রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও কিছু ভাবনা

তি নটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে যা হয়ে গেল, তা যে কোনো বিবেচনায় অনাকাক্সিক্ষত হলেও এখন তাকাতে হবে সামনের দিকে। সেই পুরনো ‘ক্ষত’ আমরা আবারও পর্যবেক্ষণ করছিÑ পরস্পর পরস্পরকে দোষারোপ করা এবং সেই সঙ্গে বিদেশিদের ‘নগ্ন হস্তক্ষেপ’। মার্কিন কংগ্রেসের একটি হাউস কমিটিতে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে কংগ্রেস সদস্যরা আলোচনা করেছেন। কয়েকজন বিশেষজ্ঞও মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে ঢাকা সফরে এসে মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ওয়েন্ডি শারম্যানও মন্তব্য করেছেন। এসব ‘মন্তব্য’ আমাদের কাছে খুব অপরিচিত নয়। এর আগেও মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষে বাংলাদেশ নিয়ে শুনানি হয়েছে এবং তা লিপিবদ্ধও হয়েছে। এ থেকে আমাদের শিক্ষণীয় কী? আমাদের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে ফাটল ধরেছেÑ এটা থেকে বের হয়ে আসা দরকার। কিন্তু তাই বলে বিদেশি রাষ্ট্রের কথামতো, নির্দেশমতো আমরা গণতন্ত্র বিনির্মাণ করব, এটাও ঠিক নয়। আমাদের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে ‘সমস্যা’ আছে। আর এ সমস্যা আমাদের নিজেদেরই সমাধান করতে হবে। অন্য কেউ সমাধান করতে পারবে না। দ্বিতীয় যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে আমাদের দেশের আবহাওয়ায়, ঐতিহ্যে, নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যেই আমরা গণতন্ত্র বিনির্মাণ করব। আর এই গণতন্ত্রের সঙ্গে পশ্চিমা গণতন্ত্রের কোনো মিল হবে না। আমরা মাঝারি অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছি। আমাদের সক্ষমতা আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। এই সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক শক্তিকে ধারণ করেই আমরা গণতন্ত্রকে বিনির্মাণ করব, যেমনটি করেছে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, রাশিয়া কিংবা তুরস্কÑ দক্ষিণ কোরিয়া। এখানে অবশ্যই একটা কথা বলা দরকার। এসব দেশ তথাকথিত গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি নিজ দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্যকে ধারণ করে বিনির্মাণ করলেও এদের সবার অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে গুরুত্ব দেওয়ার কারণে দেশগুলো এক একটি উঠতি অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। ২০০১ সালে গোল্ডম্যান স্যাকসের অর্থনীতিবিদ জিম ও’নেইল ‘ব্রিকস’ (BRIC) জোটের ধারণা দিয়েছিলেন (দক্ষিণ আফ্রিকা বছরে ২০০১ সালে ব্রিকসে যোগ দেয়)। সেই ‘ব্রিকস’ এখন বাস্তব সত্য। ‘ব্রিকস’-এর উদ্যোগে বিশ্বব্যাংকের বিকল্প আরেকটি ‘বিশ্বব্যাংক’ তৈরি হয়েছে (চিন যার মূল উদ্যোক্তা) এবং পশ্চিম ইউরোপের অনেক দেশ এতে যোগ দিয়েছে। রাশিয়া এই জোটের অন্যতম সদস্য। এখন ২০১১ সালে জিম ও’নেইল MIKT অর্থনৈতিক জোটের কথা বলেছেন (মেক্সিকো, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক এই নয়া অর্থনৈতিক জোটের সদস্য)। একই সঙ্গে ২০১১ সালে জর্জ ম্যাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জ্যাক গোল্ডস্টোন TIMBI জোটের প্রস্তাব করেছিলেন। তুরস্ক, ভারত, মেক্সিকো, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া এই জোটের সদস্য। দেশগুলো সবই উঠতি অর্থনৈতিক শক্তি। অধ্যাপক গোল্ডস্টোন যুক্তি দেখিয়েছিলেন, চিন ও রাশিয়ায় কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী হ্রাস পাবে এবং বৃদ্ধদের সামাজিক সুবিধা দেওয়ায় রাষ্ট্রের অর্থনীতির ওপর তা প্রভাব ফেলবে। অন্যদিকে ভারত ও ব্রাজিলের মতো দেশে জনগোষ্ঠী বাড়বে, তাতে করে বাড়বে বস্তির সংখ্যা। তবে বস্তিবাসীদের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীতে পরিণত করা যাবে। ফলে ব্রিকসের আবেদন কমবে, আর গুরুত্ব বাড়বে TIMBI জোটের। আমরা ‘ব্রিকস’ বলি আর ‘টিমবি’ জোট বলি, একটা মিল কিন্তু আছে। এসব দেশে এক ধরনের প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্র আছে। সংসদ আছে। বিরোধী দলও আছে। কিন্তু অর্থনৈতিক উন্নয়নকে তারা গুরুত্ব দিয়েছে বেশি। যেমন বলা যেতে পারে তুরস্কের কথা। তুরস্কের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শতকরা ৮ ভাগ। যেখানে ইউরোপের প্রতিটি দেশে অর্থনীতিতে শ্লথগতি এসেছে, সেখানে তুরস্ক ইউরোপের অনেক দেশকে আর্থিক সাহায্য দিয়ে থাকে। ইন্দোনেশিয়ায়ও বিশাল এক কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী রয়েছে, যারা উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বড় অবদান রাখছে। এসব দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির সঙ্গে ইউরোপের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে মেলানো যাবে না। কিরঘিস্তানের প্রেসিডেন্ট কুরমানবেক বাকিয়েভ একবার বলেছিলেন ‘Western Democracy is not suitable for kyrgyzstan’ অর্থাৎ পশ্চিমা গণতন্ত্র কিরঘিস্তানের জন্য উপযুক্ত নয়। তিনি যে গণতন্ত্র বিনির্মাণ করেছিলেন, তাকে বলা হয় ‘Consultative Democracy envisaging dialogues with influential social groups, would be more in keeping with his country's tradition (AP news, 23 march 2010)। পশ্চিমা পর্যবেক্ষকরা এটাকে বলছেন ‘Consultative Democracy- অর্থাৎ জনতার সঙ্গে পরামর্শমূলক একটি ব্যবস্থা, যা কিরঘিস্তানের ঐতিহ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এটাই হচ্ছে মোদ্দা কথা। নিজস্ব ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশ এসব দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির সঙ্গে মিল রেখে আমরা বিবেচনা করতে পারি। বাংলাদেশে রয়েছে একটি কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী। এদের দক্ষ কর্মী হিসেবে গড়ে তোলা প্রয়োজন। প্রতিটি জেলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় (যা কি না কলেজেরই নামান্তর!) কোনো সমাধান নয়। বরং বিভিন্ন পেশাজীবী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করে আমরা একটা দক্ষ কর্মী বাহিনী গড়ে তুলতে পারি, যারা অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। অর্থনীতিতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রায় ৬ ভাগ ধরে রাখা (এখন যা ৫.৭ ভাগে নেমে আসার কথা), ২৪ মিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ, ২৭ মিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক বাণিজ্য, দরিদ্রতা ২৪ ভাগে কমিয়ে আনা, মাথাপিছু আয় ১১৯০ ডলারে উন্নীত করা, ১৩২৮৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা, বছরে ৩৮৩ দশমিক ৪৩ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য উৎপাদন করা (বাংলাদেশ চাল রপ্তানিও করছে), ২৪ বিলিয়ন ডলারের গার্মেন্ট ব্যবসা, ৭৭ লাখ গার্মেন্ট উদ্যোক্তাÑ এই যে পরিসংখ্যান, এই পরিসংখ্যান বলে আমাদের সম্ভাবনা রয়েছে। আমরাও নয়া অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে পারি। এখন যা দরকার তা হচ্ছে শিক্ষিত, দক্ষ নেতৃত্ব, দক্ষ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি হ্রাস, আয়ের সুষম বণ্টন এবং আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি। এই গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে পশ্চিমা গণতন্ত্রের সঙ্গে মেলানো যাবে না। তবে এটা স্বীকার করতেই হবে আমাদের নিজেদের মধ্যে যদি বিভেদ থাকে, তাহলে অসাংবিধানিক শক্তি তা থেকে সুযোগ নেবে। মার্কিন কংগ্রেসের শুনানিতে যে বিষয়গুলো এসেছে, তা হচ্ছে : ১. রাজনৈতিক অস্থিরতা অব্যাহত থাকলে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের উত্থান ত্বরান্বিত হবে; ২. ধর্মকে যারা ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে, তারা আরও জঙ্গিরূপ ধারণ করবে; ৩. বাংলাদেশের ‘রাজনীতি’ যেভাবে চলছে, তাতে যদি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাধা না দেয়, তাহলে বাংলাদেশের রাজনীতি আরও সহিংসরূপ পাবে এবং উগ্র ইসলামি দলগুলো আরও সহজে দল ভারী করতে পারবে। তবে মার্কিন কংগ্রেসের শুনানিতে এটাও বলা হয়েছে যে, এই শুনানি কোনো দেশের বিরুদ্ধে নয়। কোনো দেশের সরকারকে হেয় করার জন্য নয়। বরং একটি দেশ কীভাবে অগ্রগতি অর্জন করতে পারে, সে বিষয় মার্কিন প্রশাসনের নজরে আনা। যারা সেখানে বক্তব্য রেখেছেন তাদের কেউ কেউ এটা বলার চেষ্টা করেছেন যে, ২০০৭ সালের মতো আবারও বাংলাদেশকে সামরিক হস্তক্ষেপের পথে নিয়ে যেতে পারে! আবার সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ওয়েন্ডি শারম্যানও বলেছেন তারা উদ্বিগ্ন ও ভোটে যে অনিয়ম হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা দরকার। যদিও ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন বলেছে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল গঠিত হবে এবং অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখা হবে। মার্কিন কংগ্রেসের মূল্যায়ন আমাদের কোনো আশার কথা বলে না। বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা কিছুটা আছে বটে, কিন্তু তা নিয়ন্ত্রিত। জঙ্গিগোষ্ঠীরা খুব বেশি সমাজে প্রবেশ করতে পেরেছে বলে মনে হয় না। এদের সমর্থকগোষ্ঠীও খুব সীমিত। ফলে জঙ্গিদের উত্থান নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই। বাংলাদেশে কোনো কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে বলা হচ্ছে। এটাও আমার কাছে মনে হয়েছে অতিরঞ্জিত। গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে আমাদের আশ্বস্তও করা হয়েছে। তবে ‘হস্তক্ষেপ’ ও ‘সামরিক হস্তক্ষেপের’ যে আশঙ্কা কেউ কেউ মার্কিন কংগ্রেসের শুনানিতে ব্যক্ত করেছেন, তাও অগ্রহণযোগ্য। কেননা এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি, যাতে বিদেশি ‘হস্তক্ষেপের’ প্রয়োজন পড়বে! বাংলাদেশ আফগানিস্তান বা সিরিয়া-ইরাক নয়। বাংলাদেশের মাটিতে ‘তালেবান’ বা আইএসের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীর উত্থানের আশঙ্কাও কম। বাংলাদেশে ইসলাম সহনীয়, মডারেট এবং শান্তিপ্রিয়। আমাদের ঐতিহ্যের ধারক হচ্ছে এই ইসলাম ধর্ম। আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইরাকে যেভাবে ইসলাম ধর্মকে জঙ্গি মানসিকতায় রূপ দেওয়া হয়েছে (সেখানে বহিঃশক্তির ইন্ধন, সমর্থন, আর্থিক সহযোগিতা রয়েছে), এ দেশে কোনোদিনই সম্ভব নয়। মানুষ এটা গ্রহণ করে নেবেও না। বাংলাদেশে আমরা শায়খ আবদুর রহমান ও বাংলা ভাইয়ের উত্থান দেখেছি। কিন্তু এদের কর্মকা-ের প্রতি কোনো শ্রেণির মানুষেরই এতটুকু সমর্থন ছিল না। বরং মানুষ এদের ধিক্কার জানিয়েছে। তাই অভিজিতের হত্যাকা-ের পূর্ণ তদন্ত দরকার। এই হত্যাকা-ের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা আছে কিনা, থাকলে কতটুকু আছে, বিষয়গুলো স্পষ্ট হওয়া দরকার। তবে একজন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক হিসেবে আমার বিবেচনায় যেটা স্পষ্ট, তা হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব, বিভেদ আর বিদ্বেষ যদি বাড়তে থাকে, তাহলে এ থেকে সুবিধা নেবে অসাংবিধানিক শক্তিগুলো, বিশেষ করে ইসলামিক জঙ্গিগোষ্ঠী। আমরা যত দ্রুত আমাদের মধ্যকার বিভেদ দূর করতে পারব, ততই আমাদের মঙ্গল। তিনটি সিটি করপোরেশন তিনজন নগরপিতা পেয়েছে। নির্বাচনে কিছুটা ‘ত্রুটি’ ছিল সন্দেহ নেই তাতে। কিন্তু এটা তো স্বীকার করতেই হবে যে, এই নির্বাচনটির প্রয়োজন ছিল। ঢাকায় দীর্ঘ ১৩ বছর কোনো নির্বাচন হয়নি। আর নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকলে জনসেবা নিশ্চিত হয় না। অন্তত ঢাকার দুই সিটিতে জনসেবা নিশ্চিত করা যায়নি। নির্বাচন কমিশন তাদের দায়িত্বটি সঠিকভাবে পালন করতে পারেনি। এখানে সংস্কারটি প্রয়োজন। কীভাবে নির্বাচন কমিশনকে আরও শক্তিশলী করা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা প্রয়োজন। বাস্তবতা হচ্ছে আমরা কখনই আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে পশ্চিমা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির স্তরে নিয়ে যেতে পারব না। আমাদের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের দলব্যবস্থা, রাজনৈতিক কাঠামো, নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য, সামাজিকতা ইত্যাদিকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠবে! এটাই আমাদের গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। এই সৌন্দর্যকে ধারণ করেই আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাব। গণতন্ত্র কম, উন্নয়নটাই আসলÑ এই দৃষ্টিভঙ্গিই বাংলাদেশকে আগামীতে নয়া অর্থনৈতিক জোটে শরিক হতে সাহায্য করবে।

0 comments:

Post a Comment