রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

 

আজ মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। চার বছর পর পর সেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০১২ সালের নভেম্বর সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বারাক ওবামা বিজয়ী হয়েছিলেন। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে ওবামা তৃতীয়বারের মতো আর প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। এ নভেম্বরেই তার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। আর একজন নয়া প্রেসিডেন্ট শপথ নেবেন ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর। এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনেকগুলো কারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অতীতে কোনো নির্বাচন এত বেশি বিতর্কিত হয়নি, যতটা না এবারের নির্বাচন বিতর্কিত হয়েছে। নির্বাচনী বিতর্কে পরস্পরকে আক্রমণ করে বক্তব্য রাখা বিরোধী প্রার্থীকে জেলে পাঠানোর হুমকি, যৌন কেলেঙ্কারি, ট্যাক্স ফাঁকির কাহিনি, একটি বিদেশি শক্তি কর্তৃক নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ‘হস্তক্ষেপ’-এর অভিযোগ, ইমেইল বিতর্কÑ প্রতিটি ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে একটি বড় ধরনের প্রশ্নের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। নির্বাচনের পরও এই রেশ থেকে যাবে বলে অনেকের ধারণা। তবে যেটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ, তা হচ্ছে এফবিআই (ঋইও) কর্তৃক নির্বাচনের মাত্র এক সপ্তাহ আগে হিলারি কিনটনের ব্যক্তিগত ইমেইল তদন্ত করার ঘোসণা। হিলারি কিনটন যখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যবহার করে কোথাও কোথাও যোগাযোগ করেছেন। এটা তিনি পারেন না। এতে জাতীয় নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেÑ এমন অভিযোগ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক সময় হিলারি কিনটনকে সম্ভাব্য বিজয়ী হিসেবে গণ্য করা হচ্ছিল। তিন-তিনটি টিভি বিতর্কের পর জনমত ছিল হিলারি কিনটনের পক্ষে। একাধিক জনমত জরিপে হিলারি কিনটনকে শতকরা ৫০ ভাগের উপরে সমর্থনের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু মাত্র এক সপ্তাহ আগে এফবিআইয়ের পরিচালকের কংগ্রেসের সদস্যদের কাছে লিখিত চিঠি প্রকাশিত হলে দৃশ্যপট পুরোপুরিভাবে বদলে যায়। হিলারির জনমত জরিপে ধস নামে। সর্বশেষ জরিপে হিলারি ও ট্রাম্পকে পাশাপাশি দেখানো হয়েছে। প্রতি মুহূর্তে জনমত জরিপ বদলে যাচ্ছে। তাই স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না, কে হতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। অবশ্য সর্বক্ষেত্রে জনমত জরিপের ফল নির্বাচনের বিজয়ের ক্ষেত্রে কোনো বড় প্রভাব ফেলে না। ১১টির মতো ‘ব্যাটেল গ্রাউন্ড স্টেট’ রয়েছেÑ যেখানে ভোটাররা কখনোই সুনির্দিষ্ট করে কোনো দলকে সমর্থন করেন না। প্রতিটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় দেখা গেছে, এখানে জনমত একদিকে ঝুঁকে যায়Ñ যা কিনা কোনো প্রার্থীকে বিজয়ী হতে সাহায্য করে। তাই ডোনাল্ড ট্রাম্প আর হিলারি কিনটন দুজনই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন এসব ‘ব্যাটেল গ্রাউন্ড স্টেট’গুলোয়। এখানে বলা ভালো, জনগণের ভোটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন না। নির্বাচিত হন নির্বাচকম-লীর ভোটে। ৫৩৮টি নির্বাচনম-লী নিয়ে এই নির্বাচন পরিচালিত হয়। কোরো প্রার্থীকে বিজয়ী হতে হলে প্রয়োজন হয় ২৭০টি নির্বাচকম-লীর ভোট। প্রতিটি স্টেটে জনগণ প্রেসিডেন্টকে ভোট দেয় না। ভোট দেন ওই স্টেটের নির্বাচকম-লীকে। আর যিনি বিজয়ী হন, তিনি নির্বাচকম-লীর সব কয়টি ভোট পান।
নিঃসন্দেহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের যখন মাত্র কয়েকদিন বাকি আছে, তখন এফবিআই (ঋইও) কর্তৃক হিলারি কিনটনের ইমেইল তদন্ত করার করার ঘটনা রাজনীতিতে বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। হিলারির ওই ইমেইল ফাঁসের ঘটনাকে তুলনা করা হচ্ছে ‘ওয়াটারগেট’ কেলেঙ্কারির সঙ্গেÑ যে ঘটনায় প্রেসিডেন্ট নিক্সন পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। এ ঘটনাকে বলা হচ্ছে ‘ইমেইলগেট’ (ঊসধরষধমধঃ) কেলেঙ্কারি। প্রভাবশালী সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমস প্রশ্ন তুলেছে, হিলারি কিনটনের ইমেইল তদন্তের নির্দেশ দিয়ে এফবিআইপ্রধান জেমস কোমি কি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন (৩০ অক্টোবর)? বলা ভালো, হিলারি কিনটন তার ওপরে উল্লেখিত ইমেইলগুলোর ব্যাপারে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ওইসব ইমেইল ছিল তার ব্যক্তিগত। তার এটা করা উচিত হয়নি। এ জন্য তিনি একাধিকবার দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এতে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ক্ষুণœ হয়েছেÑ ট্রাম্পের এমন সব দাবি তিনি অস্বীকার করেছেন। আজ অর্থাৎ ৮ নভেম্বর এখানে নির্বাচন। এর আগেই এফবিআইয়ের হিলারির ওইসব ইমেইল তদন্তের নির্দেশ নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। এই বিতর্ক নির্বাচনে কতটুকু প্রভাব ফেলবে, বলা মুশকিল। তবে হিলারির জনপ্রিয়তায় কিছুটা ধস নেমেছে। এখন যে প্রশ্নটি অনেকেই করেন, তা হচ্ছেÑ যিনিই যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হোন না কেন, এতে কি যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে? ওবামার সঙ্গে হিলারির পররাষ্ট্রনীতির মিল আছে। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান কিছুটা ভিন্ন। ওবামার চরাড়ঃ ঃড় অৎরধ
পলিসির অন্যতম রূপকার হচ্ছেন হিলারি কিনটন। এই মতাদর্শের মূল কথা হচ্ছে এশিয়া-প্যাসিফিকভুক্ত অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব ও কর্তৃত্ব বাড়ানো। মধ্যপ্রাচ্য কিংবা পূর্ব এশিয়াÑ যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রয়েছে, হিলারি এ ক্ষেত্রে ওবামার প্রণীত নীতিই অনুসরণ করবেন। চিনের সঙ্গে যে সম্পর্ক রচিত হয়েছে, তা বহাল থাকবে। অর্থাৎ চিনকে আস্থায় নিয়েই হিলারি তার পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করবেন। তবে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে পারে। কেননা তিনি মনে করেন, তার ইমেইল ফাঁসের ঘটনায় রাশিয়া জড়িত। এমনকি কোনো কোনো সংবাদপত্রে এমন খবরও বের হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় রাশিয়া প্রভাব খাটাতে চাইছে। ফলে হিলারি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। যদি ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তাহলে দৃশ্যপট বদলে যাবে। ন্যাটো থাকবে কী, থাকবে নাÑ সেটিও একটি প্রশ্ন। ট্রাম্প মনে করেন, ন্যাটোর ধারণা এখন অচল। রাশিয়াকে তিনি ‘শত্রু’ মনে করেন না। আইএস জঙ্গি দমন প্রশ্ন কিংবা সিরিয়ায় গ্রাউন্ড সৈন্য পাঠানো নিয়েও একটি প্রশ্ন আছে। সিরিয়া-ইরাক ও আফগান সমস্যার সমাধান কীভাবে সমাধান হবে, তাও অস্পষ্ট। ফলে নির্বাচন-পরবর্তী নয়া প্রেসিডেন্ট যখন ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব নেবেন, তখন সেদিকে তাকিয়ে থাকবেন অনেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাস দীর্ঘদিনের। ১৭৮৯ থেকে শুরু করে ১৮০০ সাল পর্যন্ত নির্বাচন হয়েছে চারবার। ১৭৮৯ সালে প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন জর্জ ওয়াশিংটন। তার কোনো দল ছিল না। ১৭৯৭ পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় ছিলেন। দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট ছিলন জন অ্যাডামস (১৭৯৭-১৮০১)। ফেডারেলিস্ট দলের প্রার্থী ছিলেন তিনি। অন্যদিকে তৃতীয় প্রেসিডেন্ট থমাস জেফারসনের সময় (১৮০১-০৯) ডেমোক্র্যাটিক-রিপাবলিকান পার্টির আত্মপ্রকাশ ঘটে। ডেমোক্র্যাটিক-রিপাবলিকান পার্টির ধারা অব্যাহত থাকে ১৮২৯ সাল পর্যন্ত। এরপর এন্ড্রু জ্যাকসন (১৮২৯-৩৭)। তিনি ছিলেন সপ্তম প্রেসিডেন্ট। তার আমলে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আলাদাভাবে আত্মপ্রকাশ ঘটে। কিন্তু রিপাবলিকান পার্টির আত্মপ্রকাশ ঘটে আব্রাহাম লিংকনের (১৬তম প্রেসিডেন্ট) শাসনামলে (১৮৬১-৬৫)। এ দুটো বড় দলের পাশাপাশি ‘উইগ’ পার্টির আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে উইগ পার্টির পক্ষ থেকে ৪ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৮৪১ সালে উইগ পার্টির পক্ষ হয়ে উইলিয়াম হ্যারিসন প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। এখন আর ওই পার্টির অস্তিত্ব নেই। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের গত ২৪০ বছরের ইতিহাসে (১৭৮৯ থেকে) ৪৪ প্রেসিডেন্ট পেয়েছে। অর্থাৎ বারাক ওবামা হচ্ছেন ৪৪তম প্রেসিডেন্ট। তবে একই ব্যক্তি গ্রোভার কেভেল্যান্ড দু-দুবার প্রেডিসডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। ডেমেক্র্যোট গ্রোভার কেভেল্যান্ড (২২তম) ১৮৮৫-৮৯ সালে প্রথমবার এবং ১৮৯৩-৯৭ (২৪তম) দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। এই দীর্ঘ সময়ে রিপাবলিকান পার্টির পক্ষ হয়ে ১৮, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির পক্ষ হয়ে ১৫ এবং উইগ পার্টির পক্ষ হয়ে ৪ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। ঐতিহাসিকরা বলেন, প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের কোনো দল ছিল না। তবে দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামস (১৭৯৭-১৮০১) ফেডারেলিস্ট পার্টির হয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সাধারণত কোনো প্রেসিডেন্ট ৪ বছরের জন্য নির্বাচিত হন। কিন্তু ৩২তম প্রেসিডেন্ট ফ্রাংকলিন রুজভেল্ট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে (১৯৩৩-৪৫) ১২ বছর ক্ষমতায় ছিলেন।
এখানে পাঠকদের আরও তথ্য দিই। এক সময় যাদের কোনো সম্পদ ছিল না (মূলত কৃষ্ণাঙ্গরাÑ যারা দাস হিসেবে এ দেশে এসেছিল), তারা ভোট দিতে পারত না। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানর ১৫তম, ১৯তম ও ২৬তম সংশোধনীতে যাদের বয়স ১৮ বছর, তাদের ভোটাধিকার স্বীকৃত হয়। আর নারীদের ভোটের অধিকারের বয়স মাত্র ৯৬ বছরের। এখন জনসংখ্যার ভিত্তিতে নির্বাচকম-লী গঠিত হয়। কিন্তু প্রথম দিকে স্টেটের আইনসভা নির্বাচকম-লী গঠন করত। এই নির্বাচকম-লীর সংখ্যা ৫৩৮। একটি স্টেটের জন্য নির্ধারিত সিনেট সদস্য (২ জন করে) ও প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যদের নিয়েই ওই নির্বাচকম-লী গঠিত। এ ক্ষেত্রে সিনেট সংখ্যা নির্ধারিত থাকলেও প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য সংখ্যা প্রতি স্টেটে নির্ধারিত নয়। এ কারণেই দেখা যায়, একেকটি স্টেটে নির্বাচকম-লীর সংখ্য একেক রকম। জনসংখ্যার কারণে নির্বাচকম-লী নির্ধারিত হওয়ায় ক্যালিফোর্নিয়ার নির্বাচকম-লীর সংখ্যা ৫৫ ও টেক্সাসের ৩৮। আবার আলাস্কা, মনটানা, ফেলোয়ারায় জনসংখ্যা কম থাকায় নির্বাচকম-লীর সংখ্য মাত্র ৩টি করে। ফলে এসব স্টেট নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলে না। কোনো প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হতে হলে ২৭০টি নির্বাচকম-লীর ভোট পেতে হয়। এখানে আরও একটি মজার ব্যাপার রয়েছে। জনসাধারণ ভোট দেয় বটে কিন্তু তারা সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন না। বড় দল দুটি নির্বাচকম-লী গঠন করে (প্রতি স্টেট)। কোনো ভোটার যখন ভোট দেন, তখন তিনি নির্বাচকম-লীকেই ভোট দিয়েছেন বলে গণ্য করা হয় এবং যিনি ওই স্টেটে বিজয়ী হয়েছেন, তিনি ওই স্ট্রেটের জন্য নির্ধারিত নির্বাচকম-লীর প্রতিটি ভোট পেয়েছেন বলে গণ্য করা হয়।
নির্বাচন একটি হবে বটে কিন্তু ওই নির্বাচন অনেক প্রশ্নের কোনো জবাব দেবে না। আমাদের জন্যও এই নির্বাচনের গুরুত্ব অনেক। একটি নয়া সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কী হয়, এ ব্যাপারে আগ্রহ থাকবে অনেকের। যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের স্বার্থ রয়েছে। আমরা জেএসপি সুবিধা এখনো ফিরে পাইনি। ওবামা প্রশাসন ওই জেএসপি সুবিধা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। তৈরি পোশাকের শুল্কমুক্ত সুবিধার বিষয়টি আমাদের জন্য অন্যতম অগ্রাধিকার। বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ায় আইএসের উত্থান রোধে মার্কিন সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন। তা ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন রোধ, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, নবায়নকৃত জ্বালানি ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা প্রত্যাশী। দুই দেশ এ ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে পারে। তাই নভেম্বরের নির্বাচন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বৈকি। এ ক্ষেত্রে যা বলা যায়, তা হচ্ছে হোয়াইট হাউসে ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটলেও খুব কম ক্ষেত্রেই নীতির পরিবর্তন ঘটে। ফলে হোয়াইট হাউজে যিনিই যাবেন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এতে নীতিগতভাবে কোনো পরিবর্তন আসবেÑ তা মনে করার কারণ নেই।
 নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র
Daily Amader Somoy
08.11.2016

0 comments:

Post a Comment