একজন নয়া প্রেসিডেন্টের অপেক্ষায় ছিল যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে একেক স্টেটে একেক সময়ে শেষ হয়। মঙ্গলবার গভীর রাতে (স্থানীয় সময়) ফল পাওয়া গেল। ততক্ষণে বাংলাদেশে বুধবার। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাঁকে অভিনন্দন। যুক্তরাষ্ট্র তথা বিশ্বের জন্য এই নির্বাচনের গুরুত্ব অনেক। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মার্কিন সমাজে যে বিভক্তি ও জাতিগত দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছিল, নতুন প্রেসিডেন্টকে এই বিভক্তি ও জাতিগত দ্বন্দ্ব কমিয়ে আনতে হবে। মেক্সিকান কিংবা মুসলমানদের বিরুদ্ধে যে বিতৃষ্ণা ও ঘৃণা ছড়ানো হয়েছিল, ডেনাল্ড ট্রাম্পের দায়িত্ব হবে যুক্তরাষ্ট্রের সব জাতির মধ্যে ঐক্য ধরে রাখা। নির্বাচন শেষের দিকে কয়েকটি ব্যাটেল গ্রাউন্ডের দিকে ঝুঁকে পড়েছিল। ফ্লোরিডা আর নিউ হ্যাম্পশায়ারের দিকে সোমবার টিভির চোখ বারবার আটকে গিয়েছিল। মোট ১১টি স্টেটকে ‘ব্যাটেল গ্রাউন্ড স্টেট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
এর মধ্যে অনেকটাতেই হিলারি তাঁর অবস্থান শক্তিশালী করতে পেরেছিলেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন যেহেতু নির্বাচকমণ্ডলীর ভোটে হয়, সেহেতু এটা ছিল অনেকটাই অঙ্কের হিসাব। ডেমোক্র্যাটদের ১৭টি স্টেটের ২০০ নির্বাচকমণ্ডলীর ভোট কনফার্ম ছিল। অর্থাৎ এই স্টেটগুলোর ভোটাররা (ক্যালিফোর্নিয়া, নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি ইত্যাদি) বরাবরই ডেমোক্রেটিক পার্টির নির্বাচকমণ্ডলীর পক্ষেই ভোট দেয়। মোট সংখ্যা এখানে ২০০। এর বাইরে আরো পাঁচটি স্টেট ঝুঁকেছিল ডেমোক্র্যাটদের দিকে। অর্থাৎ ভোটাররা এসব স্টেটে ডেমোক্রেটিক পার্টির নির্বাচকমণ্ডলীকেই ভোট দেবে—এমনটাই ধারণা। এই পাঁচটি স্টেটে (কলোরাডো, মিশিগান, পেনসিলভানিয়া ইত্যাদি) নির্বাচকমণ্ডলীর সংখ্যা ৬৮। অর্থাৎ ম্যাজিক ফিগারের কাছাকাছি ২৬৮ নির্বাচকমণ্ডলীর ভোট নিয়ে সোমবার রাতে অবস্থান করছিলেন হিলারি ক্লিনটন। অন্যদিকে রিপাবলিকান পার্টির কনফার্ম নির্বাচকমণ্ডলীর ভোট ছিল ১৫৭টি (টেক্সাস, আলাবামা, আরাকানসাস, মিসৌরি ইত্যাদি)। ঝুঁকে ছিল আরো পাঁচটি স্টেট (জর্জিয়া, ওহাইও, উটাহ)। এখানে নির্বাচকমণ্ডলীর ভোট ৪৭। সব মিলিয়ে ট্রাম্পের ঝুড়িতে ছিল ২০৪টি নির্বাচকমণ্ডলীর ভোট। বাকি ছিল ছয়টি ব্যাটেল গ্রাউন্ড স্টেটের নির্বাচকমণ্ডলীর ভোট (আরিজোনা, ফ্লোরিডা, নর্থ ক্যারোলাইনা ইত্যাদি)। এখানে মোট ভোট ৬৬। এসব ব্যাটেল গ্রাউন্ড স্টেটের কোনো কোনোটি ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকে পড়েছিল। সবার দৃষ্টি ছিল নিউ হ্যাম্পশায়ারের চারটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচকমণ্ডলীর ভোটের দিকে। বুধবার সব জল্পনা-কল্পনা অবসান ঘটল। শেষ মুহূর্তে এসেও কিছু জটিলতা বাড়ছিল। ওহাইও ও নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেটে কোথাও কোথাও যাঁরা আগাম ভোট দিতে এসেছিলেন, তাঁদের বাধা দেওয়া হয়েছিল। দুটি মামলাও হয়েছিল। এখানে বিচারক ভোটারদের ভোট নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ট্রাম্পের জন্য দুঃসংবাদ ছিল দুটি। নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটানের জেলা জজ আদালতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের একটি মামলা হয়েছে। যে মামলা করেছে সে ১৩ বছরের এক কিশোরী। বিচারপতি ১৬ ডিসেম্বর (২০১৬) এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছেন। একই সঙ্গে মেক্সিকোর তিজুয়ানায় (Tijuwana) ৩২ মিলিয়ন ডলার ট্যাক্স ফাঁকি ও জালিয়াতির অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোটেল তথা ‘রিয়েল এস্টেট’ ব্যবসা রয়েছে। এ ধরনের মামলা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রথম নয়। বরং এর আগেও এ ধরনের মামলা হয়েছে। তিনি কখনোই বিতর্ক ও অভিযোগ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারেননি। এক ঐতিহাসিক বিজয়ের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েছিলেন হিলারি ক্লিনটন। একসময় জয় যেখানে একরকম নিশ্চিত ছিল, সেখানে এফবিআইয়ের ই-মেইল তদন্ত করার নির্দেশ কিছুটা হলেও হিলারি ক্লিনটনকে বিপদে ফেলে। সেই বিপদ তিনি কাটিয়ে উঠেছিলেন। এফবিআই আর কোনো তদন্ত করবে না বলেও জানিয়ে দেয়। ইকোনমিস্ট কিংবা নিউজউইকের মতো জনপ্রিয় সংবাদ সাময়িকীও হিলারিকে সমর্থন করেছিল। ফলে হিলারির জয়টা ছিল অনেকটাই হাতের মুঠোয়। আর সেই জয়টা তিনি নিশ্চিত করতে পারলেন না। তবে এই নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের জন্য আদৌ কোনো ভালো খবর নয় বলে অনেকে মনে করছেন। বিপুল অর্থের প্রয়োজনীয়তা, অরাজনৈতিক শক্তির রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ, অরাজনৈতিক শক্তির রাজনৈতিক পদ লাভের সুযোগ তৈরি করা, দুর্নীতি, যৌন কেলেঙ্কারি, অশোভন আচরণসহ যেসব ঘটনা একের পর এক ঘটে চলছিল, তা যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের জন্য মানানসই ছিল না। শুধু অর্থ-বিত্তের জোরে ট্রাম্প মনোনয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি অতীতে কোনো রাজনৈতিক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন না। একজন ব্যবসায়ী তিনি। প্রচুর অর্থ ও বিত্তের মানুষ তিনি। একজন সিনেটর, প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য কিংবা গভর্নর না হয়েও একজন রিপাবলিকান পার্টির মতো পুরনো রাজনৈতিক দলের প্রেসিডেন্ট হতে পারেন, ট্রাম্প ছিলেন এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। দলের সিনিয়র নেতাদের সমর্থন তিনি পাননি। কোনো সাবেক প্রেসিডেন্টের (যাঁরা রিপাবলিকান পার্টির সদস্য হয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন) ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে দেখা যায়নি। এটা যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির একটা দুর্বল দিক যে অর্থশালীরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে পারেন। দ্বিতীয়ত, অর্থ এখন নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করে। প্রাপ্ত তথ্য মতে নির্বাচনের জন্য হিলারি অর্থ সংগ্রহ করেছেন ৯৪৯ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার। আর ট্রাম্প সংগ্রহ করেছেন ৪৪৯ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলার। বড় বড় ব্যবসায়ী নির্বাচনী প্রচারণায় চাঁদা দেন। এটা বৈধ। বুঝতে কারো অসুবিধা হয় না, নির্বাচনের পর তাঁরা কী পরিমাণ সুবিধা আদায় করে নেবেন বিজয়ী প্রার্থীর কাছ থেকে। ফলে নির্বাচনব্যবস্থা ক্রমেই ধনী শ্রেণির হাতে চলে গেছে এবং এই ধনী শ্রেণিই রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করবে ভবিষ্যতে। তৃতীয়ত, ট্রাম্পের অনেক বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের সমাজকে দ্বিধাবিভক্ত করেছে। তাঁর মুসলমানবিদ্ধেষ, অভিবাসীবিরোধী মনোভাব, হিলারি ক্লিনটনকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা ইত্যাদি ঘটনা সমাজকে বিভক্ত করেছে। অভিবাসীদের নিয়ে একটা সমস্যা আছে। প্রায় ২০ মিলিয়ন অভিবাসী (৪৭ শতাংশ) এখন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। বাকি ৫৩ শতাংশ, অর্থাৎ ২২ দশমিক ৪ মিলিয়ন অভিবাসী আইনসিদ্ধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে থাকছে (গ্রিনকার্ডধারী, ছাত্র, ব্যবসায়ী)। প্রায় ২০ মিলিয়ন মানুষ অবৈধ রয়েছে; এটা সত্য। কিন্তু থাকতে পারছে যুক্তরাষ্ট্রের আইনে ফাঁকফোকর রয়েছে বিধায়। যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসীদের দেশ, ট্রাম্প ও হিলারি দুজনই অভিবাসীর সন্তান। ট্রাম্পের দাদা এসেছিলেন (ফ্রেডেরিক ট্রাম্প, ১৮৮৫) জার্মানির রাইনল্যান্ড প্রদেশের কালস্ট্রাড নামের ছোট এক শহর থেকে। আর হিলারির পূর্বপুরুষ এসেছিলেন ওয়েলস ও ফ্রান্স থেকে। এক পেনসিলভানিয়ায় শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। দুই পরিবারই অর্থনৈতিক অভিবাসী। সুতরাং অভিবাসী নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্য সাজে না। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জনগোষ্ঠীর মাত্র এক ভাগ (৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন) মুসলমান। এই এক ভাগ কখনোই নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে না। যুক্তরাষ্ট্র এখন কোন দিকে যাবে? চীনের সঙ্গে সম্পর্ক কী হবে? দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা কী হবে? ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেবেন? এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ চীন সাগর একটি সমস্যা। স্ট্র্যাটেজিক কারণে দক্ষিণ চীন সাগর যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটা তার সাপ্লাই লাইন। উপরন্তু এখানে রয়েছে প্রচুর জ্বালানি সম্পদ (তেল ও গ্যাস)। মার্কিন তেল কম্পানিগুলোর বেশ আগ্রহ রয়েছে এ অঞ্চলের ব্যাপারে। চীনেরও আগ্রহ রয়েছে। অতি সম্প্রতি এই অঞ্চলের সমুদ্রসীমার অধিকারের ব্যাপারে ফিলিপাইনের দাবিকে সমর্থন করেছে আন্তর্জাতিক আদালত। চীনের দাবিকে সমর্থন করেনি। তবে চীনের একটা প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে, চীন ফিলিপাইনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করেছে। ফিলিপাইনের নয়া প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি চীনে গিয়েছিলেন। তাঁর যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী ভূমিকা একটা বড় প্রমাণ রাখল—এ অঞ্চলের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ভবিষ্যতে কী হবে? যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এ অঞ্চল ঘিরেই ওবামা তাঁর ‘Pivot to Asia’ পলিসি গ্রহণ করেছিলেন। এখন ডোনাল্ড ট্রাম্প কিভাবে এ বিষয়টি দেখবেন, সেটাই দেখার বিষয়। ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের যথেষ্ট স্বার্থ রয়েছে। ব্যবসায়িক স্বার্থের পাশাপাশি ভারতের স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব অনেক। ভবিষ্যতে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক চীনের বিরুদ্ধে ব্যবহূত হতে পারে, এমন কথাও বলছেন কোনো কোনো বিশ্লেষক। চীনের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ কর্মসূচিও যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। চীন ৬০টি দেশকে এই ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ কর্মসূচির আওতায় আনছে, যার মাঝে মধ্য এশিয়ার জ্বালানি সম্পদসমৃদ্ধ দেশগুলোও আছে। এটা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে। এ ক্ষেত্রে নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পেন্টাগনের স্বার্থের বাইরে যেতে পারবেন না। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এর খরচ তিনি বহন করবেন না। অবৈধ মেক্সিকানদের বিরুদ্ধে তিনি গুপ্তহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছিলেন। তিনি ওদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে চান। কিন্তু হিলারি তা চাননি। মুসলমানবিদ্বেষী মনোভাব ট্রাম্প পোষণ করেন। উঁচু স্তরের ধনীদের হিলারি আরো ব্যাপক ট্যাক্সের আওতায় আনতে চেয়েছিলেন। মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য তিনি প্রস্তাব করেছিলেন যে তিনি আরো ট্যাক্স কমাবেন। ট্রাম্প করপোরেট ট্যাক্স কমানোর কথা বলেছিলেন, ট্রাম্প মেডিকেয়ার ও মেডিকেইড দুটি সেবা বাতিল করার কথা বলেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের স্বার্থ রয়েছে। আমরা জিএসপি এখনো ফিরে পাইনি। তৈরি পোশাকের শুল্কমুক্ত সুবিধা আমাদের জন্য অন্যতম অগ্রাধিকার। দক্ষিণ এশিয়া তথা বাংলাদেশে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের উত্থান রোধে মার্কিন সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন। সেই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করা, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা কিংবা নবায়নকৃত জ্বালানিক্ষেত্রে সাহায্য ও সহযোগিতা আমাদের দরকার। কেরির ঢাকা সফরের সময় এ-সংক্রান্ত একটি চুক্তিও হয়েছিল। একটি বড় ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে এই নির্বাচন শেষ হলো। বিশ্বকে হতবাক করে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রর ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ডোলাল্ড ট্রাম্প। বিজয় লাভের পর তিনি বলেছেন, আমেরিকানদের সব সময় শীর্ষে রাখব। ট্রাম্প জয়ী হওয়ার খবরে বিশ্ব অর্থনীতিতে তাত্পর্যপূর্ণভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দরপতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। শেষ পর্যন্ত কী হয় তা দেখার অপেক্ষা এখন।
নিউ ইয়র্ক থেকে
0 comments:
Post a Comment