বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার শেষ ইউরোপ সফরে এসে উগ্র
জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে একটি সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন। বর্ণ, ধর্ম বা
নৃতাত্ত্বিক সীমারেখা টানার কারণে যে বিভাজন, সে বিপদ সম্পর্কে
যুক্তরাষ্ট্র সজাগ বলেও তিনি জানান। উগ্র জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে তিনি বক্তব্য
দিলেন এমন এক সময় যখন এই উগ্র জাতীয়তাবাদ খোদ তার নিজ দেশ যুক্তরাষ্ট্রে
মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ‘মেইক আমেরিকা গ্রেট’ এই বক্তব্য দিয়ে ডোনাল্ড
ট্রাম্প সাধারণ শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানদের দৃষ্টি কেড়েছিলেন। তার এই বক্তব্যের
পেছনে ছিল এই উগ্র জাতীয়তাবাদী চিন্তাধারা। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট
নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। আমি যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন আমাদের সময়ের পাঠকদের
আমার মূল্যায়ন পাঠিয়েছি। দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকার কারণে আমি দেখেছি
কীভাবে এই উগ্র জাতীয়তাবাদ সেখানে ধীরে ধীরে শক্তিশালী হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে এই উগ্র জাতীয়তাবাদ বিস্তারের পেছনে কাজ করছিল ইসলামবিদ্বেষ,
অভিবাসন বিরোধিতা ও ধর্মীয়ভাবে একটা বিভক্তি টানা। ট্রাম্প এগুলো পুঁজি
করেছিলেন। সূক্ষ্মভাবে দেখলে দেখা যাবে, একটি উগ্র জাতীয়তাবাদী চিন্তাধারা
সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। ইউরোপের অন্তত ৭ থেকে ৮টি রাষ্ট্রে এই উগ্র
জাতীয়তাবাদী চিন্তাধারা সেখানে নতুন এক রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছে।
বিশেষ করে সিরীয় অভিবাসীদের ব্যাপকভাবে ইউরোপে প্রবেশ কেন্দ্র করে ফ্রান্স,
হাঙ্গেরি কিংবা জার্মানির মতো দেশে কট্টরপন্থি উগ্র জাতীয়তাবাদী রাজনীতির
জন্ম হয়েছে। তারা স্থানীয় নির্বাচনে ভালো করছে এবং কোথাও কোথাও সনাতন
ট্রাডিশনাল রাজনীতির পরাজয় হয়েছে। ইউরোপের এই উগ্র রাজনীতির সঙ্গে
ট্রাম্পের উত্থানের আশ্চর্য এক মিল রয়েছে। ইউরোপে ন্যাশনাল ফ্রন্ট
(ফ্রান্স), অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (জার্মানি) কিংবা ল’ অ্যান্ড জাস্টিস
পার্টির (পোল্যান্ড) মতো উগ্র কট্টরপন্থি রাজনৈতিক দলগুলো ইসলামবিদ্বেষ,
অভিবাসনবিরোধী ভূমিকাকে পুঁজি করে অন্যতম রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে।
ঠিক তেমনি ট্রাম্পের ইসলামবিদ্বেষ আর অভিবাসনবিরোধী ভূমিকা তাকে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী করেছে। তিনি আগামী ২০ জানুয়ারি
শপথ নেবেন। কিন্তু এর আগেই যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তার বিরুদ্ধে একটা জনমত
শক্তিশালী হয়েছে। তিনি বলেছেন, ৩০ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে
বের কর দেবেন। এটা সত্য অবৈধ মেক্সিকান অভিবাসীরা ‘ডিপোর্ট’ অথবা এক ধরনের
‘স্ক্রিনিং’-এর সম্মুখীন হতে পারেন। তারা নানা প্রশাসনিক জটিলতায় পড়তে
পারেন। মুসলমানরা এ ক্ষেত্রে বড় ঝামেলায় পড়বেন। আমি অনেক বছর যাবৎ নিয়মিত
যুক্তরাষ্ট্রে যাতায়াত করি। এখানে এক ধরনের বর্ণবাদ রয়েছে। এখন ট্রাম্পের
শাসনামলে এই বর্ণবাদ আরও শক্তিশালী হবে। ট্রাম্পের বিজয়ে বর্ণবাদীরা এবং
মুসলমান ধর্মবিরোধীরা আরও উৎসাহিত হবেন। ফলে বর্ণবাদী হামলা আরও বাড়বে।
ইতোমধ্যেই সংখ্যালঘু অভিবাসীদের ওপর আক্রমণের খবর বেড়েছে বলে সংবাদপত্রে
প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম বিদ্বেষজনিত হামলা আগের
তুলনায় ৬৭ শতাংশ বেড়েছে। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর (নাইন-ইলেভেন) সন্ত্রাসী
হামলার পর এটি সর্বাধিকসংখ্যক হেইট ক্রাইম। এই হেইট ক্রাইমের মধ্যে ধর্মীয়
ও বর্ণবিদ্বেষমূলক হামলার ঘটনা সবচেয়ে বেশি। ট্রাম্পের বিজয় এই হেইট
ক্রাইমকে এখন উসকে দেবে। ট্রাম্প উগ্র জাতীয়তাবাদকে উসকে দিয়েছেন। ট্রাম্প
নিজে অভিবাসী সন্তান হয়েও (তার পূর্বপুরুষ জার্মানি থেকে এসেছে ১৮৮৫ সালে)
শুধু তার রাজনীতির স্বার্থেই অভিবাসীদের বিষয়টিকে ইস্যু করেছেন। তিনি যদি
তার নীতিতে অটল থাকেন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মেক্সিকো তথা লাতিন
আমেরিকার স্পেনিশ ভাষাভাষী দেশগুলোর সম্পর্কের অবনতি ঘটবে। এ ছাড়া
স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে তিনি বড় পরিবর্তন আনবেন।
যুক্তরাষ্ট্রে স্বাস্থ্য খাতে সেবা প্রদান একটি বড় সমস্যা। ওবামাকেয়ার সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করলেও সাম্প্রতিক সময়ে হেলথ ইন্স্যুরেন্সের প্রিমিয়াম কোনো কোনো স্টেটে বেড়ে গিয়েছিল। নির্বাচনের আগে ট্রাম্প এটাকে পুঁজি করেছিলেন। এই ওবামাকেয়ার তথা হেলথ ইন্স্যুরেন্স ছিল সবার জন্য বাধ্যতামূলক। ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি এটা বাতিল করবেন। এখন বলছেন, তিনি এতে সংস্কার আনবেন। যদিও এটা এখন অবধি স্পষ্ট নয়, সংস্কারটা তিনি কীভাবে আনবেন এবং এতে করে সাধারণ মানুষ কতটুকু উপকৃত হবে, তাও স্পষ্ট নয়।
পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে তার ভূমিকা কী হবে এ বিষয়টি এখন বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কেননা নির্বাচনের আগে রাশিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্ক, পুতিনকে ওবামার চেয়ে ভালো নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করা এবং ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে রাশিয়া দেখতে চায়Ñ এ ধরনের সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর একটা প্রশ্ন এখন অনেকের কাছে উঠেছেÑ আর তা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্ক এখন কোন পর্যায়ে উন্নীত হবে? রাশিয়া কর্তৃক ইউক্রেনের ক্রিমিয়ার অন্তর্ভুক্তির পর যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে। এমনকি রাশিয়াকে জি-৮ থেকেও বহিষ্কার করা হয়। এখন পরিস্থিতি কি বদলে যাবে? নির্বাচনের আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি রাশিয়ার ওপর থেকে অর্থনৈতিক অবরোধ প্রত্যাহারের পক্ষে। ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর টেলিফোনে ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের কথা হয়েছে। এই দুজনের ফোনালাপকে গভীর বন্ধুত্বের সুর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ১৯৯১ সালের ডিসেম্বরে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন পতনের পর স্নায়ুযুদ্ধের অবসান হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ব রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের একক কর্তৃত্ব করার প্রবণতা ও বিভিন্ন অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক আগ্রাসন নতুন করে স্নায়ুযুদ্ধের (স্নায়ুযুদ্ধ-২) জন্ম হয়েছিল এবং রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের একক কর্তৃত্ব করার প্রবণতাকে চ্যালেঞ্জ করতে শুরু করেছিল। এখন কি যুক্তরাষ্ট্র একটি ইউটার্ন নেবে? এতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থ কতটুকু রক্ষিত হবে? যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বিশেষ করে পেন্টাগনে যেসব কট্টরপন্থি রয়েছেন তারা কী রাশিয়ার প্রতি ঝুঁকে যাওয়ার এই প্রবণতাকে মেনে নেবেন? সিনিয়র জেনারেলদের ভূমিকাই বা কী হবে এখন? রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র মৈত্রী কি ইতিহাসকে আবার স্মরণ করিয়ে দেবে? দ্বিতীয় ইয়াল্টার কি জন্ম হচ্ছে? পাঠক স্মরণ করতে পারেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ইউরোপের ভূমিকা কী হবে, এটা নিয়ে আলোচনার জন্য ইয়াল্টায় (১৯৪৫ সালের ফেব্রুয়ারি) চার্চিল (যুক্তরাজ্য), রুজভেল্ট (যুক্তরাষ্ট্র) ও স্ট্যালিন (সোভিয়েত ইউনিয়ন) এক শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। সেই পরিস্থিতি কি তাহলে আবার ফিরে আসছে? এ ক্ষেত্রে যে কোনো রুশ-মার্কিন ঐক্য সিরিয়ার পরিস্থিতির ওপর প্রভাব ফেলবে? আসাদ ইতোমধ্যে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। সম্ভাব্য এই ঐক্য আসাদকে আরও কিছুদিন ক্ষমতায় থাকার সুযোগ করে দেবে মাত্র। কিন্তু তাতে করে যুদ্ধ সেখানে থামবে বলে মনে হয় না। যদিও ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আসাদবিরোধী নুসরা ফ্রন্টকে (পরিবর্তিত নাম জাবহাত ফাতেহ আল শাস) অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করবেন না। কিন্তু তাতে করে কি আইএসকে ধ্বংস করা সম্ভব হবে? অনেকেই জানেন, আইএস পরোক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সহযোগিতা পেয়ে থাকে। ট্রাম্পের সময় আইএস কি তার অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারবে? এ ক্ষেত্রে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে এক ধরনের ‘গেরিলা যুদ্ধ’-এর জন্ম হবে। ট্রাম্প যদি সত্যি সত্যিই ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক সমঝোতা চুক্তি সমর্থন করতে অস্বীকার করেন, তাহলে ইরান এই গেরিলা যুদ্ধের সম্ভাবনাকে উসকে দেবে। আল কায়েদা কিংবা আইএসের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো সেই পুরনো ‘স্পাইডার ওয়েভ’ তত্ত্বেও ফিরে যাবে, এরা ছোট ছোট গ্রুপে বিভক্ত হয়ে গুপ্তহামলা চালাবে। ফলে একটি স্থিতিশীল মধ্যপ্রাচ্য দেখার সম্ভাবনা ক্ষীণ। চিনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন আছে। চিনের সঙ্গে এক ধরনের ট্রেড ওয়ার শুরু হয়ে যেতে পারে। চিনা পণ্যের ওপর শতকরা ৪৫ ভাগ হারে শুল্ক আরোপ করলেও (যা তিনি প্রস্তাব করেছেন), চিন বিষয়টি খুব সহজভাবে নেবে বলে মনে হয় না। মেক্সিকোর সঙ্গে সীমান্তে উঁচু দেয়াল নির্মাণের বিষয়টিও অত সহজ হবে না। তবে একটা আশঙ্কার জায়গা হচ্ছে, নয়া প্রশাসনে জাতীয় নিরাপত্তাপ্রধান হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল মাইকেল কাইনের নিযুক্তি। কাইন অত্যন্ত কট্টরপন্থি, ইসলামবিরোধী এবং পুতিনের মতো নেতৃত্বকে পছন্দ করেন। তিনি সম্প্রতি একটি বই লিখেছেন। তাতে তিনি যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের হেরে যাওয়ার পেছনে ‘রাজনৈতিক সঠিক লাইন’-এর অভাব বলে মনে করেন এবং ইসলামবিদ্বেষকে তিনি যুক্তিযুক্ত বলে মনে করেন। ফলে কাইনের মতো কট্টরপন্থিদের নিযুক্তি প্রমাণ করে ট্রাম্প তার আগের অবস্থান থেকে সরে আসছেন না। ট্রাম্প যদি তার আগের অবস্থানে দৃঢ় থাকেন এবং মুসলমানদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করার আইন প্রণয়ন করেন, তাহলে বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে বাধ্য। দু-একটি মুসলমানপ্রধান দেশে সন্ত্রাসী কর্মকা- রয়েছে। এর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নীতিকেই দায়ী করা হয়। এ জন্য সব মুসলমানপ্রধান দেশকে দায়ী করা ঠিক হবে না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, ট্রাম্পের প্রশাসনে একের পর এক যেভাবে কট্টরপন্থিদের ভিড় বাড়ছে তাতে করে তারা ট্রাম্পকে একটি কঠোর ইসলামবিরোধী ভূমিকা নিতে বাধ্য করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান সংখ্যালঘুদের (এ ক্ষেত্রে মুসলমানদের) অধিকার নিশ্চিত করলেও সংবিধানের এই অধিকার এখন অকার্যকর হয়ে যেতে পারে। কেননা নতুন করে আইন প্রণয়ন করতে এবং কংগ্রেসে তা পাস করিয়ে নিতে ট্রাম্পের কোনো সমস্যা হবে না। সিনেট এবং প্রতিনিধি পরিষদে এখন রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। এমনকি সুপ্রিম কোর্টে তিনজন কনজারভেটিভ বিচারপতিকে তিনি নিয়োগ দিতে পারেন। সেই ক্ষমতা এখন তার আছে। ফলে তিনি যদি সংবিধান সংশোধন করার কোনো উদ্যোগ নেন, তিনি তা পারবেন। ন্যূনতম অভিবাসনবিরোধী তথা ইসলামবিরোধী কোনো আইন পাস করতে তার কোনো সমস্যা হবে না।
এতদিন বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম সংবিধানগুলোর একটি। সংবিধানের বিভিন্ন পর্যায়ে আইনের শাসন, চেকস অ্যান্ড ব্যালান্স, মানবাধিকার রক্ষা, জনগণের সার্বভৌমত্ব, জনগণের ন্যূনতম অধিকারের স্বীকৃতি ইত্যাদি যে বিষয় সংযোজিত রয়েছে তা এখন ট্রাম্পের জমানায় ঝুঁকির মুখে থাকল। সমসাময়িককালে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট এত বেশি ক্ষমতা নিয়ে আসেননি, যা কিনা ২০১৬ সালের নির্বাচনের পর ট্রাম্পকে এনে দিয়েছে। তিনি এখন যা চাইবেন, তাই করতে পারবেন। তবে বাস্তবতা বলে একটা কথা আছে। তিনি নির্বাচনের আগে অনেক কথা বলেছেন বটে, কিন্তু কতটুকু কী করবেন, তা আগামী দিনগুলোই শুধু বলবে। নির্বাচনের পরপরই তার বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ, ক্যালিফোর্নিয়ার মতো স্টেটের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি তার জন্য কোনো ভালো সংবাদ নয়। এ ক্ষেত্রে বাস্তবতা তার গৃহীত নীতিতে কতটুকু প্রতিফলিত হবে, সেটাই বড় প্রশ্ন এখন। তবে একটা কথা নিশ্চিত করেই বলা যায়, অভিবাসন নীতিমালায় পরিবর্তন আসবে। নতুন নতুন বিধি প্রবর্তিত হবে। নাগরিকত্ব আইন কঠোর হবে। তাই বলাই যায়, বদলে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment