬ শতাংশের নিচে। এই যে চীন, এ চীনের নেতৃত্ব দেয়ার দায়িত্বটি এখন বর্তিয়েছে শি জিন পিংয়ের ওপর। কোন পথে এখন চীন? শি জিন পিংয়ের এজেন্ডায় রাশিয়া ও ব্রিকস প্রাধান্য পেলেও এটা সত্য, অভ্যন্তরীণ ইস্যুকে গুরুত্ব দিতে হবে তাকে। বেশ কয়েকজন বিশ্লেষকের লেখা পড়ে যা মনে হয়েছে, তা হচ্ছে শি জিন এখন প্রথমেই অগ্রাধিকার দেবেন অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোর দিকে। এক বিশাল দেশ চীন। প্রায় ৫৫ জাতি ও উপজাতি নিয়ে গড়ে উঠেছে চীন। ২২ প্রদেশ, পাঁচ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল, চার বিশেষ অঞ্চল ও ১৪৭ বিশেষ এলাকা নিয়ে যে চীনা রাষ্ট্র, রাজনৈতিক সংস্কারের প্রশ্নে সেটি ভেঙেও যেতে পারে। এ কারণেই চীনা নেতারা রাজনৈতিক সংস্কারের প্রশ্নে সতর্ক থাকছেন। যে ভুল করেছিলেন গরবাচেভ, সে ভুল করেননি চীনা নেতারা। সেনাবাহিনী এখনো পার্টির প্রতি অনুগত। তাই অর্থনৈতিক সংস্কারকেই তারা বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তবে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। ফুজিয়ান, ঝে ঝিয়াং কিংবা সাংহাই প্রদেশগুলো তুলনামূলক বিচারে অনেক বেশি সমৃদ্ধশালী। প্রদেশে প্রদেশে যে বৈষম্য, গ্রাম আর শহরের মধ্যে যে পার্থক্য, তা দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে শি জিন পিং প্রশাসনকে। সেই সঙ্গে রয়েছে প্রচুর বয়স্ক লোকের পেনশন ভাতা নিশ্চিত করা, পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখা, অসমতা ও দারিদ্র্য দূর করা। এগুলো হবে নয়া প্রেসিডেন্টের প্রধান কাজ। দুর্নীতির বিষয়টিও তার অগ্রাধিকার তালিকায় থাকবে। পার্টির সিনিয়র নেতাদের ব্যাপক দুর্নীতি এখন চীন ও পশ্চিমা বিশ্বে আলোচনার অন্যতম বিষয়। অভিযোগ আছে, সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার সম্পদের মালিক হয়েছেন। নিউইয়র্ক টাইমস এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করলে তা ব্যাপক আলোচিত হয়। অভিযোগে বলা হয়েছিল, বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর মায়ের নামে একটি কোম্পানির ১২০ মিলিয়ন ডলারের শেয়ার আছে। প্রেসিডেন্ট নিজেও অভিযুক্ত। যুক্তরাষ্ট্রের ব্লুমবার্গ গ্রুপের মতে, শি পরিবার ৩৭৬ মিলিয়ন ডলারের মালিক। শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সম্পর্কে এ ধরনের অভিযোগ নয়া প্রেসিডেন্টের জন্য কোনো ভালো খবর নয়।
একুশ শতকে আমরা চীনকে দেখব অন্যতম শক্তি হিসেবে। বিশেষ করে অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে চীনের উত্থান বিশ্বের সব অর্থনীতির হিসাবনিকাশ বদলে দিয়েছে। ব্রিকসে চীন ও ভারত অন্তর্ভুক্ত হলেও এশিয়ার এ দুই অর্থনৈতিক শক্তির মধ্যকার দ্বন্দ্ব এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকে একটি ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিতে পারে। ভারতে জনগোষ্ঠীর ৩৭ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করলেও ৩০ বছরের মধ্যে দেশটি বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হবে। তখন সাধারণ মানুষের মাথাপিছু আয় ৯৪০ থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ২২ হাজার ডলারে।
২০০৭ সালে যেখানে বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত অবদান রাখত মাত্র ২ শতাংশ, তখন অবদান রাখবে ১৭ শতাংশ। সুতরাং ভারতকে ফেলে দেয়া যাবে না। তাই কোনো কোনো বিশ্লেষক (জনাথন হোলসলাগ, ফরেন পলিসি ম্যাগাজিন) একটি সম্ভাব্য ‘পযরহফরধ’ ধারণার কথা বলেছেন, যেখানে চীন ও ভারত একসঙ্গে কাজ করতে পারে। এ ধারণা অমূলক নয়। সাম্প্রতিক সময়গুলোয় চীন-ভারত বাণিজ্যিক সম্পর্ক বেড়েছে। চীনা নেতারা ভারত সফর করেছেন। সীমান্ত সমস্যা নিয়েও (অরুণাচল) এক ধরনের ‘স্থিতিবস্থা’ বিরাজ করছে। ক্ষমতা গ্রহণ করে শি জিন পিং ভারতবিরোধী তেমন কোনো কথা বলেননি।
চীনের নতুন প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ তথা বাংলাদেশী নেতাদের সম্পর্কে ধারণা রাখেন। ২০১২ সালে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন। বেগম জিয়ার সঙ্গে তিনি গেল বছর বেইজিংয়ে সাক্ষাৎ করেছিলেন। চীন আমাদের প্রতিবেশী বলা যায়। আমাদের উন্নয়নের অন্যতম অংশীদার। অবকাঠামো উন্নয়নে দেশটি আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সহায়তাকারীও। সম্প্রতি পদ্মা সেতু নির্মাণে চীন তাদের আগ্রহের কথা আমাদের জানিয়েছে। দেশটিতে শি জিন পিংয়ের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিযুক্তি আমাদের জন্য নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করল। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে চীনকে গুরুত্ব দিলে আমরাই উপকৃত হব। আমাদের নীতিনির্ধারকরা যদি এদিকে দৃষ্টি দেন, তাহলে তা বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলই বয়ে আনবে।
BONIK BARTA
28.3.13

0 comments:

Post a Comment