হঠাৎ করেই যেন দৃশ্যপট বদলে গেল। সব প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে হেফাজতে ইসলাম ঢাকার মতিঝিল শাপলা চত্বরে কয়েক লাখ লোককে জমায়েত করল, সংবাদপত্রের ভাষায় যা ছিল ‘তৌহিদি জনতার মহাসমুদ্র’। অরাজনৈতিক এই সংগঠনটিকে নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা যখন অংক কষতে শুরু করেছেন, তখন এ দেশের আমজনতা ৮ এপ্রিল হেফাজতের ডাকা হরতাল প্রত্যক্ষ করল। কিন্তু এর আগেই দৃশ্যপট বদলে গেছে। ঢাকার একটি আদালত ৭ এপ্রিল বিকালে শীর্ষস্থানীয় ১০ বিএনপি নেতার জামিন নামঞ্জুর করলে এবং জেলে পাঠালে পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আবারও গাড়ি পুড়েছে। ককটেল ফুটেছে। বিএনপি তথা ১৮ দলীয় জোট ৯ ও ১০ এপ্রিল লাগাতার ৩৬ ঘণ্টার হরতাল আহ্বান করেছে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত ও সংঘাতময়।
হেফাজতে ইসলামের লংমার্চে বাধা দেয়া হয়েছিল। তাদের ওই লংমার্চের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ডাক দিয়েছিল গণজাগরণ মঞ্চ। আর হরতাল আহ্বান করেছিল ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটিসহ ২৭টি সংগঠন। ছুটির দিনে রাতের বেলায়ও আমরা হরতাল প্রত্যক্ষ করলাম। কিন্তু হরতাল আর অবরোধ উপেক্ষা করে মানুষ ঢাকার বাইরে থেকে হেঁটে শাপলা চত্বরের জমায়েতে যোগ দিয়ে যে নজির সৃষ্টি করল, সমসাময়িক বাংলাদেশের ইতিহাসে তা এক বিরল ঘটনা। আরও লক্ষ্য করার বিষয়, প্রায় ১০ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে কোন সহিংস ঘটনা ঘটেনি। কোন ককটেল ফোটেনি। সব ধরনের বাধা উপেক্ষা করে হেফাজতে ইসলাম প্রমাণ করল তারা একটি শক্তি। যারা ক্ষমতায় আছেন বা আগামীতে ক্ষমতায় যেতে চান, তাদের একটা মেসেজ দিয়ে গেল হেফাজতে ইসলাম। আর এর মূল কথা হচ্ছে, তারা একটি শক্তি। তাদের গ্রহণযোগ্যতায় নিতে হবে। বাংলাদেশের চলমান রাজনীতিতে দুটি শক্তিÑ একদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট, অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট। এর বাইরে ইসলামপ্রিয় হেফাজতে ইসলাম আবির্ভূত হল তৃতীয় একটি শক্তি হিসেবে। এরা কোন রাজনৈতিক শক্তি নয়। রাজনীতি করতেও তারা আসেনি। তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে এবং জামায়াতের রাজনীতির বিপক্ষে। মূলত ইসলাম ধর্মকে অবমাননা ও রাসূলে করীম (সা.)-কে নিয়ে বিভিন্ন ব্লগে বিরূপ মন্তব্য ও লেখালেখির প্রতিবাদেই তারা সংগঠিত হয়েছে এবং শান্তিপ্রিয়ভাবে তাদের জমায়েত শেষ হয়েছে। নিঃসন্দেহে বলতেই হবে, তারা একটা দৃষ্টান্ত রেখে গেল।
কিন্তু দৃশ্যপট বদলে গেল যখন নিু আদালত বিএনপির শীর্ষ নেতাদের জামিন দিতে অস্বীকৃতি জানালেন। এর আগে রমনা থানায় দায়ের করা দুটি, পল্টন থানায় চারটি, শাহজাহানপুর থানায় দায়েরকৃত একটি মামলায় উচ্চ আদালত থেকে তারা জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরই আইন অনুযায়ী তারা নিু আদালতে আÍসমর্পণ করলেন। তাদের জেলে পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতি আবার সহিংস হয়ে উঠেছে। গেল মার্চের বেশ ক’টি দিন আমরা হরতাল প্রত্যক্ষ করেছি এবং দিব্যি দিয়েই বলতে পারি, এপ্রিল মাসের বাকি প্রায় পুরোটা সময়ই আমরা হরতালের মধ্যে থাকব। কোন্ দিকে যাচ্ছি আমরা? সরকার কি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করবে? যা কি-না বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন আশংকা প্রকাশ করেছেন? নাকি দেশটি আবার এক-এগারোর মতো পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে?
গত দু’দিন যেখানেই গেছি, সেখানেই আমাকে এ প্রশ্নের জবাব দিতে হয়েছেÑ দেশ কোন্ দিকে যাচ্ছে? একাত্তর টিভির টকশোতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে গিয়েছিলাম। ঘুরেফিরে একটাই প্রশ্নÑ দেশ কোন্ পথে যাচ্ছে? আমি রাজনীতির গতিধারা নিয়ে চর্চা করি। বোঝার চেষ্টা করি চলমান রাজনীতি আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে। প্রথমত, বিএনপির শীর্ষ ১০ নেতা এখন জেলে গেলেন। বিএনপির নীতিনির্ধারকদের সবাই এখন জেলে। তার আগে থেকেই জেলে আছেন বিএনপির ত্যাগী নেতাদের তিনজনÑ রিজভী, জয়নুল আবদিন ফারুক ও আমানউল্লাহ আমান। বাংলাদেশে অতীতে এরকমটি কখনোই হয়নি। যে দলটি একাধিকবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল এবং সর্বশেষ নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের প্রাপ্ত ভোটের হার প্রায় ৩৩ ভাগ (আওয়ামী লীগের ৪৮ ভাগ), তাদের ব্যাপারে সরকারের মনোভাব ইতিবাচক নয়। আমরা বারবার বলে আসছি, দুই বড় দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে যদি সমঝোতা না হয়, তাহলে এদেশে গণতন্ত্রের বিকাশ মুখ থুবড়ে পড়বে। আর তাতে উপকৃত হবে অসাংবিধানিক শক্তিগুলো। পুলিশ বিএনপির এই শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ভাংচুর, গাড়ি পোড়ানোর মামলা করেছে। এ মামলাতেই তাদের জেল হল। এখন আইনি প্রক্রিয়ায় বিএনপির নেতারা আবারও উচ্চ আদালতে যাবেন। হয়তো উচ্চ আদালত থেকে জামিনও পাবেন। কিন্তু এরই মধ্যে যে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে, তা সারবে কীভাবে?
দ্বিতীয়ত, সরকারকে সব সময়ই সহিষ্ণু আচরণ করতে হয়। তাকে নমনীয় হতে হয়। কিন্তু সরকার বিএনপির নেতাদের ব্যাপারে নমনীয়, তা বলা যাবে না। এর আগে বিএনপির জমায়েতে পুলিশের গুলিবর্ষণ ও শীর্ষ নেতাদের আহত করা (স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এখন সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন) এবং বিএনপির অফিসে তল্লাশির নামে অফিস ভাংচুরের ঘটনা সুধীসমাজে সমর্থনযোগ্য হয়নি। অনেকেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। রাজনীতিতে দ্বন্দ্ব থাকবেই। রাজনৈতিক বৈরিতার নামই তো গণতন্ত্র! কিন্তু এ কোন্ বৈরিতা আমরা দেখছি? বিএনপির অফিস কেন ভাংচুর করা হবে? কেন প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণ করা হবে? কেনইবা নিু আদালতে বিএনপির নেতারা জামিন পাবেন না? সরকারের কর্মকাণ্ড থেকে মনে হচ্ছে, সরকার রাজনীতি থেকে বিএনপিকে উচ্ছেদ করতে চায়! জামায়াতের ব্যাপারে সরকার শক্ত অবস্থানে গেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কিংবা জামায়াতকে নিষিদ্ধের ব্যাপারে সকারের অবস্থান এখন স্পষ্ট। কিন্তু বিএনপির বিরুদ্ধে তাদের এই সাঁড়াশি অভিযান ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে বলে মনে হয় না।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশ আগামী কয়েক মাসে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা প্রত্যক্ষ করবে। একটি হচ্ছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এবং অপরটি দশম সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ। গোটা জাতি প্রত্যাশা করছে, এমন একজনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিয়োগ করা হোক, যিনি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবেন। তিনি হবেন দলনিরপেক্ষ। রাষ্ট্রপতি সবার। এক্ষেত্রে কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা কাম্য নয়। সুতরাং বিএনপির অবস্থান এখানে গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপির সমর্থন ছাড়া রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হলে সেই রাষ্ট্রপতি বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকবেন না। বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে যিনি দায়িত্ব নেবেন, তিনি থাকবেন আগামী পাঁচ বছর। সময়কালটা যে কোন বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ। তাই অনেক হিসাব-নিকাশ আছে। বিএনপির সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকেও প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে, যা হবে আমাদের জন্য একটি দুঃখজনক ঘটনা। সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা এখনও দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছি। বিএনপি তথা ১৮ দল এখন আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছে না। বিএনপি গেছে এক দফায়Ñ সরকারের পদত্যাগ। সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন, ২৫ অক্টোবর সরকার ক্ষমতা ত্যাগ করবে। প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে ২৫ অক্টোবর পরবর্তী সময়ে ক্ষমতায় থাকবে কারা? প্রধানমন্ত্রীকে রেখে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনমতেই গ্রহণযোগ্য হবে না। এখানেও প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে বাদ দিয়ে যে কোন সিদ্ধান্ত বিতর্কের মাত্রা বাড়াবে।
হেফাজতে ইসলামের ঢাকায় সমাবেশ ও হরতাল পালনের পরপরই ১৮ দলের ৩৬ ঘণ্টার হরতাল প্রমাণ করে, বাংলাদেশ ধীরে ধীরে একটি বড় ধরনের সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে এ সংকট থেকে বের হয়ে আসার পথটি বড় কঠিন। টানেলের শেষ প্রান্তে কোন আলো দেখা যাচ্ছে না। সরকার অনেকগুলো ‘ফ্রন্ট ওপেন’ করে ফেলেছে। গণজাগরণ মঞ্চ এক সময় একটা আবেদন সৃষ্টি করেছিল। এখন সেই আবেদন আছে বলে মনে হয় না। গণজাগরণ মঞ্চের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে গেছে। সরকার স্পষ্টতই হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে একটি সমঝোতায় যেতে চাচ্ছে। একটি ‘সমঝোতা’ হয়েছে বলেই অনেকে মনে করেন। যে কারণে ঘোষিত কর্মসূচি বাদ দিয়েই আল্লামা শফীকে চট্টগ্রামে চলে যেতে হয়েছে। এখন হেফাজতকে গ্রহণযোগ্যতায় নিতে হলে গণজাগরণ মঞ্চের তৎপরতা বন্ধ বা সীমিত করতে উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে হবে। সরকার যদি ‘দুই নৌকায় পা’ দেয় তাহলে ভুল করবে। এ মুহূর্তে গণজাগরণ মঞ্চের চেয়ে হেফাজতে ইসলামকে সরকারের বেশি প্রয়োজন। একদিকে জামায়াতে ইসলামী ও অন্যদিকে বিএনপিÑ উভয় শক্তিই ইসলামী জাতীয়তাবাদী রাজনীতির কথা বলে। একমাত্র হেফাজতের লাখ লাখ কর্মী জামায়াতের অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। হেফাজত প্রমাণ করেছে, তাদের একটি সুসংগঠিত কর্মী বাহিনী রয়েছে। এই কর্মী বাহিনী সরকারের জন্য একটি ‘অ্যাসেট’ হতে পারে, যদি সরকার হেফাজতের ১৩ দফার ব্যাপারে একটি সমঝোতায় পৌঁছায়। এই ১৩ দফার কয়েকটি গ্রহণ করা সম্ভব। প্রয়োজন শুধু একটি সংলাপের। সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করবে, এটা আমি মনে করি না। প্রধানমন্ত্রী ভালো করেই জানেন জরুরি অবস্থা দিয়ে দীর্ঘ মেয়াদে থাকা যায় না এবং জনগণের আস্থাও পাওয়া যায় না। কিন্তু পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তখন সরকারকে হয়তো এমনসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে, যা আমরা কেউ চাই না।
সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে সমঝোতার অভাব, বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন অব্যাহত রাখা পরিস্থিতিকে দিন দিন জটিল করে তুলছে। সহিংস রাজনীতির কারণে এখন ঝুঁকির মুখে অর্থনীতি। সবচেয়ে বড় ঝুঁকির মুখে রয়েছে আরএমজি সেক্টর। হরতালের কারণে তৈরি পোশাক রফতানি বিলম্বিত হচ্ছে। এমন খবরও সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে, বিলম্বে পৌঁছার কারণে তৈরি পোশাকের কনটেইনার ফেরত এসেছে। বিদেশী ক্রেতারা এখন অন্যত্র তৈরি পোশাকের বাজার খুঁজছেন। চীনে তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের একটা বিশাল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও হরতালের রাজনীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পোশাক শিল্প। উদ্বিগ্ন পোশাক রফতানিকারকদের পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই। পরিস্থিতি এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ‘সব দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে যে নির্বাচন’, সেই নির্বাচনের সম্ভাবনা ধীরে ধীরে কমে আসছে। প্রধান বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেয়া, তাদের জামিন না দিয়ে জেলে পাঠানো পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছে। দশম সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এক বড় অনিশ্চয়তা।
পরিস্থিতি এভাবে চলতে থাকলে বিএনপি নির্বাচন সংক্রান্ত কোন আলোচনায় অংশ নেবে বলে মনে হয় না। এমনকি নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়টিও থাকছে নাÑ আরপিওতে এমনটিই আছে। ফলে এমন একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে যাচ্ছে, যেখানে শুধু সরকারি দল আর তার সমর্থকরাই অংশ নেবে, বিএনপি তথা ১৮ দল অংশ নেবে না। নির্বাচন কমিশন হয়তো নির্বাচন সম্পন্ন করবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে। বিএনপিকে বাদ দিয়ে সেই নির্বাচনের কোন গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না। মার্কিন অর্থনীতিতে ‘ফিসকাল স্মিক’-এর কথা আমরা শুনেছিলাম। অর্থাৎ খাদের কিনারে অর্থনীতি। যদি অর্থনীতিকে বাঁচানো না যায়, গভীর খাদে পড়ে যাবে অর্থনীতি, যেখান থেকে অর্থনীতিকে আর তুলে আনা যাবে না। ওবামা প্রশাসন সেই অর্থনীতিকে আপাতত রক্ষা করেছিল। বাংলাদেশের রাজনীতি আজ অনেকটা ‘খাদের কিনারে’ এসে দাঁড়িয়েছে। একটু ‘ধাক্কা’ খেলেই পড়ে যাবে গভীর খাদে। তাই ‘রাজনীতি’কে উদ্ধার করবে কে? আমাদের রাজনীতিকদের দিকে তাকিয়ে আছে প্রায় ১৬ কোটি মানুষ। প্রয়োজন একটি দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সিদ্ধান্তের। কঠোর অবস্থানে গিয়ে রাজনীতিকে খাদের কিনার থেকে বাঁচানো যাবে না। ইতিহাসের এক কঠিন সময় পার করছেন আমাদের রাজনীতিকরা। সিদ্ধান্ত নিতে যদি আমরা দেরি করি, ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না। ইতিহাস বড় নির্মম। দেয়ালের লিখন থেকে আমরা শিক্ষা নেবÑ আমরা শুধু এ প্রত্যাশাই করতে পারি।
Daily JUGANTOR
09.04.13
0 comments:
Post a Comment