রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

ভাসছে মানুষ ভাসছে মানবতা

এই মুহূর্তে কতজন মানব সন্তান মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়া উপকূল এবং আন্দামান সাগরে ভাসছেন এর পরিসংখ্যান কারো কাছেই জানা নেই। এদের মাঝে কতজন রোহিঙ্গা, কতজন বাংলাদেশি এটাও আমরা জানি না। তবে সংবাদপত্রে নিত্যদিন বের হচ্ছে এদের খবর। বের হচ্ছে দু’ মাসেরও অধিক এরা সাগরে ভাসছেন, ছোট ডিঙি নৌকায় পানি, খাদ্য ছাড়া। যাদের ভাগ্য ভালো, তাদের আশ্রয় মিলেছে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের শরণার্থী শিবিরে। আর দুর্ভাগ্য যাদের, তাদের অনেকেই চিরদিনের জন্য হারিয়ে গেছেন সাগরে। কিন্তু এর সমাধান কোন পথে আমরা কেউই জানি না। সংবাদপত্রগুলো আমাদের জানাচ্ছে উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের মাঝে মালয়েশিয়ায় ৮০৩ জন এবং ইন্দোনেশিয়ায় ২৩৮ জন বাংলাদেশির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। আর যারা সাগরে ভাসছেন, তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত ১৮ মে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিফাহ আমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, ৩১ দফা চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। কিন্তু হতভাগ্য বাংলাদেশি অভিবাসীদের প্রত্যাবর্তন কিংবা সাগরে ভাসা মানব সন্তানদের উদ্ধারের ব্যাপারে কোনো সুস্পষ্ট বক্তব্য নেই তাতে। এখানে প্রশ্ন অনেক। এই মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত রয়েছে একটি চক্র। এরা যেমন আছে বাংলাদেশ-মিয়ানমারে, ঠিক তেমনি আছে থাইল্যান্ডে আর মালয়েশিয়ায়। ২৩ মে ২০১৫ তারিখে পত্রিকান্তরে প্রকাশ, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের মতে, ‘মানব ব্যবসায়’ জড়িত পুরো থাই সমাজ। পাচারকারীরা মূলত টার্গেট করেছিল রোহিঙ্গা নারী-পুরুষদের, যারা মিয়ানমারের আরাকান প্রদেশের বাসিন্দা। মিয়ানমারে গত বেশ ক’ বছর ধরেই এক ধরনের ‘এথনিক ক্লিনসিং’ অর্থাৎ অত্যন্ত সুকৌশলে মুসলমানদের আরাকান থেকে উৎখাত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। মিয়ানমারকে একটি ‘বৌদ্ধ রাষ্ট্রে’ পরিণত করতে চায় বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। আর এদের মদদ জোগাচ্ছেন মিয়ানমারের শাসক চক্র। বৌদ্ধ ধর্ম শক্তির ধর্ম। এরা অহিংস নীতিতে বিশ্বাসী। কিন্তু আরাকানে বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ড এর প্রমাণ করে না। মিয়ানমারের শাসকচক্র মনে করেন রোহিঙ্গারা মূলত চট্টগ্রামের অধিবাসী এবং তারা ‘অবৈধভাবে’ আরাকানে বসবাস করছেন! অত্যন্ত কৌশলে এদের বাংলাদেশের সীমান্তের দিকে ঠেলে দেয়ার প্রয়াস চালানো হয়েছে একাধিকবার। এরপর একটি ‘চক্র’ এদের কৌশলে মালয়েশিয়া পাচার করার উদ্যোগ নেয়। এর সঙ্গে যোগ হয় বাংলাদেশের মানব পাচারকারীরা। বাংলাদেশিরাও চাকরির আসায় যেতে চান মালয়েশিয়ায়। কৌশলে পাচারকারীরা এদের বড় সাম্পানে তুলে দিয়ে পরে থাইল্যান্ডের পাচারকারীদের হাতে তুলে দেয় এবং মুক্তিপণ দাবি করা হয়। সমস্যাটা তৈরি হয়েছে এভাবেই। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বাংলাদেশিদেরও নেয়া হয় এবং পরে তাদের কাছে মুক্তিপণ আদায় করা হয়। রোহিঙ্গাদের বলা হয়েছিল মালয়েশিয়ায় আশ্রয় দেয়ার কথা। এখানে মিয়ানমার সরকারের প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত ছিল। আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যা হয়েছে, তা হচ্ছে সমুদ্রে উপকূলবর্তী এলাকায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর সদস্যদের যোগসাজশে এই মানব পাচার চলে আসছিল। স্থানীয় সংসদ সদস্যদের সংশ্লিষ্টতা নিয়েও খবর বের হয়েছে। এই মানব পাচারের ঘটনা যে এই প্রথম ঘটল, তা নয়। এর আগেও ঘটেছে। কিন্তু তা প্রকাশ পেয়েছে কম। এবারই সম্ভবত ব্যাপক মানবপাচারের ঘটনা আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে স্থান পেয়েছে। এখানে আরো একটা বিষয় দৃষ্টিকটুÑ এই মানব পাচারের ঘটনা নৌবাহিনী কিংবা কোস্টগার্ডের চোখ এড়িয়ে গেল কিভাবে? কোস্টগার্ডের না হয় সমুদ্রে থাকার বড় জাহাজ নেই। কিন্তু নৌবাহিনী? সমুদ্রসীমায় টহল দেয়া, বিদেশি মাছ ধরা ট্রলারদের বাংলাদেশি সমুদ্রসীমায় প্রবেশে বাধাদান, সমুদ্র সীমান্ত রক্ষাÑ এসবই তো নৌবাহিনীর কাজ। তাদের তো গভীর সমুদ্রে যাওয়ার জাহাজ রয়েছে। অতি সম্প্রতি নতুন নতুন জাহাজ নৌবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে। লেবাননে শান্তি মিশনেও গিয়েছিল নৌবাহিনী। তাহলে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে সাগরপথে যে মানব পাচার হচ্ছে, তা তাদের দৃষ্টিতে আসল না কেন? স্থানীয় কমান্ডার কি তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পেরেছিলেন? দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কি চার্জ গঠন করা হবে এখন? আরো দুর্ভাগ্য আমাদের যে এই ঘটনায় বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অনেক নষ্ট হয়েছে। ভাবমূর্তি উদ্ধারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কি ভূমিকা নেয়, সেটাই দেখার বিষয় এখন। যারা সাগরে ভাসছেন, তাদের অনেকেরই নাগরিকত্ব এখনো চিহ্নিত হয়নি। যারা শরণার্থী শিবিরে আছেন এবং যাদের নাগরিকত্ব চিহ্নিত হয়েছে, তাদের অবিলম্বে ফিরিয়ে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেয়া উচিত। যারা রোহিঙ্গা এবং সাগরে ভাসছেন, ১৯৫১ সালের শরণার্থী সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইন ও ১৯৯৮ সালের উদবাস্তু সংক্রান্ত আইন, এমনকি এ সংক্রান্ত ১৯৬৭ সালের প্রটোকল অনুযায়ী সাগরে ভাসমান মানুষগুলো এখন ‘শরণার্থী’ হিসেবে গণ্য হতে বাধ্য। জাতিসংঘ এদের দায়িত্ব নেবে এবং পার্শ্ববর্তী দেশগুলো (এক্ষেত্রে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া) এসব শরণার্থীকে গ্রহণ করতে বাধ্য। রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের করণীয় কিছু নেই। আসিয়ানের দায়িত্ব এক্ষেত্রে বেশি। মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করার দায়িত্বটি নিতে হবে আসিয়ানকে। মিয়ানমারকে বাধ্য করতে হবে রোহিঙ্গাদের ওপর সব ধরনের নিপীড়ন বন্ধ করতে। রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার, নিপীড়ন যদি বন্ধ হয় তাহলে মানব পাচার হ্রাস পাবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি সিদ্ধান্তের দিকেও আমরা তাকাতে পারি। ভূমধ্যসাগরে অতিক্রম করে গত প্রায় এক বছর ধরে শত শত আফ্রিকান অভিবাসী ইতালিতে প্রবেশ করছে এবং করার চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে যারা ঢুকে পড়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট একটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ছেন। অর্থাৎ এদের ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ২৮টি দেশের সর্বত্র পুনর্বাসন করা হবে (যদিও ব্রিটেনের টোরি সরকারের তাতে আপত্তি রয়েছে)। আসিয়ান এ ধরনের একটি কর্মসূচি নিতে পারে। বাংলাদেশের নীতি নির্ধারকরা বিশেষ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টিকে কিভাবে দেখছে, জানি না। কিন্তু এত বড় মানবিক বিপর্যয়ের পরও তাদের কোনো কর্মকাণ্ড আমার চোখে পড়েনি। রোহিঙ্গাদের নিয়ে আমাদের প্রচুর সমস্যা। কয়েক লাখ রোহিঙ্গা এখন কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছে। এদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। একাধিকবার দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়েছে। তাতে ফলাফল শূন্য। এখন মানবপাচারের ঘটনার পর বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে অতি দ্রুত আলোচনা শুরু করবে কিনা, তাও অস্পষ্ট। এটা সত্য, আমাদের জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কোন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। বিসিআইএম জোট কিংবা বিমসটেক জোট বাংলাদেশ ও মিয়ানমারেও আছে। আমাদের স্বার্থ আছে। কিন্তু মানব পাচারের ঘটনায় আমরা কি চুপ করে থাকব? এর দায়ভার বাংলাদেশ একা কেন নেবে? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অতি দ্রুত কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন। এক. রোহিঙ্গা সংক্রান্ত বিষয়টি আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোকে জানান। মিয়ানমারের একটা প্রোপাগান্ডা আছে যে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি। এরা যে বাংলাদেশি নয়, তা স্পষ্ট করা এবং আসিয়ান নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে মিয়ানমারের ওপর ‘চাপ’ প্রয়োগ করার উদ্যোগ অব্যাহত রাখা। দুই. অবিলম্বে মিয়ানমারের সঙ্গে এ ব্যাপারে একটি ‘সংলাপ’ শুরু করা। প্রয়োজনে বিমসটেক জোটকে এক্ষেত্রে ব্যবহার করা। তিন. ইইউর স্ট্র্যাটেজি অনুসরণ করে আসিয়ান নেতৃবৃন্দকে এ ব্যাপারে রাজি করানো এবং রোহিঙ্গাদের আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোতে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। চার. বাংলাদেশের নৌবাহিনীকে আরো সক্রিয় করা এবং বাংলাদেশ থেকে সব মানব পাচার রুট মনিটর করা ও বন্ধ করা। পাঁচ. বাংলাদেশিরা যারাই এ মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের মুখোমুখি করা ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা। ছয়. মানব পাচার সংক্রান্ত যে আইনটি রয়েছে তা বেশ দুর্বল। এই আইনটি সংশোধন করে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর ব্যবস্থা সংবলিত আইন প্রণয়ন করা। সাত. মিডিয়ার সাহায্য নিয়ে মালয়েশিয়াতে যে অবৈধ কাজের সুযোগ নেই, তা বারে বারে বলা। সরকার উপজেলা চেয়ারম্যানদেরও এ কাজে ব্যবহার করতে পারে। এতে করে মালয়েশিয়া সম্পর্কে সব বিভ্রান্তি দূর হতে পারে। আট. একটি বিশাল তরুণ প্রজš§ এখন বেকার। স্থানীয়ভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে এদের দক্ষ কর্মী হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া। ক্ষুদ্র ঋণের সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিতে পারে সরকার। সাগরে শত শত মানুষের ভেসে থাকার ঘটনা একটা মানবিক বিপর্যয়। আমরা যদি মনে করি পশ্চিমা শক্তি, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যাপারে ‘বড় ভূমিকা’ নেবে, এটা আমাদের ভুল ধারণা। বসনিয়া, হারজেগোভিনায় সার্বরা যখন মুসলমানদের উৎখাত অভিযান শুরু করেছিল, তখন একটা পর্যায়ে ন্যাটোর বিমান করে সার্বিয়ায় বোমা হামলা পর্যন্ত চালিয়েছিল। কেননা তখন তাদের স্বার্থ ছিল। কিন্তু মিয়ানমারকে তারা ‘বাধ্য’ করার কোনো উদ্যোগ নেবে না। কেননা মিয়ানমার তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। মিয়ানমারের থেইন সেইন সরকার এখন সব কিছু ‘খুলে’ দিয়েছে। তথাকথিত ‘গণতন্ত্র’ নির্মাণ করছে সামরিক জান্তা! গভীর সমুদ্রে রয়েছে প্রচুর গ্যাস ও তেল। এই গ্যাস ও তেলের ব্যাপারে আগ্রহী মার্কিন তেল কোম্পানিগুলো। ভারত ও চীন মিয়ানমারের গ্যাস উত্তোলনে নিয়োজিত। এই গ্যাস ভারত নিয়ে যাবে পাইপ লাইনের মাধ্যমে। বিশাল বিনিয়োগ নিয়ে আসছে মার্কিন কোম্পানিগুলো। কোকোকোলা তাদের নতুন প্লান্ট খুলেছে। মার্কিন দূতাবাস আবারো চালু করা হয়েছে। ওবামা দু’-দু’বার মিয়ানমার সফর করেছেন। অঙ্কের হিসাবটা অনেক সোজা। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতির সমালোচনা করে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। আজ ওবামা প্রশাসন আরাকানে রোহিঙ্গাদের যে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, এ কথাটা বলবে না। কেননা তারা দেখছে তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থ। এখানে সাগরে ভাসমান মানব সন্তানদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি খুব বড় করে প্রাধান্য পাবে বলে আমার মনে হয় না। এমনকি ‘গণতন্ত্রের উজ্জ্বল তারকা’ অং সান সুচিও এ ব্যাপারে নিশ্চুপ। তার স্বপ্ন ভবিষ্যতে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হওয়া। তাই বিদেশ সফরে গিয়ে থেইন সেইন সরকারের কথারই প্রতিধ্বনি করে তিনি বলেছিলেন রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক নন। ফলে পশ্চিমাদের স্বার্থের কাছে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা বলি হচ্ছেন! সাগরে ভাসা মানুষদের বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশকেই আজ বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে হবে। জিটুজি পর্যায়ে আলোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় রোহিঙ্গা সমস্যাটি তুলে ধরা প্রয়োজন। মানবপাচারের ঘটনায় বিশ্ব মিডিয়ায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গটি এসেছে। এতে করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। বাংলাদেশের এতদিনের যে অর্জন, তা এখন নষ্ট হওয়ার পথে। তাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যদি সেগুনবাগিচায় ‘আটকে’ থাকে, সেটা হবে আমাদের জন্য দুঃখের। সাগর ভাসা মানুষদের উদ্ধার করা প্রয়োজন। সরকার এক্ষেত্রে ‘চুপ’ করে বসে থাকতে পারে না। Daily Manobkontho 24.05.15

0 comments:

Post a Comment