রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে বড় বিতর্ক


 
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের যখন মাত্র কয়েকদিন বাকি আছে, তখন এফবিআই (FBI) কর্তৃক হিলারি ক্লিনটনের ই-মেইল তদন্ত করার ঘটনা রাজনীতিতে বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। হিলারির এই ই-মেইল ফাঁসের ঘটনাকে তুলনা করা হচ্ছে ‘ওয়াটারগেট’ কেলেঙ্কারির সঙ্গে, যে ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। এ ঘটনাকে বলা হচ্ছে ‘ই-মেইলগেট’ (Emailgate) কেলেঙ্কারি। প্রভাবশালী সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমস প্রশ্ন তুলেছে, হিলারি ক্লিনটনের ই-মেইল তদন্তের নির্দেশ দিয়ে এফবিআই প্রধান জেমস বি কোমেয় কী ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন? (৩০ অক্টোবর)। বলা ভালো, হিলারি ক্লিনটন যখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি তার নামে বরাদ্দকৃত ই-মেইল ব্যবহার না করে ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করে কোনো কোনো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। এতে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করে আসছিলেন। দুই দিন পর অর্থাৎ ৮ নভেম্বর সেখানে নির্বাচন। এর আগেই এফবিআই’র হিলারির ওইসব ই-মেইল তদন্তের নির্দেশ নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। এ বিতর্ক নির্বাচনে কতটুকু প্রভাব ফেলবে বলা মুশকিল। তবে হিলারির জনপ্রিয়তায় কিছুটা ধস নেমেছে। এখন যে প্রশ্নটি অনেকেই করেন তা হচ্ছে, যিনিই যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হন না কেন, তাতে কী যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে? ওবামার সঙ্গে হিলারির পররাষ্ট্রনীতির মিল আছে। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান কিছুটা ভিন্ন। ওবামার Pivot to Asia পলিসির অন্যতম রূপকার হচ্ছেন হিলারি ক্লিনটন। এ মতাদর্শের মূল কথা হচ্ছে, এশিয়া-প্যাসিফিকভুক্ত অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব ও কর্তৃত্ব বাড়ানো। মধ্যপ্রাচ্য কিংবা পূর্ব এশিয়া, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ‘জাতীয় স্বার্থ’ রয়েছে, হিলারির পররাষ্ট্রনীতি সে আলোকেই রচিত হবে। এ ক্ষেত্রে সিরিয়া প্রশ্নে আসাদবিরোধী অন্যান্য রাজনৈতিক ও বিদ্রোহী দলগুলোকে ওবামা প্রশাসন যে অর্থ ও রাজনৈতিক সমর্থন দিয়ে আসছিলেন, তা হিলারি অব্যাহত রাখবেন। তিনি সিরিয়ার আকাশে একটি ‘নো-ফ্লাই জোন’ এর প্রস্তাব করেছেন। এটাকে অনেকেই সমালোচনা করেছেন এই যুক্তিতে যে, ‘নো-ফ্লাই জোন’ কার্যকরী হলে তাতে রাশিয়ার আইএসবিরোধী বিমান হামলা বাধাগ্রস্ত হবে। এতে আইএস কিংবা নুসরা ফ্রন্টের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কেননা, আইএস কিংবা নুসরা ফ্রন্টের নিজস্ব কোনো বিমানবহর নেই। নো-ফ্লাই জোন কার্যকরী হলে পরোক্ষভাবে লাভবান হবে এ দুইটি সংগঠন।
ইরান প্রশ্নে ওবামা প্রশাসন যে নীতি গ্রহণ করেছে, তা হিলারি অব্যাহত রাখবেন। ইরান প্রশ্নে আঞ্চলিক দেশগুলোর ‘অ্যাপ্রোচ’কে তিনি সমর্থন করেন। রাশিয়ার প্রশ্নে তিনি শক্ত অবস্থানে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচনী প্রচারণার সময় তার ই-মেইল ফাঁস করে দেয়ার ঘটনার সঙ্গে রাশিয়ার হ্যাকাররা জড়িত বলে হিলারির সমর্থকরা মনে করেন। হিলারি ‘পুতিন-ট্রাম্প’ সম্পর্ককে খুব ভালো চোখে নেননি। হিলারি মনে করেন, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ‘হস্তক্ষেপ’ করছেন! অনেকের মনে থাকার কথা, নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প পুতিনকে ওবামার চেয়েও ‘যোগ্য নেতা’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। অতীতে হিলারি রাশিয়া কর্তৃক ক্রিমিয়ার সংযুক্তিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে হিটলারের কার্যক্রমের সঙ্গে তুলনা করেছেন। ফলে একটা সম্ভাবনা থাকলইÑ রাশিয়ার সঙ্গে ‘প্রভাব বলয় বিস্তারের’ রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম একটি ফ্যাক্টর হবে। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার স্বার্থকে চ্যালেঞ্জ করবে। ফলে হিলারির সময়ে স্নায়ুযুদ্ধ? এর ধারণা আরও শক্তিশালী হবে। চীনের ব্যাপারে হিলারি একটা ‘স্ট্যাটাস কো’ অবস্থান নেবেন। অর্থাৎ চীনের সঙ্গে বর্তমান সম্পর্কের ধারা তিনি অব্যাহত রাখবেন। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের কর্তৃত্ব করার প্রবণতাকে তিনি ‘চ্যালেঞ্জ’ করবেন না। তবে অবাধ চলাচলের অধিকার তিনি নিশ্চিত করতে চাইবেন। দক্ষিণ চীন সাগরের স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব রয়েছে। এই স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্বকে হিলারি প্রশাসন অস্বীকার করবে না। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকে প্রাধান্য দেবেন। ওবামার নয়া পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম রূপকার ছিলেন হিলারি ক্লিনটন। যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি এখন এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দিকে নিবদ্ধ থাকবে। এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র তার নৌ তৎপরতা বাড়িয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলকে এখন বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। হিলারি এই নীতি অব্যাহত রাখবেন। তবে আফ্রিকায় চীনের প্রভাব ও কর্তৃত্ব বাড়ছে। ভারত মহাসাগরে চীন তার সামরিক তৎপরতা বাড়াচ্ছে। জিবুতিতে নৌ-ঘাঁটি নির্মাণ করছে চীন। একই সঙ্গে চীন ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে চায়। এতে চীন প্রায় ৬০টির মতো দেশকে ‘কানেক্ট’ বা সড়ক তথা রেলপথে সংযুক্ত করে এ অঞ্চলে তার প্রভাব বাড়াতে চায়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ক্ষুণœ হতে বাধ্য। এক্ষেত্রে হিলারির ভূমিকা স্পষ্ট নয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি চীন-যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতামূলক সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন তিনি এ ধারণা নিয়ে এগিয়ে যাবেন কিনা, এটি একটি প্রশ্ন বটে।
পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে হিলারি ও ট্রাম্পের অবস্থান ভিন্ন ভিন্ন। তবে হিলারির এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা থাকলেও ট্রাম্পের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। কখনও পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন, বাস্তবায়ন কিংবা নীতি নির্মাণে তিনি জড়িত ছিলেন না। রিপাবলিকান শিবিরে যারা পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে কাজ করেন, তাদের সঙ্গেও ট্রাম্পের কোনো যোগাযোগ ছিল না। ফলে পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে ট্রাম্প অনেকটা পিছিয়ে আছেন। তিনি ব্যবসায়ী। নিজের স্বার্থ বোঝেন। আর পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়নে তিনি শুধু ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়গুলোকে দেখছেন। তার পররাষ্ট্রনীতিতে এ দিকটা প্রতিফলিত হবে। এতে অনেকগুলো সম্ভাবনার জন্ম হতে পারে। এক. রাশিয়ার সঙ্গে বর্তমানে যে ‘আস্থাহীনতার’ সংকট সৃষ্টি হয়েছে, ট্রাম্পের সম্ভাব্য ‘প্রেসিডেন্সিতে’(?) তা কেটে যেতে পারে। ট্রাম্প ‘ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণের’ আলোকে রাশিয়ার সঙ্গে একটি সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন! কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়নে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডিফেন্স এস্টাবলিশমেন্ট’ একটা বড় ভূমিকা পালন করে। এই ‘শক্তি’ ট্রাম্পকে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে কতটুকু ছাড় দেবে, তা একটি বড় প্রশ্ন। দুই. ন্যাটো কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেসব দেশের সামরিক চুক্তি রয়েছে, সে ব্যাপারে ট্রাম্প ‘নতুন’ একটি উদ্যোগ নিতে পারেন। অর্থাৎ ট্রাম্প মনে করেন, ইউরোপের নিরাপত্তা দিতে গিয়ে বিপুলসংখ্যক আমেরিকান সেনা সেখানে মোতায়েনের কারণে যে অর্থ ব্যয় হয়, তা বহন করতে হবে ওইসব দেশকে। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র আর এককভাবে কোনো অর্থ ব্যয় করবে না। যেসব দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, ওইসব দেশকে এর খরচ বহন করতে হবে। ট্রাম্প ন্যাটোর ধারণাকে যুগোপযোগী নয় বলেও মনে করেন। এর অর্থ পরিষ্কার। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ন্যাটোর ধারণাকে রীতিমতো বদলে দেবেন।
ট্রাম্প সম্পর্কে একটি সিরিয়াস মন্তব্য করেছে বিখ্যাত ‘নিউজউইক’ ম্যাগাজিন। ওই ম্যাগাজিনের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে ট্রাম্পের ব্যবসায়িক স্বার্থ রয়েছে ভারত, ইউক্রেন, চীন, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, তুরস্ক এবং রাশিয়ায়। রাশিয়ার ধনকুবের ভøাদিমির পোটানিনের সঙ্গে রয়েছে তার সখ্য। এ পোটানিনের সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সম্পর্কের কথা সবাই জানেন। নিউজউইক মন্তব্য করেছে এভাবেÑ ‘If Donald Trump wins this election and his Company is not immediately shutdown or forever severed from the Trump family, the foreign policy of the united states of America could well be for sate. (Truthout, 15 September 2016). নিউজউইকের তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয় ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬। (How the Trump Organizations foreign Business ties could upend US National Security). কিন্তু তারপরও কথা থেকে যায়। ট্রাম্প যদি সত্যি সত্যিই ‘সবাইকে অবাক করে’ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তিনি কী করবেন? অনেক কিছু চাইলেও তা পারবেন না। মেক্সিকোর সঙ্গে সীমান্তে উঁচু দেয়াল নির্মাণ কিংবা মুসলমানদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেয়ার কথা বলছেন বটে; কিন্তু কাজটি খুব সহজ নয়। ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের যথেষ্ট স্বার্থ রয়েছে। ট্রাম্প চাইলেও অনেক কিছু করতে পারবেন না। প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা চালাতে হয় কংগ্রেসের সহযোগিতা নিয়ে। বর্তমানে কংগ্রেসের যে ‘কম্বিনেশন’, তাতে কংগ্রেসের উভয়কক্ষ (সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদ) নিয়ন্ত্রণ করে রিপাবলিকানরা। কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে পুরো প্রতিনিধি পরিষদ ও এক-তৃতীয়াংশ সিনেট আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকলেও, অনেক রিপাবলিকান নেতার সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। বিশেষ করে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার পল রায়ানের (রিপাবলিকান) সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক খারাপ। রায়ান ট্রাম্পকে ভোট দেবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে হিলারি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেও, কংগ্রেস যদি তার নিয়ন্ত্রণে না থাকে, তিনি অনেক সিদ্ধান্তই বাস্তবায়ন করতে পারবেন না। ফলে চলতি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে শুধু একটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হিসেবে বিবেচনা করা হলে ভুল করা হবে। এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সঙ্গে অনেক ‘প্রশ্ন’ জড়িত। বিশ্ব আসরে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রহণযোগ্যতা, মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন, রাশিয়া তথা চীনের সঙ্গে সম্পর্ক, এশীয়-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি ইত্যাদি অনেক কিছু নির্ভর করছে এ নির্বাচনের ওপর। জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষক প্যারিসে গেল ডিসেম্বরে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং যা জাতিসংঘ কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে, তার ভবিষ্যৎও নির্ভর করছে এই নির্বাচনের ভবিষ্যতের ওপর। ট্রাম্প নির্বাচিত হলে, তিনি এই অনুমোদন করবেন কিনা, সেটা একটা বড় প্রশ্ন। সব মিলিয়ে জনমত জরিপে হিলারি এগিয়ে থাকলেও এটাই শেষ কথা নয়। ট্রাম্প এরই মধ্যে তার ব্যবধান অনেক কমিয়ে আনতে পেরেছেন। যে স্টেটগুলো নির্বাচনে একটি ভূমিকা পালন করে (Battleground states হিসেবে পরিচিত), ২০১২ সালের মতো এই স্টেটগুলোও এবার একটি ‘ভূমিকা’ পালন করবে। ফ্লোরিডা এই Battleground state-গুলোর মধ্যে অন্যতম। বলা হচ্ছে, ফ্লোরিডায় বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন হিলারি ক্লিনটন। হিলারি যদি অন্যান্য Battleground state, বিশেষ করে মিসিগান, নিউ হ্যাম্পশায়ার, অহিও এবং উইনসকনসিনে হেরেও যান, তাহলে ফ্লোরিডার আফ্রো-আমেরিকান ও ল্যাতিনো ভোটাররা তাকে বিজয়ী করতে পারে। পাঠক, স্মরণ করিয়ে দিই ২০০০ সালের নির্বাচনে আল গোর ফ্লোরিডার নির্বাচকম-লীর ভোটের কারণেই বুশের কাছে হেরে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে ট্রাম্প ফ্লোরিডায় হেরে গেলেও তাকে আইওয়া, অহিও, নর্থ ক্যারোলিনা ও কলরাডোতে জিততে হবে। সুতরাং জনমত জরিপ যাই বলুক না কেন, Battleground states এর ভোটারদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সুতরাং চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে এবার। ২৭২টি নির্বাচকম-লীর ভোট যিনি পাবেন (মোট ৫৩৮), তিনিই হবেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। এখন ‘ই-মেইলগেট’ বিতর্ক আদৌ নির্বাচনে প্রভাব ফেলে কিনা, সেটাই দেখার বিষয়।
নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র
Daily Alokito Bangladesh
06.11.2016

0 comments:

Post a Comment