রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

ট্রাম্প, উগ্র জাতীয়তাবাদ ও বিশ্বরাজনীতি


যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় ও শীর্ষ পদগুলোয় যাঁদের তিনি নিয়োগ দিয়েছেন, তা বিশ্লেষণ করে এটা বলা যায়, একটি উগ্র জাতীয়তাবাদের রাজনীতি তিনি সূচনা করতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে। নির্বাচনের আগে ও পরে আমি বেশ কিছুদিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলাম। মাঝখানে সীমিত সময়ের জন্য আমি ইউরোপেও ছিলাম। ইউরোপজুড়ে যে দক্ষিণপন্থী রাজনীতির উত্থান আমি লক্ষ করেছিলাম তার ঢেউ এসে লাগল এখন যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রে থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিটি বক্তব্য আমি অনুসরণ করেছি। তাঁর বক্তব্য ছিল স্পষ্ট, ক্লিয়ার। তিনি মুসলমানবিরোধী ও বর্ণবাদবিরোধী একাধিক বক্তব্য দিয়ে গ্রামীণ শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠীকে কাছে টানতে চেষ্টা করেছিলেন। ‘মেইক আমেরিকা গ্রেট’—এই স্লোগান তুলে তিনি সাধারণ শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানদের আকৃষ্ট করতে চেষ্টা করেছিলেন। দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের তিনি সমর্থন পাননি। এর পরও এককভাবে তিনি এগিয়ে গেছেন। আর তাতে তিনি সফল হয়েছেন। ডালাস আর নিউ ইয়র্কে থেকে নির্বাচনের সময় আমি প্রত্যক্ষ করেছি, কিভাবে সাধারণ শ্বেতাঙ্গরা ট্রাম্পের বক্তব্যে ‘মোটিভেটেড’ হয়েছে। তারা মনে করেছে, বিদেশিরা, বিশেষ করে মেক্সিকানরা তাদের চাকরিবাকরি নিয়ে নিচ্ছে। ‘বিদেশিদের’ কারণে তাদের সন্তানরা ভবিষ্যতে কোনো চাকরি পাবে না—এ ধরনের একটি মানসিকতা তৈরি করে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এ ধরনের মানসিকতা আমি সম্প্রতি জার্মানি ও ফ্রান্সেও দেখেছি। ইউরোপের এই দুটি দেশে প্রচণ্ড অভিবাসনবিরোধী একটা জনমত ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি ‘লিবারেল’ সমাজেও এর ঢেউ এসে লাগল। যুক্তরাষ্ট্রের গ্রামীণ সমাজের একটা বড় অংশ এবার ট্রাম্পের প্রতি এসব কারণেই তাদের সমর্থন ছুড়ে দিয়েছিল। ফলে নির্বাচনে নির্বাচকমণ্ডলীর ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন ট্রাম্প। এমনকি ধর্মীয়ভাবেও, পিউ রিসার্চের গবেষণায় দেখা গেছে, খ্রিস্টীয় সম্প্রদায়ের মানুষ ট্রাম্পের প্রতি নির্বাচনের আগে ঝুঁকে পড়েছিল। এর কারণ হচ্ছে, তাঁর মুসলমানবিরোধী ভূমিকা। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি ‘শক্ত’ নেতৃত্ব দরকার। তাই হিলারির বদলে তারা সমর্থন করেছিল ট্রাম্পকে।
ট্রাম্পের এই বিজয় প্রমাণ করে, ভবিষ্যতে তিনি একটি উগ্র জাতীয়তাবাদী প্রশাসনের নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে প্রশাসনের শীর্ষ পদগুলোর নেতৃত্বে যাঁদের তিনি নিয়োগ দিয়েছেন, তাঁরা সবাই উগ্র জাতীয়তাবাদী চিন্তা-চেতনার অধিকারী। রেইনস প্রিবাসকে তিনি নিয়োগ দিয়েছেন হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ হিসেবে। ট্রাম্পের মুখ্য নীতিনির্ধারকের দায়িত্ব পেয়েছেন স্টিফেন ব্যানন। জেনারেল ফ্লাইন নিয়োগ পেয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তাপ্রধান হিসেবে। মাইক পমপেও পেয়েছেন সিআইএর পরিচালকের পদ। আর অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পেয়েছেন জেফ সেশনস। তাঁরা সবাই মুসলমান তথা অভিবাসনবিরোধী। কট্টর দক্ষিণপন্থী ও ট্রাম্পের নগ্ন সমর্থক। ফলে এটা স্পষ্ট, ভবিষ্যতে ট্রাম্প যেসব নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছেন, তাতে ইসলামবিরোধী, অভিবাসনবিরোধী ইস্যুগুলোই প্রাধান্য পাবে। ট্রাম্প ইতিমধ্যেই বলেছেন, তিনি ‘অবৈধ’ অভিবাসী, যার সংখ্যা তিনি উল্লেখ করেছেন ৩০ লাখ, তাদের তিনি ডিপোর্ট করবেন। এমনকি যারা ধর্মীয়ভাবে মুসলমান; কিন্তু মার্কিন নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছে, তারাও আছে দুশ্চিন্তায়। তাদের ‘স্ক্রিনিং’ করা হবে বলে তিনি ঘোষণা করেছেন। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সমাজে একটি ‘শ্বেতাঙ্গ সুপরেমেসি’ প্রতিষ্ঠা করতে চান। এতে ‘হেইট ক্রাইম’ আরো বাড়বে। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে যে ‘লিবারেল’ রাজনীতি ধারণ ও প্রমোট করে আসছিল, তাতে এখন ছেদ পড়তে পারে। শ্বেতাঙ্গ ও অশ্বেতাঙ্গ দ্বন্দ্ব যুক্তরাষ্ট্রের সমাজে আগে থেকেই ছিল। তা এখন আরো বাড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে ফেডারেল সরকারের সঙ্গে স্টেট সরকারগুলোর দ্বন্দ্ব বাড়তে পারে। যেমন—নিউ ইয়র্কের মেয়র (যিনি ডেমোক্র্যাট) বলেছেন, তিনি অভিবাসীদের ‘প্রটেকশন’ দেবেন। এ ক্ষেত্রে ফেডারেল সরকার যদি কোনো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যায়, তাতে স্থানীয় সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রের দ্বন্দ্ব অনিবার্য। অন্যদিকে ক্যালিফোর্নিয়ার মতো স্টেট ট্রাম্পের নির্বাচনে বিজয়ে অসহিষ্ণুতা প্রকাশ করেছে। সেখানে প্রকাশ্যে মিছিলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেরিয়ে যাওয়ার দাবি উঠেছে। এই দাবি অন্য স্টেটগুলোতেও ছড়িয়ে যেতে পারে! ইতিহাসে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের করুণ কাহিনী রয়েছে। একুশ শতকে এসে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন যুক্তরাষ্ট্রের মতো শক্তিধর রাষ্ট্রে হয়তো বাস্তবতাবিবর্জিত। কিন্তু ক্যালিফোর্নিয়ার মতো স্টেটে প্রকাশ্যেই বিচ্ছিন্ন হয়ে আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি উঠেছে। এটাকে নিছক হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। এখন ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে, তারা কিভাবে বিষয়গুলোকে, বিশেষ করে এই অভিবাসন ইস্যুকে ‘ব্যবহার’ করে। এটা তো সত্য, ট্রাম্পের অনেক বক্তব্য ও নির্বাচনের ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রের সমাজকে দ্বিধাবিভক্ত করেছে। এই বিভক্তি আরো বাড়বে, যদি ট্রাম্প ত্বরিত কোনো সিদ্ধান্ত নেন।
ট্রাম্পের এই বিজয় প্রমাণ করল, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্বে যে ‘লিবারেলিজম’-এর ধারণা বহমান ছিল, তা এখন ভাঙছে। কট্টরপন্থী উগ্র এক ধরনের জাতীয়তাবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এ কথা ভারতের ক্ষেত্রে যেমন প্রযোজ্য (বিজেপি তথা হিন্দুত্ববাদীদের উত্থান), তেমনি প্রযোজ্য তুরস্কের ক্ষেত্রেও (একেকে পার্টির একক কর্তৃত্ব করার প্রবণতা)। ইউরোপে ব্যাপক সিরীয় শরণার্থীদের আগমনের কারণে সেখানে সমাজে রাজনীতিতে এক ধরনের মেরুকরণের জন্ম হয়েছে। এতে দেখা যায়, জার্মানি ও ফ্রান্সে কট্টর দক্ষিণপন্থী দলগুলোর উত্থান ঘটেছে। তারা মুসলিমবিদ্বেষী মনোভাবকে তাদের স্বার্থে ব্যবহার করছে। একটি কট্টর দক্ষিণপন্থী ইসলামবিরোধী ‘রাজনৈতিক স্রোত’ এখন সারা ইউরোপে বইছে। এর প্রভাব পড়ছে সেখানকার নির্বাচনে। ট্র্যাডিশনাল দলগুলো কট্টরপন্থীদের কাছে হেরে যাচ্ছে। আমি সম্প্রতি জার্মানি ও ফ্রান্স ঘুরে এসেছি। সিরীয় শরণার্থীদের ইউরোপ, বিশেষ করে জার্মানি ও ফ্রান্সে আশ্রয়দানের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে অভিবাসনবিরোধী একটি শক্তিশালী জনমত তৈরি হয়েছে। তারা স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে ভালো করছে। আমি অন্তত সাতটি দেশের নাম করতে পারব, যেখানে দক্ষিণপন্থী নব্য নাজি পার্টি এই অভিবাসন ইস্যুকে কেন্দ্র করে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করেছে। যেমন বলা যেতে পারে, ফ্রিডম পার্টি (অস্ট্রিয়া), ল অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি (পোল্যান্ড), ফিদেসজ (হাঙ্গেরি), সুইডেন ডেমোক্র্যাটস (সুইডেন), গোল্ডেন ডন (গ্রিস), ন্যাশনাল ফ্রন্ট (ফ্রান্স) ও অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (জার্মানি) পার্টির কথা। ফ্রিডম পার্টির নেতার (নরবার্ট হফার) প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার একটা সম্ভাবনা ছিল। সংসদে তাঁদের আসনসংখ্যা এখন ৪০ (মোট আসন ১৮৩)। পোল্যান্ডের নির্বাচনে ল অ্যান্ড জাস্টিস পার্টির নেতা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৫ সালের নির্বাচনে তাঁরা ভোট পেয়েছিলেন ৩৯ শতাংশ। হাঙ্গেরিতে ফিদেসজ পার্টি সরকারের অংশীদার। গ্রিসে বামরা ক্ষমতায় থাকলেও কট্টর দক্ষিণপন্থী পার্টি গোল্ডেন ডনের সংসদে আসন রয়েছে ১৮টি। ফ্রান্সে ন্যাশনাল ফ্রন্ট পুরনো রাজনৈতিক সংগঠন। অভিবাসন ইস্যুতে তারা স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে ২৭ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করেছে। আর জার্মানির মতো ইউরোপের বড় গণতান্ত্রিক দেশে দক্ষিণপন্থী অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনে ৪.৭ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করেছে (৫ শতাংশ ভোট পেলে তারা সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে পারত)। এই দলগুলোর মধ্যে অদ্ভুত একটা মিল আছে। এরা সবাই অভিবাসনবিরোধী, ইসলামবিরোধী ও ‘শ্বেতাঙ্গ সুপ্রিমেসি’তে বিশ্বাসী।
এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউরোপের দক্ষিণপন্থী ওই সব নেতার রাজনৈতিক দর্শনের একটা অদ্ভুত মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ট্রাম্প নিজেও ইসলামবিরোধী, অভিবাসনবিরোধী এবং তাঁর যে স্লোগান—‘মেইক আমেরিকা গ্রেট’-এর পেছনে কাজ করেছে শ্বেতাঙ্গ সুপ্রিমেসির বিষয়টি। বিশ্বজুড়েই এক ধরনের দক্ষিণপন্থী রাজনীতির উত্থান ঘটেছে। আফ্রিকার অনেক দেশের কথা বাদই দিলাম। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত ভারত ও তুরস্কের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি নিয়েও প্রশ্ন আছে। মোদি ‘হিন্দুত্ববাদের’ স্লোগান তুলে নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন। আর অতিসম্প্রতি তুরস্কে এরদোয়ান তথাকথিত ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পেছনে গুলেনপন্থীদের জড়িত থাকার অভিযোগ এনে পুরো রাজনৈতিক ক্ষমতা নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছেন। গণতন্ত্রের নামে সেখানে কায়েম হয়েছে একনায়কতন্ত্র। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বরাবরই সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করে আসছে। কিন্তু ট্রাম্পের বিজয় এখন অনেক প্রশ্নকে সামনে নিয়ে এসেছে। তাঁর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সেখানে ‘হেইট ক্রাইম’ বেড়েছে। মুসলমানদের প্রতি ঘৃণা, বিদ্বেষ আরো বেড়েছে। এই সমাজকে মানুষ আগে কোনো দিন দেখেনি, তাই আগামী চার বছর ওই দেশে কী হবে এ নিয়ে চিন্তা অনেকের। পিউ রিসার্চ একটি গবেষণা পরিচালনা করেছে। তাতে বেরিয়ে এসেছে, ৫৬ শতাংশ মানুষ মনে করে ট্রাম্পের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর তেমন শ্রদ্ধাবোধ নেই। গত ২৭ অক্টোম্বর (২০১৬), অর্থাৎ নির্বাচনের আগে গবেষণাটি পরিচালিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে যদি পরিবর্তন আসে, বিশ্বরাজনীতিতেও তা প্রভাব ফেলে। ফলে ট্রাম্পের উত্থান ও তাঁর ঘোষিত নীতি যদি তিনি কার্যকর করার উদ্যোগ নেন, তা এক বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে নিরাপত্তা ও বৈদেশিক সম্পর্কের ব্যাপারে তিনি যেসব প্রস্তাব করেছেন বা দিয়েছেন, তা যদি তিনি কার্যকর করেন, তাহলে বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন আসবে। কতগুলো বিষয় এখানে দেখার  রয়েছে—১. রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর সখ্য একটি রুশ-মার্কিন ঐক্য তথা ইয়াল্টা ২-এর জন্ম দেবে কি না (চার্চিল রুজভেল্ট-স্ট্যালিন শীর্ষ বৈঠক ১৯৪৫); ২. ওবামা প্রশাসনের আমলে ‘চীনকে ঘিরে ফেলার’ নীতিতে ট্রাম্প প্রশাসন ‘কমিটেড’ থাকবে কি না? ৩. রুশ-মার্কিন ‘ঐক্য’ সিরিয়ায় আসাদকে নতুন জীবন দেবে; কিন্তু আইএস উত্খাতে ট্রাম্পের স্ট্র্যাটেজি কী হবে? ৪. দক্ষিণ চীন সাগরের ব্যাপারে ট্রাম্প প্রশাসনের ভূমিকা কী হবে? ৫. টিপিপি ও নাফটা চুক্তি যদি অকার্যকর হয়ে যায়, তাহলে এক ধরনের ‘বাণিজ্যযুদ্ধ’ অবধারিত। এই ‘যুদ্ধ’ এড়াতে ট্রাম্প কী ভূমিকা নেবেন? ৬. ইউরোপকে ট্রাম্প আশ্বস্ত করবেন কিভাবে? ৭. ন্যাটোর বিকল্প কোনো প্রস্তাবনা ট্রাম্প উপস্থাপন করবেন কি?
মোদ্দাকথা, এক বড় ধরনের পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে এখন যুক্তরাষ্ট্র। রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি এবং একই সঙ্গে বৈদেশিক নীতিতে পরিবর্তন আসবে। এখন পরিবর্তনটুকু দেখার জন্য আমাদের আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে মাত্র।
Daily Kaler kontho
27.11.2016


0 comments:

Post a Comment