রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে
ভারত বাংলাদেশকে কখনো মর্যাদার চোখে দেখে না
( ভিডিও)  
আমাদের সময়.কম : ০৭/০৫/২০১৫
Tarek Sumsur
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক . তারেক শামসুর রেহমান বলেছেন, ভারতের আমলারা কখনো বাংলাদেশকে মর্যাদার চোখে দেখেন না। এটা ভারতের আমলাতন্ত্রের একটা বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়েছে। যে কারণে তারা সবসময় আমাদের ওপর এক ধরনের কর্তৃত্বপরায়ণ প্রবণতা চাপিয়ে দিতে চায় আর এর ফলে সৃষ্টি হয় নানা জটিলতার। এসময় তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশকে বাদ দিয়ে যেমন ভারত উন্নয়ন করতে পারে না তেমনি ভারতকে বাদ দিয়েও বাংলাদেশ উন্নয়ন করতে পারে না। দুদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি নির্ভর করছে দুদেশের পারস্পরিক সমঝোতার ওপর।

গতকাল দিবাগত রাতে সময় টিভিতে প্রচারিত সম্পাদকীয় অনুষ্ঠানে মোদির কারিশমা শীর্ষক এক টক শোতে তিনি এসব কথা বলেন। মুজতবা দানিশের উপস্থাপনায় এসময় সাবেক তথ্য কমিশনার অধ্যাপক . সাদেকা হালিম সাবেক রাষ্ট্রদূত সচিব মুজতবা কবির উপস্থিত ছিলেন।

তারেক শামসুর রেহমান বলেন, মনমোহন সিংয়ের সরকার বলেছিলো, আমি সীমান্ত হত্যা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি, সীমান্ত হত্যা বন্ধ হয়ে যাবে কিন্তু আজো বন্ধ হয়নি আসলে ব্যাপারটা কোথায়? ব্যাপারটা আর কোথাও নয় ভারতের আমলাতন্ত্রের মধ্যে। ভারতীয় আমলাদের মধ্যে এক ধরনের জটিলতা আছে। এখনো সীমান্ত হত্যা বন্ধ হয়নি। আমার মনে হয় এই হত্যা আগামিতেও বন্ধ হবে না। কিন্তু আমরা যদি দুই দেশ পরস্পরকে একটু গুরুত্ব দেই তাহলেই অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব হতো।

তিনি বলেন, আজকে ভারত কিন্তু ছোট্ট ভারত নেই। ভারত বিশ্বের একটা অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি এবং বলা হচ্ছে এই শতকে এশিয়া মহাদেশে চীন, ভারত এবং জাপান এই তিনটি অর্থনৈতিক শক্তি বিশ্ব রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করবে। আগামী দিনে ভারত একটা শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভূমি হিসেবে দাঁড়িয়ে যাবে।

তিনি আরো বলেন, আজকে সীমান্ত হত্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। সীমান্ত হত্যা বন্ধের জন্য অনেক অনুরোধ জানানো হলেও এখনো তা ক্রমাš^য়ে বেড়েই চলেছে। ১৯৭৪ সালের ১৬ মে দিল্লিতে বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তি ¯^াক্ষরিত হয়েছিলো। এই দ্বি-পাক্ষিক আন্তর্জাতিক চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভারতের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী ইন্ধিরা গান্ধি ¯^াক্ষর করেন। অবশেষে সম্প্রতি গত মে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সীমান্ত চুক্তির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয় ত্রিপুরা রাজ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্তে বেশ কিছু ছিটমহল রয়েছে। সীমান্ত চুক্তির উদ্দেশ্য ছিলো দুই দেশের মধ্যে থাকা বিচ্ছিন্ন অঞ্চলগুলো পরস্পরকে হস্তান্তরের মাধ্যমে ছিটমহল সমস্যার সমাধান করা।

স্থানীয় সময়: ০৫৪০ ঘণ্টা , মে ২০১৫

সম্পাদনা: মুজতবা ফারুকী

0 comments:

Post a Comment