হরতালের রাজনীতি যেন এখন আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে।
হরতাল হচ্ছে। গাড়ি ভাংচুর হচ্ছে। অর্থনীতিতে সৃষ্টি হয়েছে স্থবিরতা।
ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, বিশেষ করে গার্মেন্ট সেক্টরের ব্যবসায়ীদের আকুল মিনতি
সংবাদপত্রে ছাপা হলেও যারা হরতাল আহ্বান করেছেন, তাদের কর্ণকুহুরে তা আদৌ
প্রবেশ করেছে বলে মনে হয় না। হরতালে একটি দেশের অর্থনীতিতে যে কী ক্ষতি
ডেকে আনে, এটা যেমন সরকারের নীতিনির্ধারকরা বোঝেন— ঠিক তেমন বোঝেন যারা
হরতাল ডাকেন, তারাও। কোন দল অতীতে কতবার হরতাল করেছে, এ তথ্য একাধিকবার
সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু তাতে কি কারো যায় আসে? যারা হরতাল
ডাকার, তারা হরতাল ডাকবেনই। আর যারা ক্ষমতায়, যারা হরতালের বিরুদ্ধে, তারা
হরতালের বিরুদ্ধে কথা বলবেনই। মাঝখানে আমরা যারা আমজনতা, তারাই হরতালে
পিষ্ট হচ্ছি!
প্রশ্ন হচ্ছে হরতাল কেন? হরতাল ডেকে একটি পক্ষ (এক্ষেত্রে বিরোধী দল) অন্য
পক্ষের (এক্ষেত্রে সরকার) ওপর ‘চাপ’ প্রয়োগ করে সুবিধা আদায় করে নিতে চায়।
সরকারের পতন চায়। কিন্তু হরতাল ডেকে কি অতীতে কখনো সরকারের পতন ঘটানো
গেছে? ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ গঠিত হওয়ার পর সংবিধানে দ্বাদশ সংশোধনী
এনে আমরা ‘গণতন্ত্রের দ্বিতীয় যাত্রাপথে’ হাঁটতে শুরু করেছিলাম। পুনরায়
সংসদীয় গণতন্ত্রে ফিরে গিয়ে আমরা সত্যিকার অর্থে উদারমনা গণতন্ত্র
বিনির্মাণ করতে চেয়েছিলাম! বিশ বছর পার হয়েছে। চারটি সংসদ নির্বাচন হয়েছে।
ষষ্ঠ সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি। কিন্তু কত দূর এগোতে
পেরেছি আমরা? হরতালের পর হরতাল হয়েছে। বিরোধী দলের সংসদ বর্জন (যে যখন
বিরোধী দলে থাকে) যেন এক ধরনের ‘গণতান্ত্রিক ফ্যাশনে’ পরিণত হয়েছে। উদার
গণতন্ত্রে যে ‘কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজারস’, অর্থাত্ বিরোধী পক্ষকে আস্থায়
নেয়ার কথা, তা গত বিশ বছরেও তৈরি হয়নি। ‘আমিত্ব’ থেকে আমরা বের হয়ে আসতে
পারিনি। তাই বিরোধী দলের কাছে অর্থ একটাই— হরতালের মধ্য দিয়ে সরকারের পতন
ঘটানো!
হরতালে সরকারের পতন হয় না। কিন্তু ক্ষতি হয় সবার; সাধারণ একজন মুদি দোকানি
ও ফুটপাতের ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বড় রফতানিকারক, সবার। ক্ষতির একটা
পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে। তা অনেকটা এ রকম: ক্ষুদ্র ব্যবসা ৫০০ কোটি টাকা,
পোশাকশিল্পে ৩৬০ কোটি, রাজস্ব খাতে ২৫০ কোটি, ব্যাংক ও আর্থিক খাতে ৫০
কোটি, শিক্ষা খাতে ৫০ কোটি, বীমা খাতে ১৫ কোটি ও পেট্রল পাম্পে ১০০ কোটি
টাকা। এটা প্রতিদিনের হিসাব। এ হিসাব নিয়ে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে মতপার্থক্য
থাকতেই পারে। কিন্তু ক্ষতি তো হয়ই। সাধারণ মানুষও তা বোঝে। বোঝেন আমাদের
রাজনীতিবিদরাও। এরই মধ্যে বাংলাদেশ একটি ‘হরতালের রাষ্ট্রে’ পরিণত হয়েছে।
পোশাক আমদানিকারকরা আস্তে আস্তে বাংলাদেশের ওপর থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন।
তারা নতুন বাজার পেয়েছেন ভিয়েতনাম আর লাওসে। মিয়ানমার ‘উন্মুক্ত’ হয়ে
যাওয়ায়, মার্কিনদের একটা বড় বাজার হতে যাচ্ছে দেশটি। এরই মধ্যে বেশকিছু
মার্কিন কোম্পানি দেশটিতে তাদের অফিস খুলেছে। সেখানে বিনিয়োগের সম্ভাবনাও
বাড়ছে। বাংলাদেশের এ রাজনৈতিক অস্থিরতা এখন পশ্চিমা বিশ্বের গণমাধ্যমে
ব্যাপকভাবে প্রচার হচ্ছে। গণমাধ্যমে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বাংলাদেশের
রাজনীতির গতিধারা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এটা তো সত্য, রাজনৈতিক অস্থিরতার
কারণে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না এবারও। এডিবি তাদের সর্বশেষ
পর্যবেক্ষণে বলেছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৭
শতাংশ। বিশ্বব্যাংক বলছে, ৫ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। অথচ চলতি বাজেটে
প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭ দশমিক ২ শতাংশ। এখন সেটা কল্পনায়ই
থেকে গেল। বাংলাদেশের একটা বিশাল সম্ভাবনা ছিল। প্রায় ১৬ কোটি মানুষের এ
দেশটিতে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা কয়েক কোটি। প্রতি বছরই কর্মক্ষম
জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ছে। আমরা এ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে উত্পাদনশীল কাজে
ব্যবহার করতে পারতাম। এদের যদি উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেয়া যেত, তাহলে এরা
অর্থনীতিতে একটা বড় অবদান রাখতে পারত। যেখানে ইউরোপে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী
কমছে, সেখানে আমাদের বাড়ছে। চীন তার বিশাল জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে বিশ্ব
অর্থনীতিতে অন্যতম শক্তি হিসেবে পরিণত হয়েছে। তবে চীনে বয়সী মানুষের সংখ্যা
বেড়ে যাওয়ায়, তারা উত্পাদনে কোনো অবদান রাখতে পারছে না। এ বয়স্ক নাগরিকদের
পেনশনসহ সামাজিক নিরাপত্তা দিতে রাষ্ট্রের প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।
বিশ্ব অর্থনীতিতে চীনের যে অবস্থান (বর্তমানে দ্বিতীয়), আগামী কয়েক দশক পর
দেশটি আর তা ধরে রাখতে পারবে না। একসময় ব্রিক দেশগুলো অন্যতম অর্থনৈতিক জোট
হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ব্রিকে যোগ দেয়ায় এ জোট
শক্তিশালী হয়েছিল, সন্দেহ নেই তাতে। কিন্তু গোল্ডম্যান স্যাকসের
অর্থনীতিবিদ জিম ও’নিলের মতে, (যিনি ২০০১ সালে ব্রিকসের উত্থান নিয়ে
ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন), ব্রিকস আগামী কয়েক দশকের মধ্যেই দুর্বল একটি
অর্থনৈতিক জোটে পরিণত হবে। তার যুক্তি, ‘Economic growth in Russia or
China would be hampered by shrinking working age population, so India
and Brazil would be placed with countries that boat growing economics
and population’। তিনি মিথ্যা বলেননি। জিম ও’নিল নতুন একটি অর্থনৈতিক জোট
MIKT-এর কথা বলেছেন, আর জর্জ ম্যাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক
জ্যাক প্লেডস্টোন বলেছেন অন্য একটি জোট TIMBI-এর কথা। বাংলাদেশের বিপুল
কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী, শিক্ষিত শ্রেণীর উত্থান এ দেশকে আগামী দশকে MIKT অথবা
TIMBI জোটে নিয়ে যেতে পারত। বলা ভালো, প্রতিটি দেশের প্রথম অক্ষর নিয়ে নতুন
জোটকে পরিচিত করানো হচ্ছে, অনেকটা ব্রিকসের মতো। যেমন MIKT-তে রয়েছে
মেক্সিকো, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও তুরস্ক। আর TIMBI জোটে আছে তুরস্ক,
ভারত, মেক্সিকো, ব্রাজিল ও ইন্দোনেশিয়া। সূক্ষ্মভাবে দেখলে দেখা যাবে, এসব
দেশের প্রতিটিতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রয়েছে। ভারতে দারিদ্র্য থাকলেও
(২০১০ সালের হিসাব অনুযায়ী জনগোষ্ঠীর ৩৭ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ লোক দরিদ্র);
বিশ্বব্যাংকের মতে, আগামী ৩০ বছরে ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনীতিতে পরিণত
হবে। তখন বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত অবদান রাখবে ১৭ শতাংশ (২০০৭ সালে মাত্র ২
শতাংশ)। মাথাপিছু আয় গিয়ে দাঁড়াবে ২২ হাজার ডলারে (বর্তমানে ৯৪০ ডলার)।
তুরস্কের প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের ওপর। ইউরোপে যেখানে অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধস
নেমেছে, সেখানে তুরস্কের অর্থনীতিতে তা এতটুকু প্রভাব ফেলেনি। ভারত ও
তুরস্ক এটা অর্জন করতে পেরেছে। কারণ সেখানে রয়েছে বিপুল শিক্ষিত এক
জনগোষ্ঠী। রয়েছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। যদি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত
করতে পারতাম, আমরাও ভারত ও তুরস্কের কাতারে নিজেদের নিয়ে যেতে পারতাম।
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা আমাদের বড় অর্জনের পথে প্রধান অন্তরায়। এখন আমাদের
রাজনীতিবিদরাই সিদ্ধান্ত নেবেন, তারা একুশ শতকে বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে যেতে
চান।
এখন পরিস্থিতি যেদিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা আমাদের কোনো আশার কথা বলে না।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থা নিক (National Intelligence
Council— NIC) বৈশ্বিক প্রবণতার ওপর ২০১২ সালে যে Global Trends রিপোর্ট
প্রকাশ করেছে, তাতে ২০৩০ সালের মধ্যে যে ১৫টি রাষ্ট্র ব্যর্থ রাষ্ট্রে
পরিণত হবে, তার একটি তালিকা রয়েছে। ওই তালিকায় এশিয়ায় যে তিনটি রাষ্ট্র
ব্যর্থ রাষ্ট্রের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে, তার মধ্যে
বাংলাদেশের নামও রয়েছে। অন্য দুটি দেশ হচ্ছে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান।
যুক্তি হিসেবে নিক উল্লেখ করেছে সংঘাতময় পরিস্থিতি ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কথা।
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের পরিস্থিতির সঙ্গে বাংলাদেশকে আমরা কোনোভাবে
মেলাতে পারব না, এটা সত্য।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের গুলিতে প্রায় ১৭০ জন সাধারণ মানুষের
মৃত্যু, পুলিশের মৃত্যু, বিরোধী দলের নেতাদের ওপর গুলিবর্ষণ, তাদের আহত করা
ও গ্রেফতার, গত ১১ এপ্রিল চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে দেড়শতাধিক গাড়িতে আগুন
(আওয়ামী লীগের হরতালবিরোধী মিছিলে) কিংবা ১২ এপ্রিল খুলনায় ভারতের
হাইকমিশনারের গাড়িতে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা একথাই প্রমাণ করে— বাংলাদেশ বড়
ধরনের একটি রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ অস্থিরতা একদিকে
গণতন্ত্রের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করছে, অন্যদিকে জঙ্গিবাদকে উসকে দিচ্ছে। এর
সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে লাগাতার হরতালের বিষয়টি।
হরতাল গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে বেমানান। কিন্তু বিরোধীদলীয় জোটের কাছে
হরতাল ছাড়া এ মুহূর্তে বিকল্প আছে বলেও মনে হয় না। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের
জন্যও এটা মঙ্গল হরতালের ব্যাপারে একটা ঐকমত্যে পৌঁছানো, যাতে আমরা
ভবিষ্যতে হরতাল পরিহার করতে পারি। সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে এজেন্ডা
বাস্তবায়নের একটা কৌশল হিসেবে হরতাল ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু হরতালকে
কেন্দ্র করে সহিংসতা বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্থনীতি বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়ছে। এ
প্রেক্ষাপটে হরতালের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা প্রয়োজন। যেহেতু হরতাল হচ্ছে
এক ধরনের প্রতিবাদ, সেক্ষেত্রে এর অংশ হিসেবে কোনো একটি জায়গায় গণজমায়েত
হতে পারে, মানববন্ধন হতে পারে, এক ঘণ্টার জন্য সবকিছু বন্ধ থাকতে পারে।
হরতালের বিকল্প নিয়ে চিন্তাভাবনা করা যেতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
মতো পুঁজিবাদী সমাজেও ‘শাটডাউন’ অর্থাত্ ধর্মঘটের মতো ঘটনা ঘটে। কিন্তু
আমাদের দেশের মতো দীর্ঘস্থায়ী সবকিছু বন্ধ থাকে না। সহিংস ঘটনাও সেখানে ঘটে
না। হয়তো দেখা গেছে, কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের সামনে শ্রমিকরা হাতে
প্ল্যাকার্ড নিয়ে একটি সীমিত এলাকায় ঘুরে ঘুরে শ্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ
জানাচ্ছে। এটাই তাদের প্রতিবাদের ধরন। প্রায় ক্ষেত্রেই দেখা যায়, মালিকপক্ষ
কিছু দাবিদাওয়া মেনে নেয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখানে
শ্রমিকদের দাবিদাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে হরতাল বা শাটডাউনের ঘটনা ঘটেছে খুব কম
ক্ষেত্রেই। এখানে আর্থিক বিষয়টা প্রাধান্য পেয়েছে কম, একদমই না। আদৌ তা
প্রাধান্য পায়নি। এখানে হরতালের বিষয়টা পরিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক। সরকারের
পতন, রাষ্ট্র কাঠামোয় পরিবর্তন প্রভৃতি প্রাধান্য পায় হরতালের ক্ষেত্রে।
জনগণের সঙ্গে সম্পর্কিত যেসব বিষয়, যেমন— দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ বা
দুর্নীতি প্রতিরোধকে একমাত্র ‘দাবি’ হিসেবে সামনে রেখে হরতাল আহ্বান করা
হয়েছে, এ রকম ঘটনা ঘটেনি। দ্রব্যমূল্যকে কখনো সখনো যুক্ত করা হয়েছে মাত্র।
সুতরাং বাংলাদেশের বিকাশমান গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে হরতাল আদৌ থাকবে কিনা এ
ব্যাপারে বড় দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রয়োজন। বাংলাদেশে যেভাবে হরতাল হয়,
একুশ শতকে এসে এ সংস্কৃতি আমাদের জন্য কোনো মঙ্গল ডেকে আনতে পারবে না।
আমাদের রাজনীতিবিদদের মধ্যে এ শুভবুদ্ধির উদয় হোক, আমাদের প্রত্যাশা এটাই।
Bonik Barta 20.4.13 |
হরতালের রাজনীতি, অর্থনীতিতে হরতাল
21:01
No comments
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment