রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

চিন সফরে কী পেলেন মোদি

চি ন সফরে কী পেলেন নরেন্দ্র মোদি? ২২ বিলিয়ন ডলারের ২২টি বাণিজ্য চুক্তি, ‘টেম্পল অব হেভেন’-এর (বেইজিং) সম্মুখে দাঁড়িয়ে চিনা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেই বিখ্যাত সেলফি কিংবা ১৪ মে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং সমস্ত প্রটোকল ভেঙে তার নিজ শহর শিয়ানে মোদিকে ‘রিসিভ’ করার ঐতিহাসিক ঘটনাÑ এসবই কি বড় প্রাপ্তি নরেন্দ্র মোদির? এই সফরের মধ্য দিয়ে নরেন্দ্র মোদি নিজেকে একজন বিশ্বনেতায় পরিণত করতে পেরেছেন, এটা সত্য কথা। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ছাত্রদের কাছে যেটা বিবেচ্য, তা হচ্ছে এই সফর ‘বিশ্বাস আর আস্থার’ সম্পর্ককে কতটুকু শক্তিশালী করতে পেরেছে? কিংবা ভারত মহাসাগরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এই দুই শক্তির মাঝে যে প্রভাব বিস্তার করার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, তা মোদির সফরের মধ্য দিয়ে কতটুকু কমল? আপাতদৃষ্টিতে মোদির এই চিন সফর সফলই বলতে হবে। তিনি চিনা বিনিয়োগকারীদের ভারতের ব্যাপারে আকৃষ্ট করতে পেরেছেন। ভারতের অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি শিল্প সম্ভাবনাকে নিজেদের জন্য কাজে লাগাতে পারে চিনা কোম্পানিগুলো। এখানে মোদির ‘নিজস্ব কূটনীতিতে’ রাজনীতি প্রধান হয়নি, বরং ব্যবসা-বিনিয়োগে প্রাধান্য পেয়েছে। তাতে তিনি নিঃসন্দেহে সফল। চিন ধীরে ধীরে ভারতের বড় বাণিজ্যিক অংশীদার হয়ে উঠছে। ২০১৪ সালে দুদেশের মাঝে বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭১ বিলিয়ন ডলার। যদিও সত্য এটাইÑ বাণিজ্য ঘাটতিও বাড়ছে। আর এই ঘাটতি ভারতের প্রতিকূলে। যেখানে ২০০১-২০০২ সালে ১ বিলিয়ন ডলার ঘাটতি ছিল, তা গত বছর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ বিলিয়ন ডলারে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চিন। আর দ্রুত বিকাশমান ভারতের অর্থনীতি বিশ্বের তৃতীয় অথবা চতুর্থ অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। এশিয়ান এই দুই বড় অর্থনীতির মাঝে সম্পর্ক কী হবে, বাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্ব বড় কোনো সংকটের জন্ম দেবে কিনা এসব এখন ভাবনার বিষয়। তবে এটা বলতেই হয় বেশ কিছু বিষয়ে পার্শ্ববর্তী এই দেশ দুটোর মাঝে দ্বিমত আছে। বিভাজন আছে। কিন্তু বাণিজ্যিক সম্পর্ক এই বিভাজন আর বিদ্বেষকে ছাড়িয়ে গেছে। সীমান্ত নিয়ে যে সমস্যা ছিল তা রয়েই গেছেÑ চিন অরুণাচল প্রদেশের একটা অংশকে তাদের নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে। এই দাবি চিন পরিত্যাগ করেনি। নরেন্দ্র মোদির বেইজিং উপস্থিতির সময় চিনা সরকারি টিভিতে ভারতের যে ম্যাপ দেখানো হয়, তাতে কাশ্মীর ও অরুণাচলকে ভারতীয় অংশ হিসেবে দেখানো হয়নি। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্য দিয়ে চিন সড়ক নির্মাণ করছে ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও। চিন এই সড়ক নির্মাণ বন্ধ করেনি। দক্ষিণ চিন সাগরে চিন একটি বিমান ঘাঁটি নির্মাণ করছে, যা কিনা জাপানের নিরাপত্তার প্রতি হুমকিস্বরূপ। এ ধরনের কর্মকা- ভারতের নিরাপত্তা স্ট্র্যাটেজিস্টদের আতঙ্কিত করেছে। ভারত তার উদ্বেগ প্রকাশ করলেও চিন তাতে সম্মান দেখায়নি। নেপাল ও মিয়ানমারে চিনা প্রভাব বাড়ছেÑ এটাও ভারতীয়দের উৎকণ্ঠার অন্যতম একটি কারণ। সবশেষ ভূমিকম্পকবলিত নেপালে ত্রাণ বিতরণ নিয়ে চিন ও ভারতের মধ্যে এক ধরনের ‘ঠা-া লড়াই’ও আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। ভারত ৩ বছর ভারত মহাসাগরে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রকে সঙ্গে নিয়ে একটি বড় ধরনের নৌসামরিক মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। এটা নিঃসন্দেহে চিনাদের সন্তুষ্ট করতে পারবে না। ভারত একটি পারমাণবিক শক্তি। ভারত এখন পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠীতে (এনএসজি) অন্তর্ভুক্ত হতে চায়। কিন্তু তাতে আপত্তি রয়েছে চীনের। ওষুধ, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষিপণ্য নিয়ে ভারত চিনা বাজারে ঢুকতে চায়। কিন্তু তাতে রয়েছে চিনাদের আপত্তি। আগামীতে চিনাদের একটা বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে ভারতের প্রাচীন ‘কটন রুট’-এর পুনঃউত্থান। প্রাচীন যুগে ভারত ভারত মহাসাগরকে কেন্দ্র করে তার সুতিশিল্পের বিকাশ ঘটিয়েছিল। প্রাচীন ভারতে বণিকরা ভারত মহাসাগরের কয়েকটি রুট ব্যবহার করে তাদের পণ্যসামগ্রী, বিশেষ করে ভারতীয় সুতি কাপড় নিয়ে সুদূর আফ্রিকা পর্যন্ত যেত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভারতীয় সংস্কৃতির বিকাশ ঘটেছিল এ পথ ধরেই। অথচ চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং যে ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’-এর কথা বলেছেন, তার সাথে মোদির প্রস্তাবিত ‘কটন রুট’-এর ধারণা সাংঘর্ষিক। প্রাচীন ‘কটন রুট’কে নতুন করে সাজানোর মধ্য দিয়ে ভারত এক মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেÑ অর্থাৎ ভারত মহাসাগরে তার সামরিক উপস্থিতি নিশ্চিত করা। অনেকেই ধারণা করতে পারবেন মোদি অতিসম্প্রতি মরিশাস, সিসিলি ও শ্রীলংকা সফর করেছেন। মরিশাস সফরের সময় মরিশাসের সাথে সেখানে একটি ভারতীয় নৌঘাঁটি স্থাপনের ব্যাপারে চুক্তি হয়েছে। মালদ্বীপ ও শ্রীলংকার সাথে একটি মৈত্রী জোট গড়ার উদ্যোগ নিয়েছিল ভারত এবং ওই জোট মরিশাস ও সিসিলিকে পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকার আমন্ত্রণও জানানো হয়েছিল। এটা যদি কার্যকর হয়, তাহলে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূল থেকে শ্রীলংকা, দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলের সিসিলি, মরিশাস কিংবা ওমান-মোজাম্বিকও একই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত হবে। এর অর্থ পরিষ্কারÑ বিশাল ভারত মহাসাগরে ভারত তার নৌবাহিনীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায় এবং ‘ইন্ডিয়ান ওসেন রিম’ বা ভারত মহাসাগরভুক্ত অঞ্চলে অন্যতম একটি শক্তি হিসেবে আবির্র্ভূত হতে চায়। অথচ চিন ইতোমধ্যে তার ‘মুক্তার মালা’ নীতির মাধ্যমে ভারত মহাসাগরে তার উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে। জিবুুতিতে একটি নৌঘাঁটি নির্মাণ করতে চায় চিনÑ এ খবর সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। তবে চিনের জন্য একটি খারাপ খবর হচ্ছেÑ শ্রীলংকায় তার যে প্রভাব ছিল, তা এখন কমতির দিকে। সাবেক প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষের ‘অতি চিননির্ভর’ নীতির কারণে তাকে ক্ষমতা হারাতে হয়েছে। সিরিসেনার নেতৃত্বে একটি ‘ভারতবন্ধুু’ সরকার সেখানে ক্ষমতাসীন হয়েছে। ফলে আগামীদিনে ভারত মহাসাগরভুক্ত অঞ্চলে চিন ও ভারতের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করার প্রতিযোগিতা যে থাকবে তা বলাই বাহুল্য। ভারত ইতোমধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার সর্বত্র তার রাজনৈতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় তার সীমান্তবর্তী যেসব দেশ রয়েছে প্রতিটি দেশের সাথে তার সম্পর্ক শুধু ভালোই নয়, বরং সর্বকালের সেরা সম্পর্ক রয়েছে এখন। এ অঞ্চলে ভারতের অর্থনৈতিক, সামরিক ও স্ট্র্যাটেজিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পেয়েছে। অতীতে ভারতের মনমোহন সিং সরকার যা করতে পারেনি, তা মোদি সরকার করে দেখিয়েছে। ‘সার্ক যাত্রা’র অংশ হিসেবে ভারত এ অঞ্চলের দেশগুলোকে তার পতাকাতলে আনছে। এটা অনেকটা ‘মনরো ডকট্রিনের’ ভারতীয় সংস্করণÑ অর্থাৎ ভারত চাইবে না এ অঞ্চলে অন্য কোনো শক্তি কর্তৃত্ব করুক অথবা প্রভাব বিস্তার করুক। চিন এ অঞ্চলের নিকট প্রতিবেশী। বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে চিনা সীমান্ত খুব বেশি দূরে নয়। এ অঞ্চলে চিনের প্রভাব সঙ্কুচিত করার উদ্যোগ নিয়েই ভারত কাজ করে যাচ্ছে। ভারতের আপত্তির কারণে ভুটানে এখন অব্দি চিন তার দূতাবাস খুলতে পারেনি। তাই চিন-ভারত সম্পর্কটা অনেকের কাছেই আলোচনার অন্যতম একটি বিষয়। এই সম্পর্ককে অনেক পর্যবেক্ষক ‘ভারতের হাতি বনাম চিনের ড্রাগন’ (Indian Elephant VS Chinese Dragon) হিসেবে অভিহিত করেছেন। অর্থাৎ চিনের পরিচিতি যেখানে ড্রাগনকে দিয়ে ঠিক তেমনই ভারতের পরিচিতি হাতিকে দিয়ে। ‘হাতি বনাম ড্রাগন’ দ্বন্দ্ব নিঃসন্দেহে একুশ শতকের মধ্যভাগে শুধু এ অঞ্চলেই নয়, বরং বিশ্ব রাজনীতিকেও নিয়ন্ত্রণ করবে। অনেকেই স্মরণ করতে পারেন ১৯৬২ সালে চিন-ভারত যুদ্ধের কথা, যে যুদ্ধে ভারতের একটা বিশাল এলাকা চিন দখল করে নিয়েছিল। এর আগে মধ্য পঞ্চাশের দশকে ‘হিন্দি-চিনি ভাই ভাই’ স্লোগান তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিল। তিব্বতকে কেন্দ্র করে ভারত ও চিন যে ‘পঞ্চশীলা নীতি’ নীতি গ্রহণ করেছিল, যা ন্যাম বা জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন প্রতিষ্ঠায় একটি ভিত্তি দিয়েছিল। তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশের পররাষ্ট্র নীতির একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এই পঞ্চশীলা নীতি। যেমন বলা যেতে পারে, ইন্দোনেশিয়ার কথা। ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র নীতিতে এই পঞ্চশীলার কথা বলা আছে। মধ্য পঞ্চাশের সেই ‘নেহরু-চৌ এন লাইয়ের ইমেজ’ আবার ফিরে এসেছে ‘মোদি-শি জিন পিং বন্ধুত্বে’র মধ্যে দিয়ে। এটি কতটুকু কার্যকর হবে, মোদির এই সফর দুদেশের সম্পর্ককে কত উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবে, তা শুধু আগামী দিনগুলোই বলতে পারবে। এখানে মূল সমস্যা হচ্ছে মানসিকতার। ভারতের ব্যুরোক্রেসি ভারতকে একটি বিশ্বশক্তি হিসেবে দেখতে চায়। রাজনৈতিক নেতৃত্বের পক্ষে এই প্রভাব খাটানো কঠিন। মনমোহন সিং পারেননি। এখন দেখার পালা মোদি কতটুকু পারেন। তবে এটা তো সত্য, মোদির নিজস্ব একটি স্টাইল আছে। তিনি রাজনীতিকে পাশে ঠেলে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে গুরুত্ব দিচ্ছেন বেশি। তার চাই উন্নয়ন। চাই বিনিয়োগ। চাই ব্যবসা। সে কারণে পুরনো বৈরিতা ভুলে গিয়ে তিনি চিন সফরে বাণিজ্যিক সম্পর্কে গুরুত্ব দিয়েছেন বেশি। তার বৈদেশিক নীতির এটাই বড় বৈশিষ্ট্য। তার জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং সর্বশেষ চিন ও দক্ষিণ কোরিয়া সফরের উদ্দেশ্য ছিল একটাইÑ তার ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচিকে সফল করা। জাপান সফরের সময়েও তিনি সর্বোচ্চ ৩৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের আশ্বাস পেয়েছিলেন। তিনি ভারতকে বিশ্বের ‘ম্যানুফেকচারিং হাব’ বা শিল্পকেন্দ্র হিসেবে তৈরি করতে চান। ২৫টি খাতকে সম্ভাবনাময় হিসেবে চিহ্নিত করে মোদি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে প্রচার শুরু করেছেন। ভারত যে দীর্ঘদিন ধরে বিনিয়োগ খরায় ভুগছিল তা থেকে দেশটিকে তিনি বের করে আনতে চান। পরিসংখ্যানই বলে তিনি এতে সফল। গত পাঁচ মাসে ভারতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে ৪৫ শতাংশ। গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিনিয়োগ এসেছে ৬ হাজার ৯১৭ মিলিয়ন ডলার, যা আগের বছর এই সময় ছিল ৪ হাজার ৭৭১ মিলিয়ন ডলার। মোদি তার ‘গুজরাটি মডেল’কে সামনে রেখেই ‘সেফ ইন ইন্ডিয়া’ প্রচারে নেমেছেন। সফলও হচ্ছেন। ভারতে গাড়িবাণিজ্যে বিনিয়োগ দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি কোম্পানি ফোর্ড মোটর্স। কোম্পানি মনে করে ২০২০ সাল নাগাদ বিশ্বের গাড়ি উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে ভারত হবে তৃতীয় বৃহৎ। সম্প্রতি পশ্চিম ভারতে এক বিলিয়ন ডলারে নির্মিত নতুন প্ল্যান্ট উদ্বোধন করে ফোর্ড। এ কারখানার ফলে দেশটিতে ফোর্ডের ইঞ্জিন উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে হবে ৬ লাখ ১০ হাজার এবং গাড়ি উৎপাদন হবে ৪ লাখ ৪০ হাজার। এতে করে সেখানে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনাও বাড়বে এবং অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। অনেক বিশ্লেষকই এটা বলার চেষ্টা করেছেন যে, ভারতের বিনিয়োগ পরিবেশ আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় হওয়ায় বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে। এটা নিঃসন্দেহে মোদির পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম সাফল্য। চিন সফরে মোদি একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ভারত-চিনের পুনরুত্থান একবিংশ শতাব্দীর মাইলফলক। যে কোনো বিবেচনায় এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য। এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি এটা বোঝাতে চাচ্ছেন যে, ভারত ও চিনের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও জোরদার করা প্রয়োজন। এটাই হচ্ছে মোদ্দাকথা। প্রশ্ন সেখানেই। যেখানে দুদেশের মাঝে এক ধরনের সামরিক প্রতিযোগিতা তথা প্রভাব বিস্তার করার মানসিকতা লক্ষ করা যায়, সেখানে এই দুদেশের মধ্যকার সম্পর্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে আগামী দিনগুলোতে? এর জবাব পেতে আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। আগামী ২৬ মে মোদি তার ক্ষমতা গ্রহণের এক বছর পূর্ণ করবেন। মোদি থাকবেন ২০১৯ সাল পর্যন্ত। সময়টা অনেক লম্বা। এই সময়সীমায় বিশ্ব রাজনীতিতে আরও পরিবর্তন আসতে পারে এবং তাতে করে দুদেশের সম্পর্ককেও তা প্রভাবিত করতে পারে। Daily Amader Somoy 23.05.15

1 comments:

  1. আমরা 3% সুদ হারে ঋণ প্রদান করার জন্য প্রস্তুত হয়, আমরা ফিরে 1-25 বছর সময়সীমার জন্য বাণিজ্যিক ও প্রাইভেট কোম্পানি ঋণ পরিশোধ প্রস্তাব, আমরা কম সুদের হারে ঋণ প্রস্তাব এবং কোন ক্রেডিট চেক, আমরা ব্যক্তিগত ঋণ, ঋণ প্রস্তাব আমরা প্রত্যয়িত এবং আমাদের ঋণ নিবন্ধন করেছেন, যদিও একত্রীকরণের ঋণ, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, বাণিজ্যিক ঋণ, ঋণ, বন্ধকীগুলির, বা কোনো কারণে "ঋণ! যাইহোক, আমাদের পদ্ধতি, প্রয়োজনীয় ঋণের পরিমাণ এবং আপনি দিতে পারেন সামর্থ্য সময়কাল জন্য করতে পারবেন ভাল গুরুতর এবং সৎ মানুষ মেল মধ্যে আমাদের অগ্রাধিকার ঋণের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জন্য বীমা করা. firstcooperativeservice@gmail.com

    ঋণ অফিসার
    Mr.Greg মদ.
    +1 831 218 3028

    ReplyDelete