ব্রিটেনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির বিজয়ের পর ইউরোপীয়
ইউনিয়নের ভবিষ্যৎ এখন আবারও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এর আগে গ্রিসের ঋণ সংকট
থেকে বেরিয়ে আসার ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে
পারেনি। ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভবিষ্যৎ একটি প্রশ্নের মুখে আছে আগে থেকেই।
এখন এর সঙ্গে যোগ হলো ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সিদ্ধান্ত।
নির্বাচনের আগে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে
থাকবে কি না, তা যাচাই করে দেখার জন্য তিনি ২০১৭ সালে একটি গণভোটের আয়োজন
করবেন। নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় তিনি এই গণভোটটি ২০১৬ সালেই
করতে চান। নির্বাচনের পরপর অভিবাসী প্রশ্নেও তিনি ইইউ নেতাদের সঙ্গে এক
বিতর্কে জড়িয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভূমধ্যসাগর পার হয়ে যেসব অভিবাসী ইউরোপের
বিভিন্ন বন্দরে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে, তাদের ফিরে যেতে হবে। ইইউয়ের মধ্যে এ
প্রশ্নে দ্বিমত আছে। ফলে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে যে অভিন্ন ইউরোপ
কল্পনাতেই থেকে যেতে পারে। ২০১১ সালের মাঝামাঝি অর্থনৈতিক সংকট ঘনীভূত
হওয়ার আগ পর্যন্ত অভিন্ন ইউরোপের ধারণাটি কোনো অমূলক ধারণা ছিল না। বরং
১৯৫৭ সালে ইউরোপিয়ান কমিউনিটি সৃষ্টির পর ১৯৯২ সালের ফেব্রুয়ারিতে
স্বাক্ষরিত ম্যাসট্রিচট চুক্তি ছিল অভিন্ন ইউরোপ গঠনের লক্ষ্যে একটি বড়
ধরনের পদক্ষেপ। ম্যাসট্রিচট চুক্তিতে একটি একক মুদ্রা ও একটি ইউরোপীয়
ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৭ সালের মার্চে সেভেন চুক্তি ও
১৯৯৯ সালের ১ জানুয়ারি ইউরোপের একক মুদ্রা ইউরো চালুর সিদ্ধান্তের মধ্য
দিয়ে অভিন্ন এক ইউরোপের দিকে যাত্রা শুরু করেছিল ইউরোপ। বলা ভালো, ১৯৯৩
সালের ১ নভেম্বর ইউরোপীয় কমিউনিটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নাম ধারণ করে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইতিমধ্যে সম্প্রসারণ ঘটেছে। পূর্ব ইউরোপে সমাজতন্ত্রের
পতনের পর ২০০৪ ও ২০০৭ সালে বেশ কয়েকটি পূর্ব ইউরোপের দেশ ইইউতে যোগ দিয়েছে।
ইইউয়ের সদস্য সংখ্যা এখন ২৮। ১৯৯৯ সালে তৎকালীন ইইউয়ের ১৫টি দেশের মধ্যে
১১টি ইউরো চালু করেছিল। এখন চালু রয়েছে ১৭টি দেশে। চালু হওয়ার সময়ই ইউরো
নিয়ে প্রশ্ন ছিল। তখন বলা হয়েছিল, ইউরোপের উত্তরের ধনী দেশগুলো ইউরো চালু
হলে এ থেকে সুবিধা নিতে পারে। আজ এত বছর পর এ আশঙ্কাই সত্যে পরিণত হলো।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে ইউরো চালু হওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও তিন বছর পর্যন্ত নিজ
নিজ দেশের মুদ্রা চালু থাকে এবং ২০০২ সালের জুলাই মাসে ইউরোর কাগজি ও ধাতব
মুদ্রা চালু হওয়ার পর পুরনো মুদ্রা বাতিল হয়ে যায়। গত ৯ বছর ইউরো নিয়ে বড়
ধরনের প্রশ্ন দেখা না দিলেও ২০১৩ ও ২০১৪ সালে ইইউয়ের কয়েকটি দেশ বড় ধরনের
অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে। দেশগুলো ঋণ শোধ করতে না পেরে অনেকটা দেউলিয়া হয়ে পড়ে।
ইতিমধ্যে গ্রিস ও ইতালির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি চরমে ওঠে। কিন্তু গ্রিসের
পরিস্থিতি ছিল সবচেয়ে খারাপ। সেখানে পাপেন্দ্র সরকারের পতন, বিচারপতি
পাপাদেমাসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিংবা ২০১৫ সালের
জানুয়ারির নির্বাচনে বামপন্থী এলেক্সিস সিপ্রাসের নেতৃত্বে একটি সরকার গঠিত
হলেও গ্রিস অর্থনৈতিক সংকট থেকে বের হয়ে আসতে পারছে না। এখন গ্রিস
পুনর্গঠনে একটি তালিকা চেয়েছে ইউরো গ্রুপ।
আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি শক্তি। অনেক আন্তর্জাতিক
ইস্যুতে ইইউ যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে গিয়ে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু
ইউরো জোনের অর্থনৈতিক সংকট ইইউয়ের ভূমিকাকে সংকুচিত করে দিয়েছে। এখানে বলা
ভালো, ১৯৫৭ সালে মাত্র ছয়টি দেশ নিয়ে (বেলজিয়াম, ফ্রান্স, পশ্চিম জার্মানি,
ইতালি, হল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ) ইউরোপীয় ঐক্য যে যাত্রা শুরু করেছিল, তা
আজ পরিণত হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ)। ২৮টি দেশ এখন ইইউয়ের সদস্য। এর
মধ্যে আবার ২৪টি ন্যাটোর সদস্য। তবে জর্জিয়া ও ইউক্রেন এখনো ন্যাটোর সদস্য
হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র এই দুটি দেশকে ন্যাটোর সদস্যপদ দিতে চাচ্ছে, যাতে
রাশিয়ার রয়েছে আপত্তি।
ইউরোপে এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি সংস্থার জন্ম হয়েছে, যে সংস্থাগুলো ইউরোপীয়
ঐক্যকে ধরে রেখেছে। যেমন বলা যেতে পারে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট, ইউরোপীয়
কাউন্সিল, ইউরোপীয় কমিশন, ইউরোপীয় আদালত, নিরীক্ষক দপ্তর, অর্থনৈতিক ও
সামাজিক কমিটি, আঞ্চলিক কমিটি, ইউরোপীয় ব্যাংক ও ইউরোপীয় মুদ্রা ইনস্টিটিউট
ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কথা। এ সংস্থাগুলো অভিন্ন ইউরোপের ধারণাকে শক্তিশালী
করেছে। কিন্তু ইউরোপের অর্থনৈতিক মন্দা পুরো দৃশ্যপটকে এখন বদলে দিল। এখন
শুধু ইউরোই নয়, বরং খোদ ইউরোপীয় ইউনিয়নের অস্তিত্ব প্রশ্নের মুখে। যে
যুক্তি তুলে একসময় ব্রিটেন ও ডেনমার্ক ইউরো জোনে (এক মুদ্রা নিজ দেশে চালু)
যোগ দিতে চায়নি, সেই যুক্তিটি এখন সত্য বলে প্রমাণিত হলো। অর্থনৈতিক সংকট
থেকে উদ্ধারের কাজটি অত সহজ নয়। একটি দেশের সমস্যায় অন্য দেশ আক্রান্ত
হচ্ছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে ইউরোর ভবিষ্যৎ নিয়ে। এ ক্ষেত্রে যে প্রশ্নটি
সবচেয়ে বড়, তা হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান কাঠামো আদৌ টিকিয়ে রাখা
সম্ভব হবে কি না?
২০০৭ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যখন তার পঞ্চাশতম বর্ষপূর্তি উৎসব পালন করে,
তখনই বার্লিন ঘোষণার মধ্য দিয়ে এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে ইইউয়ের মধ্যে
বিভক্তি আছে। লুক্সেমবার্গ ইউরোপের অন্যতম প্রধান অর্জন হিসেবে ইউরোর
মুদ্রার কথা উল্লেখ করেছিল। অথচ মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যেই প্রমাণিত হয়েছিল,
ইউরো সব দেশের স্বার্থরক্ষা করতে পারছে না। ব্রিটেন ও ডেনমার্ক প্রথম থেকেই
ইউরোকে প্রত্যাখ্যান করে আসছিল। পোল্যান্ড ও ইতালি চেয়েছিল ইউরোপের
ক্রিশ্চিয়ান মূল্যবোধকে প্রাধান্য দিতে। কিন্তু ফ্রান্স এর বিরোধিতা
করেছিল। দেশটি ধর্মকে আলাদা রাখতে চেয়েছিল। চেক রিপাবলিক ও পোল্যান্ড
নিরাপত্তার বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিলেও ফ্রান্স ও জার্মানি এটা নিয়ে চিন্তিত
ছিল এ কারণে যে নিরাপত্তার বিষয়টিতে যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ রাশিয়াকে
খেপিয়ে তুলতে পারে। জার্মানি ও স্পেন ইইউয়ের জন্য নতুন একটি সাংবিধানিক
চুক্তি করতে চাইলেও ব্রিটেন ও নেদারল্যান্ডস ছিল এর বিরোধী। পূর্ব ইউরোপের
সাবেক সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোও তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল। ১৯৮৯ সালের
'ভেলভেট রেভল্যুশন' এ দেশগুলোকে সোভিয়েত-নির্ভরতা থেকে বের হয়ে আসতে
সাহায্য করে। যেখানে সমাজতন্ত্রের পতন হয় ও দেশগুলো গণতন্ত্রের পথে ধাবিত
হয়। কিন্তু ২০০৪ সালের আগে পূর্ব ইউরোপের কোনো দেশই ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ
দিতে পারেনি। এ দেশগুলোর ওপর কোপেনহেগেন ফর্মুলা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
কোপেনহেগেন ফর্মুলায় কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়েছিল, যা পূরণ করলেই ইইউয়ের
সদস্যপদ পাওয়া যাবে। শর্তগুলোর মধ্যে ছিল গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি চালু,
মুক্তবাজার অর্থনীতির প্রবর্তন, মানবাধিকার রক্ষা, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা
দান ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। এসব শর্ত পূরণ হওয়ার পরই কয়েকটি
পূর্ব ইউরোপীয় দেশ ২০০৪ ও ২০০৭ সালে ইইউতে যোগ দেয়। বসনিয়া-হারজেগোভিনা
কিংবা ক্রোয়েশিয়া এখনো ইইউতে যোগ দিতে পারেনি। এখন অর্থনৈতিক সংকট সব
সংকটকে ছাপিয়ে গেছে। ঋণ সংকটে জর্জরিত ইউরোপে আবারও মন্দার আশঙ্কা বাড়ছে।
২০১৩-১৪ সময়সীমায় ইউরো ব্যবহারকারী ইউরো জোনের শূন্য প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।
ইইউয়ের প্রবৃদ্ধিও ছিল শূন্যের কোঠায়। তাই ইউরোপ নিয়ে শঙ্কা থেকেই গেল। এখন
ইইউয়ের ঐক্য নিয়ে যে সন্দেহ, তা আরো বাড়বে। ইতিমধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের
দেশগুলোকে দুই স্তরে বিভক্ত করার প্রস্তাব উঠেছে। জার্মানি ও ফ্রান্স একটি
দুই স্তরবিশিষ্ট ইউরোপীয় ইউনিয়ন চাইছে। ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট
সারকোজি খোলামেলাভাবেই এই বিভক্তির কথা বলেছিলেন। জার্মানির চ্যান্সেলর
অ্যাঙ্গেলা মার্কেলও চাচ্ছেন একটা পরিবর্তন। তিনি বলছেন এক নয়া ইউরোপ গড়ার
কথা। যদিও এই বিভক্তির বিরোধিতা করেছিলেন ইউরোপীয় কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান
জোসে ম্যানুয়েল বারোসো। এখন সত্যি সত্যিই ইউরোপ ভাগ হয়ে যাবে কি না কিংবা
'নতুন ইউরোপ'-এর স্বরূপ কী হবে, তা এ মুহূর্তে বলা খুব কঠিন। তবে একটি
পরিবর্তন যে আসন্ন, তা গ্রিসের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দিকে তাকালেই বোঝা
যায়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছোট অর্থনীতির দেশগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে
পারেনি। এটাই ইউরোপীয় ইউনিয়নের বড় ব্যর্থতা। তাই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
ক্যামেরন যখন ইইউতে থাকা, না থাকা নিয়ে গণভোট করতে চান, তখন ইউরোপের ঐক্যে
যে ফাটলের জন্ম হয়েছে সে ইঙ্গিতই দিলেন তিনি। ক্যামেরন স্পষ্ট করেই বলেছেন,
'আমরা যদি এখনই এসব সমস্যা নিয়ে উদ্যোগ নিতে না পারি, তাহলে ইউরোপের পতন
হবে এবং ব্রিটিশরাও পতনের দিকে যেতে থাকবে। অতীতে ইইউ সম্পর্কে এত ভয়ংকর
কথা কেউ বলেননি। এখন ক্যামেরন সাহস করেই বললেন। সামনের দিনগুলো অত্যন্ত
কঠিন সময় ইইউয়ের জন্য। অর্থনীতি ও রাজনৈতিক সংকট যদি ইইউ কাটিয়ে উঠতে না
পারে, তাহলে এটা দিব্যি দিয়েই বলা যায়, আগামী এক দশকের মধ্যে আমরা এক ভিন্ন
ইউরোপের চেহারা দেখতে পাব।
ব্রিটেনের মতো একটি বড় দেশ যদি ইইউ ত্যাগ করে, তাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের
অস্তিত্ব আর থাকে না। অভিবাসী প্রশ্নে ক্যামেরনের সর্বশেষ বক্তব্য প্রমাণ
করে, তিনি স্পষ্টতই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে অসন্তুষ্ট।
যেখানে ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি জ্যাঁ ক্লদ জাংকার অভিবাসীদের ব্যাপারে,
বিশেষ করে তাদের ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশে বসবাসের একটি পরিকল্পনা
করছেন, সেখানে ক্যামেরন এর বিরোধিতা করছেন। জাংকারের পরিকল্পনায় বিভিন্ন
দেশের জন্য একটি 'অভিবাসী কোটা' রাখার কথা বলা হয়েছে। অথচ নয়া ব্রিটিশ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেরেসা মে বলেছেন, এই 'কোটাব্যবস্থা' ব্রিটেন মানবে না।
এতে ইউরোপের দিকে অভিবাসীদের আসাকে উৎসাহিত করবে। এমনকি হাঙ্গেরির
প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান কোটাব্যবস্থাকে 'বিকৃত মস্তিষ্ক ও অন্যায্য'
বলে অভিহিত করেছেন। এখানে বলা ভালো, সাম্প্রতিক সময়গুলোতে ভূমধ্যসাগর
অতিক্রমকালে শত শত অভিবাসী উদ্ধার হয়েছে, অথবা নৌকাডুবিতে মারা গেছে। এসব
অভিবাসীর টার্গেট হচ্ছে ইতালি, গ্রিস, সাইপ্রাস ও মাল্টা। অতিরিক্ত
অভিবাসীর চাপ সামলাতে না পেরে এই দেশগুলো ইইউয়ের কাছে প্রতিকার চেয়েছিল। গত
বছর ইইউয়ের সদস্য রাষ্ট্রগুলো এক লাখ ৮৫ হাজার অভিবাসীকে আশ্রয় দিয়েছে।
ফলে এটা স্পষ্ট, আগামীতে এই অভিবাসী ইস্যু ইউরোপীয় রাজনীতিতে একটি বড়
বিতর্ক তুলবে।
ব্রিটেনের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে কনজারভেটিভরা ক্ষমতা ফিরে পেয়েছে। অভিবাসী
ইস্যু, ইইউতে থাকা না থাকা নিয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য নিয়ে ডেভিড ক্যামেরন
ভোটারদের কাছে গিয়েছিলেন। ভোটাররা তাঁর ওপর আস্থা রেখেছে। ফলে তিনি গণভোটের
সিদ্ধান্তটি এক বছর এগিয়ে আনতে চান। এ ক্ষেত্রে গণভোটে যদি বেশির ভাগ
ভোটার ইইউতে না থাকার পক্ষে ভোট দেয়, তাহলে ইইউয়ের অস্তিত্ব বড় ধরনের
হুমকির মুখে পড়বে। এ ক্ষেত্রে ইইউয়ের নেতারা কিভাবে ব্রিটেনকে আস্থায় নেন,
সেটাই দেখার বিষয়। তবে এটা বলতেই হবে, ইইউ সংকটে আছে। এই সংকট ইইউয়ের
কর্মকাণ্ড ও ভবিষ্যৎকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়ে
Daily Kalerkontho
21.05.15
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment