রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধ কি আসন্ন!




কোরীয় উপদ্বীপে এখন চলছে রণপ্রস্তুতি। উত্তর কোরিয়ার এক বিবৃতিতে গত শনিবার বলা হয়েছে 'দেশটিতে এখন 'যুদ্ধাবস্থা' বিরাজ করছে এবং দুই কোরিয়ার মধ্যকার সব বিষয় যুদ্ধকালীন সময় অনুযায়ী মোকাবিলা করা হবে। উত্তর কোরিয়ার তরুণ প্রেসিডেন্ট কিম জং উন সিনিয়র সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিটিং করছেন, সমরাস্ত্রের নমুনা দেখছেন কিংবা উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে কিম উল সুং স্কয়ারে হাজার হাজার মানুষ আমেরিকাবিরোধী স্লোগান দিচ্ছে- এ ধরনের ছবি ছাপা হয়েছে বিদেশি সংবাদপত্রে। একটা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি সেখানে বিরাজ করছে। তবে এ মুহূর্তে এটা স্পষ্ট নয় আদৌ যুদ্ধ হবে কি না। তবে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে, এমন একটা সময় যখন একদিকে জানুয়ারিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, অন্যদিকে গেল মার্চে চীনে নয়া প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছেন শি জিনপিং। বলার অপেক্ষা রাখে না, উত্তর কোরিয়ার সামরিক তথা অর্থনৈতিক সাহায্যের অন্যতম উৎস হচ্ছে চীন।
সাম্প্র্রতিক সময়গুলো কোরীয় উপদ্বীপে বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষণীয়। উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন দায়িত্ব নিয়েছেন, তাও খুব বেশি দিন নয়। তাঁর বাবা কিম জং ইলের মৃত্যুর পর তিনি ওই তরুণ বয়সে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। তিনি মূলত উত্তর কোরিয়ায় একটি সমাজতান্ত্রিক সমাজে পারিবারিক রাজনীতির প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাঁর দাদা কিম ইল সুং ছিলেন উত্তর কোরিয়ার অবিসংবাদিত বিপ্লবী নেতা। দাদার পর বাবা, এরপর নিজে উত্তর কোরিয়ার সমাজতান্ত্রিক সমাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। গেল ফেব্রুয়ারি মাসেও দক্ষিণ কোরিয়ায় পরিবর্তন এসেছে। সেখানে জনগণের ভোটে প্রথমবারের মতো একজন মহিলা সে দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি হচ্ছেন পার্ক গেউন হাই। মিসেস পার্কের বাবা দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক সেনাশাসক পার্ক চুং হি, যিনি ১৯৬২ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন। মিসেস পার্ক গত ১৯ ডিসেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, উভয় কোরিয়াতেই নেতৃত্বে পরিবর্তন এসেছে। দ্বিতীয় আরেকটি পরিবর্তন লক্ষণীয়। আর তা হচ্ছে গত ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর কোরিয়া তৃতীয়বারের মতো পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়। ফলে জাতিসংঘ উত্তর কোরিয়ার ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে। তৃতীয় পরিবর্তনটি হচ্ছে, গেল মার্চ মাসে আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর উদ্যোগে সামরিক মহড়া। প্রায় ৪০ হাজার সেনা এই মহড়ায় অংশ নিয়েছে। এই সেনা মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম দূরপাল্লার বি-২ স্টিলথ বিমান ব্যবহৃত হয়েছে। এই বিমান সুদূর মিসৌরির মূল ঘাঁটি থেকে উড়ে এসেছিল। সাধারণত যুক্তরাষ্ট্র ইরাক ও লিবিয়া যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোথাও এই দূরপাল্লার পারমাণবিক বোমা বহনযোগ্য বিমান ব্যবহার করেনি। স্বাভাবিকভাবেই এটা উত্তর কোরিয়ার ওপর এক ধরনের মনস্তাত্তি্বক চাপ। উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইতিমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া তথা প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থিত মার্কিন সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানার জন্য তাঁর মিসাইল ইউনিটগুলোকে নির্দেশ দিয়ে একটি ডিক্রিও জারি করেছেন।
এখন যে প্রশ্নটি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে তা হচ্ছে, দুই পক্ষের মধ্যে এই যে উত্তেজনা, তা কোনো যুদ্ধের জন্ম দেবে কি না? যাঁরা কোরীয় উপদ্বীপের রাজনীতির কিছুটা খোঁজখবর রাখেন তাঁরা জানেন, এ অঞ্চলে উত্তেজনা কোনো নতুন খবর নয়। ১৯৯৪ সালের এপ্রিল মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ায় প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র বসানোর পর থেকেই এ অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। তবে উত্তেজনার পাশাপাশি দুই কোরিয়ার সংযুক্তির প্রশ্নেও এক ধরনের আলোচনাও চলে আসছিল অনেক দিন থেকে। এ ব্যাপারে একটি বড় উদ্যোগ নিয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট কিম দাই জং। ২০০০ সালের ১২ জুন দুই কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানরা একটি শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। কোরিয়া বিভক্তকারী অসামরিক গ্রাম পানমুনজমে কিম মিলিত হয়েছিলেন প্রয়াত উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং ইলের সঙ্গে। এ অঞ্চলের গত ৫৩ বছরের রাজনীতিতে দুই কোরিয়ার নেতারা এর আগে আর কোনো শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হননি। এটা ছিল একটা ঐতিহাসিক ঘটনা। এর ঠিক সাত বছর পর ২০০৭ সালের ২ অক্টোবর দুই নেতা রোহ মু হিউম (দক্ষিণ কোরিয়া) ও কিম জং ইলও (উত্তর কোরিয়া) মিলিত হয়েছিলেন দ্বিতীয়বারের মতো। স্নায়ুযুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্বব্যবস্থা ও দুই জার্মানির একত্রীকরণের পর রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের দৃষ্টি ছিল কোরীয় উপদ্বীপের দিকে। সেই থেকে অনেকে দুই কোরিয়ার একত্রীকরণের স্বপ্ন দেখছেন। এখানে বলা ভালো, কোরিয়া একটি বিভক্ত সমাজ। দুই কোরিয়ায় দুই ধরনের সমাজব্যবস্থা চালু রয়েছে। উত্তর কোরিয়া এখনো সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা বহাল রেখেছে। উত্তর কোরিয়া চীনের অনুসরণ করে এখনো সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় পরিবর্তন আনেনি। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থা বিকশিত হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি। এক লাখ ২০ হাজার ৫৩৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনবিশিষ্ট উত্তর কোরিয়ার লোকসংখ্যা দুই কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার। অন্যদিকে ৯৯ হাজার ২২২ বর্গকিলোমিটার আয়তনবিশিষ্ট দক্ষিণ কোরিয়ার লোকসংখ্যা চার কোটি ২৮ লাখ। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের পরাজয়ের পর মার্কিন ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনাবাহিনী কোরিয়ায় ঢুকে পড়ে এবং জাপানি সৈন্যদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করার জন্য কৌশলগত কারণে কোরিয়াকে দুই ভাগে ভাগ করে। এক অংশে মার্কিন বাহিনী ও অন্য অংশে সোভিয়েত বাহিনী অবস্থান নেয়। সোভিয়েত সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে কোরিয়ার উত্তরাঞ্চলে (আজকে যা উত্তর কোরিয়া) একটি কমিউনিস্ট সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘের আহ্বানে সেখানে নির্বাচনের আয়োজন করা হলেও দেখা গেল নির্বাচন শুধু দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৪৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর উত্তর কোরিয়ার একটি আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে তার অস্তিত্বের কথা ঘোষণা করে। ১৯৫০ সালের ২৫ জুন উত্তর কোরিয়ার বাহিনী ৩৮তম সমান্তরাল রেখা অতিক্রম করে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করলে যুদ্ধ বেঁধে যায়। জাতিসংঘ এই যুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়াকে সমর্থন করার জন্য সব রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানায়। জাতিসংঘ বাহিনী মাঞ্চুরিয়া সীমান্তে উপস্থিত হলে ১৯৫০ সালের ২৬ নভেম্বর চীন উত্তর কোরিয়ার পক্ষে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে এবং চীনা সৈন্যরা দক্ষিণ কোরিয়ার অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে। ১৯৫১ সালের এপ্রিলে জাতিসংঘ বাহিনী ৩৮তম সমান্তরাল রেখা পুনরুদ্ধার করে। ১৯৫১ সালের ২৩ জুন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়, কিন্তু তা কার্যকর হয় দুই বছর পর ১৯৫৩ সালের ২৭ জুলাই। যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার ঠিক এক মাসের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করে। আর চীন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে এ ধরনের একটি সামরিক চুক্তি করে ১৯৬১ সালে। মূলত ১৯৫১ সালের পর থেকেই কোরীয় উপদ্বীপ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে আছে।
কোরীয় উপদ্বীপের মূল সমস্যা একটি- উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কার্যক্রম। উত্তর কোরিয়া ২০০৬ সালের অক্টোবরে প্রথমবারের মতো পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকে বিশ্বের অষ্টম পারমাণবিক শক্তির দেশ হিসেবে প্রমাণ করে। সেই থেকে পশ্চিমা বিশ্বের সমস্যা উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে। তবে এটাও সত্য, এক সময় উত্তর কোরিয়ার যুক্তি ছিল তাদের বিপুল জ্বালানি চাহিদা মেটানোর জন্যই এই পারমাণবিক কর্মসূচি। কিন্তু দেখা গেল উত্তর কোরিয়া তাদের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রে পারমাণবিক বোমা সংযুক্ত করেছে। এ নিয়ে ছয় জাতি আলোচনা (চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দুই কোরিয়া) শুরু হলেও অগ্রগতি হয়েছে অতি সামান্যই। এই ছয় জাতি আলোচনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ করা। কিন্তু এই ছয় জাতি আলোচনা থেমে গেছে। এই আলোচনায় এক পর্যায়ে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধের বিনিময়ে উত্তর কোরিয়াকে ৫০ হাজার টন জ্বালানি তেল সরবরাহের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, যা দিয়ে উত্তর কোরিয়া বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক প্রকল্পগুলো পরিদর্শনের 'চাপ' অব্যাহত রাখলে ছয় জাতি আলোচনায় স্থবিরতা দেখা দেয়। পশ্চিমাদের ধারণা, উত্তর কোরিয়ার কাছে ছয় থেকে ১০টি পারমাণবিক বোমা তৈরি করার ইউরেনিয়াম মজুদ রয়েছে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার ভয় এ কারণেই।
কোরীয় উপদ্বীপে সর্বশেষ যে উত্তেজনা ও উত্তর কোরিয়ার 'যুদ্ধাবস্থা' ঘোষণা এ অঞ্চলের পরিস্থিতিকে কোন দিকে নিয়ে যায়, বলা কঠিন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন পলিসি ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে এখানে আদৌ যুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। উত্তর কোরিয়া এ ধরনের উত্তেজনা মাঝেমধ্যেই সৃষ্টি করে ও সেখান থেকে ফায়দা ওঠায়- ম্যাগাজিনটির মূল্যায়ন অনেকটা এ রকমই। ওয়াশিংটন উত্তর কোরিয়ার 'যুদ্ধাবস্থা' ঘোষণাকে আমলে নিলেও দক্ষিণ কোরিয়া আদৌ কোনো গুরুত্ব দেয়নি। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাশিয়া। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষায়, উত্তর কোরিয়ার সীমান্তের কাছে যেকোনো ধরনের সামরিক কার্যকলাপ অস্থিরতা তৈরি করতে পারে। আর চীন উত্তেজনা কমানোর আরজি জানিয়েছে। এটা সত্য, এ অঞ্চলে উত্তেজনা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে তা ছড়িয়ে যাবে অন্যত্র। এমনিতেই মধ্যপ্রাচ্যে, বিশেষ করে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। 'আরব বসন্ত'-পরবর্তী যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকাও বিতর্কিত। যুক্তরাষ্ট্র ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তার কর্তৃত্ব বাড়াচ্ছে। এমনি এক পরিস্থিতিতে কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া কোনো ভালো খবর নয়। এতে নতুন করে স্নায়ুযুদ্ধের সূচনা হতে পারে। এই মুহূর্তে যা প্রয়োজন তা হচ্ছে, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করা, দুই কোরীয় নেতার মধ্যে শীর্ষ বৈঠক (২০০৭-এর পর), এবং সেই সঙ্গে ছয় জাতি আলোচনা শুরু করা। যুদ্ধ কোরীয় উপদ্বীপে কোনো সমাধান বয়ে আনবে না। এমনিতেই উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক দুরবস্থার খবর একাধিকবার সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে। দুই কোরিয়ার মধ্যে একটা আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলা প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে, যুদ্ধ শুরু হলে তা উত্তর কোরিয়ার জন্য আরো অনেক দুঃখ-কষ্ট বয়ে আনবে। যুক্তরাষ্ট্রেরও উচিত হবে যৌথ মহড়ার কর্মসূচি বাতিল করে দক্ষিণ কোরিয়াকে একটি 'সংলাপ'-এ রাজি করানো। দুই কোরিয়ার মধ্যকার সংলাপ সব ধরনের উত্তেজনা হ্রাসে একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।
Daily KALERKONTHO02.04.13

0 comments:

Post a Comment