রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে



গেল সপ্তাহে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ে সংবাদপত্রে বেশ ক’টি খবর ছাপা হয়েছে। এসব খবর রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারকদের কতটুকু চিন্তার খোরাক জোগাবে বলতে পারব না, কিন্তু একজন শিক্ষক হিসেবে প্রকাশিত সংবাদগুলোর ব্যাপারে আমি দুঃখিত ও লজ্জিত। এরই মাঝে আবার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় (অতীশ দীপঙ্কর) ‘দখলে’র খবরও ছাপা হয়েছে। যিনি দখল করেছেন, তিনি একজন সংসদ সদস্য এবং দেশের আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত। এতদিন শুনতাম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সার্টিফিকেট বাণিজ্য করে। এখন দেখলাম এ সেক্টরে ‘দখলের রাজনীতি’ও চলছে। এটা যেন একটা বড় বাণিজ্য সেক্টর! বিনিয়োগের খুব একটা প্রয়োজন পড়ে না, কিন্তু রিটার্ন ‘অনেক’! আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য ভুল করেননি। ঠিক জায়গাতেই হাত দিয়েছেন! কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব কী হচ্ছে? গত সপ্তাহে জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এক সংবাদে বলা হয়েছে, উপাচার্যদের দুর্নীতির খোঁজে নেমেছে গোয়েন্দা সংস্থা। কী লজ্জার কথা! উপাচার্যদের দুর্নীতি খুঁজবে গোয়েন্দারা! এ সংবাদে অনেকে ভ্রƒ কুঁচকালেও আমি তাতে এতটুকুও অবাক হয়নি। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৩৫। এই ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ জন উপাচার্য কে কী করেছেন, গত চার বছরে এর আমলনামা আর কোথাও না থাকলেও আছে সংবাদপত্রের পাতায়। এ নিয়ে রীতিমতো গবেষণা করা যায়। গত চার বছরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দলীয়করণ, আÍীয়করণের যে রেকর্ড করেছে, তা অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। সেই সঙ্গে ছাত্রলীগের তাণ্ডব একাধিকবার সংবাদপত্রের খবর হলেও খুব কম ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তি হয়েছে।
আমাদের শিক্ষা সচিব একজন সজ্জন ব্যক্তি। কবি মানুষ। কবিরা সরকারি আমলা হলেও খুব একটা শক্ত গোছের মানুষ তারা হন না। তিনি যখন সংবাদপত্রকে বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন, আইন সবার জন্য সমান, কেউ ক্ষমতার অপব্যহার করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে, তখন আমি আশ্বস্ত হই। কিন্তু যেসব উপাচার্য ক্ষমতার অপব্যবহার করে কিংবা আন্দোলনের মুখে অপসারিত হয়েছেন, তাদের কী হবে? শুধু একটি বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়, নোয়াখালী, রাজশাহী, জগন্নাথ, রংপুর, উš§ুক্ত, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়Ñ প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই উপাচার্যরা ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ করেছেন। তাহলে তাদের কি আইনের আওতায় আনা হবে? জানি বিষয়টা শোভন নয়। শিক্ষা সচিবের করারও কিছু নেই। কারণ বিষয়টা রাজনৈতিক! আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব এ ‘কাজটি’ করবেন, এই ভরসা রাখতে পারছি না। অনেক নাটকের জš§ দিয়েও রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি জলিল মিয়া এখনও বহাল তবিয়তে। জানি তার যাওয়ার সময় হয়ে আসছে (তার টার্ম শেষ হয়ে আসছে)। কিন্তু একটা বড় প্রশ্ন তো থেকে গেলই। ইউজিসি সেখানে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। একটা জনপ্রিয় দৈনিক তাদের সম্পাদকীয়তে বলেছে, ‘অভিযুক্ত ভিসিকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে’। তবে আমাদের শিক্ষামন্ত্রী কিছু করতে পারবেন না বলেই মনে হয়। কারণ জলিল মিয়ার খুঁটির জোর অনেক বেশি। শুধু রংপুরের ভিসি কেন? জগন্নাথ, রাজশাহী, ইসলামী, নোয়াখালী, উš§ুক্তÑ সব ভিসিই কি একই অপরাধে অপরাধী নন! তাদের বিচার করবে কে? যেসব অযোগ্য শিক্ষক, কর্মচারী, আÍীয়স্বজনদের ভিসিরা নিয়োগ দিয়ে গেছেন, তাদের ক্ষেত্রেই বা কী হবে? ইউজিসি তাদের একটি তদন্ত প্রতিবেদনে রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে অপসারণের সুপারিশ করেছে। এই একজন জলিল মিয়াকে অপসারণ করলেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘ইমেজ সংকট’ থেকে বের হয়ে আসতে পারবে না। এ জন্য দরকার ব্যাপক সংস্কার। এটা সময়ের দাবি। আমরা এটা করতে যদি ব্যর্থ হই, তাহলে জাতি আমাদের ক্ষমা করবে না। ‘গোয়েন্দা সংস্থা ভিসিদের দুর্নীতির তদন্ত করবে’Ñ এটি শুধু ভিসিদেরই নয়, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষককেই অসম্মানিত করল। আমি কারও দায়ভার নিতে রাজি নই। তাই প্রয়োজন অবিলম্বে ইউজিসির উদ্যোগে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা।
দুই
যুগান্তরের উপসম্পাদকীয় পাতায় ২৫ মার্চ একটি প্রতিক্রিয়া (খোলা জানালায় অসত্যের বেসাতি) লিখেছেন ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন। তার এই প্রতিক্রিয়া ছিল আমার সাপ্তাহিক কলাম ‘খোলা জানালা’য় প্রকাশিত একটি লেখার প্রতিবাদ। আমরা যখন লেখালেখি করি, যখন কোন একটি সত্যকে উšে§াচন করি, তখন কোন কোন মহল এটাকে ভালো চোখে দেখবে না, এটাই স্বাভাবিক। আমি এতে অন্যায় কিছু দেখি না। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে মিথ্যাটা বলল কে? আমি নাকি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন? আমার সৎ সাহস আছে। মিথ্যা তথ্য দিলে আমি অবশ্যই তা সংশোধন করব। করা উচিত। আমার ওই লেখাটি যদি কেউ পুনরায় পাঠ করেন, তাহলে দেখবেন শিক্ষক নিয়োগে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে, বিশেষ করে জগন্নাথ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব অনিয়ম হয়েছে, তার দু’-একটি দৃষ্টান্ত দিয়েছি। প্রসঙ্গক্রমে এসেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের কথা। এসেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের কথা। তাহলে ‘সত্যের বেসাতি’ করল কে? প্রথমত, কে এই ড. জাহাঙ্গীর? তিনি তার পরিচয় দিয়েছেন লেখক ও গবেষক হিসেবে। তিনি মূলত তথ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান তথ্য অফিসার। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ২২(১)(এফ) ধারা অনুযায়ী জাবির একজন সিন্ডিকেট সদস্য। এ তথ্যটি তিনি তার প্রতিক্রিয়ার ভেতরে উল্লেখ করেছেন।
দ্বিতীয়ত, তার অভিযোগ, ‘নির্বাচন কমিটির গোপন প্রতিবেদন’ আমি জানলাম কী করে? সঠিক কথা। আমি জেনেছি সমকাল, নয়া দিগন্তসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার পর। এবং সেই সঙ্গে শিক্ষক সমিতি ভিসিকে ঘেরাও করে এই নিয়োগের প্রতিবাদ করে যে স্মারকলিপি দিয়েছিল, তার সূত্র ধরে। তৃতীয়ত, আমার লেখায় উল্লেখ ছিল, যিনি কোনদিন অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ে গণযোগাযোগ বিষয়ে পড়াশোনা করেননি, তিনি এ বিষয়ে শিক্ষক হিসেবে বিবেচিত হতে পারেন না।
চতুর্থত, ড. জাহাঙ্গীর আরও একটি তথ্য গোপন করেছেন। সংবাদপত্রগুলো বলছে, তিনি ১৯৭৭-৭৮ (৭ম ব্যাচ) শিক্ষাবর্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগের ছাত্র ছিলেন। মাস্টার্সে তৃতীয় শ্রেণী পেয়েছিলেন (পরে ইমপ্র“ভমেন্ট দিয়ে দ্বিতীয় বিভাগ পান)। এ তথ্যটি ছাপা হয়েছে দৈনিক নয়া দিগন্তে ২৪ জানুয়ারি, সমকালে ১৭ মার্চ, অনলাইন সংবাদপত্র ঢাকা টাইমসে ২৪ জানুয়ারি। অর্থাৎ সংবাদপত্র থেকেই এ তথ্য পাওয়া। তথ্যটি যদি ভুল হয়ে থাকে তাহলে ভুল করেছে সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্র, আমি শুধু উদ্ধৃতি দিয়েছি। তিনি কিন্তু পত্রিকায় কোন প্রতিক্রিয়া পাঠাননি। প্রতিবাদও করেননি। এখন জাবি কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে এর ব্যাখ্যা দিতে পারে।
পঞ্চমত, প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আমার বিষোদগার করেছেন তিনি। এখানেও তথ্যের বিকৃতি! আন্তর্জাতিক সম্পর্কে বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার মাস্টার্স সমমানের ডিগ্রি এবং একই বিভাগ ও বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রির খবর একজন জাবির সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে তার জানা থাকার কথা। আমি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে কয়টি বই লিখেছি, এটাও বোধ করি তিনি সংগ্রহ করেছেন। একটু লিখলে কী ক্ষতি হতো?
ষষ্ঠত, একজন অতিরিক্ত প্রধান তথ্য অফিসার ও সেই সঙ্গে অত্যন্ত ক্ষমতাবান সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে তিনি নির্বাচন কমিটিকে প্রভাব খাটিয়েছেন বলে সবার ধারণা। তিনি ভালো করতেন, যদি তিনি প্রধান তথ্য অফিসার ও সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে পদত্যাগ করে ওই পদের জন্য আবেদন করতেন। তা তিনি করেননি। সহযোগী অধ্যাপক পদের জন্য কী কী যোগ্যতা (শিক্ষকতা) থাকা দরকার, তা সিন্ডিকেটই নির্ধারণ করে দিয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, তা তার নেই। এখন আমি তাকে অনুরোধ করব, সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে তিনি এ আইনটি পরিবর্তন করে ওই বিভাগে যোগদানের পথ প্রশস্ত করবেন। তাহলে কারও কিছু বলার থাকবে না এবং শিক্ষক সমিতিও আর কোন আপত্তি করবে না। আর যে ব্যক্তির কথা আমি উল্লেখ করেছি, তার সঙ্গে আমার যোগাযোগ নেই প্রায় দু’বছর। দীর্ঘদিন তিনি বিদেশে ছিলেন। নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের এই শিক্ষক অধ্যাপক হয়েছেন অনেক আগে। মিডিয়া নিয়েই তিনি পিএইচডি করেছেন। তবে মজার কথা, তিনি আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি কোন ঘরানারই শিক্ষক নন। নতুন বিভাগে তার নিজের আগ্রহ আছে বলেও মনে হয় না। নতুন বিভাগে যোগ্য নেতৃত্ব দরকার, এটা বোঝাতেই তার কথা বলা।
আমার লেখার মূল স্পিরিট ছিল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে যদি যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ না হয়, তাহলে যোগ্য শিক্ষার্থী আমরা তৈরি করতে পারব না। এখানে ব্যক্তি ড. জাহাঙ্গীর আমার কাছে প্রধান নয়। আর একটি কথা, তথ্য অধিদফতরে ২৭ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতাকে কোনমতেই শিক্ষকতা ও গবেষণার অভিজ্ঞতা হিসেবে দেখানো যাবে না। আমি নিজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পদের নির্বাচনী বোর্ডে ছিলাম। আমি জানি এভাবে করা যায় না। করা গেলে তো সব পিএইচডিওয়ালা সচিব এখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রফেসর হয়ে যাবেন! আর জাহাঙ্গীর সাহেব কি আকবর আলি খান কিংবা আতিকুজ্জামান খানের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করে ফেললেন! তবে কথা তো থেকেই যায়। ভিসি মহোদয় তার নিয়োগ বাতিল করেননি। শুধু ‘ফেলে রেখেছেন’। কী করবেন, তিনি নিজেই তা ভালো বোঝেন।
তিন
আসলে মূল বিষয় হচ্ছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একটা সংস্কার প্রয়োজন। শিক্ষক নিয়োগে, উপাচার্য নিয়োগেÑ প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রচলিত নিয়মে পরিবর্তন আনতে হবে। না হলে একুশ শতকের উপযোগী যে শিক্ষা ব্যবস্থা, তা আমরা গড়ে তুলতে পারব না। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ৩৮তম বার্ষিক প্রতিবেদনে শিক্ষক নিয়োগে নয়া প্রক্রিয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। একটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ একাডেমি প্রতিষ্ঠারও প্রস্তাব করেছে মঞ্জুরি কমিশন। প্রস্তাবটি নিঃসন্দেহে ভালো। কিন্তু শিক্ষক নিয়োগ হবে কোন প্রক্রিয়ায়? শুধু ভিসির দয়ায়! আর রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায়! এক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন প্রয়োজন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি কমিশন গঠন করতে পারে, যারা সুনির্দিষ্ট মতামত দেবেন। নিুোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় নেয়া যায় :
১. চারটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে শিক্ষকরা নিয়োগপ্রাপ্ত হবেনÑ লিখিত পরীক্ষা, ডেমো, মৌখিক পরীক্ষা এবং সব পাবলিক পরীক্ষার রেজাল্ট। প্রতিটি ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা নম্বর থাকবে। ভিসিরা পরীক্ষা নেবেন না। ইউজিসির তত্ত্বাবধানে পিএসসির মতো একটি সংস্থা থাকবে, যারা এই পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন করবেন। ভিসিদের কর্তৃত্ব না থাকলে অযোগ্যদের নিয়োগ পাওয়ার সম্ভাবনা কম। ২. চার স্তরে যিনি সর্বোচ্চ স্কোর করবেন, তিনি দু’বছরের জন্য অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন। এই দু’বছরে তাকে একটি গবেষণাকর্ম সম্পন্ন করতে হবে (বিদেশে এমনটি আছে)। ৩. পিএইচডি ছাড়া কেউ সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন না। প্রভাষকদের অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিদেশে হলে ভালো হয়) পিএইচডি করতে হবে। ৪. পদোন্নতির ক্ষেত্রে স্ট্রাকচার সিস্টেম তুলে দিতে হবে। এক্ষেত্রে যোগ্যতাই হবে প্রধান। ৫. প্রভাষকদের বাধ্যতামূলকভাবে শিক্ষক প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এ কাজটি করবে ইউজিসি। ৬. শুধু অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকদের মধ্য থেকে বিভাগের সভাপতি নির্বাচিত হবেন। ৭. উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি থাকবে। সার্চ কমিটির সদস্যরা সাংবিধানিক পদের অধিকারী হবেন। ৮. বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘শিক্ষক রাজনীতি’ আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে। কোন ধরনের নির্বাচনের ব্যবস্থা থাকবে না। তথাকথিত নির্বাচন দলবাজের জš§ দেয়। ৯. আর্থিক সঙ্গতিকে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন উপাচার্য ও একজন সহ-উপাচর্য থাকবেন। ট্রেজারার থাকার আদৌ প্রয়োজন নেই। ট্রেজারারের দায়িত্বটি সহ-উপাচার্য পালন করতে পারেন। তাকে সহযোগিতা করবেন কম্পট্রোলার। ১০. শিক্ষক ও উপাচার্যদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো থাকবে। ১১. ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সি’তে উপাচার্যদের পদমর্যাদা বাড়াতে হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে উপাচার্যদের নানা কর্মকাণ্ড এমন একটা অবস্থার সৃষ্টি করেছে যে, সংস্কার ছাড়া কোন গত্যন্তর নেই। সংস্কারটা করতে হবে এখনই। আমলা নিয়ন্ত্রিত প্রশাসন কখনোই পরিবর্তন চাইবে না। তাই শিক্ষামন্ত্রী নন, একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রীই পারেন একটা বড় ধরনের উদ্যোগ নিতে। না হলে আমাদের জন্য সামনের দিনগুলোয় আরও অনেক খারাপ খবর অপেক্ষা করছে।৮. বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘শিক্ষক রাজনীতি’ আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে। কোন ধরনের নির্বাচনের ব্যবস্থা থাকবে না। তথাকথিত নির্বাচন দলবাজের জš§ দেয়। ৯. আর্থিক সঙ্গতিকে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন উপাচার্য ও একজন সহ-উপাচর্য থাকবেন। ট্রেজারার থাকার আদৌ প্রয়োজন নেই। ট্রেজারারের দায়িত্বটি সহ-উপাচার্য পালন করতে পারেন। তাকে সহযোগিতা করবেন কম্পট্রোলার। ১০. শিক্ষক ও উপাচার্যদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো থাকবে। ১১. ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সি’তে উপাচার্যদের পদমর্যাদা বাড়াতে হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে উপাচার্যদের নানা কর্মকাণ্ড এমন একটা অবস্থার সৃষ্টি করেছে যে, সংস্কার ছাড়া কোন গত্যন্তর নেই। সংস্কারটা করতে হবে এখনই। আমলা নিয়ন্ত্রিত প্রশাসন কখনোই পরিবর্তন চাইবে না। তাই শিক্ষামন্ত্রী নন, একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রীই পারেন একটা বড় ধরনের উদ্যোগ নিতে। না হলে আমাদের জন্য সামনের দিনগুলোয় আরও অনেক খারাপ খবর অপেক্ষা করছে।
Daily JUGANTOR
05.04.2013

0 comments:

Post a Comment